শুনেছি আমি ছোট্টকালে,
আমার দাদুর কাছে।
আমার দেশে পাকা আম,
ঝুলতো গাছে গাছে।
কাঁঠাল গাছে কাঁঠাল দেখে,
লাগতো চোখে তাক।
গাছের লিচু খাইতো শুধু
দেশের বাদুর কাক।
জামের গাছে ছোট্ট ডালে,
ঝুলতো কালো জাম।
বনের পাখী খাইতো তারে,
দিতো না কেউ দাম।
চাঁদনী রাতে চোখের পাতে।
আসতো নাকো ঘুম।
আনন্দে গান গাইতো সবে,
জমতো গল্প ধূম।
ষোড়শী বালা সকাল বেলা,
আনতো তুলে ফুল।
খোঁপায় তারে জড়িয়ে দিয়ে,
বাঁধতো সদা চুল।
আমার বাংলা মায়ের বুকে,
তাইতো ছিল সুখ,
মায়ের কোলে ঘুমিলে পড়ে,
জুড়িয়ে যেতো বুক।
ঘুম পাড়ানো ছড়ায় দিতো ,
শিশুর মুখে হাসি।
ঘুমিয়ে যেতো তাই শিশু,
মায়ের কোলে আসি।
আমার দেশে সোনা ফলে,
বিদেশে যার নাম।
তাইতো চষি,আমার চাষি,
লইতো সোনা দাম।
সকাল থেকে সন্ধ্যাবধি,
থাকতো চাষি মাঠে।
করতো আরো বেচা কেনা,
গাঁয়ের ছোট্ট হাট
গোয়াল ভরা থাকতো গরু,
গোলায় আরো ধান।
তাইতো চাষি মনের সুখে,
গাইতো সদা গান।
জেলেরা সব ধরতো মাছ,
নদীর বাঁকে বাঁকে।
গাংচিলেরা তাইতো সেথা,
উড়ত ঝাঁকে ঝাঁকে ।
মাঝিরা সব মনের সুখে,
তুলতো নায়ে পাল।
গাইতো সারি গানের পালা ,
কইষে ধরি হাল।
রাখাল ছেলে বাজিয়ে বেণু,
চলতো সবে মাঠে।
গাঁয়ের বধূ আকুল হতো ,
কলসি রাখি ঘাটে।
বাতাস সবে বইতো জোরে,
ঘোমটা যেতো খসে।
বধূর লজ্জা মুখখানি তাই,
দেখত রাখাল বসে।
ভোরের রবি তাইতো দেখি,
ঝিকি মিকি হাসে,
আমার সোনা বাংলা দেশে,
শিশির বিন্দু ঘাসে।
শুনেছি আমি আরও কতো,
গল্প দাদুর মুখে।
সবই যেন স্বপ্ন শুধু,
তাইতো বলি দুখে।
দুঃখ ব্যথার চিহ্ন যেথা,
থাকতো নাকো লেশ।
সেইতো আমার জন্ম ভূমি,
এইতো আমার দেশ।
০৫ ফেব্রুয়ারী - ২০১১
গল্প/কবিতা:
২৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪