ভোঁতা ময়লা রঙয়ের একটা চাকু নিয়ে ছায়াটা ছুটছে। ছুটছে চার দেয়ালের মধ্যেই। এদিক থেকে ওদিক আবার ওদিক থেকে এদিক। মোর্শেদ ভয়ে র্থ র্থ করে কাঁপছে। সে ও ছোটাছুটি করছে। ছায়াটা এই বুঝি তাকে ধরে ফেলল। শেষ পর্যন্ত প্রেমিকার হাতেই কী খুন হতে হবে? মৃত্যু ভয়ে উত্তেজিত হয়ে এলোপাতাড়ি ছুটতে থাকে ও। চিৎকার করে হাউমাউ করে কাঁদতেও থাকে। একসময় দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায় মোর্শেদ। এরপর আর কিছু বলতে পারে না। চোখ খুলেই দেখে তার সামনে মামা। পাশে বসে আছে ছোট বোন রাহা আর মা। এটা গত কালকের ঘটনা।
চোখ বাঁধা অবস্থায় অটো রিক্সা থেকে নামানো হলো মোর্শেদকে। ভাড়া মিটিয়ে একটু সামনে এগুতেই চোখে পড়ল সাইনবোর্ড। ডাঃ জাকির আহমদ, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। মোর্শেদ এর সাথে তাঁর মা, ছোটবোন রাহা এবং মামা এসেছে। ওর যা অবস্থা অনেকের সাথে পরামর্শ করে মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসতে হলো বাধ্য হয়ে। মোর্শেদ গত দুই সপ্তাহ থেকে সব আলো নিভিয়ে অন্ধকার করে ঘরের দরজা লাগিয়ে থাকতেছে। কোনভাবেই বাইরের আলো ঘরে ঢুকতেও দেয় না। নিজেও বের হয় না। উদ্দেশ্য কোনভাবেই যেন কোন ছায়া তার চোখের সামনে না আসে।
দেড় মাস আগে ছায়ার সাথে প্রেম হয় মোর্শেদের। ঘটনার শুরু যেদিন সেদিনের ঘটনা। মোর্শেদ ঘরের ভিতরে চেয়ারে বসে টেবিলে হাত দিয়ে ঝুঁকে ছিল। হঠাৎ ওর মনেহল কে যেন পিঠে হাত রাখছে। চট করে ঘুরে তাকিয়ে দেখে কেউ নাই। একটু ভয় পেয়ে এদিক ওদিক তাকায় সে। না কেউ নাই। হঠাৎ কে যেন বলে উঠে, আমাকে খুঁজছো তো? আমি তো তোমার বাঁ দিকেই আছি।
মোর্শেদ বাঁ দিকে তাকিয়ে দেখে একটা ছায়া তাঁর দিকে ঝুঁকে আছে। বুঝতে পারে মেয়েলি কন্ঠে এই ছায়াই তাঁর পিঠে হাত রাখছে এবং কথা বলছে।
-কি দেখতে পেয়েছো?
-হুম। কিন্তু ছায়া কি কখনো কথা বলে? আপনি কী ভূত টুত নাকি?
-না, আমি ছায়া। শুধু ছায়া। আর ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কোন না বলে সরাসরি বলি। আমার আর একটা পরিচয় আছে। আমি প্রেমিকা।
-তাই নাকি! ভালো তো। তা কার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন?
-কেন তোমার। আমি তোমার প্রেমিকা। তুমি আমাকে ভালোবাসতে পারো। কী বাসবে তো?
-ছায়ার সাথে প্রেম। সত্যি অবাক প্রেম। এই প্রেমের নদীতে ডুব দিয়ে দেখি কী হয়। যদিও একটু সাঁতার কম জানি। ডুবে গেলে আবার উদ্ধার করতে পারবেন তো?
-নিশ্চয়। ডুবতে দিব না। শুধু ভাসায় নিয়ে বেড়াব। হি: হি: হি:।
মোর্শেদ এর মনে তখন কী চলছিল সে নিজেও বুঝে উঠতে পারে নি। ছায়ার সাথে কেমনে খুব দ্রুত প্রেমে জড়িয়ে গেল। এরপর প্রতিদিন ছায়ার সাথে কথা হত ওর। যা কেউ জানতো না। কিন্তু কেউ জানবে না তা তো হয় না। কেউ না কেউ জেনেই ফেলবে এক সময়। তাই হলো।
ঠিক তার তিন সপ্তাহ পরের কথা। মোর্শেদ দরজা লাগিয়ে ব্লুটুথ স্পিকারে সাউন্ড দিয়ে খুব নাঁচছিল। রাহা প্রথমে ভেবেছিল ভাইয়া মনে হয় টিকটক করছে কিংবা টিকটকের জন্য রিহার্সেল করছে। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা যখন গান আর নাঁচ চলতেই থাকল তখন রাহা জোড়ে জোড়ে নক করল। মোর্শেদ তখন দরজা খুলল।
-তোর এত এনার্জী কই থেকে আসে ভাইয়া? জানতে চায় রাহা।
-কিসের এনার্জী?
-ঘন্টার পর ঘন্টা নেঁচেই যাচ্ছিস। মানে ফুর্তি কিসের এত।
-ও ! এই কথা। আয় বস, বলতেছি। তোর ভাবী . . .। মানে আমার যার সংগে প্রেম চলছে ও বলল আজকে দুজনে মিলে খুব নাঁচব। সে জন্যেই আরকি।
-তাই নাকি। তুই প্রেম করছিস সেটা তো আমাকে কখনো বলিস নি ভাইয়া। মেয়ের নাম কি?
-ছায়া।
-ও। এক সাথে নাঁচবি ঠিক আছে সেই জন্য এত্তক্ষন ধরে রিহার্সেল করতে হবে?
-আরে রিহার্সেল কিসের! একসাথেই তো নাঁচলাম এতক্ষণ।
ভাইয়ার মুখে এ কথা শুনে চমকে উঠলো রাহা। কি বলে ভাইয়া? কিছুই তো বুঝি না। মনে মনে বিড় বিড় করে ও। রাহা জানতে চাইলো, তোমার প্রেমিকা ছায়া কী চলে গেছে ভাইয়া? চলে গেলে কোনদিক দিয়ে বের হয়ে গেল।
-না যায়নি তো। ও আছে। তোকে দেখে লজ্জা পেয়ে লুকিয়েছে।
মোর্শেদ এর এমন কথা শুনে রাহা চমকে উঠে। ওর ভাইয়াটা পাগল হয়ে গেল নাকি। খুব স্বাভাবিকভাবে নরম সুরে রাহা জানতে চাইল,
-কোথায় লুকিয়ে আছে তোমার ছায়া। আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে না।
মোর্শেদ এ কথা শুনে ওর ডান দিকে একটু হেলে কী জন্য দেখার চেষ্টা করল। বলল, না পরে পরিচয় করে দিব। ও চাচ্ছে না পরিচয় হতে।
রাহা বলল,আচ্ছা। মন চাইছিল তোর আর ছায়ার একটা নাঁচ দেখব।
এ কথা শুনে মোর্শেদ অতি আগ্রহ নিয়ে আবার ডান দিকে হেলে পড়ল। একটু পরে সোজা হয়ে খুশি খুশি মুখ নিয়ে রাহার উদ্দেশ্যে বলল, ও নাঁচতে রাজি হয়েছে। তুই বস।
রাহা বিছানায় বসল। মোর্শেদ ওর ফোন থেকে বাংলা সিনেমার একটা গান চালাল। গান বাজতে শুরু করল,
এই মধু জোসনায়, এই মন শুধু চায়, এসো না দুজনে আজ গল্প করি . . .
গানের তালে নাঁচতে থাকলো মোর্শেদ। কিন্তু ছায়া কোথায়। সে তো একাই নাঁচছে। এই দেখে মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা রাহার। গান শেষ হওয়ার আগেই উঠে দাঁড়াল ও। অবাক চোখে তাকিয়ে থাকলো নিজের ভাইয়ের দিকে। হঠাৎ খেয়াল করলো নিজের ছায়ার দিকে তাকিয়েই নাঁচছে ভাইয়া। দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে সরাসরি মাকে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলল রাহা। মা জানাল মামাকেও। সেদিনের এই ঘটনা থেকেই মোর্শেদ এর পরিবার প্রথম জানতে পেরেছিল মোর্শেদ এর মানসিক সমস্যার কথা। এরপর থেকে চোখে চোখে রাখার চেষ্টা করতো পরিবারের সবাই। মোর্শেদ না ঘুমানো পর্যন্ত কেউ না কেউ থাকতো ওর সাথে। উদ্দেশ্য ছায়া দেখেই যেন কথা বলা শুরু না করে। একা থাকলে কথা বলা যায়। আর কেউ সাথে থাকলে চাইলেও তো আর মোর্শেদ কথা বলবে না। মোর্শেদ প্রথম প্রথম পরিবারের উদ্দেশ্য ধরতে পারেনি।
কাজেই ছায়ার সাথে নিয়মিত কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল মোর্শেদ এর।
নিয়মিত কথা বলতে না পারার কারণে প্রেমিকা ছায়া খুব মন খারাপ করলো। একসময় মন খারাপ খুব ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করলো। যা মোর্শেদ আঁচ করতেও পারলো না।
মোর্শেদ আঁচ করতে পারল গত এক সপ্তাহ আগে। সেদিন বাড়িতে কেউ ছিল না। ও ঘরে একাই। হঠাৎ ছায়া এসে হাজীর। ঝাঁঝালো কন্ঠে জানতে চাইলো, কী সমস্যা তোমার?
ছায়ার কন্ঠ শুনে চমকে উঠে মোর্শেদ। এরপর তড়িঘড়ি করে ঘুরতেই চেয়ার থেকে পড়ে যায় ও। চেয়ার থেকে সাথে সাথে উঠে বসে ও। জবাব দেয়, না আমারতো কোন সমস্যা নাই।
-সমস্যা নাই তো তোমাকে পাহারা দিয়ে রাখছে কেন?
-পাহারা দিয়ে রাখবে কেন? মা ভাবছে আমি অসুস্থ তাই কাউকে না কাউকে সাথে রাখছে।
-হুম, বুঝছি। আমাকে এখন আর ভালো লাগে না তোমার।
-তা হবে কেন? সাথে সাথে জবাব দেয় মোর্শেদ।
-তা না হলে,তুমি এটা মেনে নিচ্ছ কিভাবে। তুমি কচি খোকা তোমাকে পাহারা দিয়ে রাখবে। আর তুমি তা হেসে হেসে মেনে নিচ্ছ।
-আচ্ছা ওরা তো আমার পরিবার। ওদের কথা তো আমার শুনতে হবে।
-তার মানে তুমি আমার কথা শুনবে না।
-আমি কি সে কথা বলেছি? বলিনি। সব ঠিক হয়ে যাবে। এই বলে ছায়াকে শান্তনা দেয় মোর্শেদ।
কিন্তু ছায়া প্রচন্ডরকম ক্ষেপে যায়। রাগতস্বরে বলে, তোমাকে আমি খুন করব। একটু থেমে আবার বলে, না আমি তোমাকে খুুন করব না। তোমার খুন হওয়া দেখা তো আমি সহ্য করতে পারব না। আমি তোমাকে খুন করাব। অন্য কাউকে দিয়ে খুন করাব।
-পাগল নাকি তুমি? আমাকে খুন করাবে মানে?
-আমি পাগল, না? দাঁড়াও এখুনি তোমাকে খুন করার জন্য ছায়া ভাড়া করতেছি।
মোর্শেদ চমকে উঠে দেখতে পায় ছায়া ছুটোছুটি করছে । হঠাৎ অন্য একটা ছায়াকে দেয়ালের এক কর্ণার থেকে ধরে টেনে বেড় করলো। এর পর লেলিয়ে দিল মোর্শেদ এর পিছনে। দুই দুইটা ছায়া তার সামনে। ঐ ছায়াটা ঠাস্ ঠাস্ করে চড় বসিয়ে দিল ওর দুই গালে। লাত্থি দিল পিছনে। এরপর ডান হাত দিয়ে পিছনে দিয়ে কোথাত থেকে যেন বের করে আনলো ভোঁতা ময়লা রঙয়ের একটা চাকু। ছায়া প্রেমিকা তখন থামিয়ে দিয়ে বলল, দাঁড়াও দাঁড়াও আমি আগে চলে যাই। আমার সামনে ওকে খুন করা যাবে না। এই বলেই হাওয়া হয়ে যায় ছায়া প্রেমিকা। অন্য ছায়া ভোঁতা ময়লা রঙয়ের চাকু নিয়ে মারতে যাবে এমন সময় আবার ছায়া প্রেমিকা ফিরে এসে থামিয়ে দেয়। ভোঁতা ময়লা রঙয়ের চাকুটা তার হাত থেকে নিয়ে বলে, না থাক তোমাকে খুন করতে হবে না। তুমি যাও। ভাবলাম আমার হাত দিয়ে খুন না করলে তো মধুর প্রতিশোধ হয় না। এই বলেই ভোঁতা ময়লা রঙয়ের চাকুটা নিয়ে ধাওয়া করল মোর্শেদকে। মোর্শেদ এলোমেলো ভাবে দৌড়াতে থাকল। একসময় খাটের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেল। জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সাথে সাথে। যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখে সে মেঝেতে পড়ে আছে।
এই ঘটনার পর আবার গতকাল একই ঘটনা ঘটল। যে কারণে ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে এসেছে পরিবার।
ডাক্তারের চেম্বারে বসে আছে ওরা। মামা মাঝে মাঝে ডাক্তারের দরজার কাছে বসে থাকা এসিসট্যান্ট এর কাছে যাচ্ছে আর জানতে চাচ্ছে কত সিরিয়াল গেল। মোর্শেদ এর সিরিয়াল ১৫। ওদের সিরিয়াল আসতে আরও ঘন্টা দেড়েক লাগতে পারে। কেননা এই ডাক্তার একজন রোগীকে অনেক সময় ধরে দেখেন। এটা নিঃসন্দেহে ডাক্তারের ভালো গুণ।
ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকেই মোর্শেদ এর চোখ খুলে দেয়া হলো। ডাক্তার জানতে চাইলো কতদিন আগে এই ঘটনার শুরু? এরকম অনেকগুলো প্রশ্ন করলো কিছু প্রশ্নের জবাব মোর্শেদ নিজে দিলো আর কিছু প্রশ্নের উত্তর দিল রাহা। মোর্শেদ এর সামনে এমন ভাবে আলো দেয়া হলো যেন তার ছায়া দেখা যায়। ছায়া তৈরি করে মোর্শেদকে সামনাসামনি করালো। কিন্তু তেমন কোন কিছু অস্বাভাবিক দৃশ্যের সৃষ্টি হলো না। খুব স্বাভাবিক আচরণ করলো মোর্শেদ। অস্বাভাবিক কোন কিছুই চোখে পড়ল না ডাক্তারের। তবুও অনেকগুলো পরামর্শ দিলেন।
বাসায় ফিরে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মোর্শেদ এর ঘরে চার দেয়ালের চারদিকে টিউব লাইট লাগানো হলো। যাতে করে কোনভাবেই যেন ছায়া প্রেমিকার ছায়া তো দূরের কথা নিজের ছায়াকেও যেন দেখতে না পায়। আর যখন ঘুমিয়ে পড়বে তখন তো সব বাতি নিভানোই থাকবে। সব বাতি যেন এক সাথে নিভে যায় সেজন্য নতুন আর একটি সুইচ সংযোজন করা হলো। যাতে করে একটা একটা করে বাতি নেভাতে না হয়। একবার সুইচ টিপলেই নিভে যাবে সব আলো। আর কোন সমস্যা না হওয়ারই কথা।
অনেক রাত। সবাই গভীর ঘুম ঘুমাচ্ছে। মোর্শেদ এর ঘর ঘুটঘুটে অন্ধকার। সে জেগে নাই। অন্য মানুষগুলোর মতো সেও গভীর ঘুম ঘুমাচ্ছে। খুব স্বাভাবিক ভাবে ঘুমাচ্ছে। হঠাৎ ধপাস্ করে পড়ে যাওয়ার মত বিকট একটা শব্দ হয়। ঘুম ভেঙ্গে যায় মোর্শেদ এর। চোখ খুলে চারদিকে তাাকায় ও। চারদিকে সব একই রকম। অন্ধকার আর অন্ধকার। এই অন্ধকারে নিজের হাতটাকে সে দেখতে পায় না। কোথাও কোন কিছু ঠাওর করতে পারে না ও। শব্দের উৎস খোঁজার চেষ্টা না করে আবার চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করে। কয়েক মিনিট পরে আবারও একই রকম শব্দ হয়। এবার চট করে উঠে বসে ও। চারিদিকে তাকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে। কোন কিছুর হদিস পায় না মোর্শেদ। বসে থাকতে থাকতে আবার শব্দ হয়। মনে হয় কে যেন পায়ের কাছেই শব্দটা করল। প্রচন্ডরকম ভয় পায় মোর্শেদ। ভয়ে কুঁকড়ে যায় ও। হঠাৎ সামনের দেয়ালে দুটো গোল গোল আলো দেখতে পায় ও। অনেকটা চোখের মত। তাকাতে গিয়ে ভয় যেন র্থ র্থ করে কাপঁতে শুরু করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে চোখ দুটোর সাথে পুরো শরীরের ছায়া দৃশ্যমান হতে শুরু করে। এই অন্ধকারেও ছায়া কিভাবে ফুটে ওঠে কোনভাবেই মাথায় আসে না। কাঁপতে কাঁপতে অজ্ঞান হওয়ার মত অবস্থা মোর্শেদ এর। তবুও একবার ছায়ার দিকে তাকায় ও। দেখতে পায় ভোঁতা ময়লা রঙয়ের সেই চাকু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ওর ছায়া প্রেমিকা। ছায়া প্রেমিকা এগিয়ে আসছে মোর্শেদ এর দিকে। ভয়ে বুক শুকিয়ে গেছে মোর্শেদের। মনে হচ্ছে পিপাসায় বুক ফেটে যাচ্ছে। উঠে দৌড় দিবে কি না চিন্তা করছে। চিন্তা করতে করতে একটু একটু করে সরে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল এই বুঝি ভোঁতা চাকুটা তার বুক চিড়ে দিল। বিছানা থেকে সরতে সরতে ধপাস্ করে পড়ে গেল একসময়। দেয়ালের সাথে প্রচন্ড জোড়ে থাক্কা গেল। মাথাটায় আঘাত লাগল বেশি। ক্ষনিকের মধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলল মোর্শেদ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।