মুক্তির জন্য যুদ্ধ
আঁধারে ঢেকে কত রাত্রিকা,জীবনে এনে বিভীষিকা,হয়েছে শত যুদ্ধ,,
কত মরা ছেড়েছে মায়ার ধরা,কত জোয়ান হয়েছে শত বৃদ্ধ।
ক্ষনে ক্ষনে ভাবি বসে শূলে,ওপাড়ে দুবলার চর,দুপাড়ে কেবলি মরন ডর,,
রেখে গেছে স্মৃতি ভুলে,হাড়ে অনাহারে দিয়ে ভর,সর্বগ্রাসী সেই একাত্তর।
ছাই ছাই পুড়ে করে ছাই,ওপারে এসেছে কারা হায়েনার জাত ভাই,,
কারা এসেছে ওরা বড় বড় মানবখেকো লয়ে,কারা দিয়েছে তাদের ঠাঁই??
তাণ্ডবে তাণ্ডবে কারা হুঙ্কারে ভেঙ্গে পাড়া,অস্ত্রাঘাতে করে দিয়ে স্বপ্ন হারা,,
এসেছে কারা হর্ষে মৃত্যু স্পর্শে,স্বার্থের তরে ক্ষয়েছে জীবন,করেছে অশ্বত্বরা।
কার্তুজে কার্তুজে ঘৃণা ফুটে উঠে বুকে,ধুঁকে ধুঁকে মরি বিরহ কাতর শোকে,,
যখনি চোখে ভাসে মা বাবা ভাই বোনের লাশ,আর ধর্ষণ করা হয়েছে আমার স্ত্রীকে।
তাইতো ক্ষনে ক্ষনে ভাবি বসে শূলে,ওপাড়ে দুবলার চর,দুপাড়ে কেবলি মরন ডর,,
রেখে গেছে স্মৃতি ভুলে,হাড়ে অনাহারে দিয়ে ভর,সর্বগ্রাসী সেই একাত্তর।
যুদ্ধ যুদ্ধ সংগ্রামী যুদ্ধ,রুদ্ধশ্বাস আঘাতে খুলে দিতে রক্ত বদ্ধ,,
একটাই পন্থা,জেনে বুঝে হয়ে সবজান্তা,জীবনকে করে দিতে হয় শশ্মানে রুদ্ধ।
পুড়ে পুড়ে পোড়া হাড় লয়ে,দেখেছিলাম সেদিন স্বপনে,নেই আহাজারি তপনে,,
হেসে মোর মাতা বলেছে কিছু কথা,হার মানা যেন না হয় কভু জীবনে।
গর্জে গর্জে কাফনের সজ্জে,ছেড়ে দিয়ে মহাবাণ,ডেকে এনে অগ্নিবাণ,,
ডুঙ্কারে হুঙ্কারে কাঁপা গান ঝঙ্কারে,নগ্ন হস্তে দিয়ে যায় মর্ত্যের শান।
পাকবাহিনী সেতো কুচুরিপানার দল,যদি জ্বলে মহাকাশে ঐক্যের বল,,
তাইতো ঐক্যের সাথে করে সখ্য,বর্ষায় বর্ষায় ঢেলে দিয়াছি ওদের রক্তস্রোতের ঢল।
জয় জয়, ক্ষয়ে আজ সব ভয়,আঁধারের পর আলো তাতো যুদ্ধ দিয়েই শুধু হয়,,
ভয় সেতো কোনো সুষ্ঠু সমাধান নয়,তাই অস্ত্র হাতেই করেছি মোরা চির শত্রুর ক্ষয়।
কারন পুড়ে পুড়ে পোড়া হাড় লয়ে,দেখেছিলাম সেদিন স্বপনে,নেই আহাজারি তপনে,,
হেসে মোর মাতা বলেছে কিছু কথা,হার মানা যেন না হয় কভু জীবনে।
ক্ষত, লাল টুকটুকে রক্তজবার মত,পোড়া দেহে ক্ষত আজো আছে শতশত,,
যুদ্ধ সেতো দিয়ে গেছে কেবলি লালনীল ক্ষত,নিয়ে গেছে আনন্দ,জীবনে ছিল সুখ যত।
তবুও আজি আমি গর্বিত,বিসর্জিত স্বার্থ,ক্ষতে আঘাতে পুড়ে হয়নি আজো বৃদ্ধ,,
তাইতো মাতার লাশ ফেলে দিয়ে দূরে,দেশের তরে লড়ে প্রানপ্রনে,করেছি একটা মুক্তির জন্য যুদ্ধ।