কালবৈশাখী তুই কতই না পাষন্ড সবকিছু করে গেলি লন্ডভন্ড ক্ষেতের ফসল , ঘরবাড়ি আর গাছগাছালি ভেঙ্গে দিলি ঘর ছিল যত জোড়াতালি পশু-পাখির লাশ উঠোনের কোনায় শূন্য গোয়াল দেখে চাষী দুঃখে বুক চাপড়ায় ক্রন্দন আর করুণ বিলাপ আকাশে বাতাসে কালবৈশাখী তুই বড় নিষ্ঠুর আর সর্বনেশে । ও পাড়ার তপুর মা ভিক্ষা করে কাটত যার দিন, তোর আঘাতে গায়ের উপর পড়ল চালের টিন । গভীর রাতে ঘুমের মাঝে শুনে তার চিৎকার, গ্রামের সবাই দেখল ছুটিয়া বুড়ি যে নেই আর । কেউ ছিলনা একূলে বুড়ির একটা ছেলে ছাড়া, সেই ছেলেটারে কতে গেলি তুই এতিম বাঁধনহারা । কিইবা এমন বয়স ওর হবে বছর দশ, জীবনটা কি বুঝে উঠবার হয়নি এখনো বয়স । এই বয়সেই পড়ল কাধে দুনিয়াদারির ভার মায়ের কবরের পাশে কেঁদে চোখের জলে একাকার । সারাটা দিন কাঁদল ছেলেটি অজ্ঞান হল বারবার দুঃখের আগুনে বুঝি বুকটা পুড়ে ছারখার । কালবৈশাখী তুই কি শুধু কাঁদাতেই জানিস ? অবুঝ শিশুর বুকে কেন এভাবে আঘাত হানিস ? কালবৈশাখী চেয়ে দেখ ছেলেটার চোখে এখনো জল । পশ্চিমাকাশে সূর্যটা বুঝি গেল অস্তাচল ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
০৬ নভেম্বর - ২০১৫
গল্প/কবিতা:
৭ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।