তিন বছর বয়সী ছেলেটি বিভিন্ন অলি-গলিতে আমাদের লাল সবুজের পতাকা পত্ পত্ করে উড়তে দেখলেই খুশিতে ভরে উঠতে মন। মাঝে মাঝে আনন্দ বলে উঠে- 'আমি স্বাধীন' এই আমি বাংলার জমিনে- বাইশ বসন্তের ছেলেটি ছোট ছেলেটিকে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত স্বাধীনতা দেখাতে চাই। আটশটি হাজার গ্রামের মাটির প্রতিটি কণা শোষিত রক্ত দেখাতে চাই। আমি দেখিনি 'স্বাধীনতার জন্য' যাঁরা নিজের জীবন 'ত্যাগ' করে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। কিংবা আমাকে কেউ দেখায়নি 'স্বাধীনতা' অতঃপর আমি শুধু দেখেছি স্বাধীনতা আজ যুদ্ধোত্তর পরাধীনতার শিকলে বাঁধা। দিনের পর দিন চারিদিকে নগরে বন্দরে রাস্তা-ঘাটে জিম্মি থেকেছি। নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি কী স্বাধীন দেশের নাগরিক? এই বাক্যটি আমাকে বার বার আলোড়িত করে। তাহলে আমি স্বাধীন! আমি দেখেছি স্বাধীনতার জন্য বীর বাঙালির চোখের দু'ফোঁটা অশ্রু। আমি দেখেছি স্বাধীনতার যুদ্ধে সন্তান হারা একজন অবহেলিত মা পথে পথে ভিক্ষে করে ঘুরে ভেড়াতে। আমি দেখেছি একজন অসহায় নারী সন্ত্রাসিদের হাতে ধর্ষিতা হতে। আমি প্রতিদিন পত্রিকার খবরের কাগজ পড়ে দেখি- খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, ঘুষ, দুর্নীতি, অস্ত্রবাজি, বোমা হামলা, চাঁদাবাজি, চোরাকারবারি, অনিয়ম আইন শৃঙ্খল। আমি দেখেছি ক্ষুধার্ত গরীব-দুঃখী মানুষের অনাহারের কাতরতা। ক্ষুধা আর দারিদ্রতাই আমাদের নিত্য সঙ্গী। বড়ো দুর্বিষহ অসঙ্গতি আমাদের জাতি। আর কতকাল আমরা এভাবে জিম্মি হয়ে থাকবো! আর কতকাল আমরা অভিশপ্ত জীবন নিয়ে বাঁচবো! আর কতকাল পর শান্তি হবে দেশ? আর কতকাল পর আমাদের স্বাধীনতার বিবর্ণ পতাকা হয়ে ওঠবে আরো উজ্জ্বল!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম
সহযাত্রী কবি । আমার নেৌকয় আপনাকে সহযাত্রী হিসেবে পেয়ে ভাল লাগল । হায়দার হোসেন গেয়ে উঠেছেন, ৩০ বছর পরেও নাকি তারে খুঁজছেন । এমন অনেকেই খুঁজতে খুঁজতে অন্ধ হয়ে পচে গলে মাটির সাথে মিশে গিয়েছে ।
ধন্যবাদ ,
আপনার মূল্যবান রায়,
এবং জীবনযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ কথা শুনে অবাক হয়েছি।
আপনার নৌকার সহযাত্রী হিসেবে আমাকে সবসময় পাশে রাখবেন। সহযাত্রী হিসেবে সবসময় থাকতে চাই।
আমাদের জীবন চলার পথের উপলব্ধি চিরজীবন বেঁচে থাকবে ইনশাললা আল্লাহ।
আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা রই।
আমার কবিতা আপনার হৃদয় মুগ্ধ করেছে জেনে খুব ভালো লেগেছে জসিম ভাই।
দেশপ্রেম এবং সমাজ সচেতনতার প্রতি আপনার প্রগাঢ়।
যা আপনার সমালোচনা এবং আপনার কবিতা পড়েই অনুভব করা যায়।
মূলত আপনার মতো দেশপ্রাণ আমাদের সমাজে বড়ো প্রয়োজন।
সৃষ্টিকর্তা যেন আপনাকে চিরজীবন সুন্দর পথেই রাখেন।
পরিশেষে আপনার প্রতি রইল অনেক কৃতজ্ঞতা।
ধন্যবাদ হুমায়ুন কবির ভাই,
আমার সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন।
আপনার মতো একজন সাহিত্যিক সুন্দর মনের কবি আমার পাতায় সব সময় আপনাকে কাছে পেয়ে আনন্দিত।
এটাই আমার কাছে বড়ো প্রাপ্য মনে হয়।
আমাকে মূল্যায়ন করার জন্য, উৎসাহিত করার জন্য,
আপনাদের ভালোবাসায় আমাকে অনুপ্রেরণার শক্তি যোগায়।
সাহিত্যের প্রতি আপনার অনুরাগ অনেক।
দেশপ্রেম ও সমাজ সচেতনতা আপনার অনুভূতি এবং ভালোবাসা প্রগাঢ়।
আপনার সমালোচনা এবং আপনার গল্প কবিতা পড়েই বুঝতে পারি।
সব সময় আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।
আপনার জন্য দোয়া করি।
রুহুল আমীন রাজু
.........আর কতকাল আমরা এভাবে জিম্মি হয়ে থাকবো!
আর কতকাল আমরা অভিশপ্ত জীবন নিয়ে বাঁচবো!
আর কতকাল পর শান্তি হবে দেশ?
আর কতকাল পর আমাদের স্বাধীনতার
বিবর্ণ পতাকা হয়ে ওঠবে আরো উজ্জ্বল! না, আর বেশি দেরী নেই ..... আপনার, আমার , সবার এই চাওয়া অচিরেই পূর্ণ হবে,হবেই. খুব সুন্দর লাগলো কবিতাটি.
এশরার লতিফ
ভালো লাগলো কবিতাটি. বাংলাদেশে এখন গৃহকর্মীদের হাতেও মোবাইল ফোন. দুর্ভিক্ষে মৃত্যুর সংবাদ এখন পাওয়াই যায় না . অন্যদিকে পাকিস্তান কোনদিকে যাচ্ছে দেখুন. স্বাধীনতা না এলে আমরা একটা অতি ভয়ঙ্কর অবস্থায় জীবন যাপন করতাম.
আপনার মত একজন তরুণ সাহিত্যিক
আমার লেখা পড়ে প্রসংশা করার জন্য আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার দেশপ্রেম, ও উদার মনের সমাজ চেতনার উন্মেষ আমার চাইতেও বেশি রয়েছে।
দেশের জন্য আপনার ভালবাসার অনুভূতি অনেক।
সেটা আপনার গল্প কবিতা পড়ে কিংবা সমালোচনা দেখেই বুঝতে পারি।
আজকাল আমাদের সমাজে আপনাদের মত সাহিত্যিক ও সুন্দর মনের মানুষদের খুব অভাব।
একটি ভালো মানুষ খুঁজতে গেলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হয়।
কিন্তু আপনার মতো কিছু সাহিত্য প্রেমিকদের সাথে আড্ডায় আমার মধুময় সময় কেটে যায়।
ভালো থাকবেন এশরার লতিফ ভাই।
আপনার ভবিষ্যত্ জীবন চির সুন্দর হোক।
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্
আমাদের স্বাধীনতার বিবর্ণ পতাকা সেই দিনই বর্ণিল হবে, যেদিন আমরা বুঝতে পারব, স্বাধীনতার মূল্য কি ! আমরা তো স্বাধীনতার সংজ্ঞাই এখনও জানতে পারলাম না ! ভাল লিখেছেন । পড়ে মুগ্ধ হলাম । প্রাপ্যটা রেখে গেলাম ।
স্যার,
আমার সালাম জানবেন,
আপনার মূল্যবান কথা গুলো শুনে খুব ভাল লেগেছে।
"স্বাধীনতার সংজ্ঞা"
আপনার কবিতাটিও অসাধারণ লেখা হয়েছে।
নিজেকে খুব গর্ব অনুভব করি এই জন্য যে-
আপনার মত একজন সাহিত্যিক বড় মনের মানুষ আমার পাতায় আগমন দেখে। আমার কাছে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্য মনে হয়।
আপনার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা রইল।
আপনার সাহিত্যকর্ম উজ্জীবিত হোক।
গোবিন্দ বীন
আর কতকাল আমরা এভাবে জিম্মি হয়ে থাকবো!
আর কতকাল আমরা অভিশপ্ত জীবন নিয়ে বাঁচবো!
আর কতকাল পর শান্তি হবে দেশ?
আর কতকাল পর আমাদের স্বাধীনতার
বিবর্ণ পতাকা হয়ে ওঠবে আরো উজ্জ্বল!ভাল লাগল,আমার কবিতা ও গল্প পড়ার আমন্ত্রন রইল।ভোট রেখে গেলাম।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।