ছেলেবেলায় যখন আমি বুঝতে শিখেছি, সবেমাত্র আমার বিদ্যাপাঠ শুরু, বাবা তুমিই ছিলে আমার প্রথম শিক্ষা গুরু। মনে পড়ে-- হার ভাঙা পরিশ্রম ক্লান্ত দেহ নিয়ে যখন বাড়ি ফিরতে আমাদের মুখ দেখে মুছে যেত তোমার ক্লান্তি, এই ধরনীর বুকে তুমিই শান্তির আশ্রয়দাতা, তুমিই শ্রেষ্ঠ জন্মদাতা। কী করে ভুলবো তোমার মায়া, কী করে ভুলিব তোমার মুখের ছায়া; মনে পড়ে-- দু'হাত বাড়িয়ে কোলে নিয়ে ঘুরে ভেড়াতে সারাক্ষণ। কখনো বা কাঁধে করে ঘুরে ভেড়াতে কিছুক্ষণ। চুমুই চুমুই স্নেহ আদরে ভরে দিতে মন। মনে পড়ে-- আমাদের সাধ্যমতে যখন যা চেয়েছি তুমি তা পূর্ণ করে দিতে আমাদের চাওয়া। আমাদের চাহিদা মিটিয়ে তব শুরু হতো তোমার খাওয়া। কষ্টার্জিত অল্প আয়ের মাঝে কেটেছে তোমার সারাটি জীবন। আমাদের মানুষ করতে হবে এই ছিল তোমার পণ। বাবা তুমিই আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু, পৃথিবীতে তুমিই সবচেয়ে বেশি আপন। জীবনের কত কঠিন দিন, নানান ঘাত- প্রতিঘাতের বাঁধা অতিক্রম করে আমাদের আগলে রেখেছ বুকের ধন। তবু বুঝতে দাওনি তোমার বিষণ্ন মন। মন রক্ষায় আবদারের বুলিতে- যে তুমি ছিলে সর্বক্ষণ। আমরা বুঝিনি তখন অবুঝ মনের ভালোবাসা ছিল কত সুনিপুণ। আমরা কি কোনো দিন শোধ করিতে পারবো তোমার ঋণ? যৌবন হারিয়ে এখন তুমি অক্ষম। কত আশা, কত স্বপ্ন বুকে নিয়ে আমাদের করেছ লালন। কত ভালোবাসা দিয়ে আমাদের করেছ পালন। বাবা ভয় নেই তোমার- রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও করবো তোমার স্বপ্ন পূরণ। কখনো হতে দেবো না তোমায় বৃদ্ধাশ্ৰম। এটুকু দায়িত্ব যদি নিতে নাহি পারি- পৃথিবীর বুকে আমি অভিশপ্ত জীবন। কিন্তু হায়! স্বপ্ন গুলো সাজানোর আগেই তুমি পরপারে চলে গেলে। আজ তোমায় মনে পড়ে খু-উ-ব...!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।