নুরজাহান

প্রায়শ্চিত্ত (জুন ২০১৬)

ইমরানুল হক বেলাল
  • 0
  • ২৯
বাইরে অপূর্ব সুন্দর রাত। জোৎস্না ৱাতেৱ যৌবনবতী চাঁদটি তাৱ আলো চারদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে। অপূর্ব চাঁদের আলোৱ ছোঁয়ায়
ঘুম ভেঙে যায় নয়নের। বিছানা ছেড়ে বাইরে এসে ৱূপবতী চাঁদের দিকে তাকায়। হঠাৎ নুরজাহানেৱ কথা মনে পড়ল তাৱ। চাঁদের মতোই সুন্দরী ছিল নুরজাহান। ৱূপে, বর্ণে, গন্ধে সে এক অতুলনীয় ছবি। টোল পড়া গাল,লম্বা লম্বা চোখের পলক। মুক্তোৱ মতো তন্বী শৱীৱ। আঁটোসাটোঁ পোশাকে ঝক ঝক কৱত।
পৱি পৱি ভাব। সুন্দর নিতম্ব ছন্দের সঙ্গে মিশেছে বালিকাসুলভ ভঙ্গি। নয়নের পৃথিবীতে নুরজাহানেৱ আলোয় ঝলমল কৱত। ও আমাৱ সুখ-দুঃখের সাথী। ও আমাৱ সৃষ্টি, আমাৱ স্বপ্নের ৱাণী, ও আমার উদ্ভাবন। আমার হৃদয়ের কল্পনা সুন্দরী, মানসপ্রতিমা।
চাঁদের দিকে তাকিয়ে খানিকক্ষণ পর ঘরে এসে ঢুকে। দরজা বন্ধ করে এসে আবার বিছানায় শুয়ে পড়ল নয়ন।
বা হাতটাকে তুলে ঘড়িটি যৌবনবতী চাঁদের আলোয় সময় দেখে নিল। রাত প্রায় তিনটা বেজে ছাব্বিশ মিনিট।
আবার ঘুমাতে চেষ্টা করল। কিন্তু কিছুতেই দু'চোখের পাতায় আৱ ঘুম আসতে চায় না। সূর্য যেমন দিনেৱ চিৱকালেৱ বন্ধু, ঠিক তেমনি দুটি আত্মা ছিল বিরাজমান। নুরজাহান ছাড়া নয়নের পৃথিবী ছিল অন্ধকার। নুরজাহান ও নয়নকে গভীর ভালোবেসেছিল। তাকে ছাড়া কোনো কিছুই ভাবতে পারত না।
একদিন সে নিজেই বলেছিল,শোন নয়ন, আমি তোমাকে স্পষ্ট বলে দিচ্ছি তোমাৱ প্রতি আমাৱ প্রেম হচ্ছে সম্পূর্ণ ত্রুটির, ছিদ্রহীন। তোমাৱ মধ্যেই ডুবে আছে আমাৱ অন্তরের সব আশা,ভৱসা। কত গভীরে আছে তা জানতে চেয়ো না। তুমি আমাৱ,শুধুই আমার,আর আমি শুধু তোমারই হয়ে থাকব চিরকাল।
প্রতি উওরে তখন নয়ন ও বলেছিল, নিশ্চয়ই, তুমি পাশে থাকলেই সব হবে। ভালোবাসা থাকলে সবি হয়।
আমি নারীর কাছে চিরজীবন যা চেয়ে এসেছি তা তোমার মধ্যে সব কিছুই আছে প্রেম, ভালোবাসা, রোমাঞ্চ, সাহস বিবেক বুদ্ধি, আরো কত কিছু...।
সেই স্বর্গীয় ভালোবাসা,উজাড় করে বিলিয়ে আমাকে সবি তুমি দিয়েছ। তোমার ভালোবাসার প্রতিদানের মূল্য আমিও দিতে চা।
এটাই তার প্রতি ছিল নুরজাহানেৱ ভালোবাসার প্রমাণ।
সচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারের ভদ্র সন্তান নয়ন।
ছেলেবেলা থেকেই মেয়েদের সাথে মিশতে এবং কথা বলতে ভীষণ লজ্জা পেত নয়ন। তাই মেয়েদের সব সময়ই এড়িয়ে চলতে সে। কিন্তু চট্টগ্রাম আসার পর থেকে নুরজাহানেৱ সাথে যে এভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়ে উঠবে তা কখনই ভাবতে পারেনি। একটা সরল মডার্ন পরিবারের সুন্দরী মেয়ে নুরজাহান।ভূমণ্ডলের দেখা স্বপ্নের পরী শ্রেষ্ঠতমা বললেও ভুল হবে না। যে কারো নজর কাড়তে বাধ্য। পিতার আর্থিক সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও বি এ অর্নাস শেষ করে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচারের চাকরি নিয়েছিল সে। তাদের প্রথম পরিচয়টা হয়েছিল রহস্যজনক ভাবেই। যেমন ছিল নয়ন, তেমন ছিল নুরজাহান। নুরজাহানদের স্থানীয় বাড়ি ঢাকা কামরাঙীরচর। চট্টগ্রাম নাসিরাবাদে নুরজাহানেৱ বড় ভাই আনোয়ার, এ নামের একটা
ওয়ার্কসপের মালিক ছিলেন তিনি।
নুরজাহানদের পরিবারসহ বেশ কিছুদিন এখানেই ছিলেন তারা।
নুরজাহানেৱ তালত ভাই জাফর সে ছিল ভীষণ দুষ্টু প্রকৃতির। নয়ন নাসিরাবাদের এই এলাকার একটি ফার্নিচার হাউসে যখন চাকরিতে জয়েন করে। বেশ কিছুদিন পরেই জাফরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তাই দু’জনের মধ্যে বেশ ঠাট্টা-মশকারা ও চলতো হরদম। একদিন দু'জনে এক সঙ্গে বসে গল্পগুজব করছিল।
পরস্পরের মুঠোফোন হাতে নিয়ে ভিডিও দেখছিল। এক প্রসঙ্গে
জাফর বলল, দোস্ত, আমার কাছে একটা মেয়ের ফোন নাম্বার আছে তুই নিবি?
-'কার নাম্বার? নয়ন জানতে চাইল।
-'আমার তালত বোন ঢাকার...।'
তার পর নুরজাহানেৱ মোবাইল নাম্বারটা টুকে রাখল নয়ন।
জাফর বলল, তবে আমি যে নাম্বার দিয়েছি পরিচয় দিবি না।
বলবি ভুলে চলে গেছে। তার পর বাকি কাজ তোকেই করতে হবে। যদি পারিস তো ওর সঙ্গে সম্পর্কের হাত রাখতে পারিস।
সে বিষয়ে আমার আপত্তি নেই।'
-'বেশ তাই হবে দোস্ত।'
নয়ন যখন প্রথম কল করল, প্রথমেই মিষ্টি কথার ফুলঝুড়িতে জমে উঠে বন্ধুত্ব। সে যে মেঘ না চাইতেই জল!
প্রথমে শুরু হয় বন্ধুত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তার পর প্রেম। তারপর দু'জনে সরাসরি দেখা।
এভাবেই ধীরে ধীরে ভালোবাসার বন্ধন গভীর থেকে আরো গভীরতম হয়। এক সময় দু'জনার এমন অবস্থা হয়েছিল যে, একদিন একে অপরের সাথে কথা না হলে, এস এম এস না পেলে কারো ঘুম হতো না।
দু'জনার ভালোবাসা ছিল ওয়াদাবদ্ধ।পরস্পরকে কথা দিয়েছিল এ বন্ধন চিরকালের জন্য। আমাদের ভালোবাসা সারা জীবন ধরে থাকবে। কখনো কোন ভুলে বা কোন অবহেলায় এ বন্ধন ছিঁড়ে যাবে না। কিন্তু নুরজাহান সেই ভালোবাসার ওয়াদাবদ্ধ ভেঙে ফেলল।
কিন্তু অবশ্যই দোষটা নুরজাহানেৱ ছিল না।
মা-বাবার কারণে সে তার ওয়াদা রাখতে পারল না।
নয়নের সাথে নুরজাহানের সম্পর্কের কথা ওর বাবা-মায়ের কানে চলে যায়। প্রথম প্রথম তারা নুরজাহান ও নয়নের সম্পর্কে গুরুত্ব দিয়েছিল।তাদের ধারণা ছিল, নয়ন যদি যোগ্যতার উপযুক্ত হয়,
অর্থ সম্পদ যদি ভালো থাকে তাহলেই নুরজাহান ও নয়নের বিয়ের কথাবার্তা ফাঁকা হবে। কিন্তু হঠাৎ একদিন তাদের সাজানো স্বপ্ন হামিদের আগমনে সব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল।
হামিদ বড়লোকের ছেলে। বিদেশে একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কৰ্মরত। অনেক টাকা বেতন পায়। বিদেশ থেকে আসার পর নুরজাহানকে এক নজর দেখেই পছন্দ হয়ে যায়।
তার পর থেকেই নুরজাহানদের এবং তার পরিবারের খোঁজ খবর নিতে থাকে। এক সময় বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে নুরজাহানেৱ
মা-বাবার মতামত বদলে যায়।
এমন একটা পয়সাওয়ালা পাত্ৰকে হাত ছাড়া করতে চান না তারা। নয়ন দরিদ্র ঘরের সন্তান। ও যে বেতনে চাকরি করে এ বেতন দিয়ে কী স্বামী-স্ত্রীর সংসার চলবে?
কোথায় দরিদ্র নয়ন আর কোথায় হামিদ।
দু’জনের মধ্যে আকাশ-মাটির ফাঁরাক। হামিদের সাথে বিয়ে দিলে মেয়েটা অনেক সুখী হবে। নুরজাহান এ বিয়েতে কিছুতেই রাজি ছিল না। অনেক কান্নাকাটির পর ও নুরজাহানেৱ ইচ্ছার বিরুদ্ধে
এক প্রকার জোর করেই তার মা-বাবা হামিদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন। হামিদের সাথে নুরজাহানের বিয়ের কথা শুনে নয়নের মাথায় যেন বিনা মেঘে বজ্ৰপাত হয়। নুরজাহানের চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখে নয়ন অসহায়ভাবে তাকিয়ে দেখছিল।
প্রতিবাদ করার কোনো শক্তি ছিল না তার। ঝর ঝর করে তার
দু'চোখের অশ্রু গাল বেয়ে নীল রঙের শার্টটা ভিজিয়ে দিচ্ছে।
নয়ন মনে মনে বিড়বিড় করে বলে,গরীব বলেই কি ভালোবাসার কোন মূল্য নেই আমার?
তবে কি ভালোবাসা শুধুই মরীচিকা!
ঈশ্বরের পৃথিবীতে ভালোবাসা যদি স্বর্গীয় দান,শ্রেষ্ঠ অবদান হয়।
ভালবাসা যদি সত্য হয়ে থাকে, তবে ভালোবাসা কে-ন-ই-বা আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায়? সেই ভালোবাসার মনুষ্যত্ব হৃদয় দিয়ে বিধাতা কেন আমাদের পৃথিবীতে পাঠায়!
কে-ন-ই-বা প্রয়োজন হয় এই অনর্থক অর্থহীন ভালোবাসার!
নুরজাহান এ বিয়েতে রাজি না হলে ও অবশেষে সামাজিকতার কারণে হামিদের সংসারকে নিজের সংসার হিসেবে মেনে নিতে হলো। প্রথম প্রথম বেশ সুখ শান্তিতেই তাদের দিনগুলো কাটছিল। কিন্তু সেই সুখ চিরস্থায়ী হয়নি। অল্প কিছুদিন পরই হামিদের আচরণ ও কথাবার্তা চাল-চলন বদলে যেতে লাগল।
যৌতুকের জন্য নুরজাহানেৱ ওপর সাময়িকভাবে নির্যাতন চালাতে শুরু করে। বিদেশে বড় পদের চাকরি, মোটা অংকের বেতন পেয়ে ও মন ভরল না তার। শুধু কি এই?
Light-o-love মেয়েদের সাথে Red-light district রাত কাটিয়ে বাড়ি ফেরা তার যেন রুটিন হয়ে গেছে। মেয়ের সংসারের এমন হাল অবস্থা শুনে নুরজাহানের মা-বাবা ভীষণ দূর চিন্তায় পড়ে গেলেন। ভাবলেন, তারা কি ইচ্ছে করেই জেনেশুনে মেয়েকে আগুনে ফেলে দিল?
যৌতুকের জন্য হামিদ কুকুরের মতো লালায়িত হয়ে উঠল। তখন নুরজাহানের মা-বাবা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে এক লাখ টাকা হামিদের হাতে তুলে দিলেন।
কুকুরের লেজ যখন বাঁকা থাকে নয় মণ ঘি দিয়ে মাজলেও সোজা হয় না। তাই তো যৌতুকের টাকা পেয়েও হামিদ স্বভাব পাল্টায়নি। আবার ও যৌতুকের জন্য অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে নুরজাহানের ওপর।
বাবা-মায়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আরো টাকা আনার অস্বীকৃতি জানায় নুরজাহান।
নুরজাহানের অস্বীকৃতি শুনে হিংস্র বাঘের মত গর্জন করে উঠল হামিদ। তার মাথায় খুন চেপে বসে। একপর্যায়ে তাকে নির্মমভাবে
মারধর করে। দু’হাত দিয়ে নুরজাহানের গলা টিপে ধরল। নুরজাহান তার সর্বশক্তি দিয়ে ও হামিদের দু’হাত সরাতে
পারল না। এক সময় নুরজাহানের নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বেয়ে বুক ভেসে যায়। তার হাত, পা এবং পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে আসে। নুরজাহানেৱ প্রাণহীন দেহটা নিথর হয়ে মাটিতে পড়ে রইল। তার সামনে নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল নিষ্ঠুর হামিদ।
নয়ন এখন আর আগের মত দরিদ্র নেই। অনেক টাকা বেতন পায়।আর কিছুদিন বাদেই তার বিদেশ যাওয়ার জন্যে ভিসা আসবে। কত মেয়ের মা-বাবা চাইছে তাদের মেয়েকে হৃদয়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। বিয়ের কথা মনে পড়লেই তার মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। নুরজাহানের মায়াবি সুন্দর মুখখানি বারবার তার দু'চোখের সামনে ছায়ার মতন ভেসে ওঠে।
আর অন্য কোন মেয়েকে তার জীবন সাথী করে নেবে বলে ভাবতেই পারে না। মুক্তোর মত দু'চোখের অশ্রু গাল বেয়ে বিন্দু বিন্দু মাটিতে গড়িয়ে পড়ে। হয়তো দুঃখ আর নিঃসঙ্গতাই হবে তার বাকি জীবনের নিত্যসঙ্গী।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ইমরানুল হক বেলাল priyo rahul amin Raju bhai, aponar mulluban montobbo dear jonno kittogota roilo
ইমরানুল হক বেলাল donnobad priyo kobi ketoki mondal, aponader moto sahitto premikder onupreronai amader sahitto prem jagiye tule. onek kittogota roilo kobi. sobo ratry.
ইমরানুল হক বেলাল donnobad aha robon bhai, aponader moto kichu mohot manusher valobasha r onuperonar jonnoi amader sahitto prem jagiye tule, aponar proti roilo Salam o subeccha
আহা রুবন খানিকটা অবাক হয়েছি আপনার পরিমিতি-বোধ দেখে। একদম ছোট গল্প লেখকের প্রধান বৈশিষ্ট্য। যেটা আমারা প্রায়ই হারিয়ে ফেলি, বর্ণনার বস্তা খুলে বসি। আশা করি বহুদূর যাবেন। ভাল লেখকদের গল্প বেশি পড়ুন, চিন্তায় পরিপক্বতা আসবে। মাঝে মাঝে অসমীয়া বর্ণ অন্তস্থ ব(ৱ)-কে র হিসেবে ব্যবহার করেছেন, মজাটা ভালই লাগল। শুভ কামনা রইল।
কেতকী Light-o-love, Red-light district নতুন দুটো শব্দ জানলাম আপনার গল্পের কল্যাণে। এজন্যে বিশেষ ধন্যবাদ। মেয়েগুলো যেনো আর যৌতুকের বলি না হয়। গল্পে ভোট রইল।

২৫ অক্টোবর - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ২৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪