ইস্কুলের ঘন্টা নেই, নেই বেঞ্চি,টেবিল, একখানা পাকা ঘরও,
খোলা আসমানের নিচেই তাই জমেছে বিদ্যার্থী যত,
কে মাস্টার আর কে-ইবা ছাত্র এ বোঝা বড় দায়,
চক হাতে বোর্ডের সামনে দাঁড়ালেই কেবল বোঝা যায়!
ফ্যান নেই , তপ্ত নিদাঘ দুপুরগুলোতে বড্ড গরম,
- তাই বুড়ো বটগাছটার তলায় বসে ওদের নিত্য আসর,
সবুজ পাতারা দোলে ,দেয় সুশীতল পরশ ,
শুভকাজে এ বুঝি প্রকৃতির অকৃত্রিম আশিস আর আদর।
বিজলী বাতি নেই , তাতে কি?
আছে প্রখর রশ্মির উৎস স্রষ্টার দান দিবাকর।
তবু কি বিপত্তির শেষ আছে? হঠাৎ হঠাৎ দুমড়ে দুমড়ে ঝড় বৃষ্টি আসে-
পানি কাদায় মাখামাখি,দৌড় দেয় পড়ুয়ারা ইটের দালানে,
আহা! ধূলির পৃথিবীতে কতটা কষ্ট বিদ্যার্জনে!
তবু কিসে ওদের অমন টেনে টেনে আনে?
মন দিয়ে দুলে দুলে সবাই পড়ে , এই ইস্কুলে ফাঁকি কারো নেই,
আর কিছু নয়, তবুও তো কামাই দিয়ে দিয়ে-
পার হয়ে গেল সারা জীবনটাই ।
এখন আলসেপনা নয় ,পুষিয়ে নিতে হবে যত লেনাদেনা,
তাই চলে অধ্যয়ন , সময় যে বয়ে গেল-
অবশিষ্ট আর যা আছে- একটুও নষ্ট হবেনা।
সফদর আলী অক্ষর জানতো না, চিনতো কেবল মাটি,
অন্ধ টিপসইয়ের ভুলে সেও গেল,এ দুঃখ ওর কখনো যাবেকি?
আমেনা বেগমের মেয়ে পড়ে বড় শহরে,
লেখাপড়া শেখে, যেন নিজেই মেয়ের চিঠি পড়ে নিতে পারে।
রাহেলার নাতিন ফি বছরে দেশে আসে একবার দুবার,
ওর কেবলি আবদার নয়া নয়া রূপকথা পড়ে শোনাবার।
তারপরও বকলম হয়ে থাকা - এযে বড় লজ্জার !
আমজাদের কেউ নেই ,তিনকাল শেষে এককালে ঠেকা,
সব ছেড়েছে সে, শুধু পড়ার নেশা ছাড়া।
কালামের স্বপ্ন- ও অনেক বড় হবে,
নার্সারী করেছে,একটু শিখেপড়ে না নিলে লোকে যে ঠকাবে!
সবচেয়ে আশ্চর্য ইস্কুলেতে মাস্টারমশাই,
বিশ ছুঁই ছুঁই হলো সবে,খালেদার নাতিই যে ওর বড় ভাই!
শিক্ষক তবু সে আছে বড় কড়া-
বেত না দিয়েও ঠিকঠাক বুঝে নেয় পড়া।
হাশেম আলী নাঁড়িয়ে লম্বা সফেদ দাঁড়ি,
বলে কাতর সুরে, বয়স হয়েছে যে, কিছু থাকে না তো মনে,
ছোকরা মাস্টার ভোলে না কিছুতেই , বেলা গেলে চলে,
মাটির সাড়ে তিনহাতি ঘরে সবই বুঝি ফুরোবে,
তবুও জানার তো শেষ নেই যতদিন প্রাণ আছে দেহে।            
                        
            
            
            
                        
            
            
                        
            
         
        
               
   
    
                    
        
        
            
            
                 ১৪ সেপ্টেম্বর  - ২০১৫ 
                                        
                            গল্প/কবিতা:
                            ১১ টি
                        
                    
            
            
         
     
    
        
বিজ্ঞপ্তি
        এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
    
    
        প্রতি মাসেই পুরস্কার
        
            বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
        
        
            লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
            
                - 
                    
                    
                        প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
                        প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
                    
                 
                - 
                    
                    
                        দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
                        প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
                    
                 
                - 
                    
                    
                        তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
                    
                 
            
         
     
    
    
        আগামী সংখ্যার বিষয়
        
        
            
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ  ২৫ নভেম্বর,২০২৫