আমার গাঁ

গ্রাম-বাংলা (নভেম্বর ২০১১)

সূর্য
  • ৯৯
  • 0
  • ৪০
দূরে ঐ মেঠো পথ মাড়িয়ে
সর্ষে ক্ষেতের আল পেরিয়ে
আমার ছোট্ট সোনার গাঁও,
ঝিঁঝিঁ পোকার তীক্ষ্ন সুরে
বাঁশ বাগানে জোৎস্না ঝরে
তোমরা সবাই দেখে যাও।

খেজুর রসের হাড়ি হাতে
ছোট্ট নাতী দাদার সাথে
ভোরে গঞ্জের পানে যায়,
রাখাল ছেলে পাজন নিয়ে
গরুর গলায় লাগাম দিয়ে
সবুজ ক্ষেতের দিকে ধায়।

কিষানী সব জটলা করে
কলসিগুলো কাঙ্খে ধরে
মজা পুকুর ঘাটে ছোটে,
নেংটো ছেলে কতকগুলো
গায়ে মাখিয়ে মাটি ধুলো
সবাই খেলছে খেটে খুটে।

নদীর উপর পাল তোলা নাও
তার ওপারে দূরের ঐ গাঁও
চির শ্যামল-সবুজে ছাওয়া,
গাছ-গাছালীর ছায়ায় বসে
বেলা পড়ে যায় গল্প কষে
সাথে পান বিড়িটা খাওয়া।

ক্ষেত ভরেছে সোনা রংঙে
কৃষক কিছু অলস ঢঙে
পাগল করা তোলে বাঁশির সুর,
মাটির সোদা গন্ধে মাতাল
সোনার ধানে ভরবে চাতাল
সুখি কোকিল ডাকে বহুদূর।

ছয় বেহারার পাল্কী চড়ে
মরা গাঙের পথটি ধরে
বিয়ের সাজে নববধু যায়,
এসব তোমরা দেখতে পাবে
যখন আমার গাঁয়ে যাবে
চড়ে ময়ূর পঙ্খী না'য়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রোদেলা শিশির (লাইজু মনি ) সুন্দর হয়েছে ভাইয়া ! আমরা সবাই মিলে ময়ুরপংখী নায়ে চড়ে আপনার মরা গাং দেখতে যাব !
বিষণ্ন সুমন সহজ সরল কথামালা । ভেতরের বক্তব্য টুকুও সহজভাবেই এসেছে । তবে লিখার বর্ণনায় পরিপক্কতার অভাব কিছুটা চোখে বাধলো বৈ কি ।
তানভীর আহমেদ চমৎকার কবিতা সূর্য ভাই। খুব সুন্দর চিত্রকল্প। রূপমাধুর্য অঢেল। তবে মাত্রায় একটু খেয়ালী হলে অসাধারণ হতো নিঃসন্দেহে।.....আহমাদ মুকুল ভাইয়ার মন্তব্যে প্রাণখোলা হাসি ছাড়া আর কি করার আছে! হা হা হা!
অদিতি গ্রামের সুন্দর দৃশ্যপট। ভালো লাগলো
সূর্য দিনে দিনে শুধু ঋণের খাতাটা বেড়েই চলেছে। সব পাঠকের কাছে কৃতজ্ঞ হওয়া ছাড়া এ ঋণ শোধবার কোন সূত্র জানা নেই আমার............ সবাই খুব খুব বেশি ভাল থাকবেন।
শিশির সিক্ত পল্লব ছয় বেহারার পাল্কী চড়ে মরা গাঙের পথটি ধরে বিয়ের সাজে নববধু যায়, এসব তোমরা দেখতে পাবে যখন আমার গাঁয়ে যাবে চড়ে ময়ূর পঙ্খী না'য়.......যাবার তো দরকার আছে এত সুন্দর গাঁয়....কিন্তু ময়ূর পঙ্খী না'য় পাব কই....অনেক সুন্দর লাগল ভাই......
জাকিয়া জেসমিন যূথী সহজ সরল ভাষায়, আমাদের অতি পরিচিত গ্রাম বাংলার রূপবৈচিত্র ধরা দিয়েছে।
রানী এলিজাবেদ সুন্দর কবিতা সুভো কামনা রইলো.
ওবাইদুল হক সূর্য ভাই খুব নিবিড় ভাবে রাগ করেছেন মনে হয় ।
জান্নাতি বেগম কবিতার অসাধারন বর্ণনার সাথে ছয় বেহারার পাল্কী চড়ে মরা গাঙের পথটি ধরে লাইন টি হৃদয়ে নাড়া দিল । এর চেয়ে চেয়ে লেখকের তথ্যে আপনার উদারতার “ শুধু আমার নয় গল্প-কবিতার সকল লেখকের লেখা পড়ুন, মন্তব্য করুন, যোগ্য হলে ভোট দিন ধন্যবাদ ।” মুগ্ধ হলাম । আমার ও ইচ্ছে করে সকলের লেখা পড়তে কিন্তু অতটা সময় সুযোগ পাইনা ।

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪