উচ্ছেদ

কষ্ট (জুন ২০১১)

সূর্য
  • ৯৮
  • ১৩৬
নন্দিনী, আমার ৭বছর বয়সী মেয়ে। বায়না ধরেছে শিশু পার্ক নিয়ে যেতে হবে। আমি ছাপোষা মানুষ টুকটাক লেখালেখি করি। অধুনা গল্পকবিতা.কম নামে একটা ওয়েব সাইটে কিছু লিখে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছি। লোকজন জিজ্ঞেস টিজ্ঞেস করে আরকি! তো আমার মতো একজন লোকের পক্ষে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া এক ঝক্কির ব্যপার বটে। তবুও একমাত্র মেয়ে বলে কথা। কখন আবার খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়।

সকালেই নন্দিনী আর ওর মাকে নিয়ে বেড়িয়ে যাই। ঢাকা যাওয়াটাও আজকাল অনেক সাহসের ব্যপার। সুস্থ্য শরীর নিয়ে যাওয়ার পর ফিরে আসার সময় অনেকটা ডিমে তা দেয়া মুরগীর মতো অবস্থা হয়ে যায়। হাটতেও আর ভাল লাগেনা। শাহবাগ নেমে জাদুঘরটা ঘুরে নীলক্ষেতে চলে যাই রয়েল তেহারী ঘরে। এ দোকানটা আগে রয়েল মাইকের দোকান ছিল। মাইকের দোকানটা সংকুচিত করে ছোট্ট একটা কামড়ায় তেহারীর দোকান চালু করে। আজকে অবশ্য মাইকের দোকানের কোন চিহ্নও নেই। নন্দিনীর প্রিয় একটা খাবার এই রয়েলের তেহারী। খাওয়ার পর্ব সেরে রিক্সায় চলে আসি শিশু পার্কে। এসেই মেজাজটা চরমে পৌছায়, আজ নাকি শুধু সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য খোলা শিশু পার্ক। এটা কেমন নিয়ম হলো? তারচেয়ে প্রতিদিন কিছু শিশুকে সুযোগ দিলেইতো ভাল হয়। না, তা করবেনা, সমাজে একটা বিভাজন যেন থাকা চাই ই চাই। মেয়েটারও আগ্রহ কেমন চুপসে গেছে। অগত্যা ফিরে আসার জন্য ইব্রাহিম মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক হাসপাতালের গেটের কাছে এসে দাঁড়ালাম বাসে ওঠার আশায়।

অনেকক্ষণ হয়ে যায় বাসের কোন দেখা নেই। দাড়িয়ে ভাবছি গল্পকবিতায় যে সদস্যগুলোকে অনেকে আক্রমণ করে পোস্ট দিয়েছে, তাদের মধ্যে ইজ্জতের ভয়ে কে কে চলে যেতে পারে। কে কে গেলে আমার সুবিধে হয়। বিষয়টা খুবই মজার কাউকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে চাও! তার প্রোফাইলে গিয়ে মানষিক আঘাত করে কিছু লিখে দাও। ব্যস্ একটা চক্র শুরু হয়ে গেল। মান থাকলে সে চলে যেতে বাধ্য। আর আমার মতো সুযোগ সন্ধানীর জন্যতো পোয়াবারো। লেখা ভাল না হলেও জয়ী হওয়ার সুযোগটা বেড়ে যায়.....

-বাবা, বাবা এই বাবা। নন্দিনীর গর্জনে আমার সন্দিত ফিরে আসে।
:কি হয়েছে মা?
-গাড়ীতে উঠছনা কেন? দাড়িয়ে থাকতে আর ভাল লাগছেনা।
: এইতো আর একটু দাড়াও মা গাড়ীটা ঐ তো আসছে।

আমাদের সামনে এক বুড়ো আর এক বুড়ি এসে দাড়ায়। নন্দিনীর মা এরই মাঝে বুড়ো বুড়ির সাথে গল্প জুড়ে দেয়। মেয়েরা আসলে পারেও।

আমাদের বাস চলে আসে। সাথে মহিলা ও শিশু দেখে ওদের মনে হয় কিছুটা দয়া হলো। বাসটা ফুটপাত ঘেঁষে দাড়ায়।

: কই তোমরা ওঠ।
-বাবা এখানে এসো। নন্দিনী আমায় ডাকে। কাছে গেলে বুড়ো-বুড়িকে দেখিয়ে বলল, এদের আগে বাসে তুলে তার পর উঠতে হবে। মানুষের মন কত বিচিত্র। একটু আগেও যাদের দেখিনি তাদের জন্য এই এতটুকুন মেয়ের কত আবেগ। বুড়ো-বুড়িকে ধরে বাসে তুললাম। আমরা ওঠার সময় মনে হলো কন্ট্রাক্টরও একটু বিরক্ত হয়েছে। যেন বলতে চাইছে আপনাদের দেখে থামালাম, আবার কেন এই ঝামেলা তুললেন। ভাগ্যটা ভাল, নাকি আসলেই এই সময় বাসের সিট ফাকা থাকে বোঝা গেলনা।

আমি মোবাইলে গল্পকবিতা সাইটে বন্ধুদের পোস্টগুলো দেখছি। আর আমার স্ত্রী মনিরা সুলতানা যথারীতি ঐ বুড়ো বুড়ির সাথে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। একদিকে ভালই হয়েছে আমার মাথাটা খাচ্ছেনা মা-মেয়ে। একসময় বাসটা এসে আমাদের গন্তব্য ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারে থামে।

চলনা এই বুড়োটার বাড়ীটা ঘুরে আসি। অনেক সুন্দর নাকি জায়গাটা। আমিতো আকাশ থেকে পড়লাম আমার স্ত্রীর কথায়। ক্ষণিকের পরিচয়, এর মাঝেই এদের বাড়ী যাওয়ার বায়না। সর্বনাশ মেয়েলি বুদ্ধিতে চললে তো আমার সর্বনাশ হয়ে যাবে। আধঘন্টার আলাপেই আপন করে নেয়াতো ভালো লক্ষণ নয়।

না, চলো বাড়ী চলে যাই। এখন গেলে আমি গল্পকবিতায় বেশ কিছু সময় দিতে পারব।
-বাবা আমি ওদের বাড়ী যাব। এবার মেয়ের পালা।
: মা ওদের কষ্ট হবেতো।
-আমি কোন দুষ্টুমি করবনাতো। দাদাইতো বলেছেন যেতে। চল- চল চল, যাব--- মেয়েটা আসলে আদরে আদরে বখে যাচ্ছে। এরই মাঝে বুড়োটাকে দাদা বানিয়ে ফেলেছে।

বুড়োটা অনেকটা সংকোচেই বলল। বাবাজি বেশি দূরেতো নয় চলো একটু ঘুরে আসবে। তুমি নাকি লেখালেখি কর! যায়গাটা তোমার ভাল লাগব।

স্ত্রী-সন্তান এবং এই বুড়োর দিকে তাকিয়ে কিভাবে যেন আমি রাজি হয়ে গেলাম। বুড়োই একটা সিএনজি ঠিক করলো। বেলা মোটে ২টা, সন্ধ্যা নাগাদ ফিরতে পারব, বুড়োটা সেই নিশ্চয়তা দিল।

সিএসজি মোটামুটি আধঘন্টার মধ্যে আমাদের রূপগঞ্জের ভক্তবাড়ী নিয়ে এলো। সেখানে নেমে আমি লিচু কিনতে গেলাম। বুড়োটা বাধা দিয়ে বলল, "বাবা বাড়ীতে আমরা দুই জন প্রাণী থাকি, এইগুলাতো খাইতে পারবনা, দুইজনেরই ডায়াবেটিস"।

তাই আর কেনা হলোনা। বুড়োর পিছনে আমাদের পুরো সংসার হাটতে লাগলাম। মিনিট দশেকের মধ্যে বুড়োর বাড়ীতে চলে এলাম।

চারিদিকে পাঁকা ধানের গোছাগুলো ভারে যেন নুইয়ে পড়েছে। মেয়েটার আনন্দের সীমা নেই। এটা কি সেটা কি বলে মায়ের চুলগুলো বোধ হয় পাকিয়েই ছাড়বে। বৈশাখের শেষে মাঠ ভরা পাঁকা ধানের আইল ধরে হাটার অন্য রকম একটা আবেগ আছে। মনে হয় মাটির খুব কাছাকাছি আছি।

বুড়োর বাড়ীটা বিশাল। দুটো মাটির ঘর। উপরে চারচালা টিনের ছাউনি। আমরা ভিতরে গিয়ে বসলাম, আসলে আমরা বলাটা ভুল হল। আমি বসলাম, মেয়েটা আর ওর মা বাইরে গেল বুড়িটার সাথে। আমি আবার মোবাইল নিয়ে পরলাম। কতক্ষণ সময় গেছে বলতে পারবনা। তবে মেয়েটা যে ঘরে ঢুকেছে সেটা টের পাওয়া গেল। ওর দুহাত ভর্তি পাঁকা টসটসে লিচু মুখেও আছে একটা। আমি বেশ কিছুটা চিন্তিত হয়ে পরলাম। ওকে লিচু কে দিল? আমার স্ত্রী আমাকে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে আসে। বাড়ীটার সামনে বিশাল একটা উঠোন। একপাশে খরের গাদা। একজন ধন্যাঢ্য গৃহস্থ বলেই মনে হলো। এতক্ষণ এখানে থাকার পরও এ বাড়ীর অনেক কিছুই যেন নতুন করে আবিষ্কার করলাম। যে গাছটার নিচ দিয়ে এ বাড়ীতে ঢুকেছি, প্রকাণ্ড ফলবতি একটা লিচু গাছ। বুড়োটা এসে পাশে দাঁড়ালো।

বাবাজী চলেন বাড়ীটা একটু ঘুইরা দেখবেন।

আমি সম্মোহিতের ন্যয় বুড়োর সাথে চলতে লাগলাম, সাথে নন্দিনী আর ওর মা। বাড়ীর পশ্চিমে একটা বড় পুকুর। সেখানে শংকর প্রজাতির কোন মাছ নেই, একেবারে দেশি কই, মাগুর, শিং মাছে ভরা। আশ্চর্য হয়ে দেখলাম।

-বাবা দেখো দেখো এটাকি? আবারও অবাক হবার পালা। মস্ত বড় একটা মাচান। এর নিচে ঝুলে থাকা শসাগুলো দেখে যেন জিবে পানি এসে যায়। এত কচি এবং সুন্দর রংয়ের শসাতো বাজারে কখনো দেখা যায়না। আমি যতই দেখছি অবাক হচ্ছি। আর বুড়োটা যেন তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। তার চোখ যেন বলতে চাইছে "কি বলেছিলামনা ভাল লাগব"। মেয়েটা দুটো শসা ছিঁড়ে আনে। ওর মা ধমকে দেয়। বুড়োটা বলে -
আরে ছোটগো এইভাবে ধমকাতে হয়না। আর আমার নিজের টালের শসা, কেউতো কিছু বলবনা। আমার কিন্তু অনেক আনন্দ লাগতাছে।

মেয়েটা আবার ডাকলো
-বাবা দেখে যাও এটা কি? বাড়ীর উত্তরে চলে গেলাম। বেশ ক'টা কাঠাল গাছ। লাল মাটি ফুড়ে যেন অনেকগুলো কাঁঠাল কেউ রেখে দিয়েছে। উপরের থেকে নিচে কোথাও যেন কম নয়, বরং উপর দিকের চেয়ে গাছের গোঁড়ায় বেশি পরিমাণে কাঁঠাল ধরে আছে। এবার অনেকটা সমীহ করেই জিজ্ঞেস করলাম-
চাচা এ বাড়ীটাকি পুরোটাই আপনার?

বুড়োটা হেসে বলল, জি বাবাজী ঐযে, ঐ বাড়ীটা দেখছ, তার আগ পর্যন্ত ধানী ৩০বিঘা জমি আমারই ছিল। এইবার পর্যন্ত ফসল গুলা আমারই। আল্লাহর রহমতে আমার বাপ-দাদার আমল থেইকা আমাগো নুন ছাড়া চাল, তড়ি-তরকারী, মাছ, ফল-ফলাদী কিছুই কিনতে হয় নাই। তার স্বাক্ষর তুমিওতো দেখছ। এবার আমি খানিকটা অপ্রস্তুত হই।

এ'বছর পর্যন্ত মানে চাচা? বুড়োর হাসি মুখটা ক্ষনিকেই মলিণ হয়ে যায়। বয়স্ক দুটো চোখ ছলছল করতে থাকে।
বলতো বাবা এই বুড়া বয়সে আমারে যদি কেউ এত এত টাকা দেয়, তা দিয়া আমি কি করব? অনেক সুখেইতো ছিলাম। গ্রামের কারো কোন অভাব ছিলনা। সবাই ঘর গৃহস্থালী কইরা ভালই দিন কাটাইতাম। আশে পাশে ৫০গ্রামের সবার অবস্থাই ভাল ছিল। যার কিছুই ছিলনা, তারও এক বিঘার এক একটা বাড়ী ছিল। চুরি রাহাজানি কিছুই ছিলনা। দেশের সব মানুষেরইকি ঢাকা শহরেই থাকতে হইব? আমার পূর্বপুরষরা কি কারো জায়গা জোর কইরা দখল নিছিল? অনেক কষ্টে গড়া আমাদের পৈত্রিক সম্পদ। এগুলো বিক্রি করার আমার কোন প্রয়োজন নাই। তবু্ও আমারে সব ছাইড়া চইলা যাইতে হইবো। এইখানে নতুন শহর হইবো।

বলতে বলতে বৃদ্ধের চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে। আমার আগ্রহ বেড়ে যায়। আশেপাশের কিছু লোকও জড়ো হয়।

অনেক আগেই সরকার সিদ্ধান্ত নিছে ঢাকা শহর সমপ্রসারণ করা হইবো। নামও ঠিক করা হইছে "পূর্বাচল উপশহর প্রকল্প"। বাধ্যতামূলক সবার জমি বসত ভিটা ছাইড়া যাইতে হইবো। যারা থাকতে চায় তাদের বর্তমান মূল্যে প্লট কিনতে হইবো। আমিতো কোন কাজ জানিনা বাবা কৃষি ছাড়া। আমি এই প্লট নিয়া কি করব? বাবা কইতে পারো? অন্য কোথাও গিয়াতো আমি এত জমি কিনতে পারবোনা। সেইখানে আমারে বিদেশী বইলা সবাই খোচাইব। আর আমার বাবা-মায়ের কবর রাইখাকি আমি যাইতে পারব? আমি এইখানে যে সম্মান পাই, নতুন জায়গায় কি তা পামু? আমার রক্ত মাংশে যে মাটি মিশ্শা রইছে তার ডাক আমি কিভাবে ভুলি বাজান?

তোমার মতো, হ তোমার মতো আমার সমত্ত একটা পোলা আছিল। বাপের কষ্ট দেইকখা সিদ্ধান্ত নিল জান দিব, তবু বাপের ভিটা ছাড়বোনা। পুলিশ ঠিকই গুলি্ল কইরা ওর জানডা নিল, তবুও আমার ভিটা ওদের চাই ই চাই। ও বাইচা থাকলে তোমার মাইয়াডার মতো আমার একটা নাতনী থাকতোনা বাজান? আমি কি মানুষনা? তয় আমি এই বাপের কবরের পাশেই ঘুমাইতে চাই। উচ্ছেদ করলে আমার লাশ উচ্ছেদ করব। আজ ৩০বছর ধরে মেম্বার, সবাই আমারে শ্রদ্ধা করে। আমি এই সম্মানটা নিয়া মরতে চাই। এই বাড়ীতেই আমার কবর হবে বাবা। আমার কবরের উপরেই হইব নতুন শহর। নতুন কিছু করার জন্যতো বাবা পুরানোরে হত্যা করা উচিতনা। সবাই মিলা থাকাকি খুব কষ্টের?

দর দর করে বুড়োর চোখ থেকে অশ্রু ঝরে পরে। তা দেখে আমার মেয়েটাও কাঁদতে থাকে।
-বাবা দাদু কাঁদছে কেন? দাদুর কি হয়েছে?
বুড়োটা নন্দিনীকে কোলে তুলে নেয়। দাদু ভাই এই যে তুমি লিচু পাইড়া খাইলা, আম কুড়াইলা এগুলা আর করতে পারবানা। আমারে এই বাড়ী থেইকা তাড়াইয়া দিব।
মেয়েটা কেঁদে কেঁদে বলে-
-দাদু ওরা খুব পঁচা। ভালমানুষরা কি কাউকে তাড়িয়ে দেয়?

বৃদ্ধের কষ্ট আমাকে ছুয়ে যায়না। আমার ভাবনা জুড়ে শুধুই স্বার্থের বসবাস। কেউ স্থান না হারালে আমিতো সে স্থানে যেতে পারবোনা। যেমন পারবোনা গল্পকবিতায় ভাল লেখকগুলো থাকলে জয়ী হতে।

আমার চিন্তায় ছেদ পড়ে নন্দিনীর ডাকে-
-বাবা তুমি এই দুষ্টমানুষদের বিরুদ্ধে লিখবা কিন্ত। ওরা খুব পঁচা। ওদের জন্য দাদু কাঁদছে।
:ঠিক আছে মা।
আমার ৭বছর বয়সী মেয়েটা কাঁদছে অথচ আমি? আমি কি তাহলে ওর মতও ভাবতে পারিনা? এই এতটুকুন মেয়ের মতোও কি আমার বিবেকটা কাজ করছেনা?

আমার ভিতরটা কেমন খচ খচ করছে। কবি সাহিত্যিক কোটায় বুকিং দেয়া আমার প্লটটা আবার এই বুড়োর কবরের উপরে হবেনাতো?



(গল্পকবিতায় কাঁদা ছোড়াছুড়ি এবং বছর আটেক পূর্বে রাজউক এর পূর্বাচল প্রকল্পে একজনের বাড়ী গিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়েছিল। স্থানচ্যুত হওয়ার যন্ত্রনা খুব কাছে গিয়ে দেখেছি, মানুষ কিভাবে উদ্বাস্ত হয়। আমরা কি বদলাতে পারিনা?)
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আসাদুজ্জামান খান প্রকাশের ৭ বছর পরে পড়লাম। অনেক ধন্যবাদ গল্পকারকে। সমাজ, সভ্যতা, উন্নয়ন ইত্যাদি শব্দগুলো কখনো কখনো বড় নির্মম। কিছু মানুষ সুবিধা ভোগ করে আর বেশি মানুষের জীবন বিপন্ন হয়।
Akther Hossain (আকাশ) সত্যি অসাধারণ !
সূর্য @এক খেয়ালী কবি >> "উন্নয়নের বলি" যারা তাদের জন্য এটা যে কতটা কষ্টের তা আমার মত ভাষার দৈনতায় ভোগা লেখকের পক্ষে তুলে আনা সাগর সেচে মুক্তা কুড়ানোর মতই কষ্টের। যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারাই কেবল জানে। ধন্যবাদ রইল।
সূর্য @রাজিব> ধন্যবাদ রইল গল্প পড়ে মন্তব্য করায়। যেন ধারাটা ধরে রাখতে পারি দোয়া করো।
এক খেয়ালী কবি ei ghotona gulo sotti piradaok........aschorjo bepar hocche apnar golpo pore....nijer kichu sriti mone porche......sunamgonj sohore chuto theke boro hoyechi.....surma nodir pare amader ekta khelar mat chilo....bisal math....amar koisor otoba prothom jouboner purota juri ei math....mather pasei amader sather oneker bari chilo.....ami obosso ekhon sunamgonje thaki na...chole asar por janlam.....okhane briz hocche.....bisal briz amader sather ekta chele lukman....oder ki sunar songsar...15_20 ghor manus thakto oder bhara ghor gulo te.....sorkar ke sob chere jete hobe....ebong hoyche.........bochor 4 por firechilam......sei nodir pare ...sei lukman vhaider barite.......sotti...poriborton ta mene nite parini....asole emon poriborton karoi kammo noy.....obosso apnar golpo valo legeche...valo....chaliye jan
Rajib Ferdous প্রচন্ড টানে গল্পটি পড়ে ফেললাম। বাস্তবতা থেকে গল্পের থিম বের করাটা জটিল প্রক্রিয়া বটে, কিন্তু কাজটি যিনি করতে পারেন, তিনি অনায়াসে উৎরে যাবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। কেননা শুধু কল্পনায় ভর করে অনেক কিছুই লেখা যায়, তাতে করে লেখকের কেবল নিজস্ব কিছু ভাবনাই প্রকাশ পায়, দশের জন্য কোন মেসেজ থাকেনা বললেই চলে। অন্যদিকে কল্পনার সাথে বাস্তবতার মিশেল দিতে পারলে, বা বাস্তবের কোন অসঙ্গতি লেখার কারুকার্যে তুলে ধরতে পারলেই লেখক স্বার্থক। বড় বড় সাহিত্যিকেরা তাই করে গেছেন। নিছক "আলিফ লায়লা" বা "হ্যারিপটার" লিখে অনেক টাকা আসে তবে নাম আসেনা। যেটুকু আসে তা ঠুনকো। এই গল্পে আপনি এক সাহসী চরিত্রে আবির্ভুত হলেন। ভাল লাগলো। আর আমার উপরের ঐ অহেতুক বকবক কিন্তু আপনার লেখার সাফল্যকে উদ্দেশ্য করেই করা।
সূর্য @ তানভীর >> উপদেশ মনে থাকবে। তবে আমি বাক্যগুলো খুব সাধারণ কথোপকথনের বুননে লিখতে পছন্দ করি যেন আরটিফিশিয়াল ভাব বা বাক্যের উপমা মূল বিষয়টা ছাপিয়ে না যায়। তবে আপনার মতামত অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে
সূর্য আপনাদের সবার কাছেই কৃতজ্ঞ থাকলাম। :-)
বিন আরফান. বিজয়ী বন্ধু , প্রাণ ঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা .
মুহাম্মদ জহুরূল ইসলাম অভিনন্দন বিজয়ী বন্ধু

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪