ভুলের কান্না

শিক্ষা / শিক্ষক (নভেম্বর ২০১৫)

এস আই গগণ
  • ১৭
খালিদ ?
এই খালিদ ?
অবেলায় খালিদের আনমনে বসে থাকাটা কিছুটা বিরক্তিকর বটে, তবুও কিছু বলার নেই। বাবা-মায়ের জন্য যখন ওর মন খারাপ হয় তখন বেলা অবেলা, স্থান, কাল কোন কিছুই যেন ও নিতে পারেনা। ভুলে যায় ইহজগতটাকে, ভুলে যায় কে সে, আমি কে, এমনকি আমাদের প্রিয় বাবাইটাকেও। অবশ্য কখনো কাউকে বলেনি, হয়তো বলবেওনা, এমন ধারনা শুধু আমার নয়, সবার। জিজ্ঞেস করেছি বহুবার, বলবেনা বলে সে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
হাটি হাটি পা পা করে একদিন দুইদিন থেকে বছর পেরিয়ে আজ বিশ বছর পূর্ণ হলো আমাদের বাবাই সোনার। বুঝতে শেখা থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত দেখেছে তার বাবাকে নিভৃতে বসে কাঁদতে। কাছে যেতে দেইনি, এই ভয়ে হয়তো বকা দিবে। কিন্তু কে জানতো এটাই ছিল আমার বড় ভুল। রোহিত বলতে চাইতো, তবে আমাকে নয়, ওর ছোট্ট বাবাই যখন অনেক বড় হবে, বুঝতে শিখবে, ঠিক তখন।
এমন কি ছিল ? যা আমাকে নয়, বাবাইকে বলবে ?
তেমন কিছুই না, চাইলে তুমিও আসন দিতে পারো আমাদের সুখ দুঃখের আলাপে।
তাতো বটেই, ২২ বছর ধরে দেখে আসছি, জানা হয়নি আজও। বাবাই এর জন্মদিনে জিজ্ঞেস করতেই বলতে রাজি হলে কেন বলতো ?
আমি এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম, বাবাই কখন আমাকে জিজ্ঞেস করবে,বাবা তুমি মাঝে মাঝে কেন এমন কাঁদো ?

জন্মের পর প্রত্যেক বাবা-মায়ের মত আমিও আদর যত্নে বড় হতে লাগলাম। সব বাবা-মায়ের মত আমার আব্বা আম্মার ও স্বপ্ন ছিল, ছেলেকে মাদ্রাসায় পড়াবে, বড় কোন মাদ্রাসার দিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে অনেক বড় মাওলানা হবে। দেশ বিদেশের সুনাম অর্জন করবে।
পাঁচ বছর বয়সেই কোরআন শরীফ সম্পূর্ণ স্পষ্টভাবেই পড়তে পারতাম। ওই বয়সেই ধর্মীয় বেশ জ্ঞানই আমার জানা হয়ে গেল। বাড়ির পাশের মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিল ছয় বছর বয়সে। ওস্তাদজি অনেক ধৈর্য সহকারে তালিম দিতেন। দারুন কণ্ঠ হওয়ায় কেরাত, গজলে বরাবরই এগিয়ে ছিলাম। আব্বা ছোট্ট একটা চাকরি করতেন, বেতন ছিল ৬০০ টাকা। যা দিয়ে চাল, ডাল কিনে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকতোনা। গাছের ডাব, সুপারি, বাড়ির সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের মাছ ইত্যাদি দিয়ে সংসারটা টেনেটুনে চালিয়ে নিতেন আমার আম্মা। শত অভাবের মাঝেও আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল আব্বা আম্মার। শহরে নিয়ে যেয়ে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিল বারো বছর বয়সে। পড়তে থাকলাম, আস্তে আস্তে মাদ্রাসার আশেপাশে কিছু বন্ধু হল। গ্রাম থেকে আসায় শহরের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে অনেক কষ্ট হতো। লজিং বাড়ি থেকে আসা যাওয়ার পথে কত দোকান, কত শত খাবার চোখে পড়তো, কখনো খাওয়ার সুযোগ হয়নি, কে দিবে টাকা ? কেইবা কিনে দিবে খাবার ? বিকালে বের হতাম বন্ধুদের সাথে। হাঁটতে হাঁটতে বহুদুর চলে যেতাম, বড় বড় মার্কেট, বড় গাড়ী, যা কখনোই দেখা হয়নি, দেখে মুগ্ধ হতাম তবে পাশাপাশি ছেড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্নও দেখতাম। এমন বড় মার্কেট আমার কবে হবে? এমন যদি হতো তাহলে আমি খাবারের দোকান দিতাম, কাপড়ের দোকান দিতাম, অনেক খেতে পারতাম, নতুন নতুন কাপড় পরতে পারতাম। ইস!
কল্পনার মাঝে বাস্তবতা খুঁজে পেতেই হয়তো পাড়ি দিলাম ঢাকা শহরে। আমার জন্য তখন ঢাকা ছিল বিদেশ। মিরপুর মাজারের পাশের এক হোটেলে কাজ নিলাম। দুইদিন যেতে না যেতেই আব্বা আম্মার জন্য খারাপ লাগতে শুরু হওয়ায় পালিয়ে বাড়ি চলে গেলাম। আমার আর পড়াশুনা করতে ভাল লাগেনা, জোর করে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিল। কে শোনে কার কথা, আবার পালিয়ে চলে গেলাম ঝিনাইদাহ। সেখানেও কাজ নিলাম হোটেলে। কাজের বয়স পাঁচ দিন, আবার ফিরলাম বাড়ি। জোর করে দিয়ে আসলো মাদ্রাসায়। ওস্তাদজি অনেক পিটাতো পালানোর জন্য। জোড়া বেত দিয়ে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠাল একবার, তার পর ওই মাদ্রাসায় আর পড়তে হয়নি। হঠাৎ পাগলামি শুরু করলাম মাদ্রাসায় পড়বোনা। আব্বা ঘরের আড়ায় ( ছাদ ) ঝুলিয়ে পিটাতো অনেক। কখনো কখনো ঘরের দরজা বন্ধ করে পিটাতো, যাতে আম্মা ও প্রতিবেশী ঠেকাতে আসতে না পারে। পড়াশুনার জন্য বেত পড়েনি শরীরের এমন কোন জায়গা নেই। এমন কি শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে পড়ানোর চেষ্টা করেছে। তাতেও যখন কোন কাজ হয়নি তখন অনেক দূরের মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছে। অবশ্য সেখান থেকেও পালিয়েছি অনেকবার। অবশেষে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিল। মনে পড়েনা কখনো স্কুলের বারান্দায় পা দিয়েছি। তবে ব্রেন ভাল হওয়ায় দুএকবার পড়লে পড়া মুখস্ত হয়ে যেত। পরীক্ষায় কখনো ফেল করিনি, এক ক্লাসে দুই বারও থেকেছি, কেন ? পরীক্ষা দেইনি তাই। পরীক্ষার সময় হলে পালিয়ে চলে যেতাম সিনেমা হলে অথবা ব্যাগে কাপড় গুছিয়ে হুট করে বাসে উঠে পড়তাম। বাসের গন্তব্য যেখানে শেষ হয়ে যেত, আমার গন্তব্যও ওখানেই। কোথায় থাকবো, কি খাবো, এটা কখনো ভাবতাম না। হয়ে যাবে এক ব্যবস্থা ভেবেই বসে থাকতাম, হয়েও যেত।
দেখতে দেখতে উনিশ বছর হয়ে গেল ম্যাট্রিক শেষ করতে পারলাম না, পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগের দিন চলে গেলাম ভারত। অনেক টাকা রোজগারের আশায় বন্ধুদের সাথে ছোট্ট একটা বাসা নিয়ে থাকতে লাগলাম এবং ব্লাকে সিনেমার টিকিট বিক্রি শুরু করলাম। দুই মাস পর পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি আসলাম।
বাস থেকে নেমে ভ্যানে উঠলাম, গ্রামের লোকজন কেমন একটা ঘৃণাত্তক চাহনি দিতে লাগলো। ফিসফিস করে একজন আরেকজনকে কি যেন বলছে আর আমায় দেখছে। খুব অবাক হলাম, তবে গর্ব হচ্ছিল, বিদেশ থেকে ফিরেছি তাই হয়তো সবাই আমাকে এভাবে দেখছে। বাড়ির সামনে ভ্যান থামলো।
বাড়ীতে তালা ঝুলছে দেখে আঁতকে উঠি। এমন সময় ঘরে তালা থাকার কথা নয়। আব্বা আম্মা হয়তো নানাবাড়ি গেছে ভেবে দরজার সামনেই বসে রইলাম। কিছুক্ষণ যেতেই পাশের বাড়ির কাকি কলস কাখে নিয়ে আমাদের পুকুরে পানি নিতে এসে আমাকে দেখে দৌড়ে চলে গেল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাকা কাকিসহ অনেকে আমার দিকে এগিয়ে আসলো।
হ্যারে খালিদ, তুই ?
আশ্চর্য, আমি মানে ? আমি ভারতে গিয়েছিলাম, দুই মাস কাজ করে আর মন টেকেনি, তাই চলে আসলাম। আমিতো নতুন বা দেখার মত কেউ না, তাইনা ?
তুই বেঁচে আছিস তাহলে ?
মানে ? মরলাম কবে ?
যাই হোক, আব্বা আম্মা আসবে কখন বলতে পারেন ?
তুই কিছুই জানিস না ?
কি জানবো ?
আয় আমার সাথে, কথা বলতে বলতে কেঁদে উঠলো কাকি, সাথে থাকা পাশের লোকজনও ফুঁপিয়ে উঠলো। হাত ধরে টানতে টানতে পুকুরের কোনায় বাঁশ ঝাড়ের সামনে থামলো। নতুন দুইটি কবর দেখেও বুঝতে পারছিলাম না যে তারা আমাকে কি বোঝাতে চাইছে।আমার বিস্ময়ের মাত্রা আরও বাড়ছিল।
জিজ্ঞেস করলাম আব্বা আম্মার কথা, এখানে কি ?
এটাই তোর আব্বা আম্মার কবর।
কিভাবে ?
তোকে খোঁজার জন্য দুইজনই ঢাকা যাওয়ার পথে এক্সিডেন্ট করে, তোর আব্বা সাথে সাথে আর দুই দিন হাসপাতালে থাকার পর তোর আম্মাও মারা যায়। আমাদের সবার ধারনা ছিল তুইও হয়তো বেঁচে নেই।

জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হল। কি করবো, কোথায় যাব, মাত্র ৫ হাজার টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। পুরনো বন্ধুদের কাছে গেলাম, সব খুলে বলার পর কেন জানি বিরক্তি প্রকাশ করলো। উপায় খুঁজে না পেয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। কি করবো জানিনা, তবে কিছু একটা করতে হবে এটুকু জানি। বোধশক্তি মনে হয় কাজ করতে আরম্ভ করেছে। মাজারের পাশের সেই হোটেলে গিয়ে কাজ নিলাম। ছয় মাস কেটে গেল কাজ করতে করতে। যে পড়াশুনার জন্য এত কিছু সেটাইতো হচ্ছেনা। প্রতিদিন সকালে নাস্তা করতো অত্র এলাকারি একজন শিক্ষক, আস্তে আস্তে ভাল সম্পর্ক হয়ে গেল তার সাথে, একদিন সন্ধায় মাজারের পুকুর ঘাটে বসে ছিলাম, হঠাৎ পেছন থেকে কেউ যেন ডাক দিল, ঘুরে দেখি সেই মাস্টার। ইদ্রিস নাম তার। দুইদিন পর ছিল ঈদ, বেশ কিছুক্ষণ উপদেশ বানী শুনিয়ে ঈদের সময় তার বাসায় যেতে বলে চলে গেল। যথা সময়ে নামাজ পড়ে মাস্টার এর বাসায় গেলাম, বিভিন্ন মিষ্টান্ন ভোজনের পর তার রুমে গেলাম, বসে গল্পের ফাঁকে আমার সব জানতে চাইলো, একটু একটু করে নিজের গুণকীর্তন গাইতে লাগলাম। হয়তো আমার এমন বাজে ইতিহাসের পর নিশ্চয়ই মাস্টার আমাকে ভালোভাবে গ্রহন করবেনা, করার কথাও না। আচমকা অশ্রুসিক্ত নয়ন মুছে দিতে দিতে অভয় দিল মাস্টার।
আমি তোমার পড়াশুনার ব্যবস্থা করবো, তুমি শুধু মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তোমার আব্বা আম্মার জন্য, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাটা তোমার কর্তব্য।
উৎসাহ উদ্দীপনার সাথেই পড়া শুরু করলাম, সকালে হোটেলে কাজ করি, দুপুরে এক ঘণ্টা ছুটি পাশ করালো মাস্টার হোটেল মালিকের কাছ থেকে। ওই এক ঘণ্টা মাস্টার পড়াতো। রাত বারোটার দিকে হোটেল বন্ধ হলে হোটেলের পেছনে রান্নাঘরে ঘুমাতে হতো, সেখানেই ছোট্ট একটা টুল কিনে টেবিলের কাজ সারতাম, রাত ২ টা/৩ টা পর্যন্ত মাস্টারের পড়া কমপ্লিট করতাম। আবার ভোরে উঠে হোটেলের কাজ, এভাবেই ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিলাম। আশানুরূপ রেজাল্ট করলাম, মাস্টার হোটেল ছেড়ে দিতে বললো। দুইটা টিউশনি দিল, পাশাপাশি কলেজে ভর্তি হলাম। মাস্টারের বাড়ি ছোট্ট একটা রুমে থেকে পড়তাম। ইন্টার পরীক্ষা দিলাম, সেখানেও ভাল রেজাল্ট করলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পড়া কালীন স্কলারশিপের আবেদন করলাম। অনার্স শেষ করার বেশ কিছুদিন পরেই স্কলারশিপ পেয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে গেলাম, ডিগ্রিটা শেষ করলাম, পাশাপাশি ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্ট কাজ নিলাম। আস্তে আস্তে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথেই ওখানেই তোমার মা’কে বিয়ে করলাম। বিভিন্ন রকম মানুষিক চাপ কিছুটা কমে যাওয়ায় একটু বেশিই মনে পড়তো আব্বা আম্মাকে।
তোমার জন্মের পরই সন্তানের মায়া বা সন্তান কি এটা বুঝতে শুরু করলাম। কষ্টটা আরো বেড়ে গেল। তোমাকে নিয়ে যেভাবে ভাবতে শুরু করলাম ঠিক তেমনি আমাকে নিয়েও কেউ ভেবেছে। যার মূল্য কিনা সময় মত দিতে পারিনি। আব্বা আম্মাকে দেখাতে পারিনি আমি শিক্ষিত হয়েছি, আমার অভাব বলতে কিছুই নেই, শুধু তোমরা ছাড়া...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল অনেক সুন্দর একটি গল্প ।।
শামীম খান বেশ লাগলো আপনার গল্পটি । শুভ কামনা আর ভোট রেখে গেলাম ।
Fahmida Bari Bipu সুন্দর গল্প। আগামীতে আরো ভাল আশা করছি। শুভেচ্ছা ও ভোট রইল।
শাহ আজিজ জীবনটা শুধুই সামনে এগিয়ে চলার । কারো জন্য কষ্ট কারো থাকে সুখ । সুখ নিয়ে তেমন গল্প জমে না , যেমন জমে দুঃখ আর সংগ্রামের জীবন গড়াতে । ভালো লাগলো গগন ।
ফয়সল সৈয়দ ভুলের কান্না যথার্থ শিরোনাম। শিক্ষনীয়ও গল্প। ভালো লাগলো। রেখে গেলাম ভোট।
সেলিনা ইসলাম চমৎকার শিক্ষণীয় থিম নিয়ে লেখা গল্প বেশ সুন্দরভাবেই উপাস্থাপন করেছেন। আরও ভালো ভালো লেখা পাবার প্রত্যাশায় অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দোয়া করবেন, ধন্যবাদ
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ বেশ ভাল গল্প ! উপস্থাপনাও চমৎকার ! ভাল লাগল । ভোট রেখে গেলাম ।
রেজওয়ানা আলী তনিমা ভালো হয়েছে, শুভ কামনা রইল।

২৭ আগষ্ট - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী