আবিরের সঙ্গে অর্চির প্রথম দেখা হয় ক্যাডেট কোচিং করতে গিয়ে । ভালো ছাত্রী হিসেবে সুনাম ভালোই ছিল অর্চির । একটু নিজের মতো থাকতেই পছন্দ করতো ও । কোচিং এ দুর্দান্ত ইংলিশ জানা ছেলে আবিরকে দেখার পর থেকেই কেন যেন রাগ লাগতো অর্চির । প্রথম প্রথম আবির কে সহ্য হতো না ওর । নিজের প্রতিযোগী মনে হতো । এরপর কেন যেন আস্তে আস্তে একটা ভালো লাগা কাজ করতে শুরু করলো । বন্ধুত্ব হয়ে গেলো কিছুদিনের মাঝেই । দুজনের বন্ধুত্ব যখন তুঙ্গে , হঠাৎ করেই আবিরের পরিবার শহর বদলে চলে গেলো । অর্চি হয়ে গেলো বন্ধুহীন । ভার্সিটিতে ভর্তির পর পর হঠাৎ একদিন আবিরের সাথে দেখা হয়ে যায় অর্চির । বহুদিনের পুরনো বন্ধুত্বটা ভালোবাসার সম্পর্কে পরিণত হয় খুব অল্প সময়েই ।
কয়েকমাস পর হঠাৎ অর্চি একদিন ভার্সিটিতে আসার পথে এক্সিডেন্ট করে । হাসপাতালে নেওয়া হয় ওকে । মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে প্রায় দুই মাস চিকিৎসায় থাকতে হয় অর্চিকে । ডাক্তার জানায় অর্চির মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে মস্তিষ্কের কিছু অংশ অচল হয়ে গিয়েছে । ওর আর সুস্থ হওয়া সম্ভব না । এই ঘটনা জেনে অর্চির পরিবার ও আবির ভয়ানক মুষড়ে পড়ে । এদিকে অর্চির মানসিক ও শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে । হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে নিজেকে কেমন ঘর বন্দী করে ফেলে ও । আবিরের পরিবার জানায় এমন অসুস্থ মেয়েকে তারা ঘরে আনতে চায় না । অর্চির পরিবার আবিরকে জানায় , আবির যেন অর্চিকে ভুলে যায় । পরিবারের অমতে ওদের বিয়ে করার কোন প্রয়োজন নেই ।
ভালোবাসাকে দূরে ঠেলে দেওয়ার পাত্র নয় আবির । আবির তার বাসায় জানিয়ে দেয় বিয়ে করতে হলে সে একমাত্র অর্চিকেই করবে , অন্য কাউকে নয় । আবির প্রতিদিন ক্লাস শেষ করে অর্চির সাথে দেখা করতে যায় । অর্চিকে বই পড়ে শোনায় , গান শোনায় , বেঁচে থাকতে উৎসাহ দেয় । অর্চি ঘুমিয়ে গেলে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে - তোমার সুখের দিন গুলোতে আমি ছিলাম সবচেয়ে কাছের ! এখন আমি তোমাকে ছেড়ে কোথায় যাবো ? এভাবে কেটে যায় প্রায় একটা বছর । অর্চির প্রতি আবিরের এই ভালোবাসা দেখে একসময় আবিরের পরিবার সবকিছু মেনে নেয় । আবিরের ভালোবাসার শক্তির কাছে পরাজিত হয় সব বাধাই । অসম্ভব সুন্দর একটি দিনে অর্চি আর আবিরের বিয়ে হয় । আবির জানে অর্চির সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তার কথা । তবুও সে মন থেকে অর্চিকে ভালোবেসে যায় ।
এপ্রিল মাসের ৮ তারিখে খুব সকালে অর্চির হারিয়ে যায় আবির কে ছেড়ে । বিয়ের পর অর্চি বেঁচে ছিল মাত্র তিন মাস । আবির এখনও অর্চিকে ভালোবেসেই যাচ্ছে ।
অর্চি যেখানেই থাকুক না কেন ভালো থাকুক সব সময় । অর্চিকে ঘিরে থাকুক আবিরের ভালোবাসা ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক
ভালো লাগালো । আমার কবিতা ও গল্পের পাতায় আমন্ত্রণ রইলো ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।