১. আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু বাবার কোন সার্টিফিকেট ছিলো না। আমি অবাক হতাম বাবা কি বোকা মানুষ! মুক্তিযোদ্ধা অথচ তার কোন সার্টিফিকেট নাই? পাশের গ্রামের আমজেদ চাচা মুক্তিযোদ্ধারর সার্টিফিকেট এর কারনে সরকার থেকে কত অনুদান আর সম্মান পায়।কিন্তু আমার বাবাকে শুধু গ্রামের মানুষ ছাড়া আর কজনই চেনেন? আচ্ছা বাবা তুমি সত্যি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলে? এমন প্রশ্ন করাতে বাবা চুপ হয়ে যায়। স্মৃতিপটে জেগে উঠে দিনের পর দিন কষ্ট করার কথা।গ্রেনেড আর এসএমজি নিয়ে যুদ্ধ করেছি আমার ছেলে বলে কি? আজ আমরা যদি না যেতাম কেমনে স্বাধীনতা পাইতি? কেমনে বাংলা ভাষায় কথা বলতি? বুঝবে না, কারন এখনকার ছেলেরা স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ মানে সার্টিফিকেটকে বোঝে। ভাবতেই অবাক লাগে। ২. এখন আমি বড় হয়েছি আর সবার মটরসাইকেল আছে কিন্তু আমাদের নেই। সামান্য স্কুলের চাকরি দিয়ে কি আর এমন করা যায়? খুব রাগ হয় বাবার উপর।বাবা না থাকলে কত স্বাধীনতা পেতাম। আমার প্রতিটি চাওয়া ছিলো বাবার কাছে কিন্তু অনেক চাওয়া অপুর্ন রয়ে গেছে। এত কিছুর পর ও বাবা বিরক্ত হতেন না। বলতেন যখন নিজে বাবা হবে তখন বুঝবে। হঠাৎ একদিন বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। ভিশন কষ্ট হয়েছে বাবাকে হারিয়ে। স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু স্বাধীনতার সুখ পায় না। সকালে ঘুম ভাংলে আগের মতই বাবাকে ডাকি।
প্রতিদিনের মমতো অপেক্ষায় থাকি হয়তো আম্মা বলবেন তোর বাবা বাহিরে গেছেন একটু পরেই ফিরবেন। আমি ব্যর্থ খুজতে থাকি আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ইমরানুল হক বেলাল
সুন্দর গল্প লিখেছেন
ভুল মাএ মানুষের হয়
লিখবার সময় বানানের দিকে খেয়াল রাখবেন
ভোট রেখে গেলাম আমার পাতায় আমন্ত্রণ
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।