বুঝছস কিছু জীবনের?? কোনদিন একটু সিরিয়াস হইয়া ভাবছস জীবনটা কি ? কেন ? কেন এই ধরায়? শুধু খরায় দাঁড়াইয়া কাটাইছি কখন বারান্দায় আইসা ভেজা এলো চুলে রেলিঙে শাড়ি নাড়ব । কোন মাইয়া কোনদিন কয়নাই ‘মফিজ , তোমারে ভালবাসি’। দুইবার মাইর খাইছি হাতে হাতে চিঠি দেবার অপরাধে । শেষ মাইর পাছায় বাঁশের বাড়ি। জ্ঞান ফিরলে দেখি বাসায় বিছানাতে উপুড় হয়ে শোয়া। সামনের জানালা দিয়ে দেখা যায় বাঁশ বাগান আর ঘন ছায়া । মুখ ঘুরিয়ে কাউকে দেখার মত সাহস ছিলনা । মা পিঁড়িতে বসে মুখে খাবার তুলে দেন । বাড়ীর মানুষরা পালাক্রমে পাছায় রসুন ফোঁড়ন দেয়া তেল মালিশ দেয়। কে দেয় তাদের মুখ দেখিনা । ১০/১২ দিনে মনে হইল মালিশের হাতটা খুব নরম আর কায়দা কানুনও বেশ গরম। হইব হয়ত খালা, ফুপু,কেউ। আমার পাছায় ব্যাম্বু খবরটি ১০ গ্রামে চাউর হইয়া গেছে। ১৮ দিনের সকালে মনে হইল চিত হইয়া শোয়া যাবে। শুয়ে দেখলাম , পারছি। কে যেন আসতেছে , আবার উপুড় । হ্যা এই সেই নরম হাত । এ কদিনে কার হাত কেমন তা বুঝে গেছি। আজ আর তর সইলনা । মাইর ভুইলা গেছি । কাধ উল্টিয়ে দেখি সেই মেয়ে যার জন্য বাঁশের বাড়ি খাইয়া বিছানায় আজ আমি !! সেই থেকে ও আমার জীবনের অংশ । আমার খাওয়া দাওয়া , কাপড় , চুল আঁচড়ানো , চৈত্রের রাতে হাত পাখার বাতাস – সব কিছু । খালি সেই মালিশটা হারায় গেছে। কিছু পেতে হলে কিছুতো হারাতে হয়? নাকি? তবে যা পেয়েছি তা আমার জনম জনমের সাধনা।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।