তোমরা ভেবেছ আমি কংক্রিটের জড় দাঁড়িয়ে আছি ঠাঁই বোবার মত। আমার পেছনে রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস। আমি নই শুধু সাত জোড়া ত্রিভূজাকৃতির উত্তুঙ্গ প্রাকার। আমার গাঁথুনিতে নেই এতটুকু সিমেন্ট-বালু আর স্বচ্ছ পানির ছোঁয়া। আমার অস্থি-মজ্জা, শিরা-উপশিরায় রয়েছে- সাত সাগরের রক্তের বন্যা। তোমরা আমার উপরের মসৃণ রঙ দেখ, দেখ না ভিতরে জলকান্না। বায়ান্নোর ভাষা যুদ্ধ আমাকে জিরাফের মত- মাথা উচু করতে বাধ্য করেছে। চুয়ান্নোর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে হাতেনাতে ফল। তারপর? শাসকেরা একের পর এক আমাকে বঞ্চিত করেছে, ক্ষুধার্থ রেখেছে। আমি বাধ্য হয়েছি গ্রীবাদেশ বাড়াতে। অত:পর ছপ্পান্নোর শাসনতন্ত্র, বাষট্টির শিক্ষা আর ছেষট্টির ছয়দফা আমি ছুটছি আর ছুটছি, অসম বাধার দেয়াল পেরিয়ে। অবশেষে বিদ্রোহ। উনসত্তরের গণ অভ্যুথ্থানের পাহাড়সম দেয়াল পেরিয়ে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। কি ভয়ংকর হয়েনার থাবা! শকুনির খুবলে খাওয়া! তবুও দমাতে পারেনি এতটুকুও। তাই আমার অহংকারের গ্রীবাদেশ এত উঁচু।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
মনোমুগ্ধকর লাগলো । প্রতিবাদী ও সাহসী কবিতা । অন্ত্যমিলের ঘাটতিহীন লেখাটি সময়োপযোগী । ভোট দিয়ে গেলাম ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।