নাকের বদলে নরুণ সমাচার

প্রত্যাশা (আগষ্ট ২০২২)

পারভেজ রাকসান্দ কামাল
মোট ভোট প্রাপ্ত পয়েন্ট ৪.৪
  • 0
  • ৫৬
অফিস থেকে আজ একটু আগেই ফিরেছি। অফিসের কাজকর্ম সব তাড়াহুড়ো করে গুছিয়ে তাড়তাড়ি বাসায় ফিরে এসেছি। মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের টি-২০ খেলা দেখা। টিভিটা অন করে যেই না খেলা দেখতে বসেছি, অমনি আমার স্ত্রী শিলা আমাদের মেয়েটাকে বলল, “মা, যা তো তোর বাবার কাছে বসে বাংলা পড়।” মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম যে, তাঁরও এই সময় বাংলা পড়ার খুব একটা ইচ্ছা নেই। আর আমারও মনটা দমে গেল। খেলা দেখা বাদ দিয়ে এখন বাংলা পড়াতে হবে।

আমি শিলার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে গুন গুন করে বলতে লাগলাম, “বাংলা পড়িয়ে যদি বঙ্কিমচন্দ্র বা রবিঠাকুর করতে চাও তাহলে আর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ানো কেন বাপু।” শিলা তখন বেলুন দিয়ে লুচি বানাচ্ছিল। হাতে রয়েছে বেলুন, গালে লেগেছে লুচির আটা ও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। দেখতে অপ্সরীর মতো লাগছে। সেই গালের মেকাপ ও হাতের প্রপস বাগিয়ে নিয়ে আমার দিকে কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, “বিদেশ বিভুইয়ে আমি বাংলা মিডিয়াম স্কুল কোথায় পাব বলতে পার? যা বলছি তাই করো। মেয়েকে বাংলা পড়াও। ও বাংলা ভুলে যাচ্ছে।”

অগত্যা কী আর করা! মেয়েকে পড়াতে শুরু করলাম। টিভিতে খুব আস্তে ভলিউম দিয়ে খেলা চলছে। ওদিকে ধারাবিবরণী দেবার মতো করে মেয়ে পাশে একটা বাংলা বই থেকে পড়ে চলেছে, “… … মুনি রাজাকে বলিলেন, ‘সাধ থাকিলেও সাধ্য কদাচিত হয়।’ এরপর মুনি রাজাকে একটি বর দিলেন… …” হঠাৎ মেয়ে ধারাবিবরনী অর্থ্যাৎ পড়া থামিয়ে আমায় জিজ্ঞেস করল, “বাবা ‘সাধ থাকিলেও সাধ্য’ এর মানে কী?” আমি ততক্ষণে খেলার মধ্যে ডুবে গিয়েছি। চমকে উঠে বললাম, “সাধ হলো ইচ্ছা মানে Desire, Wish ইত্যাদি আর সাধ্য হলো Ability. মানে সাধ আকাশে উড়ে চলা ঘুড়ি আর সাধ্য হলো ঐ ঘুড়ির সুতো। ঐ যে সাধের পর সুতোর মতো য-ফলা দেখছিস না! ঐটাই হলো সুতো। তারপর একটু দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বললাম, “ঐ সুতো দিয়েই আকাশে পতপত করে ওড়া সাধ কে পতন করানো হয়। তখন তার নাম হয় সাধ্য। অনেকটা তোর বাবার মতো।” এই শেষ কথাটা একটু জোরের স্বরেই বললাম। হুম! কাজ হচ্ছে। শিলা কেমন যেন কঠিন চোখে আমাকে দেখছে। মেয়ে বলল, “এত কঠিন করে বলো কেন বাবা? কিছুই তো বুঝলাম না।” আমি বললাম, “বাংলা তো কঠিন বিষয়। এত সহজে বোঝা কী যায় মা! কথায় আছেনা, বাঙালীর ছেলে বাংলায় নম্বর কম পায়।” মেয়ে বোধহয় আমার হেঁয়ালি আরও কিছু বুঝল না। এবার সে প্রশ্ন করল, “বর দেয়া কী বাবা?” আমি তখন একটু অন্যমনষ্ক। ভার্সিটি জীবনে ফিরে গেছি। নষ্টালজিয়া পেয়ে বসছে আমার। নষ্টালজিয়ার সাথে বোধহয় নষ্টামীর একটা সম্পর্ক আছে। খেয়াল করে দেখেছি, যখনই উদাস মনে নষ্টালজিয়া ঘিরে ধরে তখনই নষ্টামী উদার হাতে সব কিছু নষ্ট করতে পিছপা হয়না। মেয়ে আবার প্রশ্ন করল, “বর দেয়া কী বাবা?” মেয়ের প্রশ্নে সম্বিত পেয়ে বললাম, “বর মানে husband, মা।” মেয়ে বলল, “তারমানে মুনি রাজাকে একজন husband দিল?” শিলা এই কথা শুনে রেগে বলল, “কী … কী … কী পড়াচ্ছ মেয়েকে?” এক ধমকে আমি সেই ভার্সিটির টিএসসি চত্বর থেকে সোজা বাসার সোফায় ফিরে এলাম। বুঝলাম, না বুঝে বর শব্দটার যা তা অর্থ করে ফেলেছি। কথা ঘুরিয়ে বললাম, “এই বর মানে কাউকে গিফট দেয়া বা কোন একটা কিছু চাওয়ার ক্ষমতা দেয়া।” তারপর আবার চোখের বাঁকা চাহনি দিয়ে শিলার দিকে তাকিয়ে মেয়েকে বললাম, “husband মানে বর-বর। বর্বরও বলতে পারিস। অর্থ্যাৎ একটি বর হলো গিফট বা উপহার আর অন্য বর হলো পতি… … মানে উপহারপতি… …“ কথা শেষ করতে পারলাম না। শিলা খুব শান্ত গলায় মেয়েকে বলল, “তোর আর বাংলা পড়তে হবে না। তুই ঘরে গিয়ে ম্যাথস বা সাইন্স পড়। আমি আসছি একটু পরে।”
এবার আমার কাছে এসে বলতে লাগল, “বর্বর মানে কী, শুনি?”
আমি বললাম, “আরে বর্বর মানে আমি husband দের বুঝিয়েছি wife দের তো বোঝাইনি। তোমার তো তাতে সমস্যা হবার কথা নয়। যদিও wife রাও এক কাঠি বেশি সরেস। বর্বর মনে করে বরদেরকে গৃহপালিত বানাতে জুড়ি নেই।”
“মানে?”
“মানে আবার কী? ওই husband আর husbandry এর ব্যাপার, আর কি!”
শিলা এতক্ষণে বেশ চটে গেছে। আর যাবে নাই বা কেন? আমার হেঁয়ালি তো ধরতে পারেনি এখনও। মনে হচ্ছে এই চটে যাবার কারণে এক চোট চটাচটি হয়ে যাবে। বলল, “পরিষ্কার করে বলো তো কি বলতে চাচ্ছ?”
আমি বললাম, “মানে husband রা wife দের বিবাহ করে পত পত করে ফুরফুরে মেজাজে আকাশে উড়তে থাকে, ব্যাচেলর জীবনেও যেমন করে অন্যের আকাশে উড়ত। কিন্তু ভুলে যায় যে, লাটাই আর সুতো এখন অন্য একজনের হাতে। কাবিনে সই করবার সাথে সাথেই দিয়ে ফেলেছে। সেই সুতো ধরে wife রা টান দিয়ে husband দেরকে ভূপৃষ্টে নামিয়ে এনে পালন করতে থাকে, যাকে বলে কিনা husbandry। “
শিলা আর কিছু না বলে লুচি টুচি রেখে ঘরে শুতে চলে গেল। আমি মনে মনে হায় হায় করে উঠলাম।

অভূক্ত অবস্থায় কতক্ষণ থাকতে হবে কে জানে! পেটে ছুঁচো মহাশয়রা ডন বৈঠক দিচ্ছে। অফিস থেকে ফিরে অভূক্ত অবস্থায় থাকা যে কী কষ্টকর তা ভূক্তভোগীরাই বোঝে। পেটে হাত বোলাচ্ছি আর টের পাচ্ছি পেটের ভিতর থেকে গো গো জাতীয় শব্দ আসছে। পেটকে বলতে ইচ্ছে হলো, “চুপ কর ব্যাটাচ্ছেলে। শুধু তোমার ক্ষুধা লাগেনি, আমারও লেগেছে।” শেষপর্যন্ত উপায় না দেখে মেয়ের ঘরের দিকে এগিয়ে গেলাম। দেখি মেয়ের কাছ থেকে কোন বুদ্ধি পরামর্শ পাওয়া যায় কিনা।
মেয়ের ঘরের দিকে ঢুকতেই মেয়ে বলল, “বাবা, তুমি মাঝে মাঝে মামনির সাথে লাগতে যাও কেন? দেখলে তো কী হলো!”
“ভুল হয়ে গেছে, মা। কী করা যায় বল এখন?”
“সামনে কোন অকেশন আছে, যেখানে মামনিকে গিফট দেয়া যায়?”
“আবার গিফট কেন, মা! গিফট কিনতে গেলে তো অনেক টাকার ধাক্কা।”
“বাবা, কিপটেমি করো না তো। দেখো কোন অকেশন আছে কিনা।”
আমি বলি, “হ্যা, তাতো একটা আছেই। আমার জন্মদিন।”
“তোমার জন্মদিন তো সেইদিন না হলো! আবার আসবে আট/নয় মাস পর।”
“আমার ফেসবুকিয় জন্মদিন, মানে যে জন্মতারিখটি ফেসবুকে দিয়ে রেখেছি, সেইটি।”
“ধুর! ও তো তাও তোমার জন্মদিন। তাতে তুমি মামনিকে কিভাবে গিফট দেবে! ভাবো, বাবা ভাবো।”, মেয়ে বলল।
আমি মাথা চুলকাতে থাকি। অবশেষে পেয়ে গেলাম। একটু লাফিয়েও উঠলাম। মেয়ে জিজ্ঞেস করল, “পেয়েছো?”
আমি বললাম, “হুম। ‘দেখা দিবস’। ওই দিন তোমার মামনির আর আমার দেখা হয়েছিল।”
আমি আবার সেই পুরোনো ভার্সিটির দিনগুলোতে ফিরে যাচ্ছি। মেয়ে কী বুঝল জানিনা। বলল, “তাহলে ঐ দিনই একটা ছোট অনুষ্ঠান করে মামনিকে কিছু গিফট দাও। এর মধ্যে আমি মামনিকে বোঝাচ্ছি।”
সেদিনের মত হাঁফ ছেড়ে বাঁচা গেল। মেয়ের সমঝোতায় শেষ পর্যন্ত রাতের খাবার সব ঠিকঠাক মত খাওয়া হলো।

২)
পরেরদিন সকালবেলা। নাস্তার টেবিল। ছুটির দিন। মিষ্টি রোদ উঠেছে। শিলার দিকে তাকিয়ে বললাম, “আমাদের সেই দিনগুলোর কথা তোমার মনে আছে?”
শিলা বলল, “কোন দিন?”
“ঐ যে যেদিন আমাদের দেখা হয়েছিল।”
শিলা একবার মেয়ের দিকে তাকাল তারপর আমার দিকে তাকিয়ে গম্ভীরগলায় বলল, “হুম। মনে আছে। কেন বলোতো?” শিলা কেমন যেন প্রেমময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
“না। ইয়ে মানে। তারিখটা যেন কত ছিল?” কথাটি শোনা মাত্র প্রেমময় দৃষ্টি শ্যেনদৃষ্টিতে রূপ নিয়েছে।
“হঠাৎ ঐ তারিখের কী দরকার?”
মেয়ে এবার এসে মধ্যস্থতা করল। বলল, “আমরা ঐ দিনটি সেলিব্রেট করব।”
শিলা আমার দিকে সেই শ্যেনদৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, “১৮ মার্চ”
আমি এবার মেয়ের দিকে একটি চোখ টিপে শিলাকে বললাম, “তোমার মনে আছে? কত কী আগডুম বাগডুম কথা কল্পনা ও চিন্তা করতাম সেই সময়।”
শিলা বলল, “সেসবও কি এখন তোমাকে মনে করাতে হবে?”
আমি বললাম, “না। আমার মনে আছে। আমরা বলতাম একটি বড় দোতলা বাড়ি থাকবে বাংলা সিনেমার চৌধুরী সাহেবদের মতো। আমরা দোতলা থেকে লম্বা গাউন গায়ে চাপিয়ে বিকালে বাগানে বসব চা-কফি খাওয়ার জন্য।”
শিলা বলল, “সেসব তুমি বলতে। আমি তো ছোট্ট খাট সংসারের স্বপ্ন দেখতাম।”
“ধরো আমার সেরকম স্বপ্ন যদি সত্যিই সত্যি করা যায় ঐ দিন।”
আমার কথা শুনে শিলার শ্যেনদৃষ্টি আবার প্রেমময় দৃষ্টিতে ট্রান্সফার হয়ে গেছে। মেয়েদের দৃষ্টি নিক্ষেপ পরিবর্তনের দক্ষতার তারিফ না করে পারিনা।

নির্দিষ্ট দিনে সবাই কে বলা হলো আমাদের বাসায় আসার জন্য। ইনভাইট করার কাজটা মূলত আমারই ছিল। শিলা সকাল থেকে গলদঘর্ম হয়ে রান্না করেছে। রাতে সবাই আসবে। এদিকে আমিও সেই ভার্সিটি জীবনের কল্পনার মতো তাক লাগানো গিফট দিব শিলাকে। কিন্তু বিকেল হয়ে এলো, কেউ তো আসছে না। ঘটনা কী! সবাইকে ফোন করব কিনা চিন্তা করতে করতে ফোনের মেসেজ চেক করলাম। একি! সর্বনাশ!! মেসেজে ১৮ মার্চের বদলে ২৮ মার্চ লেখা হয়ে গেছে। এখন কী হবে! ভয়ে, আতঙ্কে ও টেনশনে আমার সমস্ত শরীর ঘামতে লাগল। শেষ পর্যন্ত আর থাকতে না পেরে দুলাভাইকে ফোন করলাম।
দুলাভাই আমার সবকথা শুনে বললেন, “দেখি সবাইকে ফোন টোন করে বাগিয়ে আনতে পারি কিনা।”
আমি বললাম, “বাগিয়ে আনা সহজ না হলে, সবাই ভাগিয়ে নিয়ে আসতে হবে দুলাভাই। না আসলে জীবন মরণ সমস্যা হবে আমার”
দুলাভাই বললেন, “দেখছি, দেখছি। তুমি চিন্তা করো না।”
কথা শেষ করে আমার বেডরূম থেকে বের হয়ে দেখি শিলা দরজার বাইরে দাড়িয়ে সব শুনে ফেলেছে। আমি কিছু হয়নি এমনভাব করে রান্না বান্না ও পরিবেশনের তদারকি নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়লাম। যথাসময়ে দুলাভাই, আপা ও কিছু সংখ্যক গেষ্ট উপস্থিত হলেন। হাউজফুল না হওয়ায় শিলা আমার কাজের উপর চরম বিরক্ত। যাই হোক, খাওয়া-দাওয়ার পর অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। গিফট দেবার পালা। আমাকে দুলাভাই ইশারা দিলেন গিফটের ব্যাপারটা সেরে ফেলতে। গাড়ির ভিতরে রয়েছে গিফটের প্যাকেট। সারপ্রাইজ দেবো বলে ঘরে আনিনি। দুলাভাইয়ের ইশারায় সেটাই আনতে গেলাম। যেতে যেতে কানে এলো এক ভাবী তাঁর বর কে বলছেন, “দেখো! দেখে শেখো। বউ রাগ করেছে আর ভাই বউয়ের রাগ ভাঙানোর জন্য আস্ত একটা দোতলা বাড়ি… …”
ভাবী কথা শেষ করতে পারল না তাঁর বরের প্রত্যুত্তরে। আবার শুনলাম আরেক ভাবী আমার স্ত্রী শিলার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলছে, “ভাবী আপনার সাথে আসেন কপাল ঘষি।” আমি মনে মনে পুলকিত হতে থাকি। ভাগ্যিস বর পরিবর্তন করতে চাননি। তাহলে কেলেংকারি হয়ে যেত। গিফটের প্যাকেট নিয়ে এসেছি।

আমি বিদেশি ছায়াছবির মতো গ্লাসে টিংটিং করে বাজিয়ে টোষ্ট করে সকলের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলাম, “ভার্সিটি জীবনে শিলার সাথে প্রথম দেখা হয় আজকের এই দিনে। সেদিন সে নীল রঙের শাড়ি ও সাদা থ্রী কোয়ার্টার ব্লাউস পরেছিল। এভাবে ধীরে ধীরে আমাদের স্বপ্নের দিন গড়াতে থাকে। বাংলা সিনেমার চৌধুরী সাহেবদের দোতলা বাড়ী, গাউন ও কফি পানের দৃশ্যের কথা আমরা কল্পনা করতাম।“
অতিথিদের মধ্যে কে একজন বলে বসল, “ভাই আর উত্তেজনা সহ্য হচ্ছেনা। গিফট হ্যান্ডওভার করে দেশ ও জাতিকে এই চরম ক্রান্তিকাল থেকে উদ্ধার করেন।”
আমি প্রথমে একটি গিংফটের বক্স শিলার হাতে দিলাম। সকলের মূহূর্মূহ করতালির মাঝে শিলা খুলল বক্সটি। বের হলো দুইটি গাউন। সবাই খুশি। শিলার চোখ সকু হয়ে গেল। সেই ভার্সিটি জীবনের স্বপ্নের সত্যতা হতে চলেছে। এরপরের বক্স খোলার পালা। আপা খুললেন। বের হলো একটি কফির প্যাকেট। তুমুল সিটি বাজালেন দুলাভাই। এরপর … … এরপর উত্তেজনা চরমে। আমি আরেকটি বক্স থেকে একটি চাবির রিং বের করলাম। সকলের উৎসাহ আর ধরেনা। আমি চাবির রিংটি তুলে ধরলাম মাথার উপর। মেয়ে হঠাৎ ভীড়ের মধ্য থেকে বলে উঠল, “বাবা, চাবির রিং এ চাবি নেই কেন?” সবার উত্তেজনা মূহুর্তেই প্রশমিত হয়ে গেল এক কথায়। সবাই আমার দিকে জিজ্ঞাসু ভঙ্গিতে তাকাচ্ছে। আমি গলা খাকারী দিয়ে বললাম, “ঐ দোতলা বাড়ী তো কিনতে পারিনি। তাই আপাতত চাবির রিং, গাউন ও কফি কিনেছি। এতে কাজ চলবেনা? মানে অনেকটা নাকের বদলে নরুণ আর কি!”
শিলার দিকে একবার আড়চোখে চাইলাম। কেমন করে যেন আমার তাকিয়ে আছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মাইদুল সরকার অভিনন্দন।
ভালো লাগেনি ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ফয়জুল মহী অনবদ্য প্রকাশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

এই গল্পটি একটু রম্য ধাঁচে লেখা। স্বামী বেচারা সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সামন্জস্যতা মিলাতে পারেনি। ভার্সিটি জীবনের প্রেমের সময়ে প্রতিশ্রুতির প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি।

১৩ এপ্রিল - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ১৯ টি

সমন্বিত স্কোর

৪.৪

বিচারক স্কোরঃ ১.৪ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ৩ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪