আমারই হাত ধরে একদিন গঙ্গা হয়েছে পদ্মা
আমারই স্পর্শে সবুজ মাঠে ফুটেছে রক্ত জবা
আমারই চোখের পলকে ঢোলকলমির ফুল
হাওয়ায় দুলেছে
নৌকার ছলাৎ ছলাৎ শব্দে কাশবনে মাছরাঙা চোখ খুলেছে।
সেই যখন আমারই পথের দু’ধারে ভোরের শিউলি পথ দেখালো
পলাশের রাঙা আর ভাষার দাবীর রক্তলাল একাকার হয়ে গেল।
তখন কী আমার বা আমাদের সম অধিকার দিতে নেই রাষ্ট্রযন্ত্রের?
সংবিধান যদিও সমতা বিধান করেছে গণতন্ত্রের।
তাহলে বৈধ বা অবৈধ অর্থ কেন মাপকাঠি হয় অধিকারের?
কেন তবে কারোর অর্থে অর্থবান হয় বিশাল প্রাসাদ?
কেনই বা আমার জীবনের কোন অর্থ নেই এই পোড়া দেশে, ঠিকানা ফুটপাত?
কেন এখনও শঠ তঞ্চকে ভরা বিষাক্ত পরিবেশ?
কেন মানুষে মানুষে এত ভেদাভেদ চেতনার এত ছদ্মবেশ?
ভোগের লক্ষ্যে গড়ে ওঠে নগর, আলোহীন বদ্ধ চারপাশ
ত্যাগির রক্তে রন্জিত রাজপথ আজও বারোমাস।
শ্রেনী বৈষম্য প্রতিদিন মাথা খুঁটে মরে যন্ত্রণার
চিৎকার
সম শ্রেনীর সমতা বিধানই নাকি সমান অধিকার।
ওই দেখ তোমাদেরকে বিদ্রুপ করে পতাকা, দু:খিনি বর্ণমালা
কবে হবে শোষনহীন সমাজ, বন্চনাহীন সোনার বাংলা।
আমার, আমাদের বা আমাদের পুর্বপুরুষের হাত ধরে ও ত্যাগের মাধ্যমে এ দেশের সকল ভাল হয়েছে। তাহলে কেন আমার দেশের মানুষ আজ অসহায় সেই সব দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা মানুষের কাছে। কেন আমরা সবাই অন্য টাকা ওয়ালা বা ক্ষমতাওয়ালা মানুষের কাছে হাতের পুতুল। দেশ তো সবার। কেন অসহায় মানুষ আজ শ্রেণী বৈষম্যের কারনে। এটাই এই কবিতার মূল বিষয়।