অন্যরকম গোলাপ

ভালবাসা (ফেব্রুয়ারী ২০১১)

খালিদ ফারহান
  • ৮৬
  • 0
  • ৪১
দুই বন্ধু ওরা, অনীতা আর অগ্র।বন্ধুত্বটা সেই ক্লাস ৭ থেকেই। ওরা পাশাপাশি বাসায় থাকতো।আসলে এখনও থাকে। ওদের আম্মুরা কলেজ থেকেই বন্ধু, সেভাবেই ওদের পরিচয়, বন্ধুত্বর শুরুও হয় ওভাবেই। প্রথম প্রথম অনীতা অন্য স্কুল এ পড়লেও পরে দুজনের মা ই ভাবলেন যে যেহেতু এতো বন্ধু মানুষ উনারা, উনাদের ছেলে-মেয়ে রাও যদি হয় বন্ধু তো ক্ষতি টা কি। সেই চিন্তা থেকেই অনীতার মা ক্লাস ৭ এই অনীতাকে অগ্রর স্কুলে নিয়ে আসে। সেটাই আসলে আমাদের কাহিনীটার শুরু…………
যাই হোক।।টানবো না কাহিনী… আমরা এখন মূল কাহিনীটায় চলে যাই… এখন ওরা পড়ছে ক্লাস ৯ এ। ক্লাস ৯ এর কথা…………………
এখন আর অগ্র শুধু অনীতার বন্ধু না, গার্জিয়ান এর মতো। এতো ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে এখন ওদের মধ্যে যে কেউ ই কাউকে ছাড়া থাকতে পারে না বেশিক্ষণ। অনীতা তো খুব ই চঞ্চল মেয়ে, তাই প্রত্যেক দিনের সব ঘটনা ওর বলতেই হবে অগ্রকে।এদিকে অগ্র আবার চুপচাপ স্বভাবের ছেলে হওয়ায় ওর খুব একটা বন্ধু হয় নি জীবনে।এজন্যে ওর অজান্তেই আসলে ওর জীবনটা অনীতা কেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছে। তো দুজন সারাক্ষণ একসাথে থাকলে যা হয়, ওদের নিয়ে দুইটা বছর খুব ই বাজে ভাবে কথাও ছড়িয়েছে স্কুল আর কোচিং এ। কিন্তু একটা সময় আসলে সবাই ই বোঝে ওদের বন্ধুত্ব টা।
ওহহো... আসল কথাই তো বলা হয় নি। অগ্রর ছোটবেলা থেকেই একটা সমস্যা আছে। ও বলতে পারে না। না না, ও কথা বলতে পারে কিন্তু আসলে ও কিছু ওভাবে চাইতে পারে না। কেন এই ব্যাপারটা হয় ও বোঝে না। একা যখন থাকে রুমে, ভাবে মাঝে মাঝে—কি সমস্যা আজব। পারি না কেন বলতে। কিন্তু কি আর করা। এটা আসলে হয়েছে মূলত একাকীত্ব থেকে।ছোটবেলা থেকেই অগ্র আসলে অনেক একা।ওকে একা রেখে চলে যেত ওর বাবা-মা সকালের দিকেই। তারপর পুরো দিনটাই একা। ছোটবেলা থেকেই এই ব্যাপারটা চলায় অগ্র কেমন যেন হয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ, বাইরে দিয়ে লক্ষ্মী ছেলে, কোনো বাজে কাজ নেই। কিন্তু ভেতর থেকে আসলে ভেঙ্গে পরা একটা ছোট্ট ছেলে ও। এ কারণেই ওর মনের এক্কেবারে কোণাতে লুকানো কথাগুলো কেউ জানে না। হ্যাঁ, শুধু ওর ডায়েরী ছাড়া।অনেক গোপন কথার সাথে ডায়েরীতে লুকানো আছে আর একটা কথা।“আই লাভ ইউ,আনীতা”।
হ্যাঁ, এই কথাটা অগ্রর জীবনের সবচেয়ে মন থেকে বলা কথা, সব কিছু দূরে সরিয়ে রেখে বলা “অনী শোন্, আমি না……… তোকে সত্যিই অন্নেক ভালবাসি রে… অনেক বেশি।”
অগ্রর মনে লুকানো একটা গোপন স্বপ্ন এরকম……… একদিন অনী কিভাবে কিভাবে যেন পড়ে ফেলবে ডায়েরী টা। সব বুঝে যাবে ও। এরপর আর কোনদিন ই লুকিয়ে লুকিয়ে, ওখানে লিখতে হবে না কথাগুলো। তখন তো অনী থাকবেই। ওর কাছেই বলব সব। ও ই আমার সব না?
একদিন দুপুরের দিকের কথা………
অগ্র বসে মোবাইল চাপছিল। এমন সময় দরজা দিয়ে হুড় মুড় করে ঢুকল অনীতা।
-অগ্র,ওই অগ্র……
-হুম,বল।
- রে শুন না আজকে কি করলাম… আজকে আমি ফেসবুক এ একাউন্ট খুললাম। ভাবলাম খুলেই ফেলি, সবার ই আছে। যত যাই হোক, তোর মত বসে থাকার থেকে তো ভাল।
আর শুন, আমি খুলছি… so তুমিও খুলবে। ওকে?... গেলাম আমি।
এই বলে যেভাবে আসলো, সেভাবেই হন্তদন্ত হয়ে চলে গেলো অনী।
এদিকে কি আর করা। অনী বলেছে, তাই একাউন্ট খুলতেই হবে। পিসি ছেড়ে শুরু করলো অগ্র।তখনও বোঝেনি ও, কিভাবে স্বপ্নগুলো নষ্ট হওয়া শুরু হল ওর আজ থেকে।
পরদিন সকাল থেকেই অগ্রর জ্বর জ্বর ভাব।শুয়েই থাকল সারাদিন ও।সন্ধ্যা হয়ে গেলো তবুও অনী একবারও খবর নেয়নি দেখে অবাক হয়ে ফোন দিল অগ্র অনীতা কে…
-কিরে অনী, সারাদিন একটা খোঁজ ও নিলি না? কি করিস?
-কিছুনা… ওই, আমি রাখি রে… ফোন আসছে একটা। টাটা…
অবাক হয়ে কেটে যাওয়া ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকে অগ্র।
এটা ছিল অনীতার বদলে যাওয়ার শুরু………
প্রায় ৪৫মিনিট পর ফোন দিলো অনীতা।ফোনের মধ্যে হাসছে ও।
-ওই, হাসিস ক্যান?
-আর বলিস না রে, এক ছেলে, নাম কাব্য।ওর সাথে কথা বলতে ছিলাম… ফেসবুক এ পরিচয়……
-মানে?
ভুরু কুচকে জিজ্ঞেস করল অগ্র।।
- রে বলিস না, ও এতো মজা করে কথা বলে, ফোন রাখতেই মন চায় না… পাগল একটা।
ততক্ষণে কান্নার ভাব এসেই গেছে অগ্রর। “ও” বলেই ফোন টা রেখে দিল তাই ও।
চুপ হয়ে বসে থাকল অগ্র। হতে পারে অনেক বন্ধু নেই ওর কিন্তু ছেলেদের ও ভালই চিনে।আর ওই ফেসবুকে তো ছেলেরা বসেই থাকে মেয়ে পেতে।এক ফ্রেন্ড বলেছিল অগ্রকে। এসব ভেবে অনীর ব্যাপারে অনেক চিন্তা হয় ওর। টেনশনে থাকতে না পেরে কিছুক্ষণ পর অনীতা কে ফোন দেয় অগ্র। কিন্তু ফোন ওয়েটিং। অনেকক্ষণ বেজে কেটে যায় ওটা।
এদিকে অনীতার দিক থেকে দেখে আসা যাক ব্যাপারগুলো…
আজকে ছুটির দিন। সকাল থেকেই নেট এ অনীতা।দুই দিনেই ওর ফ্রেন্ড এখন ৩৩৯ জন। মজাই তো। জমিয়ে আড্ডা চলছে ওর নেট এ। মাঝে মাঝে অগ্রর কথা মনে পরছে না তা নয় কিন্তু মোবাইলে মেসেজ আসছে কাব্যর। এর মধ্যে কল তো আর দেয়া যায় না।
বিকেলের দিকে ছাদে আসলো দুইজন।অগ্র-অনীতা।
অগ্র এর মধ্যেই খবর নিয়েছে ফেসবুক এর সমস্যাগুলোর ব্যাপারে ওর বন্ধুদের কাছ থেকে।ওর চিন্তা হল যে ভাবেই হোক, আজকে বোঝাবে ও অনীতা কে। এ জন্যই এভাবে ছাদে আসা।
-অনী, শোন।
- হুম… কি? মোবাইলের দিকে চোখ রেখে বলে অনীতা।
- ওকে, ঠিক আছে।আমরা করব ইউজ ফেসবুক কিন্তু দ্যাখ, এভাবে অচেনা মানুষ বন্ধু বানানোর তো দরকার নেই। স্কুলের সবাইকে এ্যাড দে।
- দ্যাখ অগ্র, তোর ও তো আছে একাউন্ট। তুই ইউজ কর না… সমস্যা কি?
বলতে বলতেই ফোন বেজে উঠলো অনীতার।মেসেজ এসেছে।
”কে রে?” জিজ্ঞেস করে অগ্র।
-রে আর বলিস নাহ… কাব্যর এক ফ্রেন্ড…… খালি মেসেজ দেয়।
-মানে হয়? তুই কি সবাইকে নাম্বার দিয়ে বেড়াস নাকি?
-রে… কি হয় দিলে…… ও তো পরিচিতই… কাব্যর ফ্রেন্ড। আর এমনিই তো দেই নি। চাইলো, তাই… আর তুই এমন ভাব করতে ছিস জানি তুই আমার প্রেমে পড়ে বসে আছিস।এগুলো কি অগ্র?
- কিন্তু দ্যাখ অনী, প্রব্লেম হতেই পারে কিন্তু… তুই একটা মেয়ে, একটু প্রাইভেসি থাকলে প্রব্লেম টা কি?
- অগ্র? কি প্রব্লেম? বল!!
- না মানে…… আমতা আমতা করে উঠলো অগ্র… ধ্যাত…বাদ দে…প্লিজ।
-হিহি… দেখলি… কোনো প্রব্লেম ই নাই… ওকে?
ছাদ থেকে বেরিয়ে যেতে গিয়েও আবার ফিরে আসে অনীতা…
- অগ্র শুন।
- হুম বল।
- একটা ব্যাপার… মানে… শুন না…… কাল আমাকে নিয়ে একটু বের হবি?
- কি ব্যাপার?
- না মানে…কাব্য যেতে বলল কে এফ সি। এই শুন না…… মনে হয় ও আমাকে কালকে প্রপোজ করবে রে……হাসি হাসি গলায় বলে উঠলো অনীতা।
- আরে? অনী? পাগল হয়ে গেছিস? একটা ছেলে কে তুই চিনিস ও না… ওর সাথে তুই ডেট এ যাবি?
- আরে…… ডেট না রে। ওর ফ্রেন্ড রাও থাকবে… আর চিন্তা করবি না তো… ও একটা ভাল ছেলে। কিছু হবে না…
- ও।
আর কিছু বলতে পারে না অগ্র। প্রায় দৌড় দিয়েই চলে যায় ও। ও বুঝে ফেলেছে, চলে যাবে ওর অনীটা।
পরদিন সকালের দিকেই অনীর ফোন।
- ওই অগ্র, বাসায় আয় না। কথা আছে।
-আসি।
বাসায় যায় অগ্র ওর।ওকে দেখেই খুশি খুশি গলায় বলে অনীতা।
- অগ্র, কাল রাতে কথা হল অনেকক্ষণ কাব্যর সাথে। আমি শিওর বুঝলি……
ও আমার জন্যে পুরা পাগল রে…… আজকে আমি অনেক খুশি অগ্র। ছোটবেলা থেকেই আসলে এই স্বপ্ন দেখেছি বুঝলি, একটা ছেলে, পাগলের মত ভালবাসে আমাকে… আমাকে নিয়ে পাগলামি করে এভাবে… আমি আজকে অনেক খুশি রে। অন্নেক।
অগ্র চিৎকার করে বলতে চায়… “না অনী, যাবি না তুই। আমাকে বুঝিস না তুই? লক্ষ্মী মেয়ে না? আমি তোকে অনেক অনেক……………”
অগ্র আর কি বলবে। চোখের পানি ই লুকাতে পারে না ও।একটু সামলে নিয়ে বলে।
- তারপর ও অনী। ছেলেটা তো অচেনা…………
- রে ধ্যাত। ওই শুন… তুই কিন্তু যাবি আমার সাথে… ওকে?
-না রে… আমি যেতে পারব না… অই… হ্যাঁ… আ…… আমাকে জানাবি কিন্তু রাতে, ওকে? আমি,আমি যাই রে।
বলা যায় পালিয়েই চলে আসলো অগ্র ওখান থেকে। জীবনের আর কি ই থাকল? অনেক কষ্ট লুকিয়ে রাতের অপেক্ষা শুরু করে অগ্র।রাত ৮টার দিকে অনীতার ফোন।
- হুম, বল।
- অগ্র, এই। কান্না কান্না ভাবে বলে অনীতা।
- হ্যাঁ, কি? কি হইসে?
- অগ্র… আমি হ্যাঁ বলে দিয়েছি…… ইয়েইয়েয়েয়ে…… হিহি……
- ও…
মাথা নিচু করে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলল অগ্র…
না না, অনী বোঝেনি কিছুই। ফোনটা তো আগেই কেটে দিয়েছে ও।
কিছুক্ষণ পর ই বাসায় বেল বাজল। রুম থেকেই অগ্র বুঝল অনীতা এসেছে। চোখ মুছে উঠে দাঁড়ালো ও।
- কি রে অগ্র… ফোন কাটলি কেন?
- অহ, হেহে। আর বলিস না তো, যে ফোন আমার।খালি নেটওয়ার্ক চলে যায় রে। কি জানি বলছিলি?
- অগ্র, আমি এখন রিলেশন এ…
অগ্র বুঝতে পারছে ওর কিছু বলা উচিত। কিন্তু আজব, কিছু বের ই হয় না ক্যান মুখ দিয়ে। ও আমার সবচেয়ে আপন মানুষ। ও আজ খুশি, আমিও হব খুশি। কিন্তু কথা বলতে পারি না কেন? আরে, চোখে আবার কি হল আমার, ভিজে যায় কেন যেন। অনীতা, কই তুই? এই? কিছু দেখছিনা আমি। আরে, আমার কি হল…………………………
এরপর থেকেই আসলে তিন বছরের এই সুন্দর বন্ধুত্বটা কেমন যেন হয়ে গেল ওদের।
দুই সপ্তাহ পরের কথা.........
দুই সপ্তাহে পুরাই বদলে গেছে অগ্রর লাইফ স্টাইল। শুয়ে ছিল ও রুমে। cigarette টা ধরায় নি... কিন্তু হাতে ছিল। এমন সময় রুমে ঢুকল অনিতা।কেমন যেন মরা মরা ভাব। হাতের দিকে তাকাল ও না একবার। অগ্রর চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, “আমার break up হইসে অগ্র।i am sorry, তোর কথা না শোনার জন্যে।” বলতে বলতে হাউ মাউ করে কেঁদে দিল অনিতা।
- অনি, এই অনি, থাম না। কিছু হবে না। বস। এই শোন। চুপ। আমার কথা শোন। কি হইসে?
- ও... ওর সাথে ঝগড়া হইসে। ও না বলে যে আমাদের সব ছবি, momment net এ ছেড়ে দিবে। ও নাকি আমার সাথে মানাতে পড়তেছে না। আমি নাকি বড় হই নাই এখনো।
- ওর নাম্বারটা দে। এখনি দে।
“না রে।” কাঁদতে কাঁদতে বলে অনি।“কাউকে কিছু বললে ও এখনি সব net এ ছেড়ে দিবে। আমি শেষ হয়ে গেছি রে। এখন আমাকে কে নিবে বল?”
ওর মাথায় একটু হাত বুলিয়ে অগ্র বলল, “কোন চিন্তা করিস না তো সোনা। believe me, সব ঠিক হয়ে যাবে। তুই বাসায় চল। একদম কান্না বন্ধ। সন্ধ্যায় তোকে একটা surprise দিব। ok? ততক্ষণ no কান্না। যাও।”
ওকে বাসায় দিয়ে দৌড়িয়ে বের হয়ে আসলো অগ্র। ও ঠিক করে ফেলেছে। না আর না। আজকে ও বলে ফেলবে সব কিছু। কত ভালবাসে ও। কিন্তু এখন না। সুন্দর ভাবে।সন্ধ্যায়। অনিতার কষ্ট গুলো ভুলাতে হবে। এজন্য ঠিক মত এগুতে হবে। অনেকদিন পর জোশ নিয়ে তৈরি হয়ে দৌড়ে বের হয়ে গেলো অগ্র বাসা থেকে।প্রথমে ফুল কিনবে, তারপর চকলেট। অনিতার চকলেট অনেক পছন্দ। আর কি?? উম... একটা কার্ড? না, কার্ড না। একটা teddy bear. হ্যাঁ এটা ঠিক আছে। সারাদিন লাগলো অগ্রর কিনতে। ফুলের দোকানদারকে বলল, “ভাই একটু ঠিক মত গুছিয়ে দেন না। আজকে আমার life এর সেরা দিন হবে। আমার জন্য দোয়া করবেন। আচ্ছা?” দোকানিও খুশি হয়ে গেলো। সন্ধ্যা হবে হবে করছে। দৌড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠল অগ্র। হাতে ফুল, চকলেট আর বড় একটা teddy bear. “এক কাজ করি। এগুলো আমার ঘরে সাজাই। তারপর ওকে নিয়ে এসে propose করবো।“ মনে মনে ভাবল অগ্র। “কিন্তু কি ভাবে করবো?” এক হাঁটু গেড়ে practice করে নেয় ও একবার।
“শুন অনি, আমার অনেক কষ্ট লাগছিল যখন তুই কাব্যর সাথে relation এ গেছিস। আমি বলতে পারি নি কখনও। কিন্তু এখন বলি তোকে। আমি তোকে অনেক ভালবাসি সোনা। অনেক বেশি। তুই ই আমার life. আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারি না রে। হয়তো এই কথা বলার জন্য অনেক ছোট আমি। তারপরেও, will you marry me লক্ষ্মী?”
হ্যাঁ ঠিক আছে। এভাবেই বলবো। এই ভেবে bell বাজায় অগ্র অনিতার বাসার। “উফ, আজকে পাবো আমি ওকে।”
দরজা খুলে দেয় কাব্য।
-hi অগ্র। অনিতার সাথে দেখা করতে আসছ? আসো। ও আছে।
- কি, মানে তুমি এখানে? মানে, u guys...?
-আরে হ্যাঁ বাবা, relation এ তো problem হয় ই। it’s ok now. আমি মানায় ফেলেছি ওকে। ততক্ষণে অনিতা চলে এসেছে কাব্যর পাশে। অনিতাকে জড়িয়ে ধরে কাব্য। অনিতা বলে, “হ্যাঁ কাব্য জানো, আমিতো সকালে অগ্রর কাছে গিয়ে যে কান্না। হিহি। পাগল একটা আমি।
কিছু বলে না অগ্র। দুইজনের দিকে তাকায় একবার। তারপর ও আচ্ছা বলে রুমে চলে আসে ওর।teddy bear আর চকলেটগুলো টেবিলে সাজানো এখনো।লাল ফুলগুলো কিভাবে যেন মাটিতে পড়ে গিয়েছে। “আচ্ছা গোলাপগুলো একটু কম লাল লাগছে না? কি problem ওটায়?” এগিয়ে যায় অগ্র।drawer থেকে ব্লেড বের করে বাম হাতের মাঝের দিকে দুইটা টান দেয় ও।
এগুলো অনিতার জন্য কেনা গোলাপ। এগুলো এতো কম লাল হলে হয়?
** পরদিনের কথা-
হাসপাতালে ঘুম টা ভাঙল অগ্রর। ডান হাতে বাজে দেখতে একটা সাদা ব্যান্ডেজ। মনে পরে গেলো ওটা দেখে ওর কালকের কথা। হায়রে অনী, ঠিক আছে। ভাল থাকিস তুই। এই ই তো চাইতে পারি। আর কি…
বাসায় এসে চকলেট, ফুল অগুলো আর ডায়েরী টা একটা প্যাকেটে ভরে রেখে দিল ও। লাগবে না এগুলো কোনোদিন ই আর, তাই বলে ফেলে দিব নাকি। অনীর জন্যে কেনা না?
এক মাস পর…
বাজে আর আজব লাগলেও এইই সত্যি যে এখন আর অগ্র অনীর কথা ভাবে না, ভাল লাগেনা ভাবতে। বন্ধু হয়ে গিয়েছে অনেক বাজে ছেলের। না না, নেশা করে না ও এখন ও কিন্তু যেরকম দেখছি,যে কোনোদিন ই করে বসবে। সবাই ই বুঝতে পারে যে এই অগ্র অই অগ্র না…
এদিকে অনীতা আবার অন্য মজায় আছে। অনেক বন্ধু,কাব্য তো আছেই। ওদের নিয়েই যায় ওর সময়। অগ্রর কথা এখন আর অত ভাবতে ও পারে না ও। সময় ই বা কই ভাবার। আর ও সবসময় ভাবে যে অগ্র ও তো খোজ নেয় না একবার, কিন্তু অগ্রর যে কি অবস্থা তা ও জানে না। আমাদের এই গল্পে ও জানবে ও না কোনোদিন। ওই বন্ধুত্ব টা, ওই দুজনের সুন্দর সময়গুলো এখন আর কেউ মনে ও করে না।
সময় তো আর থেমে থাকে না……..
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মো: শরীফুল ইসলাম ইয়াদুল বাস্তবতার সাথে গল্পের মিল কিছুটা তাই ধন্যবাদ আপনাকে.
HREDOY মন খারাপ হয়ে gelo
Rajib rezwan ভাল লেগেছ ! বেসি কল্পনা প্রবন পোলাপান এর শিক্ষা নেয়া উচিত ।
বিষণ্ন সুমন শুভকামনা রইলো
ভালো লাগেনি ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
খালিদ ফারহান thnx to all bhaia and apu for supporting me.... i thank all of you a lot ...... your appriciation will help me a lot.....thank you
ভালো লাগেনি ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
আমি ভালই লাগলো
সুমন সময় তো আর থেমে থাকে না……..

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪