পিছনে ফেলে আশা সময়

অস্থিরতা (জানুয়ারী ২০১৬)

মোহাম্মদ আলম
১.

কিরে অনিক ইন্টারভিউ দিতে যাবি না ? অনিকের বন্ধু রাফি , অনিককে বললো। অনিক শুনলো বলে মনে হয় না। রাফি দেখলো অনিক গভীর চিন্তায় মগ্ন। রাফি এবার একটু জোরে আগের কথা গুলোই বললো। অনিকের চিন্তা ভঙ্গ করে বললো , গিয়ে কি হবে বল ? এতো ইন্টারভিউ দিলাম চাকরি তো হচ্ছে না। রাফি বললো, হতাশ হইস না হয়ে যাবে দেখিস। অনিক বললো, হুম। তোদের হয়ে গেছে তো তাই এখন তো এসবই বলবি।

যাই রে বলে রাফির কাছ থেকে যেন দ্রুতই চলে গেল অনিক। অনেকটা পালিয়ে যাবার মতো। কি যেন হয়েছে অনিকের। অনেকদিন ধরেই অন্যমনস্ক থাকে ও। অনেকদিন হয়েছে পাস করলো এখনো চাকরি হচ্ছেনা তাই দিনদিন হতাশাগস্থ হয়ে পড়ছেও।


অনিক চলে যাওয়ার পরেই আশিক আসলো। কিরে রাফি ? অনিক আসে নাই এখনো ? এসেছে আবার চলেও গেছে। কেন ? জানতে চাইলো আশিক। জানিনা রে অনেকদিন ধরেই দেখছি কেমন জানি অন্যমনস্ক থাকেও। আগে কিন্তু ও এমন ছিলো না অনিক , আশিক কে বললো রাফি। হা ঠিকই বলেছিস। ও তো আমাদের গ্রুপের সবচেয়ে হাসি-খুশি, প্রানচঞ্চল একটা ছেলে ছিলো। গ্রুপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি একটিভ একটা ছেলে ছিলো। কি হইছে ওর একটু কথা বলে যান , রফিকে বললো আশিক।


আশিক , রাফি , অনিক , মারুফ ও ইমন এই ৫ জনের মধ্যে শুধু অনিক এখনো চাকরি পায়নি। ৫ জনই একই সাথে পড়ালেখা শেষ করেছে। সবাই চাকরি পেলেও অনেকদিন হয়ে যাওয়ার পরেও অনিকের কেনো জানি চাকরি হচ্ছে না। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে দ্রুত কিন্তু অনিক যাচ্ছে সবার থেকে পিছিয়ে।


২.

অনিক বাসার বড় ছেলে তাই দায়িত্বটাও অনেক বেশি। অনিকের বাবা নেই। মা আর ভাই , বোন নিয়ে অনিকের পরিবার। অনিকের বাবা না থাকায় ওর মা ওদের ভাই, বোনকে কষ্ট করে মানুষ করছে। ভেবেছিল অনিকের পড়ালেখা শেষ হলেই কষ্ট শেষ হবে কিন্তু না এই কষ্ট বুঝি শেষ হবার নয়। অনিক প্রথম দিকে অনেক আশাবাদী হলেও ধীরে ধীরে মনের ভিতরে জলা আশার আলোটা নিভতে বসেছে।


সময়ের সাথে সাথে অনিক ওর বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। অর বন্ধুরা প্রথম প্রথম চেস্টা করলেও পরে হয়ত অভিমানে দুরে সরে যেতে থাকে। একটা সময় পরে অনিকের সাথে সবার যোগাযোগই বন্ধ হয়ে যায়। হয়তো খারাপ সময় সবাইকে দুরে সরিয়ে দেয়। প্রকৃতির কঠিন সত্য মেনেই সবাই হারিয়ে যায় অনিকের জীবন থেকে।


৩.

তারপর অনেক বছর কেটে যায়। হঠাত একদিন রাফি একজনকে দেখতে পায় যাকে অনেকটা অনিকের মতো দেখতে। একটু উস্কখুস্ক চুল, খোচা খোচা দাড়ি , কেমন যেন ময়লা জামা পড়া। রাফি ডাকলো এই অনিক। অনিক হয়তো শুনলো কিন্তু সাহেবের মত জামা- কাপড় পরা একজনকে নিজের বন্ধু বলে এগিয়ে যাবার মত অবস্থা হয়তো অনিকের নেই। তাই , অনেকটা না শুনার ভান করেই ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যায় অনিক।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ আলম আমাকে কি কেউ পত্রিকায় গল্প পাঠানোর ঠিকানা বলতে পারবেন ?
ভালো লাগেনি ২৮ জানুয়ারী, ২০১৬
রিপন কুমার রায় এক কথায় অসাধারন গল্প।
ইমরানুল হক বেলাল সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন বন্ধু , ছাএ জীবন শেষে কারো কারো এরকম হয়ে যায়। শুভেচ্ছা জানবেন আল্লাহ্ হাফেজ।
ভালো লাগেনি ১০ জানুয়ারী, ২০১৬
Thnx ..dua korben :)
ভালো লাগেনি ২৭ জানুয়ারী, ২০১৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা গল্প ভালো হয়েছে , শুভকামনা থাকলো
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ হৃদয়টা মোচড় দিয়ে উঠলো আপনার মর্মস্পর্শী গল্পটা পড়ে ! দারুন লিখেছেন ! খুব ভাল লাগল ! ভোট দিয়ে গেলাম !
রুহুল আমীন রাজু ছুটো গল্প , বড় প্রেক্ষাপট ...... ভালো লেগেছে . আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইলো .
ফয়েজ উল্লাহ রবি খুব ভাল লেগেছে,শুভেচ্ছা রইল।আর ভোট রেখে গেলাম।
গোবিন্দ বীন ভাল লাগল,ভোট রেখে গেলাম।পাতায় আমন্ত্রন রইল।

১০ ফেব্রুয়ারী - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪