একদিন বর্ষায়....

বর্ষা (আগষ্ট ২০১১)

ইউসুফ খান
  • ২৯
  • 0
  • ৫৫
আবার শুরু হলো বৃষ্টি। বর্ষাকালের এই এক প্রধান বৈশিষ্ট্য। বলা নেই-কওয়া নেই, হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু। সকালেও আকাশটা পরিষ্কার ছিল। মেঘের নাম-গন্ধও ছিলো না । ভাবছিলাম, বের হবো ঠিক সেই মুহূর্তেই দুনিয়া কালো করে বৃষ্টিটা নামলো। সে কি বৃষ্টি! বাইরে কিছুই দেখা যায় না।
কি আর করা।
কিছুক্ষণ বাইরে চেয়ে থেকে জানালাটা বন্ধ করে দিলাম। খারাপ হয়ে গেল মেজাজটা।
আজ এক যায়গায় যাওয়ার কথা ছিলো। না গেলে বিরাট ঝামেলা হয়ে যাবে। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। যেই বৃষ্টি তাতে ছাতা নিয়েও বের হওয়া যাবে না।
শুধুমাত্র এই একটা কারনেই বর্ষা ঋতুটাকে আমার একদম ভাল লাগে না। বর্ষা মানেই বৃষ্টি। আর বৃষ্টি মানেই ঘর-বন্দি হয়ে থাকা। হুট-হাট করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। কোথাও বের হওয়া যায় না। রাস্তায় হাটুঁ পানি জমে যায়। ক্লাসেও যাওয়া যায় না। সারাটা দিন চুপচাপ ঘরে বসে থাকতে হয়। এর চেয়ে বিরক্তিকর কিছু কি আর আছে? আমি তেমন সাহিত্যিকও না যে, বৃষ্টির দিনে ঘরে বসে কবিতা বা গল্প লিখবো। মাঝে মাঝে মনে হয় এই বর্ষা ঋতুটা না থাকলেই ভাল হতো। পাঁচটা ঋতুই যথেষ্ট। বৃষ্টি বাদলা হতো না। রাস্তা-ঘাঁট ঝকঝকে থাকতো। যখন ইচ্ছা ঘর থেকে বের হওয়া যেতো।
যা হোক, এসব কথা ভেবে কোন লাভ নেই। খাটের উপর বালিশে হেলান দিয়ে বসলাম। ঘড়িতে দেখলাম বিকাল ৪টা। অথচ বাইরে তাকালে মনে হয় সন্ধ্যা ৬টা বেজে গেছে। বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় রইলাম।
........................
কতক্ষণ এভাবে ছিলাম জানিনা, হঠাৎ খুব পরিচিত একটা গলার শব্দে তন্দ্রা ভাবটা কেটে গেলো। উঠে বসলাম। দেখি, গনি চাচা আমার সামনে দাড়িয়ে আছেন। মুখে ম্লান হাঁসি।
গনি চাচা কখন এলো কিছুই টের পাইনি। যাই হোক, সালাম দিয়ে বললাম- কখন এলেন চাচা?
গনি চাচা বললেন- এইমাত্রই এলাম ভাতিজা। চলো, তোমারে নিয়া একটু বাইরে যাবো।
আমি শরীর ঝাড়া দিয়ে উঠে বললাম- ঠিক আছে চাচা, আপনি বাইরে অপেক্ষা করেন। আমি আসছি। বলে বাথরুমে গেলাম হাথ-মুখ ধুতে।
বাথরুম থেকে বের হবার সময় ভাবছিলাম, গনি চাচার কথা। আমরা গ্রামের বাড়িতে গেলে উনিই সবার আগে দৌড়ে আসেন আমাদের খোঁজ নিতে। আমার দাদার সাথে উনার বাবার খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো। সে সুত্রেই তাকে আমরা চাচা ডাকি। খুবই ভালো মানুষ গনি চাচা। যত বিপদ-আপদ বা ঝামেলাই হোক না কেনো, তার মুখে সবসময় একগাল হাঁসি লেগেই থাকে। আমি গ্রামে এলে উনার সাথেই বেশিরভাগ সময় ঘুরে বেরাই। নৌকায় ঘুরতে আমি খুব পছন্দ করি। তাই গ্রামে এলেই গনি চাচা আমার জন্য একটা নৌকা ঠিক করে রাখেন আর বিকেলে নিজেই আমাকে নৌকায় বসিয়ে দাঁড় টানেন। আমার চেয়ে বয়সে দ্বিগুণ হলেও গনি চাচা আমার সাথে সম্পূর্ণ অন্যরকম। পারিবারিক সমস্ত ঝুঁট-ঝামেলার কথা তিনি আমাকে বলেন। সমস্যায়ে পরলে সমাধানের উপায় জানতে চান। আমিও তাকে যথাসাধ্য সাহায্য করি। গনি চাচা পেশায় একজন কৃষক। তার আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। মানুষের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেন। তাতে তেমন লাভ হয়না। স্ত্রী আর ৫ বছরের একটা ছেলেকে নিয়ে খুব অসহায় দিন কাটান তিনি। মাঝে-মধ্যে দুই-একবেলা না খেয়ে থাকলেও কখনো কারো কাছ থেকে তিনি করুনা নিতেন না। আমি মাঝে মাঝে তাকে টাকা-পয়সা সাধলেও কখনই তিনি তা গ্রহন করেন নি। পাঁথরের মতো একটা মানুষ।
যাই হোক, এসব ভাবতে ভাবতে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। গনি চাঁচাকে জিজ্ঞেস করলাম- কোথায় যাবেন চাঁচা?
উনি একগাল হেঁসে বললেন- চলো, তোমাকে একটা জিনিষ দেখিয়ে আনি।
দুজন হাঁটতে শুরু করলাম। আকাশ মেঘলা। বৃষ্টি কখন থামলো বুঝলাম না। গ্রামের একমাত্র প্রাইমারী স্কুলটার সামনে দিয়ে যাবার সময় লক্ষ করলাম স্কুলের মাঠটা ফেটে একেবারে চৌচির। বর্ষাকালেও মাঠের এই অবস্থা কেনো, বুঝলাম না। হাঁটতে হাঁটতে এরকম আরও কয়েকটা মাঠ আর ফসলের ক্ষেত চোখে পড়লো। সবগুলোর একই অবস্থা। খুব অবাক হচ্ছিলাম।
ব্যাপার কি? এখানে কি বৃষ্টি হয়নি নাকি?
গনি চাচাকে জিজ্ঞেস করতে যাবো ওমনি হঠাৎ একটা পাঁথরেরে সাথে হোঁচট খেলেন গনি চাচা। আমি তাকে সামলে নিয়ে বললাম- কি ব্যাপার চাচা? কোন সমস্যা?
গনি চাচা মুখে সেই ম্লান হাঁসি রেখেই বললেন- একটু চিন্তার মধ্যে আছি তো ভাতিজা, তাই পাথরটা খেয়াল করি নাই।
আমি বললাম- কি চিন্তা, আমাকে বলেন চাচা?
গনি চাচা আমার কাঁধে হাত রেখে বললেন- চলো, দেখবা।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা গনি চাচার বাসার সামনে চলে এলাম। খুব ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর। আগেও এসেছি। গনি চাচার সাথে ভিতরে ঢুকলাম। ঘরের অবস্থা দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। হাতেগোনা কয়েকটা আসবাবপত্র। আগে আরও ছিলো। বুঝলাম, ওগুলো হয়তো বিক্রি হয়ে গেছে কোন কারনে।
চাচার স্ত্রী-কে দেখলাম বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে ঘরের এক কোনে বসে আছে। মুখটা ফ্যাঁকাসে। বাচ্চাটার মুখটাও ফ্যাঁকাসে। সন্দেহ হলো। সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম- কি হয়েছে চাচী?
চাচী কান্না জড়ানো কণ্ঠে বললেন- কিসু বুঝতাসিনা বাবা। মুন্না কয়দিন ধইরাই কিসু খাইতাসে না। সব বমি কইরা দেয়।
আমি সামনে যেয়ে ভালো করে দেখলাম। চোখগুলো পুরো হলুদ হয়ে গেছে বাচ্চাটার। হাতের নখেরও একই অবস্থা। পরিষ্কার বুঝতে পারলাম, জণ্ডিস।
কয়দিন ধরে এরকম- জিজ্ঞেস করলাম।
গনি চাচা বললেন- প্রায় হপ্তা তিনেক।
শুনে আমার হাত-পা কাঁপতে শুরু করলো। বললাম- ওর তো জণ্ডিস হয়েছে! এতদিন হয়ে গেছে আপনারা ডাক্তার দেখান নাই কেনো? অবস্থা তো অনেক খারাপ!
গনি চাঁচা তখন মাথা নামিয়ে বললেন- টাকা কই পামু ভাতিজা? এই বছর বর্ষায় তেমন একটা বৃষ্টি হয় নাই। অনাবৃষ্টির কারনে ক্ষেতে এবার একটাও ফসল ফলে নাই। ঘরের থালা-বাসন, চেয়ার,যা আসিলো বিক্রি কইরা এতদিন খাইসি। ওরে ডাক্তার দেখানোর পয়সা কই পামু?
আমার তখন মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। বললাম- নিজের জন্য না হোক, অন্তত এই বাচ্চাটার জন্য আপনি আমার কাছে বলতে পারতেন। কাজটা ঠিক করেন নাই চাচা।
এতদিন ধরে বাচ্ছা ছেলেটা বিনা চিকিৎসায়ে জণ্ডিসের সাথে লড়াই করে আসছে! আর দেরি করা ঠিক হবে না। অবশ্য আমার মনে হচ্ছিলো, এমনিতেও অনেক দেরি হয়ে গেছে। যাই হোক, আর কথা বাড়ালাম না। চাচাকে জলদি একটা ভ্যান আনতে বললাম। এক্ষুনি ওকে হাঁসপাতালে নিতে হবে। জণ্ডিস প্রকট আকার ধারন করেছে।
মিনিট-পাঁচেক পর গনি চাচা একটা ভ্যান নিয়ে এলেন। বাচ্চাটাকে ভ্যানে তুলে আমরা সদরের দিকে রওনা দিলাম।
পথে গনি চাচা বলতে লাগলেন, এবারের বর্ষায়ে নাকি তেমন বৃষ্টি হয়নি। অনাবৃষ্টির কারনে অনেক কৃষক পথে বসেছে। কেউ কেউ তার সর্বস্ব বিক্রি করে ঢাকায় গিয়ে ভিক্ষা করছে। আল্লাহ্‌র গজব নেমেছে দেশে।
আমি তখন চুপ করে ছিলাম। বলার মতো কিছু খুজে পাচ্ছিলাম না। শুধু উপলব্ধি করছিলাম; এই বর্ষাকাল, বৃষ্টি, কিছু মানুষদের জন্য কতো দরকারি একটা জিনিষ! সামান্য বৃষ্টির কারনে কতোগুলো পরিবার পথে বসেছে, সর্বস্ব খুইয়েছে, কেউবা নিজের ছেলের জীবন বাঁচাতে দৌরাচ্ছে। ঢাকায় চার দেয়ালের ভিতরে থেকে কখনো ভেবেও দেখিনি যে, -এরকমও হতে পারে। নিজের কিছু স্বার্থের কারনে কিছুক্ষন আগে আমি নিজেই ‘বর্ষার’ ঘোর বিরোধিতা করছিলাম। ভাবছিলাম, এই ঋতুটা না থাকলেই ভালো হতো। রাস্তা-ঘাঁট পরিষ্কার থাকতো, বাইরে বের হতে ঝামেলা হতো না। অথচ, এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি ‘বর্ষার’ তাৎপর্য। বর্ষার প্রয়োজনীয়তা।
এসব কথা ভাবতে ভাবতে বাচ্চাটার মুখের দিকে তাকালাম। নিষ্পাপ একটা শিশু। কোন দোষ নেই। অথচ অনাবৃষ্টির কারনে ওর বাবা ওর চিকিৎসার টাকা যোগার করতে পারেনি বলে আজ এই বাচ্চাটাকে মৃত্যুর সাথে লড়তে হচ্ছে।
কান্না চলে এলো। তখনও আরও ১০ মিনিটের মত রাস্তা বাকি। গনি চাচা ভ্যান চালককে তাড়া দিচ্ছিলেন জোড়ে চালানোর জন্য। বাচ্চাটা কিছুক্ষন পর পর বড় করে শ্বাস নিচ্ছে। ঠোঁটগুলো বরফের মতো সাদা হয়ে গেছে। হাত পায়ের তলা ঠাণ্ডা। ভ্যান যথেষ্ট দ্রুতই চলছিলো কিন্তু আমার মনে হচ্ছিলো আরও দ্রুত চালাতে হবে। সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। গনি চাচা ওর হাত পায়ের তলা ঘষছিলেন। আমি ওর মুখের সামনে পানির বোতলটা ধরলাম। বাচ্চাটা মুখ খুললো না। কিছুক্ষন পর মাথাটা একদিকে ঢলে পড়লো।
হাতের নাড়ি পরীক্ষা করলাম। নাহ্...নেই।
মারা গেছে বাচ্চাটা।
গনি চাঁচা অনেক্ষন ‘মুন্না’ ‘মুন্না’ করে ডাকলেন। কোন লাভ হলো না। আমার দু’চোখ ফেটে বেরিয়ে এলো পানি। কোনোভাবেই চেপে রাখতে পারলাম না কান্না। ভ্যান-ওয়ালাকে ভ্যান ঘুরিয়ে ফেলতে বললাম। এদিকে টিপটিপ বৃষ্টির ফোঁটা পরতে শুরু করলো। সাথে ঝড়ো-বাতাস। মনে হচ্ছিলো, প্রকৃতিও মেনে নিতে পারছে না বাচ্চাটার মৃত্যু। তাই আমাদের সাথে যোগ দিতে নেমে এসেছে,বৃষ্টি হয়ে।
কিছুক্ষনের মধ্যে বৃষ্টির তেজ অনেক বেড়ে গেলো। প্রকৃতিও আমাদের সাথে কাঁদলো তার সমস্ত অন্তর দিয়ে। সবকিছু উপেক্ষা করে তবু চলছিলাম আমরা তিনজন। সাথে মুন্না। গনি চাচার চোখের পানি বৃষ্টির পানির সাথে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছিলো। আলাদা করতে পারছিলাম না কোনটা বৃষ্টির ফোঁটা, কোনটা চোখের পানি। তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে। হঠাৎ মনে হলো, মুন্না যেনো আমার ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলটা খামছে ধরলো......
-------কড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড় ...ড়ড়ড়ম-----
প্রচণ্ড জোড়ে বাঁজ পড়লো আশে-পাশে কোথাও। ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। উঠে দেখি বিকাল ৫টা। বৃষ্টি এখনও থামেনি। আব্বাকে ফোন দিলাম। আব্বা গতকাল গ্রামের বাড়িতে গেছেন জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে। তাকে জিজ্ঞেস করলাম ওখানে বৃষ্টি হচ্ছে কিনা? আব্বা বললেন ওখানে নাকি গত দুই দিন যাবৎ টানা বৃষ্টি। সবার জমিতে ফলন কেমন- জিজ্ঞেস করাতে আব্বা কিছুটা অবাক হলেন। বললেন- ফলন এবার ভালই হয়েছে। তুই হঠাৎ এসব কথা জিজ্ঞেস করছিস? আমি কিছু বললাম না। পাশে তখন গনি চাঁচার গলা শুনতে পেলাম। আমাকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন- ভাতিজা, এবার বাম্পার ফলন। আইসা পরো গ্রামে। নৌকায় ঘুরামু।
ফোন কেটে দিলাম। বৃষ্টি ততক্ষণে থেমে গেছে। বাইরে যেতে হবে।
বের হবার সময় ভাবছিলাম,একটু আগে দেখা স্বপ্নটার কথা। ব্যাপারটা স্বপ্ন হলেও যথেষ্ট বাস্তবতা ছিলো সেখানে। বিশেষ করে শেষের দিকটায় সত্যিই আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। যাই হোক, বেরিয়ে দেখি রাস্তায় হাঁটু-পানি। বর্ষার অতি পরিচিত রুপ। সব কিছুরই যেমন ভালো দিক আছে, তেমন খারাপ দিকও আছে। নির্ভর করে নিজের উপর যে, আমি কোনটা গ্রহন করবো। ভালো দিকটা, নাকি খারাপ দিকটা।
রাস্তার এ অবস্থা দেখে মনে মনে কিছুটা রাগ হলাম ঠিকই কিন্তু পরক্ষনে প্যান্ট গুঁটিয়ে হাঁটা ধরলাম। মেনে নিলাম হাঁসি মুখে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ইউসুফ খান বাহ,ভালো লাগলো কৌশিক ভাই.
সৌরভ শুভ (কৌশিক ) ইউসুফ খান এর একদিন বর্ষায়....,সহজে কি ভুলতে পারা যায়...
ইউসুফ খান অনেক ধন্যবাদ ভাই রানা।
মিজানুর রহমান রানা বন্ধু, আপনার লেখা গল্পটি ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। শুভ কামনা থাকলো।
ইউসুফ খান অনেক সময় অনেক গল্প bishoybostur কারণে সপ্নভিত্তিক করে লিখতে হয়. বড় লেখকেরা কি লিখেছে আমি জানি না,আমি আমার গল্প সঠিকভাবে সাজানোর জন্য যখন যা দরকার তা প্রয়োগ করি. এই গল্পতে আমি কঠিন একটা বাস্তবতা সপ্নের মাধ্যমে তুলে ধরেছি. আর ভাই,প্রতারিত হবার কিছু নেই. গল্প গল্পই. পাঠকের মনে জয় করতে পারলেই হলো.
Rajib Ferdous বাংলা সাহিত্যে স্বপ্ন বিষয়ক চমক খুব কমন একটি ব্যাপার। কেউ কেউ গল্প সুন্দরভাবে শুরু করে শেষের দিকে গিয়ে জানান দেন, ওটা একটা স্বপ্ন ছিল। নায়ক বা নায়িকা স্বপ্ন দেখছিল। স্বপ্নমূলক লেখার সুবিধা এই যে, যে কেউ যে কোন স্বপ্ন দেখতে পারে এবং এসব স্বপ্নভিত্তিক কাহিনীতে লজিক না-ও থাকতে পারে। কিন্তু স্বপ্নমূলক গল্পের পাঠকরা প্রতারিত বোধ করেন। তাই বাংলা সাহিত্যের প্রতিযৎসা সাহিত্যিকরা স্বপ্নমূলক গল্প খুবই কম লিখে গেছেন। তবে স্বপ্নের ভিতর দিয়ে আপনি যে বিষয়টি তুলে ধরলেন তাতে কিছুটা লজিক ছিল বটে।
ইউসুফ খান onek ধন্যবাদ হালিম ভাই....মনের মত একটা মন্তব্য পেলাম...

০৪ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪