দ্বিধা-দ্বন্দের বৈরিতায় বিবর্ণ কবিতা

বৈরিতা (জুন ২০১৫)

আল আমিন
  • ১৪
নীরব, নিথর জমাট এক
অভ্র-আঁধার রাতের শরীরি দেহ এই আমি।
যে দেহে পড়েছিল
প্রজ্জ্বল চোখের সুতীব্র আলোক-শিখা।
সে আলোয়---
এই দেহে জেগেছিল রঙিন রক্তের স্রোত,
সে আলো জ্বলেছিল দেহের প্রতিটি শিরা-উপশিরায়।

সে আলোতেই দেহে
চলাচল করতো অদ্ভুৎ রঙের রক্ত।...
সেই চোখ আমার আঁধার দেহে করেছিল আলোর সঞ্চালন।
কিন্তু পারেনি আঁধার দুর করতে।

কখন যে সরে গেল আমার দেহ থেকে
অস্থির সেই আলোকদৃষ্টি,
টের পাইনি আমি নিজেই।
ঘোরের মধ্যে ছিলাম কতদিন,
তা ও জানিনা।
তারপর তিমির এ দেহে---
বয়ে গেছে কত আঘাত
বুঝিনি; নিজেকে বিপন্ন করে রেখেছিলাম
উত্তাল তরঙ্গীণি মেঘের সাগরে।

কখনো সূর্য্যের আবছায়া আলো,
মেঘের ঘোলাটে আবেশ;
অথবা পূর্ণিমার অতৃপ্ত রং
আঁজলা ভরে মেখেছি দুই চোখে।
আমি খুঁজে পাইনি তবু,
খুঁজে পাইনি সেই দৃষ্টি।
হারিয়েছি আমার অনুভূতি শক্তি।

মেঘের ভাঁজে-ভাঁজে
সন্ধ্যার ম্লান আলো দেখছিলাম।
পেছন দিক দিয়ে কাঁধে
নতুন কারো অনভ্যস্ত ছোঁয়া পেলাম এবার।...
সাহস পাইনি ফিরে তাকাতে।
ভেবেছিলাম ফিরে তাকালেই বুঝি
দেখতে পাবো---
সুতীব্র সেই আলোকদীপ্ত চোখ দু'টি।
যে আলো--- প্রেমের উন্মাদনায়
একবার কেড়ে নিয়েছিল আমার চোখের রং।
এবারে যদি নিঃশেষ করে দেয়!
তারপরও ফিরে তাকাতে চেয়েছিলাম।
প্রথম ছোঁয়াতেই কেঁটে যাচ্ছিল আঁধারের ঘোর।
ক্রমেই গ্রাস করে নিচ্ছিল তার স্পর্শ আবেশ
এই অনুভূতিহীন সারাদেহে;
ইচ্ছা জেগেছিল কথা বলে দেখতে।

কিন্তু এ কণ্ঠ যদি অপরিচিতা হয়?
সেই ভাবনায় সাহস করে উঠতে পারিনি;
অবশেষে, সেই স্পর্শও ভুলতে বসেছি।
চেষ্টা করিনি বটে।...

এ দেহের প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস
এখন বয়ে যাচ্ছে যেন অন্তিমের টানে।
রাতজাগা চোখের পাতায়
এখন "বিবর্ণ সব কবিতা"।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
হাসনা হেনা এ দেহের প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস এখন বয়ে যাচ্ছে যেন অন্তিমের টানে। রাতজাগা চোখের পাতায় এখন "বিবর্ণ সব কবিতা"। ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ।
সোহানুজ্জামান মেহরান খুব সুন্দর কবিতা, বেশ ভালো লাগলো, শুভ কামনা রইলো।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি সে আলোয়--- এই দেহে জেগেছিল রঙিন রক্তের স্রোত,......কবিতা ভালো লেগেছে সাথে শীরনাম......আনেক ধন্যবাদ আলআমিনকে......।
ধন্যবাদ আপনাকেও। ভালো থাকবেন।
ফয়সল সৈয়দ কবিতার শিরোনাম নির্বাচনে আপনাকে বাহবা দিতে হবে অবশ্য। যতি চিহ্ন ব্যবহারে আরো সচেতন হবেন আশা করি। দাড়ি শেষে আর কথা থাকে না । যেমন ।... ।।
ধন্যবাদ ভাইয়া, সুধু কি শিরোনামই ভালো লেগেছে? কবিতা ভালো লাগেনি ভাইয়া? আপনার উপদেশ এর জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ, আমি এমনিতে এ ব্যাপারে তেমন কিছুই জানিনা। লেখা-লেখি করি শখের বসে। তাছাড়া এ কবিতাটি লিখেছিলাম যখন তখন আমি ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি (২০১০/১১)। তবে ভাইয়া একটি কথা , তাহলো--- আমি কিন্তু খেয়াল করেছি নজরুল ইসলামের লেখায় বিভিন্ন জায়গায় *।... ব্যবহৃত হয়েছে, উনি কিন্তু সরাসরি*... ব্যবহার করেননি।
আশা করি কোন কবিতা দেখেছেন বললে উপকৃত হব।বিরামচিহ্ন নিয়ে আনন্দবাজার পএিকার ''তিষ্ঠ ক্ষণকাল'' নামে একটি বই আছে ।বইটি পড়লে উপকৃত হবেন ।
আবুযর গিফারী সব আছে ভালো লাগার মতো। কাব্যের বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে আছে বৈরিতাও।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার মুল্যায়নের জন্য প্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য।
Fahmida Bari Bipu চমৎকার। খুব ভাল লাগল। কিন্তু বৈরিতা কোথায়?
ধন্যবাদ আপু। আমার কবিতা তো দেখলাম আবেগের সাথে বিবেকের বৈরিতায় শেষ পর্যন্ত বিবর্ণ হয়ে গেল।
গোবিন্দ বীন এ দেহের প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস এখন বয়ে যাচ্ছে যেন অন্তিমের টানে। রাতজাগা চোখের পাতায় এখন "বিবর্ণ সব কবিতা"।ভাল লাগল,পাতায় আমন্ত্রন রইল।

২৩ জানুয়ারী - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ১২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪