পিয়ারী-খালার সন্ধ্যেগুলো

শ্রম (মে ২০১৫)

আল আমিন
  • ২৬
ভর-সন্ধ্যেটা কালে;
রাস্তার পাশে পিয়ারী-খালার বাড়ী,
বিরেন-চাচা দিনের কাজের শেষে
ও'বাড়ীর সামনে দিয়ে বাড়ীর পথে ফেরে।

সেদিন পিয়ারী-খালা সন্ধ্যা দিয়ে' পরে
বাড়ীর সামনে হাল্কা ঘোমটা-চোখে দাড়ায়।
বয়স তার চল্লিশ ছোঁবে
তবু তার দেহ যেন সন্ধ্যায়ও আলো ও'রাস্তায় ।
বিরেন-চাচা ওই পথেই ফেরে,
খালা তারে হাত ইশারায় থামায়; তার ঘোমটা ঈষৎ নামায়।
--"কিরে! এত ব্যাস্ত কিসে' বিরু?
বউয়ের বয়স তো যায়-যায়"..

ঘামে ভেঁজা বিরেন-চাচা একটু থমকে থামে;
তারপরে হাত নেড়ে' নেড়ে'
আবার খালায় কয়--
"ওরে! যাওরে যাও!
এত খেটে লাভ কি পাও?
কে' কি দিলো ভাই?
একটু বসে দু'টো কথা বলে যাওয়া যায়"।...

কিসের সন্ধ্যা, কিসের কথা! ইশারা? না আহবান!
কর্ম-ব্যাস্ত বিরেন-চাচার বোঝার সময় নাই ।
সন্ধ্যার-শ্বাস রোধ করে' যেন--
পিয়ারি-খালার হাসি শোনা যায়।

আকাশ ফুঁড়ে ঠিক তখনি
দুই-ঘড়ি-ভাঙা কৃষ্ণার চাঁদ ওঠে চোখ ডলতে' ডলতে'।
যেন কার বিছানা থেকে উঠে এলো এখনি;
চোখের কাঁজল এলোমেলো
লেপ্টে আছে সারা মুখে।...
খিলখিল হাসিতে ফেটে পড়ে সে ;
ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলে' ওঠে--
"পোড়ামুখী অগ্নিবালা! তোর ঢঙে বাঁচিনা--
তিরিশে স্বামী খুইয়েছিস; ঊনচল্লিশে এসে এখনো?...
এখনো তোর এত?...
শরীর তো নয়; ও আগুন!
ঊনিশের মতোই পুরুষ খাওয়ার লোভ তোর!
নিজের আগুনেই পুড়ে মরিস না কেন বে?


[বি.দ্র: "পিয়ারী" খালা আর
"বিরেন" চাচা দু'টি নাম এখানে সম্পূর্ণই কাল্পনিক। এটা সুধু চরিত্র সৃষ্টির প্রয়াসে ব্যাবহৃত হয়েছে। এর সাথে বাস্তবে কোন নামের দায়বদ্ধতা নেই।]
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাসরিন চৌধুরী অনেক জীবন্ত চরিত্র এঁকেছেন ।সাবলীলও বটে আপনার লেখনি। শুভেচ্ছা জানবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন ।
গোবিন্দ বীন ভর-সন্ধ্যেটা কালে; রাস্তার পাশে পিয়ারী-খালার বাড়ী, বিরেন-চাচা দিনের কাজের শেষে ও'বাড়ীর সামনে দিয়ে বাড়ীর পথে ফেরে।ভাল লাগল,পাতায় আমন্ত্রন রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে ,আমন্ত্রণ গ্রহণ করলাম ।
তানি হক কঠিন নির্মমতার কথামালা ... কবিতার উপস্থাপনা চমৎকার । ধন্যবাদ জানবেন কবি।
ধন্যবাদ কবি আপনাকেও, সময় করে পড়া এবং আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
সেলিনা ইসলাম কবিতার কাহিনী বড় নির্মম...!পড়তে পড়তে অক্ষরগুলোকে জীবন্ত দেখতে পেলাম! শুভকামনা রইল...।
ধন্যবাদ আপু! আপনার মূল্যায়নে প্রীত হলাম। শ্রদ্ধা ও শুভকামনা রইল ।
এশরার লতিফ অত্যন্ত সাবলীল গদ্য কবিতা, আবহটা চমত্কার ফুটেছে.
ধন্যবাদ কবি! প্রীত হইলাম । শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
এমএআর শায়েল ভাল লেখা। (মাঝে ভাবি, লেখালেখিটাকেই পেশা হিসেবে বেঁচে নিব। কিন্তু মনস্থির করতে পারিনা। মা বলতেন- লেখালেখি ফালতু একটা জিনিস। সময় ব্যায় হয়, কোন পয়সা আসে না। আমি বলতাম-নাম-তো হয়!) আমার লেখা গল্প + আর কতদূর -পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
ভাইয়া আপনি কি মন্তব্য করলেন? নাকি আপনার লেখার বিজ্ঞপন দিলেন ? ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না। পাতায় আসার জন্য ধন্যবাদ ।
সোহানুজ্জামান মেহরান গল্প কবিতার মত লিখেছেন, ভাল লাগলো।ভোট রইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
Fahmida Bari Bipu সেইরকম।
ধন্যবাদ আপু। কিন্তু , ঠিক কিরকম তা কিন্তু বললেন না ।

২৩ জানুয়ারী - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ১২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ভালবাসা”
কবিতার বিষয় "ভালবাসা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জানুয়ারী,২০২৫