গলাটা আটকে আছে, মাগো, স্বর বেরুচ্ছে না একদম, বুঝতেও পারিনি কখনো; চোখ আটকে যাবে আমারও অই শুন্যে; সবসময়ের জন্য।
সেদিন যখন দেখলাম অজন্তার মা’টি মরে গেলো; তখন থেকেই শুরু এ আশংকার, বুকের মধ্যে জমাট বাঁধা ভয়; সবসময় এই বুঝি মা তুমিও দিলে উড়াল- অই অসীম নীলে, আমায় একা ফেলে রেখে, এই একলা পৃথিবীতে।
অজন্তার চোখে যে অশ্রু আমি সেদিন দেখেছিলাম; সে ধারায় আমিও ভেসে গিয়েছিলাম যেন কোথায়, বুকের মাঝে চাপা এক ভয় নিয়ে সেদিন বাড়ি ফিরেই; মা..মা...বলে ডেকে ডেকে, সারা-বাড়ি মাথায় তুলে ফেলেছিলাম; তোমার কি মনে পড়ে মা?
তোমার কি মনে পড়ে মাগো; তুমি বলেছিলে; মানুষ মারা গেলে, আকাশের তাঁরা হয়ে যায়, আমি মোট্টে চাইনে মা; তোমাকে ওই আকাশের তাঁরাদের ভিড়ে খুঁজতে, কি দরকার বলো? আকাশে তো অনেক তাঁরাই আছেঃ তোমাকেই কেন আরো একটি নতুন তাঁরা হয়ে; স্থান দখল করতে হবে, ওই শুন্যে?
মাগো, আমি তোমাকে মোট্টে হাঁরাতে চাইনে।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
অসাধারণ! ওই ওইটুকুনই তো শব্দটা। কিন্তু ভীষণ বড়। আমার ভেতরে অনেক ভালোলাগার বোধ বহন করে দিয়ে গেল। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো। ভালো থাকবেন। সবসময়।
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্
পরিণত বয়সেই বাবা মাকে হারিয়েছি ! তারপরও মনে হয় যাঁরা সব সময় আমার জন্য মঙ্গল কামনা করতেন তাঁদের আর ফিরে পাবোনা, তাঁরা আর আমার জন্য দো’য়া করবেন না, মমতার ছায়টা একেবারেই হারিয়ে ফেললাম, তখন মনটা খারাপ লাগে । একটা শুন্যতা হাহাকার করে যায় । লেখাটা বেশ ভাল লাগল তাই ভোট ও দিয়ে গেলাম ।
ঠিক তাই শ্রদ্ধেয়। মমতার ছায়া এ এক বিরাট জিনিস। একবার হারিয়ে গেলে ফিরে পাওয়া যায় না। অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়া ও মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। অনেক সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। ভেতরে একধরনের ভালোলাগা রইলো। শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
নাসরিন চৌধুরী
মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা -আমরা কেউই চাইনা বাবা মাকে হারাতে। ভাল লিখেছেন। কিন্তু "তারা" শব্দটি এমন হবে তাই নয়কি? হারাতে ও চন্দ্রবিন্দু বাদ যাবে !!
//মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা -আমরা কেউই চাইনা বাবা মাকে হারাতে। ভাল লিখেছেন। কিন্তু "তারা" শব্দটি এমন হবে তাই নয়কি? হারাতে ও চন্দ্রবিন্দু বাদ যাবে !! //
খুব ভালো লাগলো গঠনমূলক মন্তব্যে। যে শব্দগুলোতে চন্দ্রবিন্দু জনিত বিভ্রাটের কথা বললেন, আসলেই সেগুলো ভুল হয়েছে। কিন্তু লেখা এডিট করার ব্যবস্থা কোথায় আছে ঠিক জানা নাই।
শুভেচ্ছা জানবেন। ধন্যবাদ, আমার লেখা পড়ার জন্য।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
আখতারুজ্জামান সোহাগ
‘‘আকাশে তো অনেক তাঁরাই আছেঃ
তোমাকেই কেন আরো একটি নতুন তাঁরা হয়ে;
স্থান দখল করতে হবে, ওই শুন্যে? ’’
সত্যিই তো! কোন সন্তান চায় তার মা আকাশের তারা হয়ে যাক? কেউ চায় না। সব সন্তানই চায় মায়ের আঁচল তলে সারাটি জীবন কাটিয়ে দিতে। কিন্তু তা তো হওয়ার নয়। তাই মেনে নিতে হয়।
শুভকামনা কবি।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।