বোকা

ভাঙ্গা মন (নভেম্বর ২০১৯)

Fahmida Bari Bipu
  • ৯৪৬
মরিয়ম বেগম একটা লাঠি হাতে নিয়ে বাইরের রোয়াকে বসে রোদ পোহাচ্ছেন।
শীতের মিঠেকড়া রোদ। পিঠে যেন কেউ যত্ন করে স্যাক দিয়ে দিচ্ছে। আরামে চোখ বুজে আসতে চাইছে।
গা ভর্তি ব্যথা বেদনা। পিঠে, কোমরে, হাঁটুতে, মাজায়...তার ব্যথা নেই কোথায়? ঔষধপত্রে আর কাজ হবে না। ডাক্তার সাহেব বেজার মুখে জানিয়ে দিয়েছেন,
‘আমার পক্ষে যতটুকু যা করার করে দিলাম। আপনার এই ব্যথা একেবারে সারবে না কোনদিন। যদ্দিন বেঁচে থাকবেন, এই ব্যথার সাথেই বাস করতে হবে।’
ডাক্তার সাহেব অতিশয় সত্যবাদী। বর্তমান সময়ে এত সত্য কথা কেউ বলে না বললেই চলে। রোগীকে ‘ভাল হয়ে যাবেন’ ‘এই তো, আর মাত্র কিছুদিন’ এসব ছেলেভুলানো কথা বলে হাতে রেখে দেয়। রোগী যাতে অন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন না হতে পারে, সেজন্য তাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে তাকে সেরা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এই ডাক্তার সাহেব তেমনটিও করেননি। যাওয়ার আগে সুন্দর করে জানিয়ে গেছেন,
‘আপনি চাইলে অন্য ডাক্তারের সাথেও কথা বলতে পারেন। আমার এক ছাত্র আছে, খুব মেধাবী। বাতের ব্যথা, গিঁট ব্যথা এসবে তার চিকিৎসা নাকি অন্যরকম। আপনি কি দেখাবেন তাকে?’
মরিয়ম বেগম রাজি হননি। তিনি এই সত্যবাদী ডাক্তারের তত্ত্বাবধানেই নিরাপত্তা বোধ করছেন।
তার স্বামী অবশ্য অন্য ডাক্তারকে দেখানোর ব্যপারে খুব উৎসুক ছিলেন। ভালোবাসার মধু মিশ্রিত গদগদ সুরে বলেছিলেন,
‘আমার এই কথাটা শুইন্যা দেখ। দেখাও না গো একবার! ইয়ং ডাক্তাররা বেশি কামের হয়। বুড়ো মানুষের এলেম আর কদ্দিন থাকে? দ্যাখবা তুমি ঠিক একেবারে সুস্থ হয়্যা যাইবা...একদম আগের মতো চলতে ফিরতে পারবা।’
এই মধুতেও কাজ হয়নি। মরিয়ম বিবি আর নড়াচড়া করতে রাজি হননি। তিনি ভালো করেই জানেন, একেবারে সুস্থ তিনি আর কোনদিনই হবেন না। শুধু শুধু এই আলগা সান্তনাতে তাই তার মন তেমন একটা উচাটন হয় না।
স্বামীর তবু তাকে নিয়ে চিন্তার কোন অন্ত নেই। অসুখটা ভালোমত ধরার পরে থেকে স্বামীর ভালোবাসা যেন কমার পরিবর্তে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
এই ভালোবাসায় মরিয়ম বেগম হাঁপিয়ে ওঠেন মাঝে মাঝে। একটা অনুশোচনার অনুভূতিও যে হয় না, তা নয়।
দীর্ঘদিন যাবত স্বামী-স্ত্রীর বিশেষ সম্পর্ক তাদের মধ্যে অনুপস্থিত। স্বামীকে তিনি বঞ্চিত করে চলেছেন দিনের পরে দিন। অথচ মানুষটার তাকে নিয়ে উদ্বেগের সীমা পরিসীমা নেই। কীসে তার এতটুকু ভালো হবে...সেই চিন্তাতেই দিনরাত অস্থির হয়ে আছে তার স্বামী।
আগে ভালোমন্দ রান্না করে হলেও স্বামীকে তিনি কিছুটা খুশি করতে পারতেন। রোগশোক জেঁকে বসার পরে থেকে সেটুকুও আর করতে পারেন না। এখন একরকম বসে বসেই দিন কাটছে তার।
শরীরের ওজন বেড়ে প্রায় হস্তিকার রূপ নিয়েছেন। একটুখানি হাঁটলেই হাঁপিয়ে ওঠেন। হাঁটার সময় থপ থপ আওয়াজ হয়। দিনের বেশিরভাগ সময় তিনি বিছানায় বসেই কাটিয়ে দেন। টিভি তে চলতে থাকে স্টার জলসা নয়তো জি বাংলা।
বউ শাশুড়ির মলয় যুদ্ধ অথবা জায়ে জায়ে কূটনৈতিক টানাপোড়ন। সামান্য বিষয় নিয়ে এই চুলোচুলি দেখতে আগে যে তার খুব একটা ভালো লাগতো তা নয়। তবু দেখতে দেখতে এখন কেমন যেন নেশা ধরে গেছে। মারাত্মক নেশা...আর উঠতে মন চায় না। এখন সারাদিন বসে এই ঝগড়া ঝাঁটি দেখতে আর একটা পক্ষ ধরে অপরপক্ষকে তুলোধুনো করতে কী যে আরাম লাগে! তিনি জানেন না, এই আরামের উৎস কোথায়!
স্বামী প্রথমদিকে বাইরে নিয়ে যেতে চাইতেন। তার ভালো লাগতো না যেতে। তবু স্বামীর মন রক্ষা করতে মাঝে মাঝে বের হতেন।
শরীর হস্তিকায় পরিণত হবার পরে থেকে মানুষের বক্রোক্তি আর চাপা হাসি শুনে শুনে এখন আর কোথাও যেতে মন চায় না। নতুন নতুন মানুষজন দেখলেও অসহ্য লাগে। এই বিশাল দেহ নিয়ে কারো সামনে দাঁড়ানোর কথা মনে হলেই কেমন যেন জ্বর আসে গায়ে। মানুষের ফিসফিসানিগুলো পরিষ্কার শুনতে পান তিনি।
‘ঐ সইরা দাঁড়া, হাতি আইতাছে...’
‘ওরে বাবা, কুন গুদামের চাইল খায় রে! লগেরডা জামাই নাকি? জামাই রে মনে কয় খাইবার দ্যায় না...’
‘ব্যাবাক একাই খায়...খিক খিক...’
মরিয়ম বেগম কানে হাত চাপা দিতে পারেন না। অসহায় মুখে এদিক সেদিকে তাকান। স্বামীর দিকে তাকিয়ে দেখেন, একেবারে নির্বিকার ভাবলেশহীন ভঙ্গি। যেন কিছুই শুনতে পায়নি!
নতুন ডাক্তার দেখানোর প্রস্তাবেও তাই সাড়া দেননি মরিয়ম বেগম। আর কোথাও গিয়ে কাজ নেই। একেবারে এই বাড়ি থেকে বের হয়ে কবরে ঢুকতে পারলেই জীবনের রঙ্গমঞ্চের পরিসমাপ্তি ঘটে।
স্ত্রী অন্তপ্রাণ স্বামীও আর জোর করেননি। মেনে নিয়েছেন। বউয়ের যা ভালো লাগে করুক! বউ খুশি থাকলেই তিনি খুশি।
কাজের মেয়ে কুসুম তার দেখাশোনা করে। স্বামীকে অফিস নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তবু কুসুমের দেখাশোনাতে যেন ঘাটতি না থাকে, সেজন্য মরিয়ম বেগমের স্বামী তার জন্য ভালো নার্সের ব্যবস্থাও করতে চেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সুবেশি নার্স। একেবারে দক্ষ হাতে মরিয়ম বেগমের দেখাশোনা করবে। তিনি তাতেও রাজি হননি। আপত্তি জানিয়ে বলেছেন,
‘কুসুম একাই তো সব কাম করতাছে। আবার নার্সও লাগবো? এত আরাম খাইয়া কাম নাই!’
কুসুম সত্যিই যেন দশভুজা। দশ হাতে সামলাচ্ছে তার হেলে পড়া সংসার। শুধু শুধু বেশি টাকা খরচ করে শিক্ষিত নার্স নিয়ে আসার কী দরকার?
মরিয়ম বেগমের বয়স পঞ্চান্ন’র নীচে। আরো পাঁচ বছর আগে থেকেই তার হাজার অসুখ বিসুখ। সাধের শরীরে ঘুনপোকার মতো রোগশোকেরা বাসা বেঁধেছে। ছিবড়ে বের করে নিচ্ছে সব রস, মজ্জার সুস্বাদু তরল।
শরীরের সব রস বের করে নিয়ে এরা কেমন তাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে। বড় আরামের ঘুম! একেবারে জন্মের ঘুম নাকি কে জানে! খালি ঘুমাতে ইচ্ছে করে এখন মরিয়ম বেগমের।
আশেপাশের দিনদুনিয়ায় কত কী ঘটে যায়! মরিয়ম বেগম তার কোন খোঁজ খবর রাখেন না। এত খোঁজ রেখে কী হবে? তিনি আর তার নিত্যদিনের দিনলিপি...এই নিয়েই মত্ত হয়ে থাকেন এখন।
কুসুম সংসার সামলাতে গিয়ে বেশ নয়ছয় করে। এদিকের জিনিস ওদিকে রেখে দেয়। দু’দিন পরে পরেই চাল ডালে টান পড়ে। পেঁয়াজ আদা রসুন...কিনে শেষ করা যায় না।
মরিয়ম বেগমের স্বামী খ্যাঁচ খ্যাঁচ করেন কুসুমের সাথে।
‘আগে তো এত বেশি বেশি লাগতো না কুনো কিছু! তুই এত ফুরাস ক্যামনে?’
‘লাগলে আমি কী করুম? আগে আপনারা কম খাইতেন। ওহন তো খালাম্মার একাই...’
কুসুম বলতে গিয়েও থেমে যায়। অভিযোগ খুব বেশি সত্য নয়। মরিয়ম বেগমের শরীর বাড়লেও খাওয়া বাড়েনি। তিনি এখন বাতাস খেলেও মোটা হন।
কুসুমের কথা তার কানে আসে। কিছু বলেন না তিনি। কী জানি...আসলেই বেশি খাচ্ছেন কী না কে বলতে পারবে! হয়ত তিনি বুঝতে পারছেন না, কিন্তু খেয়ে ফেলছেন প্রচুর। নিজের ওপরে নিয়ন্ত্রণ না থাকলে নাকি এরকম হয়।
কুসুম বিশ্বাসী মেয়ে। তার একা হাতে সংসার সামলানোর অপার দক্ষতায় মরিয়ম বেগম সীমাহীন মুগ্ধ।
কুসুমের হাতের মালিশে কেমন যেন ঘুম চলে আসে। ঘরদোর সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপাটি করে রাখে সবসময়। অসুখটা ধরার পরে থেকে আস্তে আস্তে তার এই সংসার হেলে পড়তে শুরু করেছে। তিনি কিছুই সামলাতে পারছিলেন না। স্বামীর মেজাজ মর্জিও ভালো থাকতো না বেশির ভাগ সময়। যতই ভালবাসুক, দিনরাত অসুস্থ স্ত্রীর দেখাশোনা করতে গিয়ে কোন পুরুষ মানুষের মেজাজ ঠিক থাকে?
কুসুম আসার পরে ধীরে ধীরে সবকিছুই আবার আগের মতো হয়ে গিয়েছে। একেবারে ফিটফাট...সচল।
এই মেয়েকে ছাড়লে তো মরিয়ম বেগমের চলবে না।
রোদের আঁচ বাড়ছে। শরীরে রোদ এখন কেটে কেটে বসে যাচ্ছে। ওঠা দরকার। কুসুমকে ডাকতে হবে। কেউ এসে টেনে না তুললে ইদানীং উঠতেও অসুবিধা হয় তার।
হাতের লাঠিটাকে ধরে আছেন বিড়াল তাড়ানোর জন্য। বারান্দার বাইরে শুঁটকী শুকাতে দিয়েছেন। বিড়াল এসে সেই শুঁটকীতে মুখ লাগায়। সুযোগ পেলেই নিয়ে দৌঁড় দেয়। তাছাড়া কাকের উৎপাত তো আছেই!
কুসুম মাছ কেটে ধুয়ে দেয়। তিনি চেয়ারে বসে বসে সেই মাছে হলুদ, লবন মাখিয়ে তারে গেঁথে দেন। এই একটা কাজই তিনি করতে ভালোবাসেন। আর এটা করাতে তার ক্লান্তিও লাগে না তেমন।
মরিয়ম বেগমের নিজের হাতে বানানো সেই শুঁটকী তার চোখের সামনে দিয়েই বিড়ালে নিয়ে যাবে সেটা তিনি কিছুতেই হতে দিতে পারেন না।
সামনে থেকে সরে গেলে বিড়ালেই নিক চাই কাকেই নিক, কীসের কী! সামনাসামনি ধরা পড়লে খবর আছে! আর কিছু না পারেন, দুটো লাঠির ঘা লাগিয়ে দেবেন। চুরি করবি কর, চোরের মতো কর। খবরদার, ডাকাতি করার চেষ্টা করবি না।
যা করবি চোখের আড়ালে কর।
কুসুমকে বারকয়েক জোরে জোরে ডাক দিলেন। সাড়াশব্দ নাই। গেল কই মুখপুড়ি?
বেলা এগারোটা বাজতে চললো। তার স্বামী দুপুরের ভাত খেতে বাসায় আসবেন।
কুসুমকে বলেছিলেন টমেটো, বেগুন আর আলু একসাথে মিশিয়ে ভর্তা করতে। একসময় তিনি এই ভর্তাটা খুব বানাতেন। তার স্বামী বড় ভালোবাসতেন এই ভর্তা খেতে। স্বামী তৃপ্তি করে ভর্তা খাচ্ছে দেখলে আগের সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায় তার।
তাকে ভর্তা বানাতে দেখলেই স্বামীর সোহাগ জেগে উঠতো। কতদিন ভর্তা মাখা হাত ধরেই স্বামী তাকে টানাটানি করেছেন। সেসবদিনের কথা মনে হলেই ভেতরটা কেমন শূণ্য হয়ে যায়।
এতদিন ধরে স্বামী যে তার সুস্থ হওয়ার আশায় দিন গুনছেন, এটা তো তার অনেক বড় কপাল! সত্যিই, অনেক বড় কপাল নিয়ে জন্মেছিলেন তিনি।
নাঃ, রোদটা খুব বেশি কড়া হয়ে গেছে এখন। আর থাকা যাচ্ছে না! আরো বেশ কয়েকবার চেঁচিয়ে উঠলেন নাম ধরে,
‘কুসুম...ঐ কুসুম...শুনবার পাস না?’
‘ভর্তা বানাইতাছি...বইয়া থাকেন...আইতাছি!’
তিনি ধৈর্য ধরে আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন। তারপরে আবার ডাক দিলেন,
‘আমারে উঠাইয়া দিয়া যা ছেড়ি!’
কুসুমের সাড়া পাওয়া যায় না আর।
ভেতরে কুসুম তখন সত্যিই খুব ব্যস্ত। মরিয়ম বেগমের প্রতিটি শব্দই তার কানে আসছে। সে মোটেও উত্তর দেওয়ার অবস্থায় নেই।
বেশ খানিকক্ষণ বাদে কুসুম এসে সামনে দাঁড়ালো। কুণ্ঠিত মুখে বললো,
‘ডাকেন ক্যা? কাম করতাছিলাম। আইমু ক্যামনে?’
মরিয়ম বেগম চোখ তুলে তাকালেন কুসুমের দিকে। ভালো করে দেখে নিয়ে শান্ত মুখে বললেন,
‘ভালোই কামের হইছিস আইজকাল! এত কামের হইলে চলবো? এক কামের ভিতর আরেক কাম করন যায় না? আমারে উঠা ছেড়ি। রোইদে গা পুইড়া গেল!’
কুসুম মুখটাকে একপাশে নিয়ে হাসি গোপন করার চেষ্টা করলো। মনে মনে বললো,
‘ভুটকী, দুনিয়ার বুকার বুকা! চোক্ষের মাতাও খাইছে, কানের মাতাও খাইছে! হি হি!’
একটুবাদেই ভেতর থেকে মরিয়ম বেগমের স্বামীর গলার আওয়াজ শোনা গেল। আদুরে গলায় বউকে জিজ্ঞেস করলেন,
‘ও জান, আইজ কী কী করলা সক্কাল বেলা?’
মরিয়ম বেগম স্বামীকে দেখে অবাক মুখে বললেন,
‘আপনে...আইজ এত তাড়াতাড়ি আইয়া পড়ছেন?’
‘হ জান...আইলাম। তুমারে একা রাইখা মনটা খুব আনচান করে। খালি মনে হয়, কেমুন আছো...কী করতাছো?’
এত ভালোবাসার কথায় মরিয়ম বেগমের মনের শান্ত নদীতে ঢেউ উঠলো না। সেখানে এখন স্থায়ী ভাটা। জোয়ার নামে না কখনোই। স্বামীর দিকে অপাঙ্গে চেয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। তারপরে বললেন,
‘খাইছেন?’
‘খামু, তুমি আইসা বস পাশে।’
মরিয়ম বেগম শান্তমুখে বললেন,
‘কুসুমরে কইয়েন, আপনার শার্টখান ধুইয়া দিতে। আলু, টমেটো, বেগুন চটচট করবো নাইলে। আইজ মনে হয় খুব মজা হইছে ভর্তা। ভাত খাওনের আগেই ভর্তা খাইছেন।
একা খান নাই...আপনেও খাইছেন...আপনার শার্টেও খাইছে...’
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়জুল মহী দারুণ ছন্দোময় ও বর্ণ। মনোমুগ্ধকর l
ভালো লাগেনি ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
Abdul Hannan ধন্যবাদ অভিনন্দন জানানোর জন্য
Hasan ibn Nazrul খুবই ভাল লাগল। মানুষের অসুস্থতায় তো কারো হাত নেই! বয়স বাড়লেই যেন মানুষ রোগ শোকের বাসা বনে যায়। তবে সঙ্গি/সঙ্গিনী এত ভাল হলে জীবনটা ভালই কাটে বলে মনে হয়... নতুবা নরক অপেক্ষা নিকৃষ্ট হত।
মোঃ মোখলেছুর রহমান হা হা হা দারুন বোকা! জানিনা এ বোকামি কতদিন চলবে, ততদিনে মরিয়মের কপাল না ভাঙলেই ভাল। ধীরলয়ে কথন ভাল লাগল।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

স্বামীর মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসায় আকণ্ঠ ডুবে থাকা মানুষটা ভীষণ বোকা। তার বোকামীতে সবাই হাসে...আড়ালে। তিনিও আড়ালে লুকিয়ে রাখেন তার ভাঙ্গামনের যাতনা। সকলের কাছে বোকা সেজেই পার করে দেন ক্লেদময় জীবন।

০১ ডিসেম্বর - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৬৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪