কুলাঙ্গার

বিজয় (ডিসেম্বর ২০১৪)

হাসান কবীর
  • ৪৯
অগ্নিমূর্তি ধারণ করে মিলি ট্রাভেল ব্যাগ হাতে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। আরমান মিলিকে বাধা দেবার কোন সাহস করেনি। অপরাধীদের মন কতটা কাঁচা তা আরমানের এখনকার অসহায় চেহারা দেখে যে কেউ আন্দাজ করতে পারবে খুব সহজেই। অবশ্য মিলির চলে যাবার দৃশ্য নির্বাক চোখে দেখার দায়িত্বটা আরমান পৌরুষের (!) সাথেই পালন করেছে। সাথে নিজের কৃতকর্মের জন্য দুফোঁটা অশ্রু ঝরানোর ব্যর্থ চেষ্টাও করেছে। কিন্তু সফল হয়নি।
মিলি আর আরমানের বিয়ে হয়েছিল গত পাঁচ বছর আগে। দু’জনে উচ্চ শিক্ষিত হলেও বিয়ে হয়েছিল দু’ পরিবারের সম্মতিতেই। মিলি তিন ভাই দু’বোনের মাঝে সবার ছোট। মিলির বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। উনিশ শ একাত্তর সনের মুক্তিযুদ্ধে দুই নং সেক্টরের অধীনে তিনি সক্রিয় যোদ্ধা ছিলেন। তিনি খুব ধুমধাম করেই সরকারি চাকুরীজীবী আরমানের সাথে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন আরমান খুব মেধারী। সে মেধার বলেই চাকুরী পেয়েছে।
পরিণত বয়সে বিয়ে হয়েছিল বলে শুরু থেকেই মিলি সন্তান নিতে চেয়েছিল। কিন্তু আরমান তাতে সায় দেয়নি। সে টেলিভিশনে প্রচারিত বিজ্ঞাপন আর বিদেশী এনজিও স্বাস্থ্য কর্মীদের পরামর্শে বিয়ের প্রথম তিন বছর সন্তান নিবে না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে স্ত্রীকে গর্ভনিরোধক নানা পদ্ধতি অবলম্বন করতে বাধ্য করে। ফলে মিলির নানা রকম শারীরিক সমস্যার মধ্য দিয়ে প্রায় চার বছর অতিবাহিত হয়।
গত বছর আরমান তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী করিমের বাড়ি নেত্রকোনায় ঈদের ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছিল। করিম বিয়ে করেছে বছর তিনেক হয়েছে। এরই মাঝে করিম জোড়া মানিকের বাপ। করিমের ফুটফুটে সন্তান দেখে আরমানকে বাবার হবার বাসনা পেয়ে বসে। সে বাড়ি এসে স্ত্রীকে সকল পদ্ধতি বর্জন করার জন্য বলে।
পদ্ধতি বর্জন করেছে মাস ছয়েক পার হয়ে গেছে। সন্তান গর্ভে আসার কোন আভাস না পেয়ে স্বামী স্ত্রী ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। ডাক্তার জানালেন দীর্ঘদিন পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে মিলির শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসায় সেরে উঠার সম্ভাবনা আধাআধি। নতুবা প্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবে। মিলির চিকিৎসার মধ্য দিয়ে আজ অবধি আরও ছ’মাস পেরিয়ে গেছে। কোন ইতিবাচক ফলাফল দেখতে পাচ্ছে ওরা।
বিয়ের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে সন্তানহীন অন্ধকার ঘরে। তবুও উচ্চ শিক্ষিতা মিলি বাঙালী বধূ হয়ে স্বামীর ঘর করছে। এসব বিষয়ে কারো কাছে কোন অভিযোগ নেই। সন্তানের জন্য যখন মাতৃ হৃদয় কেঁদে উঠে তখন ভাসুর-দেবরদের ছোট ছোট সন্তানদের দিকে চেয়ে চক্ষু শীতল করে। কিন্তু গত চার বছর এদিকে আরমানের কোন ভ্রুক্ষেপই ছিলনা। যদি করিমের সন্তানদের না দেখতো তাহলে কোন দিন সন্তানের কথা তার মনে হতো কি না কে জানে।
আরমানের অফিস টু বাসা ডিউটি আর মিলির একাকী ঘরে রিমোটের বাটন চাপা ব্যতীত দুটো রান্না করা ছাড়া কোন কাজ ছিলনা। কারণ মিলির বাবা মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিতা করেছেন, শিক্ষিতা হলেই চাকরি করতে হবে এমন দীক্ষা দেননি। এভাবেই দিন কাটছিল। কিন্তু গত ক’দিন যাবত তাদের সংসারে চিন্তা নামক দৈত্য হানা দিয়েছে। কারণ আরমানের চাকরি যাবার পথে। মিলি বহুবার জানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। শ্বশুর বেঁচে নেই, বয়োবৃদ্ধা শাশুড়ি এখনো আছেন। সাংসারিক সকল বিষয় মিলি শাশুড়ির পরামর্শ মত সম্পাদন করে। যে কোন সমস্যা হলে শাশুড়িকে বলে। এ ব্যাপারেও শাশুড়ির সাথে কথা হয়েছে গত পরশুদিন।
মিলির কাছে ছেলের চাকরি যায় যায় শুনে তিনি গতকাল ছেলেকে ডেকে কারণ জানতে চাইলে আরমান মাকে জানায়, সাত বছর আগে চাকরি নেবার সময় মাকে নিয়ে গিয়ে যে কাগজটি তৈরি করেছিল সে কাগজটির কারণে চাকরি যাচ্ছে। এ কথা বলেই মায়ের ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ষাটোর্ধ প্রৌঢ়া লতিফা বেগম এর কিছুই বুঝে না। আরমানও মাকে কিছু খুলে বলে না। লতিফা বেগমের শুধু মনে পড়ে সাত বছর আগে ছেলে চাকরি নেবার আগে তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিল। কয়েকটি কাগজে টিপ সই দিয়েছিল। ছেলে বলেছিল- এটা চাকরির জন্য একটি কাগজ। এ কাগজটি থাকলে খুব সহজে চাকরি হয়। এ কাগজের অনেক মূল্য। তাছাড়া এ কাগজের বিনিময়ে তিনিও মাসে মাসে সরকার থেকে সম্মানী পাবেন। কিন্তু কেন? এর কিছুই তিনি জানেন না, বুঝেনও না। কাগজটি হবার পর ছেলের চাকরি হয়েছে, তিনিও মাসে মাসে ব্যাংকে গিয়ে কিছু টাকা তুলে এনে নাতী-নাতনীদের মাঝে বিতরণ করে দেন। এই টাকা কেন তাকে দেয়া হয় তার কিছুই তিনি জানেন না। সেদিন তার ছেলে তাকে খুব জোর দিয়ে বলেছিল- মা, এ কাগজের কথা যেন কেউ না জানে, জানলে তোমাকে আর টাকা দেবে না। আমার চাকরিতেও সমস্যা হবে। চাকরি চলেও যেতে পারে।
লতিফা বেগমর মনে পড়ে- গত মাসে যখন ব্যাংকে টাকা আনতে গিয়েছিল তখন এক লোক তার ভাতা বইটি হাতে নিয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে বইটির ও তার কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছিল। এবং তার ছেলে আরমানের চাকরির খোঁজ খবর নিয়েছিল। মনের ভুলে তিনি ছেলের চাকুরীর রহস্যও বলেছিলেন। কিন্তু লোকটি কয়েকটি প্রশ্ন করেছিল তার কোন উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
আরমান পেরেশান হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যাবার পর লতিফা বেগম তার আলমারি থেকে ভাতার বই সাথে সাত বছর আগে দেয়া কাগজের একটি খাম হাতে করে পুত্রবধূ মিলির ঘরে আসে। মিলি তখন মনমরা হয়ে বসেছিল জানালার পাশে। শাশুড়ির আগমন টের পেয়ে তাকে চেয়ার টেনে বসতে দেয়। লতিফা বেগম চেয়ারে বসে বইটি ও খামটি মিলি হাতে দিয়ে বলে- বউ! দেখতো কাগজগুলো কিসের? এ কাগজগুলোর জন্যই নাকি তোমার স্বামীর চাকরি যেতে বসেছে।
মিলি বইটি দেখার পর খামটি খুলে কাগজ দেখে অবাক। তার স্বামী এতটা নীচ ভাবতেই অবাক লাগছে। শাশুড়িকে কী করে জানাবে তার স্বামীর এই ঘৃণ্য মানসিকতার কথা। বৃদ্ধ শাশুড়ি কি সব শুনে স্থির থাকতে পারবেন? এসব চিন্তা করে মিলি শাশুড়ীকে বলল- হয়তো কাগজগুলো আবার জমার দিলে চাকরিটা আর যাবে না। এগুলো আমার কাছে রেখে দেই, আপনার ছেলে এলে তার কাছে দেবো। আপনি এ নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করবেন না।
মিলির কথা শুনে লতিফা বেগম চলে যায়। কিন্তু তার মনে সংশয় থেকে যায় যদি আমার ছেলের চাকরি চলে যায়। প্রশ্ন জাগে এটা কি এমন কাগজ যার এত মূল্য? তিনি অপেক্ষায় থাকেন কখন তার ছেলে বাসায় ফিরবে? ছেলের সমস্যা সমাধান হবে কি না জানার জন্য মাতৃ-মন ব্যাকুল হয়ে উঠে।
রাত ন’টার দিকে চিন্তায় মগ্ন, বেদনায় ভারাক্রান্ত মন দিয়ে বাসায় ফেরে আরমান। ছেলের আগমন টের পেয়ে লতিফা বেগম ছুটে আসেন ছেলের ঘরের দিকে। ঘরের দরজার সামনে আসতেই শুনতে পায় স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার শব্দ। মিলি বলছে- তোমার মন এতটা নীচ, আমার ভাবতেও ঘৃণা হচ্ছে তোমার মত একটা অমানুষ আমার স্বামী। যে স্বামী সামান্য চাকরি লাভের আশায় নিজের মাকে বারাঙ্গণা সাজায়। সে সামান্য কটা টাকা পাবার আশায় মায়ের ইজ্জতে আঘাত হানে। যার কাছে তার মায়ের ইজ্জতের কোন মূল্য নেই, যে চাকরির জন্য নিজের মায়ের ইজ্জত নষ্টের সার্টিফিটে তৈরি করে সে আর যাই হোক কখনো কারো স্বামী, কারো পিতা, কারো সন্তান হতে পারেনা। তোমার মত লোকদের জংলী জানোয়ারের সাথে বাস করা উচিত। তোমার মত কুলাঙ্গাদের জন্য আজ ত্রিশ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে নতুন করে শকুন উড়ে আসছে। মনে রেখো আমি এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমরা বেঁচে থাকতে তোমার মত কুলাঙ্গারা কিছুতেই এদেশটাকে শকুনের আহারে পরিণত করতে পারবে না।
লতিফা বেগম আর শুনতে পারছে না। বারাঙ্গনা না বুঝলেও ইজ্জত নষ্ট কথাটা বুঝতে ভুল করেননি তিনি। তার সন্তান তার ইজ্জত নষ্টের সার্টিফিকেট তৈরি করেছে? ছিঃ আমার পেটে এমন কুলাঙ্গারের জন্ম হয়েছে? জানুয়ারি পড়ে জানোয়ারে পরিণত হয়েছে। ভাবতেই তার মাথা চক্কর দেয়। তিনি ঢলে পড়েন জমিনে। বাইরে কারো পড়ে যাবার শব্দ শুনে মিলি দৌড়ে বাইরে এসে দেখে তার শাশুড়ী মাটিতে বেহুঁশ হয়ে পড়ে আছে। মিলি চিৎকার করে। মিলির চিৎকারে মিলির জাঁরা ছুটে আসে। অবস্থা দেখে মিলির বড় জাঁ শাশুড়ির মুখে পানির ছিঁটা দেয়। লতিফা বেগমের জ্ঞান ফেরে।
মিলির চিৎকার শুনে আরমানও ছুটে এসেছিল। জ্ঞান ফিরে এলে আরমানকে লক্ষ্য করে লতিফা বেগম বলেনÑ তুই আমাকে ছুঁবি না, তুই কুলাঙ্গার। তোর মত কুলাঙ্গার সন্তান আমার দরকার নেই। তুই আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যা। মিলি আর তার জাঁরা মিলে তাদের শাশুড়িকে ঘরে দিয়ে আসে। মিলিও নিজের ঘরে এসে আলাদা বিছানা করে শুয়ে পড়ে।
রাতে মিলির মানসিক অবস্থা চটে আছে দেখে আরমান কোন কথা বলার সাহস করেনি। সেও সোফায় শুয়ে মশার কামড় খেয়ে খেয়ে রাত পার করেছে। সকালে মিলির মান ভাঙাতে যেতেই মিলি আবারো চটে যায়। শুরু হয় রাতের তুফান। সে তুফানের সামনে আরমান নিজেকে স্থির রাখতে পারে না। বুঝাতে পারে না মিলিকে কোন মতেই।
মিলি আরমানের কোন কথাই শুনতে রাজী নয়। তার এক কথা যে লোক সামান্য চাকরি লাভের আশায় মায়ের ইজ্জতে কালিমা লেপন করে, তার কাছে বউ-ঝিয়ের কোন মূল্য থাকতে পারে না। বউ-ঝিয়ের ইজ্জত বিক্রি করা তার কাছে পানি পান করা মাত্র। এমন মানুষের সাথে তার ঘর করা অসম্ভব। এমন মানুষের সাথে ঘর করার চেয়ে চিরতরে বনবাসে চলেও যাওয়াও শ্রেয়। সে রাতেই তার বাবাকে ইমেইল করে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছে। সকালে খুব সংক্ষিপ্ত একটি উত্তর পেয়েছে বাবার তরফ থেকে। তার বাবা লিখেছে- তুমি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছো। তোমার এ সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। এ ঘটনা জানার পর তুমি চাইলেও আমি তোমাকে ওখান থেকে জোর করে হলেও নিয়ে আসতাম। এমন পাষণ্ডদের জন্যই একাত্তরে আমাদের মা-বোনদের নির্যাতিত হতে হয়েছে।
ভোর হতেই মিলি তার জিনিসপত্র ট্রাভেল ব্যাগে গুনিয়ে নিয়েছিল। বাবার উত্তর পেয়ে শাশুড়িকে সালাম করতে যায়। দেখেই লতিফা বেগম বুঝতে পারে মিলির মনোভাব। তাই তিনি বলেন- মা, তুমি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছো। এমন কুলাঙ্গারের সাথে তোমার মত ভদ্র মেয়ের সংসার করা সাজে না। দোয়া করি তুমি সুখে থেকো। আমি যদি পারতাম মাটিতে লুকিয়ে পড়তাম। আমার ভাগ্য খারাপ আমাকে এ কুলাঙ্গারের চোখের সামনে থাকতে হচ্ছে।
শাশুড়ির ঘর থেকে এসে ট্রাভেল ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে যায় মিলি। যাবার বেলায় আরমানকে লক্ষ্য করে বলে যায়- তোমার মত লোকেরাই একাত্তরে রাজাকার ছিল। তুমি তাদের ছায়া। আমি চলে গিয়ে প্রমাণ করে যাচ্ছি রাজাকরের প্রতিমূর্তি আর মুক্তিযোদ্ধার রক্ত একই ছাদের নিচে বাস করতে পারে না। তোমার মত কুলাঙ্গারের ঘরে আমার সন্তান জন্মায়নি বলে খোদার দরবারে লাখো শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি বলেই হনহনিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। আর আরমান হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে মিলির প্রস্থানের দিকে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শামীম খান ধিক্কার জানাবার ভাষা নেই । কুলাঙ্গারে ভরে যাচ্ছে সমাজ । সুন্দর লিখেছেন ভাই , শুভকামনা রইল । ভাল থাকবেন ।
আখতারুজ্জামান সোহাগ গল্পটা পড়ে খারাপ লাগল খুব। এমন সন্তানও হয়! হয় নিশ্চয়ই। তবে তা কুলাঙ্গার।
গোবিন্দ বীন ভাল লাগল। আমার কবিতা" বিজয় ৭১" "পড়ার আমন্ত্রন রইল।
মাহমুদ হাসান পারভেজ সব জালদের ধিক্কার।গল্পের কুলাঙ্গার টি বর্তমান সময়ের প্রসব।মা যদি দেশ হয় তাহলে এই কুলাঙ্গারগুলোই এ দেশের সন্তান!!

২৪ নভেম্বর - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪