কুব দুঃখের সংসার আবুল কালামের তিন মেয়ে এক ছেলে কুবক কস্টে সংসারটাকে টেলচেন। ছেলেটা আজ কয়েক মাসদরে বাড়িতে আসচেনা। শুনেছি কথায় জানি বিয়ে করে ফেলেছে। আর এদিকে আবুল কালামে স্ত্রি ছেলে দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল শুঁকিয়ে গেচে। আবুকালামের সুখনাই এক ছেলের দুঃখ অন্যদিকে সংসারের আভাব অনুটন কিভাবে সুখেতাকে। সারাদিন মাঠে কাজ সেরে বিকেল ভেলা বাড়ি পিরেন ঘাম ঝরানো কেলান্ত আর দুঃখেবরা চেহারাটা নিয়ে। তাঁর চুখ ভলদেয় তাঁর বুকে কত দুঃখ কত যন্ত্রনা। গোসলটা সেরে দুলুক্মা ভাত কেঁয়ে একটা গুম তাঁর গুমটাই এখন পরম বন্ধু পরম সাথি। কারণ যে কয়টা ঘন্টা গুমান একয়টা ঘন্টা দুঃখ অবসর পায়। সকাল ভেলা খুদার জালায় তিন মেয়র খাঁউ মাঁউ আর সয়না। মা আমার খিধা লেগেচে ভাতদাউ। মাচার উপড়ে পানিভাত আর মরিচপোড়া দিয়ে কেয়েনে। এসব কেলে ফেট ভেতা করে। আমি কি খরব আমার কলিজা কেঁয়ে তর খুদা নিবারণ কর। আবুল কালাম মেয়েটাকে ডাকদিয়ে কাচেনেয়। আদর্খরে কপালে একটি চুমু দিয়ে বলে মাড়ে আমার একটা চুমু ছাড়া আর দিবার মতজে কিচুনেই। মাড়ে মেয়েদের খুদার জালা বাবার কাচে কত যে কোস্টের কত যন্ত্রণার। কথাটি বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল আবুল কালাম। মেয়েটি তাঁর ছোট্ট ছোট্ট হাতদিয়ে চোখের জল মুছেদিয়ে বলে এই চুমু আমার সব খুদা মিটিয়ে দিয়েছে বাবা। আমার আর খুদা নেই। মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরল আবুল কালাম। তাঁর তিন মেয়ে মিলে অবশেষ পানিভাত টুকু খেয়ে মলিন দুঃখে বড়া চেহারাটা নিয়ে কাজে ছলে যায়। আবুল কালামের শরীলটা বেস ভালনা দুর্ভল হয় পরেছ। কি আবুল কালাম চেহারা সুখিয়ে গেচে যে মনে হচ্ছে পাহাড় পরিমাণ দুঃখ তুমার বুকে। না ওই আখি শরীলটা একটু দুর্ভল হয়ে পরেছে। তা তুমার ছেলে কুথায়? আর ওই কলাঙ্কার ফুলার কথা ভলবেন্না ওই ছেলে কে জন্মদিয়ে আমি পাফ করেছি লাম। কি হয়েছে একটু কুলে ভলুন্ত? ছেলেটা গত দুমাস দরে বাড়ি আসছেনা শুনেছি কুথায় ভিয়ে করে ফেলেছে। আবুল কালাম আমরা কত কস্ট করে ওদেরকে লেখা পরা শিখাই নিজে নাকেয়ে ওদেরকে কাউই। কিন্তু ওরা বড় হয়ে সব ভুলেজায় ভুলেজায় অদের পরিচয় ভুলেজায় কে অদের পিতা। আর তুমার মেয়ে দের খবরকি ওদেরকে লেখা পড়া করাচ্চেনত। আজদ ভাই দুভেলা টিক মত খেতে পাইনা আর পড়া লেখা শিখাব কিখরে। আমার মেজু রীণা ক্লাস ফঊরে পড়ে। নোট বই কিনে দিতে পারতে চীনা। তা নোট বই কত হয়? এই ৩০০ টাকা। আচ্ছা আমি ৫০০ টাকা দিচ্ছি তুমি এটা রাক। আবুল কালাম একদিস্টিতে তাকিয়ে আচে আজদ মিঞার দিকে কত মহৎ এই মানুষটা। কি মিঞা কি হল টাকাটা রাক আর মিঞা টাকাটা রাক। আমিত তুমার ভাই এক ভাই অপর ভাইয়ের জন্য সাহায্যকরবে এটাইত স্বাভাবিক ধর টাকাটা রাক। কাজ শেষে ৩০০ টাকার নোট বই ২০০টাকার বাজার নিয় ভাড়ি ফিরল। মেয়েরা দেখে কত খুশি কত আনন্দ পিপাসিক্ত প্রান কত দিন পর বাল কিছু খাব। আবুল কালাম মেজু মেয়ে রীণা কে ডেকে বলে এইনে তর নোট বই তুই খালতেকে আবার এস্কুলে যাবে। বই পে ইয়ে রীণা খত খুশি। এবার আবুল কালামের স্ত্রি ভাল কিছু রান্না করল পেটবরে খেয়ে। আবুল কালাম তাঁর তিন রাজ ক্কন্নাকে গল্প ভলতে ভলতে গুম পারায়। অন্ধ কারে ডেকে পড়েছে পৃথিবী এখন কেঁউ আর জেগেনেই পৃথিবী নিস্তব্দ হয় পরেছে। এই সময় মুনাজত কবুল হউয়ার সময়। আবুল কালামের স্ত্রি এই গভীর রাত্রে জাগ্রত হয়ে দুহাত উঁচু করে আল্লাহর দর্বারে কান্নায় খরতে লাগে। আল্লাহর কাচে পার্থনা করল হে আল্লাহ আমার ছেলেকে আমার বুকে পড়িয়ে দাউ।এই ফাঁপি গুলামের মুনাজত কবুল কর। আমার ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দাউ। আবুল কালামের স্ত্রির কান্নার আয়াজ আল্লাহর আরশে পুঁছে গেল। পড়ের দিন আবার আবুল কালাম কাজের খুঁজে বের হয়ে পড়ল। আবার আজদের সঙ্গে দেকা। আবুল কালাম আমি তোমাকেই কুচ্চি। কেন আজাদ ভাই? আরে তুমার খুশি সংবাদ আছে। তুমার চাকরি হয় গেছে। দপ্তরির চাকরি বেথুন ৩৫০০০ হাজার টাকা। আজাদ ভাই আপনি মহান পানি মানুষ না ফেরেস্তা। আরে ভাই তুমি আমার পাসের প্রতি বেশি তুমি আমার ভাই তুমার উপড়ে আমার কর্তব আচে। কাল মাসের প্রথম তারিখ কালি তুমি চাকরিতে জয়েন কর। আবুল কালাম তুমার দুঃখের দিন শেষ এখন সামনে জত পাবারাবে শুধু সুখ আর সুখ। ভাই আমি আপনার এঋন কোনদি সুধ খরতে পারবনা। আমার জন্য দুয়া কর আজাদ ভাই। কিছুদিন পর মায়ের ছেলে মায়ের বকে পিঁড়ে এল সঙ্গে টুক টুকে একটা নাথি। মা বাবার কাছে জড়িয়ে দরে ক্ষমা ছাইতে লাগল। আবুল কালাম নাথির মুখের দিকে ছেয়ে সব রাগ অভিমান ভুলে গেল। আনন্দে আনন্দে বরে গেল আবুল কালামে সংসার।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ruma hamid
দয়া করে বাংলা বর্ণমালার প্রত্যেকটির শুদ্ধ উচ্চারণ ভালো করে শিখুন । বানানে ভুল কম হবে এবং আপনার কাব্যের মূল ভাবনাটি সুন্দর প্রকাশ পাবে ।ধন্যবাদ ! ভালো থাকবেন ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।