কেয়ার কী?

দুঃখ (অক্টোবর ২০১৫)

আল্ আমীন
  • 0
  • ৫৪
সকাল থেকেই সেই
টিপ টিপ বিষ্টি
থামছেই না। বাইরে
বেরহবারও কোন উপায়
নেই। দাদুর মুখে বক্
বক্ শব্দে একটু
মনযোগ দিয়ে যে
ফেসবুক চালাব তারও
কোন উপায় নেই। অন্য
রুমে গেলেইত চলে?
কিন্তু মন চায়না কি
জন্য যে দাদুর বক্ বক্
শব্দ শুনতে ভাল লাগে
কে জানে। দাদুর ছুটো
বেলার গল্প বলছে
মাঝে মাঝে ফেসবুক
চালাতে গিয়ে মনযোগ
হারিয়ে পেলি। কেউ
শুনুক বা নাশুনুক দাদু
একের পর এক গল্প
বলতেই তাকে। হঠাৎ
দাদু কুঁকিয়ে উঠে। কি
হয়েছে দাদু? বুকের
ব্রাতাটা খুব বেড়েছে।
দাদু ভাই আমাকে একটু
শুয়েদে? দিচ্ছি দাদু।
দাদুর পিঠের নিচে হাত
দিয়ে আস্তে করে শুয়ে
দিলাম।দাদু পিঠ ব্যাখা
হয়ে গেছে। লাঠির
উপর বর করে কোনু
রকমে চলেন। বেশি
কখন বসে তাখতে
পারেন না। দাদুর পাসে
সব সময় একজন বসে
তাখতে হয়। তানিয়া টা
কুথায় যে গেছে ওটা
অত পারে দাদুর পাসে
বসতে। মনে নেই দাদা
ভাই তুই না কাল নানা
বাড়ি দিয়ে আসলি। ও
হে, তানিয়া ওটা আমার
ছুটো বোন্ সারাখন
আমার মাতায় চরে
আছে। দুষ্টমি চারা
তাখতেই পারেনা। আজ
তানিয়া বাড়িতে নেই
কিন্তু অর দুষ্টমি
গুলো টেনে নিয়ে আসে
আমার কাছে। ফেসবুক
চালাতে বসলে আজ
কেউ এসে বাদা দেয়না।
ওরসঙ্গে দুষ্টুমিতে
খাটানো সময় গুলো যে
পার হয় না। পরিতক্ত
সময় গুলো যেন
বিষাদ। গয়ে গয়ে চলে
আর ভাললাগেনা।
অনেক দিন বলেছি ইস্
তুই যদি একটা দিন
বাড়িত না তাখতি তবে
শান্তি পেতাম শান্তি
মতো নিষাশ বরে বেজে
তাখতে পারতাম। মানুষ
কষ্ট পেতে এত ভাল
বাসে কেনো? অও
দাদা ভাই আমার
মাতায় একটু পানি
দিবি? দিচ্ছি দাদু। দাদু
মগটা কুথায়? মগটা
কুথায় যে রাখছে,
পাচ্ছিনাত। দেখ
প্রতিদিন যে জায়গায়
রাখে অই জায়গায়
অইতো রাখসে। কই
পাইচিস? হে পাইসি।
দাদু কে চখির এক পাসে
এনে শুয়ে দিলাম। দাদা
ভাই তুই আমাকে
ব্রেতা দিচ্চিস।
কুথায় আমিত খুব
হাল্কা ভাবেই ধরলাম।
বালিশে উপরে পলিথিন
দিয়ে দাদুকে শুয়ে
দিলাম। তার পর মাতায়
আস্তে আস্তে পানি
ডালতে লাগলাম কেমন
লাগছে দাদু? একটু ভাল
লাগছে। অনেকখন
মাতায় পানি ডালার পর
হঠাৎ খেয়াল করে
দেখলাম দাদু ঘুমিয়ে
পড়েছেন।
দাদুর মাতার
নিচ থেকে পলিথিনটা
বের করে নিলাম। উফ্
হাতে খুব ধরেছে এত
সময় তানিয়া কিকরে
যে পানিদেয়। কোনু
কোনু দিন দাদুকে
দুতেকে তিনবার
মাতায় পানি দিতে হয়।
ঝাঁক্ বাবা দাদু
ঘুমিয়েছে একটু এবার
একটু শান্তি পাওয়া
গেলো। নিজের রুমে
আসলাম এবার একটু
ঘুমানো ঝাঁক্। টেবুলের
উপরে বই গুলা চড়িয়ে
ছিটিয়ে রয়ছে খুব
এলো
মেলো বাভে। টুবুলে
উপরে অনেক ধূলো পরে
আছে। এত ধূলো হয়
কিভাবে কাল সকালে
এইতো তানিয়া ঝাড়ু
দিয়ে গেল। আনলায়
কাপড় গুলাও অগোছালো
একটা ধরে টান দিলে
সবগুলা পরে যায়।
এবাভে আর
ভাললাগেনা।
মশারিটাও তুলা হয়নি,
থাকুক যেভাবে আছে
সে বাভে পরে আমি
আগে একটু ঘুমদেই।
নামাজ পড়তে হবে
মোবাইলে এলারামটা
লাগিয়ে থই। চারটের
সময় ঘুমতেকে উঠব
তার পর দাঁত মাযব
অযুকরব তারপর
নামাজে যাব।
এলারামটা লাগিয়ে
একটা ঘুম দিলাম
কিন্তু ঘুম কি আর
টাইমটিবল মেনে চলে।
কুথায় এলারাম কুথায়
আজান কিচ্ছুই খানে
ডকল না। আগেত
এলারাম লাগিয়ে
ঘুমাতে হতনা। টিক
সময় তানিয়া এসে ঘুম
ভাঙ্গিয়ে দিত। রেগে
গিয়ে অনেক বকা
দিতাম। কিন্তু আজ
আচ্চেকরে ঘুমালাম
তবেখেনো আপসোস
করতে হয়? কেনযে
নানা বাড়ি দিয়ে
আসলাম। দিয়ে আসার
আগেত আমি সুখি
ছিলাম। আজ দিয়ে
আসব আজ থেকে কেউ
আমাকে কাঁচা ঘুম
ভেঙ্গে দেবেনা। আজ
থেকে ফেসবুক চালাতে
গিয়ে কেউ মাতিয়ে
অতিষ্ট করে
তুলবেনা। আজ কেউ
আমার কথায় কথায়
তর্ক করবেনা। কিন্তু
একটি বার আমার
মাতায় কাজে করলনা।
বোনটাকে যদি নানা
বাড়ি দিয়ে আসি আমি
কথা বলব কার সঙ্গে।
যদিও আমি নানা বাড়ি
দিয়ে আসতে খুশি
ছিলাম তবু অনেক
বাভ ধরেছিলাম। ভাই
দিয়ে আসনা নানা
বাড়ি। আমি এসব পার
বনা। তুই যেতে চাস
একা যা, আমাকেটান
চিস কেন। আমি একা
যেতে পারলে তরে কি
টানতাম। কুবত তরক
করতে জানিস্ একা
যেতে পারিসিনা? ভাই
প্লিজ এই একটা বছর
নানা বাড়ি ঈদ করি।
টিক আছে জা দিয়ে
আসব। বেভে ছিলাম
দিয়ে আসলেই শান্তি।
কিন্তু কিহল সেই
সকাল থেকে একের পর
এক কষ্টের মধ্যে
আছি। মোনাইম আমার
চাচাত ভাই। এই
মোনাইম বিষ্টির
মধ্যে ভিজে কুথায়
যাচ্ছিস? আসছি
ভাইয়া। এসে আমার
হাতে এক হালি ডিম
ধরিয়ে দিলো। এই
আমি ডিম দিয়ে কি
করব। আপু
প্রতিদিন ঐ বাড়ি
থেকে ডিম আনে
তুমার জন্য ইফতার
তেয়রিকরে। তাই এই
মহিলা এসে আমার
হাতে দিয়ে গেলেন।
ডিম পেয়ে বাভলাম
ঝাঁক্ আজ নিজের
মতো করে ইফতার
তেইরি করব।
লয়াড়িটা
নিয়ে চুলায়
বসালাম। আগুন করার
জন্য কখন থেকে মেচ
খুঁজতে খুঁজতে অনেক
কনে খুঁজে পেলাম।
চুলার উপরে দেয়ালটা
পাটা ধরেছে বিষ্টি
হলে টুপ টুপ করে পানি
পরে। চুলা উপরে এক
হাত দিয়ে তালা দরে
রাখতে হয়। এবাভে কি
রান্না করা যায়।
লয়ারিতে তেল
ডাললাম। একটা
চতুর্কুন বিশিষ্ট
একটি রুটির উপরে
ডিম ভেঙ্গে দিলাম।
ডিমটা রুটি থেকে ঘরে
পরে যাছে কীভাবে
সামলাব বুঁজতে
পারছিলাম না। কোনু
মতে রুটি বাজ
করলাম। লয়াড়ির
দিকে ছেয়ে দেখি পুটা
পুটা করে পানি পরে
তেলের ভাগ আর
পানির ভাগ ততকনে
সমান হয়ে গেছে। এত
বিরক্ত লাগছে
মনেহচ্চে লয়াড়িটা
ফেলে দেই। আবার তেল
দিতে হল। এক হাতে
পানি আখটানুর জন্য
তালা দরে আচি। এক
হাতে রুটিটা তেলে
দিলাম কিচুখন পর পর
রুটিটা উলটে দিতে
হচ্ছে। রুটিটা উলটে
দিতে গিয়ে লয়াড়িতে
চামচ রেখে ছিলাম।
আবার যখন রুটি উলটা
নুর জন্য চামচে হাত
দিলাম, ছিক্কার
দেউয়া
চারা কোনু উপায় চিল
না। হাত থেকে তালের
পানি লড়িতে পরে গেল
কুব তারা হুরা করে
লয়াড়িটি লামালাম।
রুটিটা অনেক গুলমাল
হয়ে আছে। দেখে একটু
হাসি পেলো। তানিয়া
এত কষ্ট করে রান্না
করে.......... হাত মুখ ধুয়ে
ইফতারে করার জন্য
পস্তুত তখন এই
আম্মুর ফোন। সালাম
করে জিজ্ঞেস
করলাম কেমন আছো
আম্মু? ভাল আছি
বাবা। আম্মু তানিয়া
কুথায় তানিয়ার কাছে
দাউ? দিচ্ছি। কিরে
ভাই কেমন আচিস?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ লয়াড়িটা কী , বুঝলাম না । গল্পের বিষয় বস্তু ভালই কিন্তু কবিতা হিসেবে মন মেনে নিতে চাইছে না । আর আপনার বানান গুলো অনেক সময় আমাকে অবাক করেছে ! শুভেচ্ছা রইল ।
রেজওয়ানা আলী তনিমা কবিতার মতো করে লেখা কেন বুঝলাম না। শুভেচ্ছা রইলো।
এফ, আই , জুয়েল # বেশ ভালো একটি লেখা । == কবিতায় চাপ পরেছে মনে হয় ।।

২৫ অক্টোবর - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪