পাতালপরী

ভৌতিক (নভেম্বর ২০১৪)

ruma hamid
  • ২০
  • ৩৯
সন্ধার আগে পুকুর থেকে হাতমুখ ধুয়ে আসতে বাগানে দুটো নেংটা বাচ্চা চোখে পড়ল নববধু জোছনার।একটা বাচ্চা তার দিকে তাকিয়ে আছে আর অন্য বাচ্চাটি অন্য দিকে ফিরে বসে আছে। কিছুক্ষন ভাল করে দেখার পর জোছনা দেয় চিৎকার। তারপর অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এক সময় ঝারফুক করা হলে তার জ্ঞান ফেরে। আর এই কথা শোনানো হলেও, গ্রাম্য চিকিৎসকের একটা প্রশ্নের উত্তর জোছনা বারবার এড়িয়ে চলে।
গ্রাম্য চিকিৎসক : সত্যি করে বলুন ,অতীতেও আপনি ভূতের পাললায় পড়ছলিনে ? আমার অভিজ্ঞতায় তাই বলতেছে।
জোছনা : না আপনি ভুল বলছেন। আমার জীবনে এমন কোন ঘটনায় আমার মনে পড়ছে না।
গ্রাম্য চিকিৎসক : আবার মিথ্যা বলছেন ? আপনি সত্য ¯^ীকার করে ননে। আপনাকে আগওে ভূতে ধরছে। তাই আজ আপনি-----।
জোছনা : না চাচী এমন কখনো হয়নি।
জোছনার উগ্র মেজাজী বর জহির রেগে এসে বলল, তুই কি সত্যিটা ¯^ীকার করবি ? নাকি তোকে আজকে আমি এই সকলের সামনে তালাক দিমু।
শাশুরী : জহরি? কি যা থতা কথা কস, চুপ কর ।বউ? সত্যিটা বল মা। তোকে যে সুস্থ হইতে হইবো।
গ্রাম্য চিকিৎসক : বলনে?
¯^ামী : বল জোছনা বল। নইলে আমি -----।
¯^ামীর তালাক দেওয়ার কথা দ্বিতীয়বার ব্যাক্ত করার আগে ,জোছনা এতক্ষনে ¯^ীকার করে বলতে থাকে - তার জীবনে ঘটা ভূতের গল্প।
জোছনার বয়স তখন বার কি তের। একদিন দুপুর বেলা। প্রচন্ড রোদের তাপ চারিদিক খাঁ খ্াঁ করছিল। বাড়ীর ছোট বড় মানুষ গুলো কেউ গোছল করছে, কেউ কাজ সেরে গোছল করতে যাচ্ছে, কেউবা পরিবারের সকলে মিলে দুপুরের খাবার সারছে। একটা সময় দৈনন্দিন নিয়ম অনুযায়ী দুপুরের খাবার সেরে মহিলারা থালাবাসন পুকুরে নিয়ে ধূয়ে গুছিয়ে ,যে যার মতো ঘরের অন্দরে চলে গেল। কেউ ¯^ভাব মতো ঘুমিয়ে পড়ল পাখা করতে করতে। কেউবা দু একজনে বসে গল্প করছে পান চিবুতে চিবুতে।
একসময় দুপুরের কোলাহল শান্ত হয়ে এলেও ,কেউ শুনলেও লক্ষ করল না ,বাড়ীর পশ্চিম দিকে পুকুরের কোনায় বাগান থেকে একটি কান্নার শব্দ অনেক্ষন থেকেই শোনা যাচ্ছে। জোছনার পরিবারের মা- দাদীও ভাবলনা, জোছনা দুপুরে খেতে আসেনি। আসবে কি করে, যা দস্যি মেয়ে জোছনা। কোথায় কোন বন বাদারে আগানে বাগানে গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়াচ্ছে কে জানে। এটাতো তার নিত্য নিয়ম। ক্ষধিা লাগলে ঠিক দৌরে এসে ভাতে পড়বে। মাছ তরকারী থাকলে থাকল ,না থাকলে দাদীর বেটে রাখা বাটামরিচ দিয়ে ভাত সাবার করে আবার ছুটে বাইরে বেরিয়ে যাবে প্রতিবেশী সুন্দরী অল্পবয়সী দাদীর কাছে। তারপর সেই দাদা দাদীর সাথে গল্প গুজব চলতেই থাকে হাহা - হিহি-। আজ সেই দাদীও জোছনার কান্না শুনে বুঝতে পারল না -দূরে তার বাগানে বসে জোছনা তেতুল গাছের নিচ তলায় বসে কাদঁছে।
ছোট বেলায় জোছনা তার মাকে হারায়। ঘরে আসে তার সৎ মা। ভীষন রাগী সৎ মা। সৎ মাকে মা বলে ডাকলেও জোছনা আদর শাসন সব দাদীর কাছেই পায়। আর সৎমায়ের কাছে পায় শুধু কাজের হুকুম এবং ভুল হলেই বকাবকি। তাই হয়ত জোছনার বন বাদারে ঘুরতেই পছন্দ।
সৎ মায়ের বকুনিতে মাঝে মাঝে জোছনা রেগে গেলেও , বার তের বছরের ফুটফুটে সুন্দরী বালিকা জোছনা -তার সৎ মায়ের আদেশ কখনোই অমান্য করনো। তাই আজ যখন মা বাগান থেকে পাতা কুড়িয়ে আনতে বলল, প্রতিবেশী অন্য এক দাদী ও সমবয়সী ফুফুর সাথে পাতা কুড়াতে, বাড়ীর পেছনে পুকুরের ওপাড়ে বাগানে গেল জোছনা। হঠাৎ জোছনার চোখে পড়ল বাগানের ভিতর অগ্নি কোনায় ইয়া মোটা এক তেতুল গাছ আছে। পাতা কুড়াতে কুড়াতে লক্ষ করল, তেতুল গাছের নীচে দু একটা তেতুল পড়ে আছে। জোছনা তেতুল দেেখ ভুলে গেল পাতা কুড়ানোর কথা। সে তেতুল কুড়াতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ল এবং কুড়ে পাওয়া তেতুল খাওয়া শুরু করল। কিছুক্ষন পর দখেল তার সামনে দাড়য়িে আছে অচেনা তিনটা মেয়ে। তারা জোছনাকে অনেকগুলো তেতুল পেরে দিল এবং বলল -তুমি চাইলে আরো তেতুল পেরে দিব। তবে এখান থেকে কোথাও যেতে পারবেনা।
জোছনা বুঝতে পারল এরা আসলে মেয়ে নয় অন্য কিছু। সুন্দরী মেয়ে তিনটির মধ্যে একটি ছিল কুৎসিত। সে কর্কশ ভাষায় বলল-
আমরা একটা কাজে অনেক দুরে যাচিছ। ফিরতে সন্ধা হবে। ততক্ষন পর্যন্ত তুমি এখানেই বসে থাকবে। বুঝেছ মেয়ে?
অন্যদিকে প্রতিবেশী সেই দাদী ও ফুফুর পাতা কুড়ানোর কাজ শেষ হয়ে গেলে, তারা জোছনাকে না দেখতে পেয়ে বাড়ীতে চলে আসে জোছনা ফিরে এসেছে ভেবে। কিন্তু দূর থেকে দাদী ফুফুকে চলে আসতে দেখে জোছনা তাদের ডাকতে চাইলেও কথা বলতে পারল না । কারন, অচেনা ঐ মেয়ে গুলো জোছনার মুখের শব্দ কেড়ে নিয়ে ফেলেছে তাদের যাদু শক্তির দ্বারা। তারপর মুর্হুতরে মধ্যে জোছনার সামনে থেকে কোথায় মিলিয়ে গেল জোছনা তাদের আর দেখতে পেল না। তখন থেকে জোছনার কথা বলার শক্তি নেই, দাড়াতেও পারছিল না। জোছনা বুঝতে পারে ,পরীরা তাদের যাদু শক্তি দিযে জোছনাকে বন্দী করে রেখেছে । তাই জোছনার এই দশা। ভয়ে একা জোছনা উঃ উঃ করে কাদঁতে থাকে শুধু বসে বসে সইে ভর দূপুর বলোয় ।
আজ কেন জানি জোছনার বৃদ্ধা দাদী জোছনাকে একদম ভুলে গেল। অন্যদিন জোছনাকে দুর বন বাদার থেকে ডেকে এনে দাদী বকাঝকা দেয়, শাসন করে। তারপর আদর মাখায় বল—েওরে জোছনা, দাদীর পানটা ছচেে দিতে পারবি ? তোর হাতে দাদীর পান খেতে ইচ্ছা করেরে।
জোছনা ¯^ভাবতই ভীষন রাগী । কন্তি কখনো কারো কথা অমান্য করেনা।তাই দাদীর আদর মাখা কথায় এক দৌরে গিয়ে দাদীর জন্য পান ছেচে আনে। দাদী সেই পান মুখে দেয় , জোছনাকেও একটু দেয়। জোছনা সেই পান মুখে দিয়ে দেয় ছুট- তার খেলার সাথীদের সাথে খলেতে । তারপর ছুটাছুটি খেলা করে জোছনা ।

বিকেল হয়ে এল। বাড়ীর ছেলে মেয়েদের খেলাধূলায় পুরো বাড়ীটা পুনরায় কোলাহল হয়ে উঠল। মহিলারা তাদের রান্নার কাজে পুকুরে আসা যাওয়া শুরু করল। জোছনার বৃদ্ধা দাদী জোছনার দুরসম্পর্কের চাচা এক যুবককে ডেকে নয়িে পুকুর পাড়ে এল নারকেল পারাতে। সাথে এল ছোট ছোট আরো কজন ছেলে মেয়ে। হৈ চৈ এর মধ্যে সেই যুবক গলা উচু করে কথা বলতে বলতে, পায়ে দড়ি পেচিয়ে এক লাফ দু লাফ করতে করতে এক সময় উঠে গেল নারকেল গাছের মাথায়।তারপর চিৎকার করে বলে -
জম্মেী ,কাচা পাতা লাইগবনে ? লাইগলে দুইটা কাচা পাতা কাটি দি। ঝাড়ূ বানাইবেন ? শলাগুলো ভালো হইব।
-আরে তোরে যা কইছি তা কর। শুকনা নারকেল গুলা ফেল আগে।
- আইচ্ছা আইচ্ছা ঠিক আছে। তারপর সেই যুবক এক এক করে পাকা নারিকেল ছিড়ে পুকুরে ফেলতে লাগল ধপাস ধপাস। আর তাতে পানির ছিটকা উপরে উঠতে দেখে ছোট ছলেমে-ে য়েেদরও চিৎকার-
– - একটা - দুইটা-– পাচটা -।
জোছনা সেই দুপুর থেকে তখনো উঃ উঃ করে কেদে চলেছে। পুকুরের এ পাড়ে নারিকেল পারা নিয়ে জোছনার দাদী ও কচি ছেলে ময়েেেদর হৈ চৈ আর ঐ পাড়ে ঘাটে বসে জোছনার সেই তরুনি দাদী ভাতের চাল ধুচ্ছে আপন মনে। হঠাৎ কান্নার শব্দটা তার কানে বাজলে মাথা তুলে তাকায় পুকুরের পশ্চিম পাড়ের বাগানের দিকে- কান্নার শব্দ না ?
একি ভাবে কান্নার শব্দ শুনতে পায় সেই যুবক চাচা নারকেল গাছের মাথায় বসে। ভাল করে তাকিয়ে দেখে দুরে পুকুরের ঐ পাড়ে বাড়ীর পেছনে বাগানের দিকে। মনে মনে বলে -
কে কান্দে ? কোনদিক কান্দে ?
নারকেল কাটা বাদ দিয়ে যুবকটি বাগানে চোখ ঘুরাতে ঘুরাতে একসময় তার চোখ যায় তেতুল গাছ তলায় । দেখে একটা কিশোরী মেয়ে বসে কাদছে। কিছুক্ষন পরেই বুঝতে পারে এ তাদের দশ্যি মেয়ে জোছনা। তাৎক্ষনিক সে যুবক গাছের মাথায় বসে চিৎকার দেয় - ওরে জোছনা কান্দে জোছনা-।
সইে তরুনী দাদী ততক্ষনে দাড়িয়ে পড়ল কে কাদে দেখার জন্য। তারপর যা হবার তাই হল। যুবক চাচাটি দ্রত গাছ থেকে নেমে দৌরে গিয়ে জোছনাকে কোলে করে তুলে আনে। তখন জোছনা কান্না ছাড়া কারো কোন কথায় সাড়া দিতে পারলনা ।ফলে কারো বুঝতে বাকি থাকলনা য,ে জোছনাকে ভূতে ধরেছে। পরে জোছনাকে গোছল করিয়ে ঝারফুক করালে ধিরে ধিরে জোছনা আগের মত সুস্থ হয়ে উঠে, সবার সাথে কথা বলে। বৃদ্ধা দাদী জোছনাকে বুকে টেনে নিয়ে কেঁদে ফেলে।
কেউ জানলনা সেদিন থেকে জোছনার রাতের ঘুম হারাম হয়ে পেছে। প্রতি রাতে একটা ভূত এসে জোছনাকে দেখা দেয়।তখন জোছনা ভয়ে দাদীর কোল ঘেসে চোখ ব›ধ করে থাকে। কিছুক্ষন পর সে ভূতটা উড়াল দিয়ে চলে যায়। মাঝে মাঝে সেই ভূতের সাথে আসে দুজন পরী। জোছনা চিনতে পারে তাদের। পরী দুটো তেতুল গাছ তলার সেই মেয়েগুলো। আর কুৎসিত মেয়েটা ছিল দুষ্ট ভূত। সুন্দর পরী দুটোর একজনকে জোছনার খুব ভাল লাগে। দেখতে ঠিক জোছনার চাচাতো বোনের মত ফর্সা সুন্দর। চিকন চিকন আঙ্গুল, মুক্তোর মত চিকন দাতেঁ তার সুন্দর হাসি দেখতে জোছনার কাছে অপরুপ লাগে। জোছনা জেগে আছে বুঝতে পারলে সুন্দর পরী দুটো হাসে।তখন জোছনা দাদীর বুকের ভিতর মুখ লুকিয়ে আড়চোখে সুন্দর পরীদের দেখে আর অবাক হয়-
পরীরা এত সুন্দর হয় !
লম্বা লম্বা কালো কেশ ওয়ালা মোটা ভূতটাকে জোছনার একদম পছন্দ নয়। আসা মাত্রয় জোছনার মাথার কাছে ধপ করে বসে যায় । ভয়ে জোছনা কেপে উঠে তখন। জোছনার সাথে ভুতের এ বাড়াবাড়ি পরীদেরও পছন্দ নয়। এ নিয়ে ভুত ও পরীদের মধ্যে প্রায় কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু দুষ্ট ভুতের কি ? মানুষকে জ্বালাতন করতে পারলেই যেন তাদের শান্ত।ি আর এ কারনেই রাতে দুষ্ট ভুতটা আসে যখন জোছনা ও জোছনার দাদী ঘুমিয়ে থাকে।
জোছনা কখনো ঘুমিয়ে থাকলেও দুষ্ট ভুত ও পরীদের কথা কাটাকাটি হলে জোছনা জেগে যায়। শুনে তাদের কথা।
ভাল পরী : তুমি আজ যাবেনা ,মেয়েটি ঘুমাচ্ছে ঘুমাতে দাও।
দুষ্ট ভুত : না আমি যাবই যাব। মেয়েটিকে কথা না বলয়িে ফিরে যাবার জন্যতো আসিনি। আমি যাবই উ-হু-হু-হা-হা-হা।
সুন্দর পরী ধমক দিয়ে বলে-
ভুতকো ? মেযেটি জেগে গছেে । সে কিছুতেই তোমার ডাকে সাড়া দেবে না। চল আজ ফিরে যায়।
ভাল পরী : জোছনা ? । আমরা তোমাকে আমাদের সাথে নিযে যেতে চাই,তুমি যাবে ?
সুন্দর পরী : বল জোছনা, তুমি আমাদের সাথে যাবে ? তুমি যদি আমাদের সাথে যাও, তুমি যা চাইবে তাই পাবে। যাবে আমাদের সাথে ?
জোছনা তাদের কথায় সাড়া না দিয়ে দাদীর কোল ঘেসে মাথা লুকাতে থাকে। আর তখনি দাদীর ঘুম ভেঙ্গে নেড়ে চেড়ে উঠে। ভুত ও পরীরা সেখান থেকে মুহ’র্তে মিলিয়ে যায়। জোছনার অনেক রাত পর্যন্ত আর ঘুম হয় না।
জোছনার মনে আর সুখ নেই। সন্ধা হলে একটা ভয় লেগেই থাকে। টিনের চালে ধপ করে শব্দ শোনা মানেই সে বুজতে পারে -দুষ্ট ভুতটা এসে গেছে। দুস্ট ভূতটা কালো বিড়ালের ছো ধরে কখনো এবাড়ী টিনের চালে, কখনো ঐ বাড়ী টিনের চালে বসে থাকে। জোছনা ঘর থেকে বের হলেই জোছনার দিকে তাকিয়ে থাকে দুস্ট ভূতটা।
পাশে চাচার ঘরে আর সবার মত জোছনাও টিভি দেখতে যায সন্ধা বেলা। যাওয়ার সময় অন্য ঘরের টিনের চালে কালো বিড়ালটিকে দেখলেই জোছনা কোন অনুষ্টানে মনোযোগ দিতে পারেনা। টিভি প্রোগ্রাম দেখে সকলে আনন্দ উল্লাস করলেও তখন জোছনার চোখে ভাসতে থাকে সেই কালো বিড়াল। মনে পড়ে তখন রাতে যখন ভুত আসে ভুতের লম্বা লম্বা নখ,লাল লাল আগুনের মত চোখ। হাত ও শরীরে লম্বা লম্বা কালো কেশ। এ দৃশ্য মনে পড়লেই জোছনার খুব ভয় হয়। তবে জোছনার ভয় কেটে যায় যখন সুন্দর পরী দুটোর দরজার উপরে বসে হাসতে থাকার অপরুপ দৃশ্যটি মনে পড়ে। জোছনা এক সময় সবার সাথে গল্প করে বল-ে সইে সুন্দর দুই পরীর কথা আর দুষ্ট ভুতকে ভয়ের কথা। জোছনার মুখে ভুতের কথা শুনে তখন থকেে ভয়ে অন্যরা জোছনার সাথে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। দিনের বেলা প্রয়োজনে কেউ মিশলেও রাতের বেলা কেউ জোছনার সাথে কথা বলতে নারাজ। জোছনাও তা বুঝতে পেরে নিজের মতোই থাকে। কখনো বা সে কথা ভুলে গিয়ে তার প্রান চঞœল মন উতলা হলে ,সবার সাথে গল্পে মেতে উঠে জোছনা । হা হা করে জোরে হাসে। কেউ কেউ ভয়ে তখন জোছনার কাছ থেকে দুরে সরে যায়। এ ভাবে চলে যায় অনেকদিন।

আশ্চর্য গরম ! কতদি -ন বৃষ্টি নাই! কেমনে ঘুমাইব মানুষ !- এই সব বলে বিছানায় শুয়ে পাখা করতে থাকে জোছনার বৃদ্ধা দাদী ।আর জোছনা কাথা মুড়িয়ে দাদীর পাশে শুয়ে থাকে। কোথাও একটু শব্দ হলেই জোছনা কাথার ভিতর মুখ গুজিয়ে দাদীর কোলের ভিতর ঢুকে পড়ে। তখনি রেগে গিয়ে দাদী জোছনার গায়ে পাখা দিয়ে দু চারটা পিটুনি দেয়, আর বল-ে
কোন কালের শীতে ধরছে হ্যা ? কোন কালের শীত? সরে যা আমার কাছ থেকে। আরো দুরে যা।
দাদীর মারের ভয়ে জোছনা একটু দুরে সরে যায়। কিন্তু পরক্ষনে আবার দাদীর কোল ঘেসে কখন ঘুমিয়ে পড়ে দাদী ও জানেনা, জোছনাও থাকে ঘুমে অচেতন। একসময় সে ভুতটি আগের মত এসে জোছনার মাথার কাছে বসে । ফিসফিসিয়ে জোছনাকে বলে- এ্যই এ্যাই এ্যাই।
জোছনা ঘুমে আছে তাই ভুতের কথাটি সেও বলে -এ্যই এ্যাই এ্যাই।
ভূতঃ তোর নাম কি ?
জোছনা আবার ও ঘুমের মধ্যে বলে - তোর নাম কি ?
ঘুমে থকেে জোছনা ভূতরে সাথে কথা বলতে থাকলে ,
জোছনাকে কথা বলতে শুনে দাদী রেগে বল—েকি-রে জোছি কার লগে কথা কস?
জোছনা জেগে বল-ে কই দাদী আমিতো ঘুমে ছিলাম। কার লগে কথা কমু।
দাদীঃ আমি নিজের কানে কি শুনলাম তাইলে ? ভুতের কথা শুনলাম? ভুত আইছে কথা কইত ?
জোছনা এতক্ষনে বুজতে পারে ।চোখ বড় বড় করে জিগ্যেস করল দাদীকে-
ভুত আইছিল ? দেখছেন দাদী? লম্বা লম্বা কেশ! লাল লাল চোখ!
দাদী রেগে বলে--– ঘুমা, আরও দুরে যা। গায়ে বাতাস লাগতে দে।
তারপর একটা হায় তুলে বলে- আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ বৃষ্টি দাও শরীর ঠান্ডা করি দাও।
জোছনার আর ঘুম আসেনা। সে বুঝতে পারে দুষ্ট ভুতটা আসছিল।তাই না ঘুময়িে ভাবে -কি বলছিল দুষ্ট ভুতটা ? কি বলছিলাম আমি? দাদীকে জিগ্যেস করব? না থাক। ভুত আবারও তো আসবে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন ? আমার জীবনটাতো এ ভাবে চলতে পারেনা। এই ভুত টাকে কভিাবে তাড়াব? কিছু একটা করত্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্ইে হবে।
আজো জোছনা উঠানে বরেোতইে সেই বিড়ালটিকে দেখল। ছোট চাচাত বোনটি বিড়াল দেখে চিৎকার করে উঠলে বিড়ালটি পালিয়ে যায়।তারপর একদনি-
জোছনা আজ একটি কঠিন সিন্ধান্ত নয়ে। গভীর রাত! সারা বাড়ী নিস্তব্ধ ! জোছনা অন্য দিনের মতো দাদীর সাথে শুয়ে পড়ল। তবে হাতের কাছে একটা ধারালো দা রাখতে ভুলল না। কাথা মুড়িয়ে শুয়ে চোখ বন্ধ করে জোছনা জেগে রইল ঘুমের ভান করে। চালের টিনে ধপ করে শব্দ হলো । দুই হাতে শক্ত করে দা ধরে শুয়ে থাকে জোছনা ,আর ভাব-ে
আজ আমার একদিন কি ভুতের একদিন।
একসময় সে ভুত ও পরীরা এল। জোছনা ঘুমরে ভান করে রইল । ভাল পরী ও সুন্দর পরী বুঝতে পারল জোছনা তখনো ঘুমায়নি। হাসতে হাসতে সুন্দর পরী বলল-
মেয়েটি এখনো ঘুমায়নি।
দুষ্ট ভুত মোটা কন্ঠে বলল ঃ ময়েটেি ঘুমিয়ে আছে। আমি যাচ্ছি।
জোছনা ভুতরে কথা শুনে কাথার ভিতর দা খানি আরো শক্ত করে মুঠোয় ধরে প্রস্তুতি নিল।
ভাল পরীঃ দাড়াও ভুতকো। চল আজ আমরা ফিরে যাই ।মেয়েটি জেগে আছে।
ভুত : কেন আমায় বাধা দিচ্ছ ? মেয়েটি ঘুমেই আছে ।
সুন্দর পরী ও ভাল পরী ঃ না ভূতকো, চল আজ ফরিে যাই ।
কন্তি ভুতটা পরীদরে কোন বাধায় শুনলনা । জোছনার বালিশের কাছে এসে ধপ করে বসল। জোছনা কাথার ভিতর দা খানি আরও শক্ত মুঠোয় দু হাতে ধরল। অন্নদনিরে মতো ভুতটা জোছনার কানের কাছে ফসিফসিয়িে বলল –-
এই এই এই ।
জোছনা ভূতরে কথায় সারা না দলিে ভাল পরীটি বলল- চলে এস ভুতকো, মেয়েটি এখনো ঘুমাইনি।
সুন্দর পরী : ভুতকো তুমি বোকামী করছ, চলে এস।
ভুতটা পরীদের কথার তোয়াক্কা না করে আবারও ফিসফিসিয়ে বলে-
এই এই - -।
ভুতরে কথা শসে না হতইে জোছনা হটাত উঠে ভুতের গায়ে দয়ে জোরসে এক কোপ। ভুতটা মুহুর্তে উড়াল দিয়ে পালায়। এই কান্ড দখেে দুই পরীর হৈ চৈ লেগে যায়। ভুতকে বকে তারা-
ঃ,বেশ হয়েছেতো এবার। অনেকবার যতেে বারন করেছিলাম । কখা না শুনলে এমনই হয়।
ঃ জানতাম এমন কছিু একটা হবে ।এখন দখেলতেো চাইলে মানুশ কি করতে পারে ।
বেচারা ভুতের আর কথা বলার শক্তি নেই, প্রান নিয়ে পালাল তাড়াতাড়ি। অবশেষে পরী দুটো জোছনাকে বলে গেল-
আজ থেকে তোমাকে আর কোন ভুত জা¡লাতন করতে আসবে না। আমরা পাতালপুরী চলে যাচ্ছি। আর কখনো এখানে আসব না। আজ থেকে তুমি মুক্ত। ভাল থেকো, বিদায়।
তারপর থেকে জোছনার জীবনে শান্তি ফিরে আসে।
জোছনার এক দা- কোপে ভুত পালানোর কথা শুনে জোছনার বর জহির হাসতে হাসতে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বলে –ঃ বাপর-েবা-প! বউ ,তোর ভয়ে ভুত পালায় ? আজ ভয় পেলি কেন ?
জোছনা কোন জবাব দেয় না। গ্রাম্য চিকিৎসক তার জবাব দেয়,-
ভুত সচরাচর দেখ্ াযায় না। তাই, আমিও বিশ্বাস করি না। তবে দু একটা এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটতে শোনা যায়। জীন -পরী আছে তাতো বিশ্বাস করতইে হয়।
তারপর জোছনাকে বলল-
আপনার এসময়ে মেয়েদের মনে অনেক অজানা ভয় ভর করতেই পারে। এ সবে পাত্তা না দেওয়ায় শরীরের জন্য ভালো। সুন্দর পরী,ভাল পরী ঠিক বলছলি । আপনি মুক্ত। আপনি সম্পূর্ন সুস্থ। আপনার মনে নতুন করে যে ভয় জাগছে এখন থেকে সব ঝরেে ফলেে দনে । আর নামায পড়ে আল্লার কাছে একটায় প্রার্থনা করনে , আপনি এবং আপনার অনাগত অথিতি যাতে ভাল থাকেন, সুস্থ থাকনে --।
জহির : কি ?
গ্রাম্য চিকিৎসক হসেে বলনে:
আপনার স্ত্রী জোছনা মা হতে চলেছে।
এরপর জোছনার শশুরালয়ে চলে আনন্দের বন্যা। জোছনাকে করা হয় মিষ্টিমুখ।

জোছনার মা হবার কথা শুনে জোছনার প্রতি ¯^ামী জহিরের ভালোবাসা হঠাৎ করে বেড়ে গেল। রাতে স্ত্রীর মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলল –-
বউ, আমি ঠিক করেছি আমাদের যদি একটা মেয়ে হয়, তার নাম রাখব পাতাল পরী.কি বলসি?
জোছনা মুছকি হেসে বলে- তাই হবে।
জহির বউয়ের কাছে মুখটা এগিয়ে নিয়ে আদর কন্ঠে বলল- সুন্দর পরী, ভালো পরী সুন্দর ? না আমার বউ, হুঁম ?
জোছনা নিশব্দে হাসি দেয়। গোলাপরে পাপরীর মতো তার গোলাপী বাকা ঠোটের ফাঁেক সুন্দর দাতঁগুলো মুক্তোর মত চকিচকি করছিল। জহির বউকে মুগ্ধ চোখে দেখল কিছুক্ষন। তারপর বলল-
আমার বউ চাদেঁর মতো সুন্দর। আমি চাই আমার মেয়েও তার মায়ের মতো ফুটফুটে সুন্দর হোক। পাতালপুরীর সাত সাতটা পরী আমার ময়েরে পিছু নেবে।
তারপর তারা দুজনে একসাথে প্রান খুলে হাস।ে

গভীর রাত । জোছনা ¯^ামীর সাথে ঘুমাচ্ছিল। জহিরের মনে পড়ল জোছনার হাতে দার কোপে ভূত পালানোর কথা। হঠাত জহিরের খুব ভয় হল ।তার মনে পড়ল, বউকে সকলরে সামনে বলা তালাক দওেয়ার কথাটা ।
তুই কি সত্যটিা সীকার করবি নাকি আজকে আমি সকলরে সামনে তোকে তালাক দমিু?
কথাটা মনে হতইে জহিরের মনে হল জোছনা এতক্ষন না ঘুময়িে এক ভয়ংকর রূপে উঠে বসে । জহিরের দিকে ফিরে তাকাল। আগুনের মতো টকটকে লাল দুটো চোখ তার। তার পর হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরে রাখা ধারালো দা দিয়ে ধপ করে জহিরের গায়ে কোপ দেয় জোছনা। সাথে সাথে জহির আচমকা হাউ-মাউ- চিৎকার করতে থাকে । এরপর যা হবার তাই হল ।
¯^ামীর চিৎকারে পাশে ঘুমিয়ে থাকা জোছনা জেগে লাফয়িে ওঠে সান্তনা দতিে থাকল- কি হয়েেছ? কি হয়ছেে আপনার , শান্ত হউন, শান্ত হন আপন।ি
জোছনার মিষ্টি কন্ঠটা হঠাৎ জহিরের কানে গেলে জহির বাস্তবে ফিরে আসে।
জোছনা এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিলে জহির সবটুক পানি পান করল। তারপর বলল –-
একটা দু সস্পণ দখেছলিাম ।আমার কছিু হয়নি তুমি ঘুমিয়ে পড় ।
জোছনা ঘুময়িে পড়লে কিছুক্ষন পর জহির ও নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে যায়।

এরপর কোন একদিন জহির ও জোছনার কোল জুড়ে আসে পরীর মতো সুন্দর ফুটফুটে একটা ময়ে।ে ময়েরে নাম রাখল তারা পাতালপরী। ধীরে ধীরে পাতালপরী এক পা দু পা করে বড় হতে থাকে। শুরু হয় তার পড়ালেখা। জহির ও জোছনার সুখের সংসার চলে যায় বছররে পর ব্ছর । কিন্তু সেই সুখ পুরে ছাই হয়ে গলে হঠাৎ একদিন।
কোন এক রাতে ভয়ংকর এক দূরঘটনায় জহির ও জোছনার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ভাগ্যক্রমে পাতাল পরী দাদীর বাড়ী থাকাতে প্রানে বেচে যায়। জোছনা ও জহরিরে বচেে যাওয়া একটি সন্তান পাতালপরী অবুঝমনে দাদীর পাশে দাড়িয়ে থাকে । স্থির দু চোখে নির্বাক চেয়ে থাকে- তার বাবা মায়ের নিশ্চিহ্ন পোড়া দেহ পড়ে আছে। সে রাতে আকাশে জোৎস্না ছিলনা । তারাগুলো জ্বল জ্বল করছিল হয়ত পাতালপরীকে সাহস ও সান্তনা দতিে । যাত,ে পাতালপরী তার অন্ধকার জীবনে ভয়ঙ্কর কস্ট নামরে ভূতটাকে তাড়াতে পারে ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মইদুল ইসলাম আমার মনে হয়েছে গল্পটির কলেবর দরকারের তুলনায় বড় হয়ে গেছে। আরেকটি বিষয় গ্রাম্য চিকিৎসক ও জোছনার স্বামীর জোছনার ভুতের ইতিহাস জানার জন্য ঐ ভাবে চাপ না দিয়ে তাকে নিমের ডাল দিয়ে নির্দয়ভাবে পেটালে গল্পটি আরো বাস্তবতা পেত। পরবর্তীতে এই পিটানোর জন্য তার স্বামীর অন্তরে অনেক বেশি অনুশোচনাও তৈরী করা যেত। তাতে করে গল্পটিতে আরো বেশি আবেগঘন ভাবগম্ভীরতা সৃষ্টি হত----এটাই কিন্তু গল্পের প্রাণ, যা সৃষ্টি করা সহজ নয়।
শেখ শরীফ গল্প ভাল লাগল।।।
যাযাবর শহীদুল্লাহ বেশ কিছু শব্দের বানান এলোমেলো দেখা যাচ্ছে.গল্পের প্রকৃতিকে সম্পৃক্ত করলে আরো ভালো লাগত.সুন্দর লিখেছেন.
ঠিক বলেছেন দাদা । গল্পের প্রকৃতি সম্পৃক্ত করলে , অনেক সুন্দর একটি কথা বললেন । মনে থাকবে অবশ্যয় । ভালো থাকবেন । অনেক ধন্যবাদ !
শাহ্ আলম শেখ শান্ত বেশ ভাল চমৎকার।। "আমার চলতি সংখ্যায় কবিতা গুলো পড়ার এবং ভোট দেয়ার আমন্ত্রণ করে গেলাম। আশা করি আমার পাতায় আসবেন "
অবশ্যই তা আমি করেছি আপনার আমন্ত্রনের আগেই । ধন্যবাদ ! ভালো থাকবেন ।সফল হোন ।
Iqbal Ali অনেক সুন্দর হয়েছে , অনেক ........................।
অনেক ধন্যবাদ ইকবাল, ভাল থেক ।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ অনেক সাবলীল ভাষায় চমৎকার আপনার গল্প লেখার ধাঁচ !! অশেষ শুভ কামনা জানবেন ------ ।।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া , ভাল থাকবেন ।
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) গল্প বেশ, পাতাল পরীর জন্য শুভেচ্ছা ।
ধন্যবাদ ছোট ভাইয়া ! আশা করছি পরের সংখ্যায়ও আমার লেখা পড়বে । ভালো থেকো ।
মুহাম্মাদ লুকমান রাকীব তারপরও ভাল লাগল কবি বন্ধু। শুভকামনা রইল।চালিয়ে যাও।।"আমার গল্প কবিতার পাতায় আসার নিমন্ত্রণ করে গেলাম।আসলে ধন্য হব হে প্রিয় কবি বন্ধু।"
ধন্যবাদ ভাইয়া ! আপনার নিমন্ত্রনের আগেই আপনার দুটো লেখা পড়েছি , জয়ী হোন ।
মাইদুল আলম সিদ্দিকী ভালো, অনেক বানান ভুল হয়েছে; পরবর্তীতে এমনটা আশা করছিনা।
ঠিক বলেছ । দোয়া করো যাতে, তোমার আশামতো ভালো করতে পারি ।অনেক ধন্যবাদ ছোট ভাইয়া ।
শুভকামনা আপুর জন্য।
একনিষ্ঠ অনুগত কাহিনী বর্ণনায় অনেক স্থানে বিচ্যুতি ঘটেছে... একটু খেয়াল রাখবেন। আরও ভালোর প্রত্যাশা রাখছি।।
অনেক ধন্যবাদ ছোট ভাইয়া ! খেয়াল রাখব ।

১৪ অক্টোবর - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪