অভিসার

কামনা (আগষ্ট ২০১৭)

আল মামুন খান
  • ৩৩
মেয়েটি ছেলেটির পিছু পিছু রুমটাতে ঢুকে গেল। আশপাশের ভাড়াটিয়াদের উৎসুক চোখ ও লালসা ভরা মুখভঙ্গিকে থোরাই পরোয়া করে ছেলেটি। রুমে ঢুকে আলতো করে ভদ্র ভাবে দরোজাটা ভেজিয়ে দিল ছেলেটি। ছিটকিনিটা লাগানো হল না, আড়চোখে দেখে নিল মেয়েটি।
আজ ওরা অভিসারে এসেছে।
কয়েক বছরের প্রেম আজ বুঝি পুর্ণতা পেতে যাচ্ছে!

চারিদিকে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে মেয়েটি। একি! এ কোথায় এলো সে? ব্যাচেলর রুমটি হঠাত করে এমন হয়ে গেল কিভাবে? সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখে একটা খোলা দরোজা দেখা যাচ্ছে। সেখান থেকে ভেসে আসছে পাখির কিচিরমিচির ও বাতাসের শব্দের সাথে আটপৌরে নির্জন দুপুরের ঘ্রান। মনটা ওর ভাল হয়ে গেল- ভীষণ ভাল। ঘাড় বেকিয়ে ছেলেটির পানে একবার চাইল। সে তখন মেয়েটির থেকে ভদ্র গোছের দুরত্ত বজায় রেখে একটা পা দেয়ালে ঠেক দিয়ে দাঁড়ানো। মেয়েটির একটা ভ্রু প্রসারিত হতেই টিকটিকি মানব তার অবস্থান থেকে নেমে এসে মেয়েটির একটা হাত ধরল। একটু কেঁপে উঠে মেয়েটিও পরম মমতায় নির্ভরতার সাথে হাতে হাত রাখল। দুজনে সেই পথ ধরে সামনের দিকে আগাতে থাকে। একটা ঝলমলে বিকেলে তারা একটা শান বাঁধানো পুকুর ঘাটে এসে একটু থামে। ছেলেটি মেয়েটির চোখে চোখ রাখে। পুর্ণ দৃস্টিতে চার চোখের তারায় তারায় কথা হয়ে যায়। মেয়েটির সম্মতি লক্ষ্য করে ছেলেটি ঢোক গিলে।

তবে হাত ধরা অবস্থায়ই সে মেয়েটিকে একটু দূরে সরিয়ে দেয়। অপ্রত্যাশিত এই দূরত্ব মেয়েটির মনে চিন্তার উদ্রেক করে। সে আরো একটু কাছে আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। কিন্তু মেয়ে বলেই সহজে জড়তা কাটানো ওর পক্ষে সম্ভব হয় না।

ছেলেটি সব কিছু লক্ষ্য করে। এবার সে মেয়েটির পা থেকে জুতো জোড়া খুলে নাঙ্গা পা দু’টি সিড়ির প্রথম ধাপে পানিতে ডুবিয়ে দেয়। নগ্ন পা দেখে তার শরীরের উপর থেকে নিচের দিকে তপ্ত শোণিত দ্রুত থেকে দ্রুততর হতে থাকে। মেয়েটির চোখের তারায় আগুন জলে উঠে। মাথার উপরে সাদা মেঘ বালিকারা নীলাকাশে অলস সময় পরিভ্রমনে ব্যস্ত। তবে এরই ভিতর দিয়ে নিচের এই বিষন্ন বালিকার মাথার চুলকে এলোমেলো করে দিতে বালিকাদের ভুল হয় না। তাতে যদি ওর মন ভাল হয়! ছেলেটি মেয়েটির শরীর থেকে বুনো ফুলের ঘ্রাণ পায়। একটি বুনো ফুলের অঘ্রাতা যৌবনকে ওর মুহুর্তেই ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু মেয়েটির দিকে তাকিয়ে সে শান্ত হয়ে আসে। ওর কপালে ঘামে ভেজা ক’গাছি চুল লেপ্টে আছে... ঠোটের উপর মুক্তো বিন্দুর মত চিকচিক করছে ঘামে ভেজা ত্বক। দু’ঠোট হাল্কা ফাঁক হয়ে আছে অস্ফুটে কিছু বলার অপেক্ষায়। এত কিছু ছেলেটিকে সহজেই প্রলুব্ধ করার মত পরিবেশ-পরিস্থিতির সৃস্টি করে দিলেও সে মেয়েটির হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নেয়।

ওর দেহ-মনের সকল বাসনাকে এক পলকে ফ্রিজ করে দেয় একটি অনুভুতি। ভালবাসি! ভালোবাসার অভিসার তো গোপনে হয় না।
একবুক ভালবাসা নিয়ে ছেলেটি মেয়েটিকে কাছে টেনে নেয়!
ওরা দুজনে হাত ধরাধরি করে রুম থেকে বের হয়ে আসে- সকলের সামনে দিয়ে হেঁটে হেঁটে চলে যায়... ওদের তো এখন আর গোপন করার কিছু নেই। হাঁটতে হাঁটতে ওরা দুজনে কোনো এক যায়গায় ক্লান্ত হয়ে একটু জিরিয়ে নেবে। তখন কথা হবে...
তারপর আবার পথচলার শুরু!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জসিম উদ্দিন আহমেদ গল্পটির সূচনা বেশ ভাল, কিন্তু শেষটা তেমন যুৎসই হয়নি বলে মনে করি। শুভেচ্ছা রইল। আর আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী গল্পের মজা শুরু হতে না হতেই সমাপ্ত। তবে খুব ভালো লাগলো। ভোট রেখে গেলাম, আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল....
মোঃ মোখলেছুর রহমান গল্প টি আর একটু বড় হলে ভাল লাগত।ভোট রইল।

২৫ সেপ্টেম্বর - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৩০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪