তার ভালোবাসার মানুষের সাথে তার বিয়ে হলো না, আর যার সাথে তার বিবাহিত জীবন তার সাথে ভালোবাসা হলো না। শুধু শারীরিক প্রয়োজনে কাছে আসা, বছর ঘুরে সন্তান আসা এভাবে মেয়েটির মাথার চুল কখন যে শুভ্র হয়ে যায় সে নিজেও টের পায় না। এদিকে তার বিয়ের আগের প্রিয় মানুষটি বাবা মায়ের ইচ্ছেতে তাদের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে এবং সে ও একইভাবে জীবনের একমুখী ট্রেইলে সামনে আগাতে থাকে পিছনে যেতে যেতে। তবে ভার্চুয়ালি এই দুজনের হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের কোনো এক যোগসুত্র থেকেই যায়।
এক রাতে মেয়েটির ঘরের মানুষটির পাশে বসেই মেয়েটি ওর প্রিয় মানুষটির সাথে ইনবক্সে কথা বলছিলো, এর ভিতরে মেয়েটির ঘরের মানুষটি মেয়েটিকে নিজের বিছানায় নিয়ে যায়। ছেলেটি সব কিছু বুঝে নিজের ভিতরে এক বিচিত্র অনুভবে দগ্ধ হয়। কিন্তু করার কি কিছুই আছে? হয়তো ওরা ঘুমাচ্ছিলোই। তবু ছেলেটা, বয়স যাকে লোকটাতে রুপান্তরিত করতে অক্ষম হয়েছে, সে নি:শব্দে কিছু ছবি আর শব্দ কল্পনা করতে থাকল, সেই কল্পনা থেকে পাওয়া কষ্ট গুলি সইতে লাগল। রাত বইতে লাগল। ঘুম আর আসে না। মাঝরাতে সে ইনবক্সে এলোমেলো লিখতে থাকে। সে কী এভাবে দূরের কোন শহরের এক বিছানায় নিজের মানুষের শরীর থেকে অন্য পুরুষের হাত সরাতে চায়?
অন্যদিকে মেয়েটা তার বিছানায় নির্ঘুম অনুভব করতে থাকে পুরো গল্পটা। কখনো চুলের ওপর নিয়মিত ছন্দে পড়তে থাকা ঘুমন্ত মানুষটার নি:শ্বাস, কখনো কল্পনার মানুষটার শরীরের প্রতি কোষের অসহ্য কষ্টগুলি, কখনো নিজের দ্বৈত সত্তা - আরো কিছু সত্য যা মেয়েটা একার ভিতর লুকিয়ে রাখে, কাউকে বলে না - সব কিছুই যেন বিমূর্ত শিল্পের মত চোখে ভাসছিল। ঘুম নেই, চোখের কোণে..সে মেসেজ আসার শব্দ পায়। নিরবে জেনে রাখে। উত্তর দেয় না। বরং নিজেকে হাজারো প্রশ্ন করতে থাকে..
এভাবেই হতে থাকে নিরব সংলাপে লেখা এক দীর্ঘ উপন্যাস। রাতের পর দিন, দিনের পর রাত গেঁথে গেঁথে বোনা। হৃদয়ের গহীন গভীরে ভালোবাসার জগত। যে সম্পর্ককে পৃথিবীর কিছুই নাগাল পায় না। অনেকগুলো বছর ধরে ওরা দুজনে সেই সম্পর্কটাকে সযত্নে রেখে দিয়েছে। অনেক কষ্টের, অনেক সুখের সম্পর্ক। অনেক দামী। পার্থিব কোন আকাংখা এই মানুষদুটিকে টলায় না।
ওরা পৃথিবীর কারো কাছে নিজেদের সম্পর্কের জন্য কিছু দাবী করে না। মেয়েটা ওর স্বামী সংসারকে সুন্দরভাবে দেখে, ছেলেটিও পরিবারের সব কিছু ঠিকভাবে করে। কিন্তু হৃদয়ের ভালোবাসাটা শুধুমাত্র মেয়েটির জন্য। এরা দূরে থেকে একে অন্যের জন্য সমগ্র বিশ্বের সকল ভালোবাসাকে ধারণ করে এক অনুপমেয় গ্রন্থ' লিখে চলে। তার নাম দেয় 'প্রেম'।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সুস্মিতা সরকার মৈত্র
গল্পের কনসেপ্ট সত্যি অন্যরকম। ভালো লাগল। কিন্তু গল্প হয়ে ওঠার জন্য কেন জানিনা আমার মনে হল লেখাটা হয়ত আরেকটু পরিসর, আরেকটু মনোযোগ দাবি করে। শুভেচ্ছা রইল। আরও লিখুন।
আমি একজন অণুগল্পকার। এটা একটি অণুগল্প। এই পর্বে আমার ভোটিং অপশ্ন বন্ধ :) তাই প্রতিযোগিতার জন্য গল্প লেখা হয়ে ওঠেনি। একটি অণুগল্প দিয়েই উপশিতি বজায় রাখলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।