জীবনালেখ্যর নাতিদীর্ঘ খতিয়ান মূলে এখন ও জীবন প্রদীপ জ্বলে জোনাকীর মত শৈশব রুদ্ধ ছিল নিয়মের বেড়াজালে কৈশরের উন্মুক্ত-দুরন্ত মাঠ ছিল উর্বর ক্ষেত্র যেখানে শুরু হ’লো বৈরিতার বীজের বপন !
রক্তস্নাত তারুণ্য খুনের দরিয়া করে পার হেসেছিল মুক্তির আনন্দে নবোদিত সূর্যালোকে, অথচ শুরু হ’লো সেথা স্বার্থের সংঘাত- লোভ-মোহ অশালীন স্বেচ্ছাচারিতার উত্থানে উন্মোচিত হ’লো বৈরিতার নতুন সংষ্করণ !
ফুঁসে ওঠে ভ্রমর প্রেমের কুঞ্জ ছেড়ে রুদ্রতায় ! বৈরিতার আগ্রাসনে সুখের স্বপ্ন সাধ মোচড় খায়, জীবন বিচিত্র বড় ! এলো মেলো পথ বেয়ে এগিয়ে যায় জীবন দেখেছে যেমন পূর্ণিমার ভরা চাঁদ- তেমনি দেখেছে আবার চাঁদের গ্রহণ !
অশান্তির ছায়া হাসে দানবকে ভালবেসে দিগন্ত ঘেঁষা যত প্রান্ত গাঁয় ! কখনও ধুসর পথে কিংবা সবুজের শ্যামল ছায়ায় অথবা কখনও আবার অরণ্যের অসভ্যতায় । তবুও বাসর এসে সুখের প্রলেপ হয়ে হৃদয়টা ছুঁয়ে যায় !
এখন ক্রান্তিকাল ! দিগন্তে গোধূলীর আভা, ক্লান্ত পান্থ ওই অস্বচ্ছ দৃষ্টি নিয়ে পেছনে তাকায় ! ইতিহাসের প্রহরীরা এভাবেই বৈরিতা ভেঙ্গে ভেঙ্গে আনন্দ-বেদনা নিয়ে প্রহর কাটায় ! এ বুঝি নিয়তিরই প্রহসন অথবা নয় ।
তবু যদি দেখে যেতাম নির্ঘুম ভেজা চোখে- ভূ-কম্পনের ঝাঁকুনী এসে বৈরিতার উৎসকে জমিনে পুঁতে দিতে- অথবা সুনামী এসে অপয়া বীজানুকে ধুয়ে দিতে, হয়তো বা সান্ত্বনার ছোঁয়ায় শীতল হ’তো উত্তপ্ত হৃদয় ! অতৃপ্তি ঘুঁচে যেত, মুখরিত মাতৃভূমি দেখে বিদায় বেলায় ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আল আমিন
শ্রদ্ধেয় কবি আপনার কবিতার মন্তব্য করার ভাষা নেই আমার। শুধু এটুকুই বলব আমি মুগ্ধ এ লেখায়। শুভাকামনাও শ্রদ্ধা জানবেন। ভোটের মাধ্যমে আপনার প্রাপ্য মেটানো অসম্ভব তবু, যেটুকু ছিল যাহা তাহাই করে গেনু দান
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।