অন্য সম্পর্ক

প্রত্যয় (অক্টোবর ২০১৪)

swarnayu maitra
  • ১০
রবিবারের রসিক ভোজনের পর বিছানায় একটু গা এলিয়ে দিতেই ফোন টা বেজে উঠলো মিহির বাবুর. ফোনটা বিছানার কাছে থাকে বলে বেগ পেতে হলো না উনাকে..মিহির বাবুর ছেলে সুবীর আমেরিকা থেকে ফোন করেছে যে সে পরশু আসছে বাড়িতে.এই খবরে বাবার মন সভাব বসতই খুসিতে ভরে উঠলো.সুচরিতা কে ডেকে সেই কথা বললেন মিহির বাবু..ও মা তাই নাকি"সুচরিতা আনন্দে বলে উঠলো..এবার একটু মিহির বাবু সম্পর্কে বলা যাক.পুরো নাম মিহির লাহিড়ি.অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসার.বিপত্নীক হইছেন অনেক দিন আগেই.কলকাতার দমদমে বসুন্ধরা অপার্ত্মেন্তে একটা ফ্লাট এ থাকেন.জনঘনত্বের এই শহরে ফ্লাটের আসে-পাশে যে সবুজায়ন নেই টা বলা বাহুল্য.চারিপাশে সভ্যতার অগ্রগতির ছোয়া..সুচরিতা ,পুরো নাম সুচরিতা সেন;মিহির বাবুর বান্ধবী.রিটায়ারমেন্ট পার্টি তে দেখ হয় এই পুরানো বান্ধবীর সাথে.সুচরিতা এক ট্রেন এক্সিডেন্ট এ হারিয়েছে পুরো পরিবার.আজ এই দুই বুরবুড়ি একসাথে থাকেন.একে-অপরকে ভালবাসেন.বিয়ে না করে লিভিং এ থাকার সিধ্হান্ত নেন.সমাজের ভয় করেন নি.এক প্রত্যয় দুজনকে এক সাথে থাকার সাহস জোগায়.সুচরিতার নিপুন কর্মপারিদর্শিতায় ঘর গুলি বেশ সুন্দর ভাভে সাজানো.ঘর গোছানো থেকে ছেলের প্রিয় খাবারের বাজার এই নিয়ে কেটে গেল দুদিন.মঙ্গলবার সকালে কলিংবেল টা বাজতেই মিহির ছুটে দরজা টা খুলল.ছেলেকে জড়িয়ে ধরল সে.তারপর প্রাথমিক কথা সেরে সুবীর স্নান এ গেল.স্নান সেরে খাবার টেবিল এ দেখা হলো সবার.মিহির বাবু আর সুবীর খেতে বসেছেন.সুচরিতা খাবার দিচ্ছেন.মিহিরের লিভিং এর ব্যাপার টা সুবীর জানত না আর সুচরিতা রান্নাঘরে ব্যস্ত থাকায় এখন প্রথম দেখা দুজনের..তাই সুচরিতা কে দেখে বলল "বাবা কে উনি? কেউ নতুন খাবার বানানোর লোক." বাবা হাসি হেসে বলল না ও আমার বান্ধবী"পরে বলব সব.হা এখন."সুবীর কিছু না বুঝতে পেরে সুধু হাসলো.একটু মাংশ নাও"সুচরিতা বলে উঠলো."না না অন্টি আর না"সুবীর বলল."না বললে সুনব কেন.এতদিন পর এলে"এই বলে জোর করেই মাংশ টা সুবীরের পাতে দিল সুচরিতা.এই ভাভে প্রথম কথোপকথন হলো ওদের.খাবার শেষে মিহির বাবু ঘরের বিছানায় গা এলিয়ে দিলেন.সুবীর বিছানার পাশে রাখা কাঠের চেয়ার টা তে বসলো."হা বাবা.কি বলছিলে.কে উনি?" মিহির বাবু বললেন "উনি সুচরিতা.আমার বান্ধবী.এক এক্সিডেন্ট এ সব হারিয়্ছে.এখন আমার সাথে থাকে" "মানে? কি বলছ উল্টোপাল্টা" সুবীর অবাক হয়ে বলল."না উল্টোপাল্টা নই.যা ঠিক তাই বলছি.আমরা একসাথে থাকি" মিহির্বাবু বললেন."বুড়ো
বয়সে কি ভিমরতি হলো তোমার.এই সব কান্ড করে বসে আছ.বল নি ফোন এ একবার."সুবীর বলে উঠলো.."না আসলে অনেকবার বলব বলব করে বলা হয় নি"মিহির বললেন."এই সব একদম টলেরাতে করা যায় না." "দেখ বাবা জানিস তো আমার প্রেসার টা হাই.সুগার আছে.কখনো অসুস্থ হলে তুই কি পারতিস আমেরিকা থেকে আসতে.সুচরিতা সব ছিল সেদিন."শান্ত ভাবে জবাব টা দিল মিহির বাবু."ছি ছি .তাই বলে লিভিং.লোকে শুনলে কি বলবে."চিত্কার করে বলল সুবীর.চিত্কার শুনে ছুটে এসেছে সুচরিতা." দেখো বাবা সুবীর এত চিত্কার কর না.উনার প্রেসার টা হাই.উত্তেগিত হে পড়লে মুস্কিল হে যাবে" "আমি কোনো বাইরের লোকের সাথে কথা বলটা চাই না আমাদের পার্সোনাল ব্যাপারে.চলে যান."সুচরিতা কিছু বলতে যাবে তখন সুবীর বলে উঠলো " আমি বলেছি গেট আউট." সুবীর.বড়দের সাথে কি করে কথা বলতে হয় টা জানো না."চিত্কার করে বললেন মিহির বাবু.অবস্থা বেগতিক দেখে সুচরিতা চোলে গেলেন.ঝগড়া বাড়তে থাকলো..রাত হয গেল এই ভাবে.সবার মুখ আজ শুকনো. "দেখো বাবা তুমি ভাভো তুমি কার সাথে আমি না ই সুচরিতা. প্রয়োজনে আয়া রাখত পারতে তাই বোলে লিভিং আমি মানব না."..সুবীর বললে.."দেখ বাবা সুবীর মাথা গরম করিস না"এই বোলে মিহির বোঝানোর চেষ্টা করলো. "আমি জানি না.কাল আমরা আমেরিকে চলে যাচ্ছি."সুবীর বলে উঠলো. "মানে??" মিহির বাবু অবাক হলেন ছেলের কথায়."মানে টা খুব পরিস্কার বাবা.কাল আমেরিকা যাচ্ছি আমরা.মানে আমি আর তুমি.তৈরী হে নাও" মিহির্বাবু পাশের ঘরে চলে গেলেন রাগে.সুবীর নেট থেকে তত্কালে ফ্লাইট বুক করে নিল."আমি আমেরিকা যাব না সুচরিতা."রেগে বললেন মিহির."পাগলামু কর না.আমেরিকা যাও.আজ বাদে কাল সুবীরের বিয়ে হবে.তোমার নাতি-পুটি হবে.তাদের সাথে সময় কাটাবে." "না না না কিছুতেই না.তোমায় ছেড়ে তো কিছুতেই না" দেখো মিহির তুমি যদি আমাকে ভালবাস তালে মনে কর এটা একটা উপহার" এই কথা বলতে বলতে গলা ভারী হয়ে আসছে সুচরিতার.কিন্তু প্রকাশ নেই. তুমি উপহার চাও অন্য কিছু আমি দেব.যাব না তোমায় ছেড়ে" মিহিরের জবাব."তোমার ভালবাসায় ভরসা আছে আমার , আমার কিছু হবে না.তাছাড়া ফোন তো আছে" বলে উঠলেন সুচরিতা.সুচরিতার কথায় শেষে রাজি হতে হলো মিহির্বাবু কে.সুবীর অন্য ঘরে ঘুমিয়ে পরেছে.সুচরিতা মিহির বাবুর জিনিস গুছিয়ে দিচ্ছেন.এই বিচ্ছেদের রাত্রি সাক্ষী শুধু মলিন বাতাস." সখী ভালবাসা করে কয়" গেয়ে উঠলেন সুবীর বাবু.মনে আছে যেদিন দেখা হলো পার্টিতে তুমি আমার সারির কি প্রসংসা করেছিলে." সুচরিতা বললেন.মিহির বাবু জবাব দিলেন" ওই সারি তো ইমপ্রেস করেছিল আমাকে." পুরো রাত পুরানো সৃতির রোমান্টিক সময় ফুটে উঠলো দুই প্রবীন হৃদয়ে.সকাল হয়ে গেল. সূর্য আজ আলোর ধারায় বিষন্নতা ছড়াচ্ছে এই ফ্লাটে.সময়ের কাটা আটকানো যায় না. তাই যাবার সময় চলে এলো.ট্যাক্সি চলে এসেছে. সুবীর মাল উঠাচ্ছে ট্যাক্সি তে.যাবার সময় না বলা কথা রয়ে গেল মনে দুজনের. সুচরিতা চোখের জল সামনে বলে উঠলো" মিষ্টি খাবে না যেন.আর রোদে ঘুরবে না একদম" .ট্যাক্সি সাথে চোলে গেল এক পুরানো আস্থার বাধন.সুচরিতা আবার একা.হঠাত কিছুক্ষন পর বেল বেজে উঠলো. দরজা খুলে দেখে কি মিহির দাড়িয়ে আছে."তুমি??" সুচরিতা অবাক আর খুসি মিশ্রিত হৃদয়ে বলে উঠলো." হ্যা আমি." জড়িয়ে ধরলেন মিহির."আমার তোমার প্রতি প্রত্যয় আছে .." সে আবার কি?"জড়িয়ে থেকে কানের কাছে বলে উঠলেন সুচরিতা." প্রত্যয় মানে আস্থা,প্রত্যয় মানে তোমার প্রতি বিশ্বাস,.প্রত্যয় মানে তুমি আর আমি এবং আমাদের ভালবাসা." বলে উঠলেন মিহির.সমাজ যাই বলুক মিহির আর সুচরিতা জানে ওদের সম্পর্ক টা কি.ওতে আস্থা আছে.বিশ্বাস আছে.আছে ভালবাসার অঙ্গীকার.মিহিরবাবু দরজা থেকে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে গেয়ে উঠলেন "আমার পরানো যাহা চাই".সাক্ষী ছিল সুধু নিবির ভালভাসা যে নিজেই অনেক বড় প্রত্যয়.
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল # লেখার চেষ্টাটা ভালো-----অনেক সুন্দর ।।
শামীম খান লেখায় প্রত্যয় ছিল , যেটা এই 'প্রত্যয় সংখ্যায়' দুঃখজনকভাবে অনেক লেখায় নেই । বানান আর শব্দ বিন্যাসে খেয়ালের অভাব স্পষ্ট । ভাল লিখেছেন । শুভ কামনা রইল ।
মাইদুল আলম সিদ্দিকী ভালো লিখেছেন। কিছু দিক খেয়াল রাখবেন।
মোজাম্মেল কবির বেশ কিছু বানান ভুল আছে। কয়েকটি বাক্য একাধিক বার এসেছে। সংলাপ গুলো আলাদা করে দিলে সুখপাঠ্য হতো। আরো কিছু বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শুভ কামনা রইলো।

৩০ আগষ্ট - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪