লাস্টউইশ ডট কম

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী (নভেম্বর ২০২০)

অম্লান লাহিড়ী
  • ৪৭
লেক টেরাসের দোতলা বাড়িতে খাটের উপর বসে আছেন রণজয় বোস। বাহান্ন বছর বয়সেও বিয়ে-থা করা হয়ে ওঠেনি। গত বাইশ বছর তাকে বাংলা চেনে কুমার রাণা বলে। যাকে ছাড়া গ্রাম মফ:স্বল এ কোনও সঙ্গীত অনুষ্ঠান ভাবাই যায় না। এমনকি কলকাতা শহরেও পাড়া অনুষ্ঠানে তিনি ফেমাস। দেওয়ালময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বা প্রখ্যাত ব্যক্তিদের সাথে ফটো। রাণার হাতে একটা আইপ্যাড। নিজের একটা মাচা ফাংশনের ভিডিও ইউটিউবে দেখছেন। একটু দূরে বসে আছেন মিসেস তানিয়া সেনগুপ্তা। বয়সে রাণার চেয়ে একটু বড় হবেন। রাণার বহুদিনের সেক্রেটারি। একই বাড়িতে দুজনে থাকেন , কিন্তু কেউ তাদের দিকে আঙুল তুলে বলতে পারবে না, এদের কোনোও অনৈতিক সম্বন্ধ আছে। তানিয়া দেখছেন রাণার চোখ থেকে টপটপ করে জল পড়ছে। আইপ্যাডে একটা ই-মেইল এলো, রাণা মনোযোগ দিয়ে মেইলটা পড়ে, YES টাইপ করে পাঠিয়ে দিলেন। রাণা জানেন দুর্ঘটনা থেকে জানে বাঁচলেও কন্ঠে আর কোনোদিন স্বর ফিরবে না।

কসবা গীতাঞ্জলী স্টেডিয়াম এর কাছেই লা মিকাডো অ্যাপার্টমেন্ট। তিনতলায় ২০০ বর্গফুটের অফিসে বসে আছেন শ্যামসম মিত্র। অফিসের বাইরে ছোট্ট একটা বোর্ড:- Lastwish.com। মি: মিত্রর কোলে ল্যাপটপ । একটা মেইল এলো। তিনি ফোন তুলে ব্যাঙ্কে একটা ফোন করলেন এবং দৃশ্যত: আশ্বস্ত হলেন। মিত্রবাবু উঠে পাশের পার্টিশন চেম্বারে নক্ করে বললেন, রবিন, Get ready. Payment done. Assignment to be done today only. Rest info is in your tracking machine.

এরপরের গল্পটা আমরা শুনেছিলাম তানিয়া সেনগুপ্তার কাছে। দুপুর দুটো নাগাদ একটা ফোন আসে।
হ্যালো, আমি রবিন ফ্রম এল. ডবলিউ. কুরিয়ার। ৮৬/৩বি । এটা কি রণজয় বোসের বাড়ির ঠিকানা?
তানিয়া কনফার্ম করলে, রবিন দশ মিনিট অপেক্ষা করতে বলে। একটু পরেই কেমন যেন পা ঘসে হেলতে হেলতে রবিন আসে।
"মাথায় টুপি থাকায় মুখ ভালো করে দেখতে পাইনি। পিঠে একটা ব্যাগ। আমাকে বললেন মেডিক্যাল এমার্জেন্সি । আমি ফোনে মি: বোসের অনুমতি নিয়ে ভিতরে আসতে বললাম। আমি দরোজা বন্ধ করে উপরে উঠতে, রাণা ইশারা করে পাশের ঘরে যেতে বললেন। মিনিট তিনেক পরে এসে দেখি রাণা বিছানায় পরে আছে। পাল্স নেই। আমি চিৎকার করে উঠে ব্যালকিতে এলাম। দেখি রবিন ওই গলির মোড়ে একটা গাড়িতে উঠে চলে গেলো। আবার দৌড়ে এসে দেখি বিছানায় একটা কাগজ,
“Assignment completed. E&OE Lastwish.com.”
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে গাড়ি দেখতে পেয়েছে কিন্তু তাতে কে উঠলো বা নামলো আর গাড়ির নম্বরের ছবি ক্যামেরাতে আসেনি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

এমন একদিন আসবে ইচ্ছামৃত্যু এক্জিকিউট করবার এজেন্সি তৈরী হবে।

১৬ আগষ্ট - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৩৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪