গাম বুট

ব্যথা (জানুয়ারী ২০১৫)

রবিন রহমান
  • 0
  • ২৪
গাম বুট
শীতের রাত, একটু আস্তে গেলে গায়ে শীত যেন কামড় দেয়। তাই দ্রুত পা চালায় অয়ন। রাত দশটা হবে হয়তো, টঙ দোকানে কয়েক বন্ধু আড্ডা দিয়ে ফিরছিল, একটু আসতে বন্ধুদের বিদায় দিয়ে নিজের হলের দিকে হাঁটতে থাকে অয়ন। দোকান গুলোর ভেতর দিয়ে বনের মত ঝোপের ভেতর দিয়ে মোবাইলের মৃদু আলোতে ছুটে চলা। মেয়েদের হলের পাশদিয়ে আর একটা ছোট বাগান পেরলে রাস্তা। মেয়েদের হলের পাশ দিয়ে আসতে একবার রেবেকার কথা মনে হয়। আজ অনেক দিনের প্রেম। বিকেল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত ঘুরেছে দুজনে হাত ধরে। রেবেকা চলে যাবার পর থেকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা শেষে হলে ফিরছে এখন। এতো রাতে রেবেকা কে ডাকা যাবে না। যদিও হল এগারোটা পর্যন্ত বাহিরে আসার অনুমতি আছে। কিন্তু এই শীতে ওকে ডিস্টার্ব না করাই ভালো। রেবেকাদের হল পেরিয়ে ছোট বাগান বন দিয়ে হাঁটতে থাকে। রাস্তার আলো আর পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ শেষ। তাই অন্ধকারের মধ্যে হাঁটতে থাকে। হঠাৎ কানে একটা শব্দ ভেসে আসে।
উহ , পা টা ভেঙে গেলো রে।
কি হলো রেবেকা।
রেবেকা নামটা কানে ভেসে আসতে একটু কৌতূহলী হয়ে দাঁড়ায় অয়ন। কিন্তু না, কি না কি ঝামেলা বেঁধে যায়। বুটের তলার পাথরের মতো ভারি সোল, তার পাড়া কেমন ব্যথা লাগতে পারে অয়ন জানে। তাছাড়া রেবেকা এতরাতে এখানে আসবে কেন। হঠাৎ শুনতে পায়:
কোন শালারে, এমন করে না দেখে হেঁটে যায়।
কথাটা কানে আসতে অয়ন যেন দৌড়ের মতো হাঁটতে থাকে। শেষ পর্যন্ত হলে পৌঁছে হাফ ছাড়ে। তবে কৌতূহল যেন দূর করতে পারে না। রাত পার হতে সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেড়ি হয়ে যায়। রেবেকা ক্লাসে আছে, ক্লাস শেষে দেখা করবে সিদ্ধান্ত নেয়। দুপুর পার হতে রেবেকা কে ফোন দেয় অয়ন। কে, অয়ন, কিছু বলবে।
হ্যাঁ, একটু দেখা করতে হবে। হলের সামনে বাগানে মহুয়া তলায় আসবে একটু।
একটু দেরি হবে আসতে।আমি একটু বাহিরে আছি।
বাহিরে কেনো।
না মানে, আমার একটা ভাই এসেছিলো তো। তাকে এগিয়ে দিয়ে আসতে দেরি হবে।
তোমার ভাই, কাল রাতে তো বললে না। ঠিক আছে, ঠিক বিকেল চার টা। আমি মিস কল দিলে নেমে আসবে।
ঠিক আছে।
বিকেল চারটা, হল থেকে বেরিয়ে আস্তে আস্তে হাঁটতে হাঁটতে এসে রেবেকা দের হলের সামনে বাগানে পৌঁছে মিসকল দেয় অয়ন। কিছু সময়ের মধ্যে রেবেকা কে দেখা যায় হলের গেট দিয়ে এগিয়ে আসতে। কিন্তু রেবেকা খুরিয়ে খুরিয়ে হাঁটছে। একটু কাছে আসতে ওর পায়ে স্পষ্ট দাগ দেখতে পায় অয়ন। দাগটা আর কিছুর না, ওরি গাম বুটের দাগ। হলে একদিন ওরি এক হলের বড় ভাই বুট টা পরে ওর পায়ে চেপে দাঁড়িয়ে ছিল। স্পষ্ট বুঝতে পাচ্ছে সেই একি দাগ। কি ব্যথায় না হয়েছিলো। অপরাধ ছিল মোজা দিয়ে গন্ধ, যা কিনা হলের আশপাশের রুমে ছড়িয়ে পরে ছিল। রেবেকা সামনে এসে দাঁড়ায় যেন অপরাধীর মতো। অয়ন বলে ওঠে:
ব্যথা কি বেশি পেয়েছ। গাম বুটটা যে ভারি।
কথাটা বলতে অয়ন বুঝতে পারে রেবেকার চোখের একফোঁটা অশ্রু ওর গাম বুটের উপর ঝরে পড়েছে।
রবিন রবিন

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মনজুরুল ইসলাম অাসেল অয়েনর িবষয়টা খুব পীড়া িদল। তেব এিট একিট িনয়িমত সমস্যা। অাসেল ভােলাবাসার সংজ্ঞা অেনক পিরবিতর্ত হেয় যােচ্ছ। েরেবকা িকংবা তার বয়েফ্রন্ডেদর েনাংরা মানিসকতার কারেণ ভােলাবাসা অেনকটা মিলন হেচ্ছ।ধন্যবাদ েলখক স্বণ্প কথায় বাস্তবতা ফুিটেয় েতালার জন্য। ভােলা লাগা ো প্রািপ্ত েরেখ েগলাম।
ভালো লাগেনি ২৬ জানুয়ারী, ২০১৫
গোবিন্দ বীন ভাল লাগল,ভাই।আমার কবিতা ও গল্প পড়ার আমন্ত্রন রইল।

১৩ আগষ্ট - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ১৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪