মেডিক্যাল কলেজের অত্যাধুনিক মর্গের বারান্দায় চুপচাপ বসে আছে লাবিব আহমেদ। কিছুক্ষণ আগে তার জীবনে ঘটে গেছে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। ওর সবচেয়ে কাছের মানুষ, জীবনসঙ্গিনী নাবিলা ওকে ছেড়ে চলে গেছে ঐপারে। নাবিলা পেশায় ছিlO চিকিৎসক, কাজ করতো এই মেডিক্যাল কলেজেরই বার্ন ইউনিটে। অ্যাসিড আর আগুনে পোড়া রোগীদের নিজ সন্তানের মত সেবা করতো সে; এভাবে বেশ কয়েকজন রোগী সুস্থতা লাভ করেছে বলে নাবিলার ছিলো দেশজুড়ে ব্যাপক সুনাম। মাত্র কয়েকমাস আগে ডিবির ফরেনসিক ইউনিটের জুনিয়র সায়েন্টিস্ট লাবিবের সাথে বিয়ে হয়েছিলো তার। মাতৃ-পিতৃপরিচয়হীন, এতিমখানায় বড় হয়ে ওঠা লাবিব নিজ যোগ্যতায় হয়ে উঠেছিলো দেশের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল একজন ফরেনসিক এক্সপার্ট; এর পেছনে বড় ভূমিকা ছিলো তার শিক্ষক, নাবিলার বাবা ও ডিবির ফরেনসিক ইউনিটের প্রধান ড. নোমান আজিজের। ছেলেটার প্রতি ব্যাপক ভালবাসা আর স্নেহ থেকেই নিজের মেয়েকে তুলে দিয়েছিলেন লাবিবের হাতে। বিয়ের আগে থেকে ভালোবাসার সম্পর্ক না থাকলেও এই কয়েকমাসে শুধু একজন স্ত্রী নয়, লাবিবের ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছিলো নাবিলা। তাকে হারিয়ে লাবিব যেন আজ পাথর হয়ে গেছে। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারেনি ও, যখন ডিবির কাছ থেকে ফোন আসে, নাবিলাকে বার্ন ইউনিটের ল্যাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এমনকি ময়নাতদন্তের কাজেও ও যেতে পারেনি; এমন সুন্দর দেহে কিভাবে ছুরি চালাবে সে? যে কিনা তার সবচেয়ে কাছের। তাই বুকে পাথর বেঁধে ড. আজিজ নিজেই মেয়ের ময়নাতদন্তের ভার নেন। বেশ শক্ত মানুষ তিনি। মেয়েকে হারানোর কষ্টের মাঝেও দায়িত্ব থেকে পিছু হটেননি তিনি।
দুঘন্টা ধরে বারান্দায় চেয়ারে বসে আছে লাবিব। নন-স্মোকিং এরিয়া সত্ত্বেও টেনে চলেছে সিগারেট। হঠাৎ তার কাঁধে কে যেন হাত রাখলো। ঘুরে দাঁড়ালো লাবিব। তাকিয়ে দেখলো ড. আজিজ দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর চোখের কোনায় জল জমে আছে। লাবিবের হাত থেকে সিগারেটটা খসে পড়ে, সে জড়িয়ে ধরে ড. আজিজকে আর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
-শান্ত হও লাবিব, তুমি না একজন ফরেনসিক এক্সপার্ট? বুকে পাথর রেখে সান্ত্বনা দেন ড. আজিজ।
-বাবা, ও ছাড়া আমার তো আর কেউ নেই। লাবিবের কন্ঠে কান্নার সুর।
-সে তো আমারও নেই। ওর মা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে ওর এইটুকু বয়সে। আমি কি ভেঙ্গে পড়েছি? আসলে আমাদের কাজটাই এমন। ড. আজিজের হাত লাবিবের মাথায়।
-আমি যে আর পারছি না, বাবা। লাবিব জবাব দেয়।
-লাবিব শান্ত হও। নাবিলার খুনিকে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে না?
ড. আজিজের শেষ কথাটা যেন লাবিবের হৃদয়কে প্রকম্পিত করে কয়েকবার।
-তার মানে? লাবিবের কণ্ঠে অবিশ্বাস।
-হ্যাঁ, তাই। ওকে খুন করা হয়েছে। জবাব দেন ড. আজিজ।
ড. আজিজ ময়নাতদন্তের আদ্যোপান্ত বর্ণনা করতে থাকেন লাবিবের কাছে। নাবিলার পাকস্থলিতে এক বিশেষ ধরনের অ্যাসিডের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। অ্যাসিডটা ঠিক কি ধরনের তা সম্পর্কে ধারণা না পেলেও জানা গেছে নাবিলার কন্ঠনালী থেকে শুরু করে পাকস্থলি পর্যন্ত সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আর তাতেই মৃত্যু ঘটেছে ওর।
খবরটা শুনে মুহূর্তের জন্য আবার স্তব্ধ হয়ে যায় লাবিব। এমন ভাল মেয়ের শত্রু কারা? এমন নির্দয় মানুষ কিভাবে হয়? সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে লাবিব, যেভাবেই হোক খুঁজে বার করবে তার স্ত্রীর খুনিদের। বিচারের মুখোমুখি করবে তাদের। পেছনে আওয়াজ পেয়ে দেখলো, দুজন নার্স নিয়ে যাচ্ছে নাবিলার দেহ। আহ! কতো সুন্দর লাগছে ওকে এখনও! অথচ কতোটা মৃত্যুযন্ত্রণা জানি ভোগ করতে হয়েছে ওকে।
পরদিন নাবিলার দাফন সম্পন্ন করে বাসায় ফেরে লাবিব। ড্রইংরুমের দেয়ালে ওদের বিয়ের ছবি, মাঝখানে দাঁড়িয়ে আশির্বাদ করছেন ড. আজিজ। লাবিবের চোখ থেকে পানি ঝরে পড়ে নিঃশব্দে। এতো বড় ঘরে তাকে আজ থেকে একলা থাকতে হবে। ভাবতেই কষ্ট হয় তার। ডাইনিং টেবিলে জলের জগ থেকে ঢক ঢক করে জল খায় সে। তারপর এগিয়ে যায় নাবিলার প্রিয় স্টাডি রুমের দিকে। স্টাডি রুমে মানুষ পড়তে গেলেও নাবিলা যেতো লিখতে। এমনিতে ল্যাপটপ ব্যবহার করলেও নাবিলা স্টাডিতে ওর পিসিতে বসেই লিখতো। লাবিব চুরি করে পড়ার চেষ্টা করলে ধমক লাগাতো। তাই লাবিব কখনো ওর লেখা পড়ে দেখেনি। আজ পিসি খুলে নাবিলার পার্সোনাল ফাইলগুলোতে চোখ বুলায় লাবিব। বেশিরভাগই ওর সাথে নাবিলার সুন্দর মুহূর্তের কাহিনী; নাহলে আধুনিক বার্ন চিকিৎসার নানা নিত্যনতুন তথ্য। দেখে আবারও চোখ ছলছল করে ওঠে লাবিবের। হঠাৎ একটা বিশেষ লেখা দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওর। ওখানে একটা তথ্য আছে। ‘ই ৮৩’ নামের একটা নতুন অ্যাসিডের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এতে রয়েছে তেজস্ক্রিয় সব তরল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল এই অ্যাসিড বায়বীয় আকার ধারণ করে চলতে পারে। নিশ্বাসের সাথে মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে এটা। এতটাই মরণঘাতী এটা যে মানবদেহের সবকিছু পুড়িয়ে ফেলতে পারে। কিন্তু কোথা থেকে এর উৎপত্তি তা খুঁজে বার করা সম্ভব হয়নি এখনও। পরের লেখাগুলো আরও বেশি শিহরিত করে লাবিবকে। তার মনে হতে থাকে এই অ্যাসিডই নাবিলার মৃত্যুর কারণ। কিন্তু সে একজন ফরেনসিক এক্সপার্ট হয়ে কেন এসব তথ্য জানলো না? লাবিব ফোন করে ড. আজিজকে। ফোন ধরে আজিজ সাহেবের দীর্ঘদিনের চাকর রহিম।
-কে? লাবিব বাবা নাকি? জিজ্ঞেস করে রহিম।
-হ্যাঁ, রহিম চাচা। বাবা ঘরে আছে? জিজ্ঞেস করে লাবিব।
-আছে বাবা। তয় স্যার কথা কওনের অবস্থায় নাই। মামুণিরে দাফন কইরা আইসা ফিরিজ থেইক্কা বোতল বাইর কইরা ইচ্ছামত গিলসে। এত মানা করলাম, হুনলো না। পরে বেশি মাতাল হইয়া গেলে পানি আর ওষুধ খাওয়াইয়া ঘুম পারাইসি। জবাব দেয় রহিম।
-আচ্ছা রাখি তাহলে। বলে ফোন রাখে লাবিব। কষ্ট লাগে ড. আজিজের জন্য। গতকাল কত সান্ত্বনা দিলেন তাকে। অথচ আজ মেয়ের দুঃখ ভুলতে হুইস্কির গ্লাসে ডুবলেন তিনি। এই ড্রিঙ্ক করাটা যে কতোটা অপছন্দ ছিলো নাবিলার! এমনকি একদিন লাবিব আর ড. আজিজ মিলে ড্রিঙ্ক করতে শুরু করলে রেগে গিয়ে বোতলটা জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছিলো ও।
এসব ভাবতে ভাবতে গাড়ি বের করে ডিবির ফরেনসিক ল্যাবে যায় লাবিব। অফিসে ঢুকতেই দেখা হয় সহকর্মী ড. নাদিয়া শারমিনের সাথে। নাদিয়া ওর সহপাঠীও বটে। ওকে দেখে নাদিয়া বলে,
-কি রে। তুই আজ কাজে এলি কেন? তোরতো আরও কয়েকদিন রেস্ট নেয়া উচিত ছিলো।
-না, এলাম একটা বিশেষ কাজে। নাবিলার রিপোর্টগুলো আছে তোর কাছে? লাবিব বলে।
-আছে।
-নিয়ে আসবি, প্লিজ।
নাদিয়া রিপোর্টগুলো নিয়ে আসে। ফাইলের খুঁটিনাটি পড়তে থাকে লাবিব। কিছুক্ষণ পরে নাদিয়াকে জিজ্ঞেস করে,
-‘ই ৮৩’ এর নাম শুনেছিস? লাবিব জিজ্ঞেস করে নাদিয়াকে।
-কই না তো? এটা আবার কী?
-এটাই সেই অ্যাসিড যেটা নাবিলাকে খুন করতে ব্যবহার করা হয়েছে।
-তুই কিভাবে জানলি? নাদিয়ার প্রশ্ন।
-যেভাবেই জানি না কেন, তবে মনে হচ্ছে এটাই সত্যি। এখানে দেখ কি লেখা আছে। রিপোর্টের একটা অংশে আঙুল দিয়ে দেখায় লাবিব।
নাদিয়া পড়তে শুরু করে। লেখা রয়েছে, নাবিলার কণ্ঠনালী থেকে পাকস্থলি পর্যন্ত পুড়ে গেলেও জিহ্বা অক্ষত রয়েছে। ড. আজিজ এই ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
-এর মানে কী? নাবিলাকে যদি অ্যাসিড খাওয়ানো হয়ে থাকে তবে তো ওর জিহ্বা সবার আগে পোড়ার কথা! নাদিয়া জিজ্ঞেস করে।
-এখানেই সূত্রটা রয়েছে। ‘ই ৮৩’ এমন একটা অ্যাসিড, যা নিশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ানো যায়। লাবিব নাবিলার পিসিতে পাওয়া তথ্যগুলো জানায় নাদিয়াকে।
-কী সর্বনাশ! এটা নিশ্চয়ই বিজ্ঞানীরা বিশেষভাবে তৈরি করেছেন। কিন্তু কেন? এমন প্রাণঘাতী জিনিস তৈরির দরকার কি? জিজ্ঞেস করে নাদিয়া।
-এর উত্তর পেতে হলে যেতে হবে মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটের ল্যাবে। যেখানে নাবিলার একটা পার্সোনাল ডেস্ক আছে। ও পিসির লেখাটায় লিখেছিলো ডেস্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ আছে। আমার কাছে ডেস্কের ড্রয়ারের সিকিউরিটি কার্ড রয়েছে। আমি যাচ্ছি এখুনি। লাবিব উত্তর দেয়।
-আমিও যাবো। নাদিয়া বলে।
-চল। বলেই লাবিব ওকে নিয়ে আসে গাড়ির সামনে। গাড়িতে উঠে স্টার্ট দেয় সে।
আধঘন্টা পর। বার্ণ ইউনিটের রিসিপশনে দাঁড়িয়ে সুন্দরী রিসিপশনিস্টকে লাবিব জানায়,
-আমি নাবিলার পার্সোনাল কিছু জিনিস নিতে এসেছি।
-ওকে, স্যার যান। আপনাকে আর ডিস্টার্ব করবো না। ম্যাডামের জিনিসগুলোই তো ওনার স্মৃতি। জবাব দেয় রিসিপশনিস্ট।
সোজা দোতলায় ল্যাবে চলে যায় নাদিয়া আর লাবিব। নাবিলার ডেস্কের কাছাকাছি যেতেই ওরা দেখে সাদা অ্যাপ্রোন পরা এক লোক দাঁড়িয়ে আছে সেখানে। ঝুঁকে থেকে ওর ড্রয়ার থেকে কি যেন বের করছে। ওদের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘুরে দাঁড়ায় সে। এ কী? এতো নাবিলার সহকর্মী ডাঃ আসিফ চৌধুরী!
-আরে ড. আহমেদ আপনি? এখানে হঠাৎ? আসিফ জিজ্ঞেস করে বিস্ময়েয় চোখে তাকিয়ে।
-আমিও একই প্রশ্ন করতে চাই। আপনি এখানে আমার স্ত্রীর ড্রয়ার চুরি করে সিকিউরিটি কোড ব্রেক করে খুলে কী করছেন? রাগান্বিত লাবিব প্রশ্ন করে।
-আমি? হা হা হা! বলেই আসিফ একটা রিমোট বের করে তাক করে লাবিব আর নাদিয়ার দিকে। চিৎকার করে উঠে নাদিয়া।
-তোমার স্ত্রীর যেমন নাক গলানোর স্বভাব ছিলো, তোমারও দেখছি ঠিক তাই। ঠিক নয় কি, লাবিব? রিমোট নাচায় আসিফ।
-তুইই তাহলে আমার স্ত্রীকে খুন করেছিস? রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ‘ই ৮৩’ ব্যবহার করে? আমি তোকে শেষ করে ফেলব। বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে লাবিব।
-খুব বেশি জেনে গেছো দেখি তুমিও। ঠিক তোমার বউয়ের মতন। তোমাকেও মরতে হবে। বলেই রিমোট টিপতে যায় আসিফ। পরক্ষণেই চিৎকার করে মেঝেতে লুটিয়ে পরে সে। মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে তার। তার পেছনে নাদিয়াকে একটা ফাটা কাঁচের জার হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হতবাক হয়ে যায় লাবিব। নাদিয়াই জারটা দিয়ে আসিফকে আঘাত করেছে।
-এবার এটা দিয়ে ওকে বেঁধে ফেলি চল। বলে একটা সরু লম্বা পাইপ লাবিবের হাতে দেয় নাদিয়া। এখনও হা করে চেয়ে আছে লাবিব।
পাঁচ ঘন্টা পর ডিবি অফিসে বসে আছে লাবিব, নাদিয়া আর ড. আজিজ। সামনে বসে আছেন ডিবির ডিসি শাফকাত হোসেন। শাফকাত হোসেন তাদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসিফ খুনের কথা স্বীকার করেছে। ‘ই ৮৩’ অ্যাসিডটা ও তৈরি করেছে একটা আন্ডারগ্রাউন্ড মাফিয়ার জন্য। সেটার পরীক্ষা চালানোর জন্য নিজের বার্ন ইউনিটের রোগীদের ব্যবহার করতো আসিফ। হঠাৎ করে কয়েকজন রোগী মারা যাওয়ায় নাবিলার সন্দেহ জাগে। সে ‘ই ৮৩’ সম্পর্কে আর আসিফের বিরুদ্ধে অনেক প্রমাণ জোগাড় করেছিলো। সেগুলোই ছিল ওর ডেস্কে। আর তাই ওকে সরিয়ে দিতেই রিমোটের মাধ্যমে ‘ই ৮৩’ ব্যবহার করে আসিফ। পরদিন যায় প্রমাণগুলো সরিয়ে নিতে। আর তখনই সেখানে পৌঁছায় লাবিব আর নাদিয়া।
-এর পেছনের মাফিয়ারা আবার লাবিবের কোন ক্ষতি করবে না তো? ড. আজিজ জিজ্ঞেস করলেন।
-আমরা ওদের প্রটেকশনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে আশা করি মাফিয়াদের গ্রেফতার করতে বেশিদিন সময় লাগবে না। আসিফের কাছ থেকে ইতোমধ্যেই ওদের ব্যাপারে অনেক তথ্য জানা গেছে। শাফকাত হোসেন আশ্বাস দেন।
-ঠিক আছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আজ চলি। লাবিব বলে উঠে দাঁড়ায়। তার সাথে সাথে বের হন ড. আজিজ আর নাদিয়া।
গাড়িতে ওঠার সময় লাবিব ভাবে, তার স্ত্রী কতো মহান! নিজের জীবন দিয়ে কতোগুলো মানুষের জীবন বাঁচিয়ে দিয়ে গেলো! অথচ তাকে একা করে চলে গেল মেয়েটা! ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে গেলে কিছুতেই যেন মনকে মানানো যায় না। যেখানেই থাকো, ভালো থেকো, নাবিলা! দীর্ঘশ্বাস ফেলে আকাশের দিকে একবার তাকিয়ে ড্রাইভিং সিটে উঠে বসে লাবিব।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এটি একটি দেশিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী।
৩০ জুলাই - ২০১৪
গল্প/কবিতা:
৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪