ছোটবেলায় একলা ঘরে ভয়ের সাথে প্রথম পরিচয় তারপর ওর সাথে দেখা হয়েছে অনেকবার পড়া না পারায় স্কুল কামাই দিয়েছি, সাঁঝের বেলা আঁধার ঝোপে যাওয়া হয়নি, না দেখা ভূতে, বড়দের ধমকেও ছিল তার সরব উপস্থিতি
মাঝখানের অনেকটা বছর ওর সাথে দেখা হয়নি আর
হঠাত করে ওর অন্যরকম প্রত্যাবর্তনে আমি অবাকে নির্বাক রক্ত-লাশে ছেয়ে গেল দেশ, গ্রেফতার-গুমে শিহরিত মানুষ বাকরুদ্ধ, স্ববিরোধী সিদ্ধান্তের ভয়াল থাবায় বিক্ষত বাংলা হতাশার খাদে, গণতন্ত্রের কোমল ডানায় পড়ে রক্ত-চোষা শেকল
একটু একটু করে ফুসফুসে ঢোকে ভয় মেশানো বাতাস, অনুভুতির সফেদ ভূমিতে টপটপ করে পড়ে কষ্টের কালো জল লজ্জা,ঘৃণা,ভয়ে দাঁতে দাঁত লেগে যায়,দাবানল বুদবুদ করে ধমনী-শিরায় আচমকা সাহসী বাতাসে ভরে যায় ফুসফুস, হৃদপিন্ডে চেতনা-প্রেরণার বজ্রপাত মনে পড়ে মাকে দেয়া শেষ কথাটা - ``জেগেছি মা সকাল হবে, তোর্ ছেলেরাই রাত তাড়াবে''
আসলে ভয় পাওয়ার কোনো যোগ্যতাই আমার নেই কারণ আমি অসুস্থ্য মায়ের শিয়রে বসে থাকা জাগ্রতসন্তান , ভয় বা ঘুম বলে কোনো শব্দ যার অভিধানে নেই আমিতো এমন মায়েরই ছেলে - মানুষের একটু আঁচড়ে অনুভবে যে ব্যাথায় কাতর অমানুষ-শরীরে বুলেট ঢোকাতে হাত কাঁপেনা তার আমি তাই- `মানুষ হতে মানুষ চিনি ভয় তাড়াতে সাহস কিনি'
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সেলিনা ইসলাম
"আসলে ভয় পাওয়ার কোনো যোগ্যতাই আমার নেই কারণ আমি অসুস্থ্য মায়ের শিয়রে বসে থাকা জাগ্রতসন্তান ," -লাইনটা অনবদ্য লাগল। শুভকামনা রইল সুন্দর সাবলীল কবিতায়।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।