নীলকমল

রহস্যময়ী নারী (জুলাই ২০১৬)

শামীম খান
  • ১০
  • ২৪
উর্ধ্বাকাশের ঠাণ্ডা হাওয়ায় একগুচ্ছ জল রেনু থেকে জন্ম হোল এক ফোঁটা জলের । যতখানি হালকা হলে কায়দা করে মিহি হাওয়ায় ভেসে থাকা যায় ঠিক ততটাই ক্ষুদ্র দেহ । নাক নেই , কান নেই , ঠোঁট নেই , সারাটা শরীর জুড়ে স্ফটিক একটি চোখ , গোলগাল চক্ষু শরীর । তাতে কি ! এই চোখ দিয়েই সে সব কিছু দেখতে পাচ্ছে স্পষ্ট , আবার সরল জটিল সব কিছু বুঝতেও পারছে । মা , কালী মেঘার কোলে শুয়ে শুয়ে সেই চোখ দিয়েই সে শুনতে পেল বজ্র মামার হুঙ্কার আর হাওয়ার আহ্লাদী মেয়েদের ফিসফিসানি । সহোদরদের সাথে কথা বার্তাও সেরে নিচ্ছে সে চোখে চোখে । নীল আকাশে ভেসে ভেসে সারা দিন সূর্যস্নানের মজাই আলাদা । সেই আনন্দে ভাইবোনদের হাত ধরে ধেই ধেই করে নাচছিল নীল কমল। এরিমধ্যে মায়ের মিঠে কড়া শাসন শুরু হলো , ‘ জন্মাতেই এতো খানি ! খবরদার বলছি , লাফালাফি করিস না তোরা । দুটো দিন হাওয়ায় ভেসে চারিপাশটা একটু দেখেশুনে নে । শুকনো মাটি হা-ভাতের মত হা করে আছে । একবার পা ফসকালে শুষে খাবে কিন্তু !’ নীল কমল এতোক্ষনে নীচে তাকালো । তার কিন্তু মোটেও ভয় করছে না , বরং মনে একটা শিহিরন দোলা দিয়ে গেল । আহ , কি সবুজ , শান্ত নীচের গ্রামটি ! অস্ফুটে সে বলেই ফেললো , ‘ পৃথিবীটা এতো সুন্দর কেন ! ওখানে একটু নিয়ে চলনা না মাগো , দোহাই তোমার !’
বলতে দেরী , ফলতে সময় লাগলো না । টুপ করে কালীমেঘার কোল থেকে ঝরে পড়লো কয়েকটি অগ্রবর্তী জলশিশু । শুন্যের সিঁড়ি বেয়ে নীল কমল এসে পড়লো পুকুর পাড়ের তালগাছটায় , একটি পুষ্ট পাতার খাঁজে । নীচে তালুকদার বাড়ীতে বেশ আমুদে পরিবেশ । বিয়ের কথা চলছে পরীর । ছেলে পক্ষ দেখতে এসেছে । পছন্দ হোলে কাজী ডেকে আজই বিয়ে । পাত্র আকরাম চৌধুরী । বয়স একটু বেশী । উঠতি বয়সে পয়সার পেছনে ছুটতে হয়েছে । এঘাট সেঘাট ঘুরে এখন শেষ যৌবনে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসার ফুসরত মিলেছে । মা-মরা মেয়ে । তালুকদারের দ্বিতীয় স্ত্রীর গলার কাঁটা হয়ে আটকে ছিল ষোলটি বছর । পড়াশোনার শখ ছিল খুব । ক্লাস নাইনে সায়েন্স নিয়েছিল । ছেলেবেলায় খাতার প্রথম পাতায় নাম লিখতে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে নামের আগে ‘ডাঃ’ শব্দটি জুড়ে দিয়ে অপলক চেয়ে থাকতো মেয়েটি । পিছে ফের কেউ দেখে ফেলে ভয়ে বলপেন দিয়ে শব্দটিকে একটি ফুল বানিয়ে ফেলত । ক্লাসের সবাই তাকে ডাকতো ফুল পরী । তবে আড়ালে আবডালে কেউ কেউ ডাকতো ‘মা-খাকী’ ।
পরীকে আজ স্বপ্নের দেশের রাজকন্যার মত লাগছে । কমলা একটি শাড়ী পরেছে সে । শাড়ীটি তার মায়ের স্মৃতি । জেনে শুনেই বিয়েতে মত দিয়েছে । তবু একটু পরপর চোখের কোনটি আঁচল দিয়ে মুছতে হচ্ছে । তালুকদার সাহেবের বিশাল সংসার । তবু পরী ছিল নিঃস্ব , নিঃসঙ্গ । ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে তার । রোজ সন্ধ্যায় গুটি গুটি পায়ে নিজের বালিশটি নিয়ে ছোটমার পাশে যেয়ে শুয়ে পড়তো সে । গভীর রাতে কে যেন তাকে তুলে নিয়ে আলাদা বিছানায় শুইয়ে দিতো , একা । ছোটমার গায়ের ‘মা’ ‘মা’ গন্ধটা শুধুই যে রেহান আর রায়হানের মেনে নিতে কষ্ট হতো তার । তখন থেকে শুধুই ভাবতো , সত্যি কি সে একদিন ডাক্তার হতে পারবে ! সত্যি কি সে একদিন জীবন বাঁচাতে একটি মায়ের পাশে দাঁড়াতে পারবে !
ঝলমলে পোশাকে ঘুরছে বাড়ীর ছেলে-মেয়েরা । রওশন আর সবুজ ট্রেতে করে হবু জামাতার জন্য শরবৎ নিয়ে যাচ্ছে । একই রকম তিনটি গ্লাস । একটিতে চিনির , অন্য দুটিতে লবন ও ঝালের শরবৎ । ট্রেতে ছোট্ট চিরকুট । একটি শ্লোক লেখা তাতে । উত্তর বলতে পারলে রওশন আর সবুজ তাকে চিনির শরবতটি দেখিয়ে দেবে । না পারলে জামাইকে নিজ থেকে বেছে খেতে হবে । ভুল শরবৎ খেতে শুরু করলেই সর্বনাশ । ঝালের তেজে চোখ মুখ লাল হয়ে উঠবে । একটু চেখে রেখে দেবে জামাই । আর হবু শ্যালক , শ্যালিকারা এসময়ে তাকে পুরো শরবতটা খেতে বাধ্য করবে । শ্লোকটি পরীকে লিখতে বলেছিলেন শেফালি বেগম । গোমরা মুখে দূরে সরে গেছে সে । কি ভেবে নিজেই লিখেছেন তিনি ,
তুমি থাকো জলে
আমি থাকি ডালে
তোমার সাথে দেখা হবে
মরণের কালে ।
উত্তর সোজা । মরিচ ও মাছ । হবু জামাইকে তার বেশ পছন্দ । পাত্র নির্বাচন পুরোটাই এগিয়েছে তার আগ্রহে ।
বিরক্তি লাগছে তালুকদারের । বাড়ীর কাউকেই ঝড় তুফান নিয়ে চিন্তিত মনে হচ্ছে না । শুধু তার মন বলছে ঝড় আসবে , অনেক বড় ঝড় । কপাল কুঁচকে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি । রাখাল ছেলেটিকে ডেকে গরু বাছুরের খোঁজ নিতে বললেন । অন্যদিন হোলে সাজু পড়ি মরি করে ছুটত । আজ দাঁত কেলিয়ে হাসছে । একটি কড়া কথা বলতে গিয়েও থেমে গেলেন তালুকদার । মনটা তার বড় বিষণ্ণ । দ্বিতীয় স্ত্রীর মন পেতে মা-মরা মেয়েটিকে কোন দিন ভালো ভাবে আদরও করতে পারেননি । এ বিয়েতে তার মত ছিল না । তবু সম্মতি দিতে হয়েছে । বুকের ভেতর এখন শুন্য শুন্য লাগছে । শেফালি তাকে দুই দুটি ছেলের বাবা হবার সুযোগ দিয়েছে । রেহান , বাকপ্রতিবন্দি , উন্মাদ । প্রায়ই তালাবদ্ধ করে রাখতে হয় । রায়হানের বিচার বুদ্ধি মন্দ নয় । তবে চোখে পুরু লেন্সের চশমা । ডাক্তারের আশঙ্কা , যেকোন সময় নিভে যেতে পারে তার চোখের আলো ।
নাট্যমঞ্চে বিষাদের সুর । মন খারাপ হয়ে গেছে নীলকমলের । শেষ দৃশ্যের সংলাপগুলো শুনতে আর মন সায় দিচ্ছে না । তবু পাতাটি তাকে বুকের খাঁজে আগলে রেখেছে । ওখান থেকে একটা এনে এখান থেকে আরেকটার সম্মিলনের নাম বোধ হয় সংসার অথবা রান্না বাটি । সংসার শিল্পের কুশীলবেরা মঞ্চের পাদপ্রদীপ জুড়ে জলজের সাথে বৃক্ষজের মিলনের রুপরেখা এঁকে চলেছে । ঠিক তখনি দমকা হাওয়ায় গোয়াল ঘরের একটি বেড়া শুন্যে উড়ে গেল । পুকুর পাড়ের গাছগুলো দুরন্ত চাপে হেলে পড়েছে এক দিকে । দূর থেকে দেখাচ্ছে যেন পাড়ার কোমর বাঁকা বুড়িরা এলো হাওয়ায় চুল ভাসিয়ে পাগলাটে হাসি হাসছে । কোন চুপিসারে কালী মেঘা শত সঙ্গী নিয়ে ছেয়ে ফেলেছে পুরো আকাশটিকে। এবার মুহুর্মুহু বজ্র ধ্বনি । কেঁপে উঠলো পুরো গ্রাম । আর উন্মত্তের মত ছুরি হাতে ঘরে ঢুকলো একজন । ভয়ার্ত কণ্ঠে চিৎকার করে উঠলেন শেফালি বেগম । বড় দেরী হয় গেছে । বাতাসের গর্জন ছাপিয়ে ভেসে এলো একটি মেয়ের আর্তনাদ ! মুহূর্তে সব আনন্দ কলরব থমকে দাঁড়াতেই আরেকটি বোবা গোঙানির আওয়াজ ভেসে এলো । সবাই ছুটে গেলো সেদিকে । অবিশ্বাস্য ! রক্ত মাখা ছুরি হাতে তখনো কাঁপছে পরী । মেঝেতে রক্তের সাগর । নিঃসাড় শুয়ে আছে অষ্টাদশী কাজের মেয়ে , রোমেনা আর শেফালীর বুকের মানিক , রেহান ।
কয়েক ঘণ্টার মুষলধারায় সরস হয়েছে শুকনো মাটি । শুধু শেফালি বেগমের বুকটি শুষ্ক , মরু । বজ্র ডাকলে রেহানের মাথায় খুন চেপে বসবে , বিয়ের ডামাডোলে বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন । যার মনে ছিল সে-ই কি খুন করেছে রেহানকে ? তুলে নিয়েছে শেফালীর উপর মধুর প্রতিশোধ ! বৃষ্টি থামতে বাড়ীতে পুলিশ এসে পৌঁছিয়েছে । লাশ সরানো হয়ে গেছে । শুন্য দৃষ্টি মেলে রেহানের ঘরের দিকে চেয়ে আছেন শেফালি । পরীর হাতে হাতকড়া পরানো হচ্ছে । প্রলাপের মত একঘেয়ে সুরে বলে চলেছে মেয়েটি , ‘রেহানকে আমি ঠেকাতে গিয়েছিলাম । ওকে আমি মারিনি মা , রেহানকে .........।’ তার বয়স যখন এক বছর একবার শেফালীকে ‘মা’ বলে ডেকেছিল । বিজাতিয় ঘৃণায় শেফালি সেদিন মেয়েটির গলা চেপে ধরেছিলেন । আজ আবার ! উঠে দাঁড়ালেন শেফালি বেগম ‘দারোগা সাহেব ,আমার হাতেই খুন হয়েছে আমার ছেলে । আমাকে গ্রেফতার করুন , আমার মেয়েকে নয় ......।’ সারা গ্রাম ভেঙে পড়েছে তালুকদার বাড়ীতে । সারা জীবনের পাপ কি কেউ এক লহমায় শোধ করতে পারে ? নির্বাক বিস্ময়ে একথাটাই ভাবতে রইল তারা ।
ইউনিফর্ম পরা লোকগুলো চলে যেতেই সাদা মেঘের আড়াল থেকে উঁকি দিয়েছে চাঁদ । আর নিয়তির পরোয়ানা হাতে কোথা থেকে উড়ে এসেছে দমকা হাওয়া । এবার জলশিশুটি তালপাতার খাঁজ থেকে টুপ করে খসে পড়লো পুকুরের জলে । জলাধারে বিলীন হবার আগে তৃপ্ত হাসি আর দীপ্ত সাহসে আরও কিছুক্ষণ বুদবুদ হয়ে ভেসে রইল নীলকমল ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া অসম্ভব সুন্দর একটি গল্প। এতো রাতে পড়তে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ পৃথিবীর মানুষকে আল্লাহ্তা’লা শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েই সৃষ্টি করেছেন । কিন্তু উৎসমুখ থেকেই বিপাকে পড়েছে শয়তানের ধোঁকায় । মনে স্থান করে নিয়েছে হিংসা, বিদ্বেষ, স্বার্থপরতা ! “আমি’ আর “আমার” পৃথিবীকে কলুষিত করছে নিয়ত । অথচ সবাইকেই একদিন না একদিন মাটির মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হয়, আর তখনই মনে পড়ে প্রায়শ্চিত্তের কথা, যেমন করে মনে পড়েছে শেফালীর ! কিন্তু ততক্ষণে সূর্য উঠে যায় পশ্চিম দিগন্তে । “আর নিয়তির পরোয়ানা হাতে কোথা থেকে উড়ে এসেছে দমকা হাওয়া । এবার জলশিশুটি তালপাতার খাঁজ থেকে টুপ করে খসে পড়লো পুকুরের জলে । জলাধারে বিলীন হবার আগে তৃপ্ত হাসি আর দীপ্ত সাহসে আরও কিছুক্ষণ বুদবুদ হয়ে ভেসে রইল নীলকমল ।” চমৎকার সমাপ্তিতে তৃপ্তি পেলাম । প্রাপ্যটাও রেখে গেলাম, সাথে শুভেচ্ছা ।
সালাম সানা ভাই । অনেক ধন্যবাদ এভাবে সময় নিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখার জন্য । আপনার মন্তব্যে সব সময় এগিয়ে চলার সাহস পাই । আজো ব্যতিক্রম হোল না । ভাল থাকবেন , শুভ কামনা সারাক্ষণ । এ সংখ্যায় আপনার লেখা পেলাম না , আগামী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকবো ।
প্রান্ত স্বপ্নিল নাটকীয়তায় ভরপুর। অনেক হেয়ালি এই গল্পে, পুরো গল্প না পড়লে এর মর্মার্থ বোঝা মেলা ভার। শুভ কামনা রইল। এমন গল্প আর ও চাই
অনেক ধন্যবাদ । সাথে থাকলে খুশী হবো । ভাল থাকবেন সারাক্ষণ ।
জসিম উদ্দিন আহমেদ গল্প পড়ে ভাল লাগল। গল্পের শেষটা নাটকীয়..... ভাল লেগেছে। ভোট ও শুভেচ্ছা।
অনেক ধন্যবাদ জসিম ভাই । ভাল থাকবেন ।
আহা রুবন মানুষ যখন অসহায় থাকে তখন কিছুই তার করার থাকে না, চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া। কোনও আক্ষেপ নেই প্রতিবাদ নেই এমন কি শারীরিক ভাষাতেও কিছু প্রকাশ করার যার উপায় নেই। গল্পকার রূপকের মাধ্যমে অসাধারণভাবে বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন 'নাক নেই , কান নেই , ঠোঁট নেই , সারাটা শরীর জুড়ে স্ফটিক একটি চোখ , গোলগাল চক্ষু শরীর । তাতে কি ! এই চোখ দিয়েই সে সব কিছু দেখতে পাচ্ছে স্পষ্ট , আবার সরল জটিল সব কিছু বুঝতেও পারছে ।' কোনও প্রতিবাদ নেই বলে কেউ তার বর্তমান অবস্থাকে মেনে নিয়েছে বলে মনে করাটা ভুল। প্রত্যেকের মনের ভেতরে একটা অন্ধকার দিক আছে। সেখান হতে কখনও কখনও ক্রোধ হুঙ্কার দিয়ে ওঠে বজ্রমামার মত। পরি নামের মেয়েটি যে ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখত সেটা পূরণ না হবার কারণে নানা বঞ্চনা থেকে তার ভেতরে ক্ষোভ তৈরি হয়। ডাক্তার হতে পারেনি, শেষে বিয়ে হতে চলেছে বয়স্ক লোকের সঙ্গে, মা ভাবতে চেয়েছিল যাকে তাকে পায়নি। পরির মনে হয়েছিল হয়ত ছোট মার সন্তানদের কারণেই তাকে কাছে টানেনি। সেই ক্ষোভ,বঞ্চনা,যন্ত্রণাই নীল কমল হয়ে ঝরে পরে তার বিয়ের দিনে। আততায়ী হয় পরি। পরিশেষে দেখতে পাই, ছেলেকে হারিয়ে শেফালি বেগমের পাপ বোধ জাগ্রত হয়েছে। আসলে এমনই হয় দু:খ-কষ্ট না পেলে মানুষ অন্যের কষ্ট বুঝতে পারে না। অশিক্ষিত অভাবী গৃহবধূর কাছ সবাই পায় মায়া-মমতা আর শিক্ষিত, বড় কর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে পরিবার পায় অবহেলা, গৃহকর্মীরা পায় খুন্তির ছ্যাঁকা। চমৎকার একটি গল্প! কিন্তু একবার পড়ে ভালভাবে উপলব্ধি করা একটু কঠিন। নিজেকেই ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করছে ভাল একটি গল্প পড়েছি বলে।
অনেক ধন্যবাদ । এভাবে পড়লে লেখাটিকে সার্থক মনে হয় । কেন যেন এ সাইটে পাঠকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে । মননশীল হৃদয় হারিয়ে যাচ্ছে দ্রুত আমাদের সমাজ থেকে । গত সংখ্যায় লেখকদের পাঠক ভোট দেখে আটকে উঠেছি । কি হচ্ছে এসব ! জানিনা কবে আমরা আবার সুন্দরের গুণগ্রাহী হতে পারবো । সবাই ভালো থাকুন । রুবন ভাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ।
আহমেদ রাকিব বেশ সুন্দর একটি গল্প।
ধন্যবাদ , ভাল থাকবেন ।
কেতকী রোজ সন্ধ্যায় গুটি গুটি পায়ে নিজের বালিশটি নিয়ে ছোটমার পাশে যেয়ে শুয়ে পড়তো সে । গভীর রাতে কে যেন তাকে তুলে নিয়ে আলাদা বিছানায় শুইয়ে দিতো , একা ।...এই জায়গাটাতে এসে মনটা ভার হয়ে গেল। পরীর জীবন ডাক্তার না হয়ে জেলবন্দী...খুব দুঃখজনক। নীলকমলের স্বচ্ছতা বেশ লাগল। ভোট রইল।
অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
Azaha Sultan বেশ ভাল লাগল জলশিশুর কথাগুলো.....ভাল কামনা করি.....
অশেষ ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
গোবিন্দ বীন ভাল লাগল,ভোট রেখে গেলাম।কবিতা পড়ার আমন্ত্রন রইল।

২২ জুলাই - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪