অযাচিত প্রেম

প্রেম (ফেব্রুয়ারী ২০১৭)

হাসনা হেনা
এ গল্প যদিও অনেক পুরুনো কিন্তু প্রেম চির নতুন। প্রেম প্রতিদিন জন্ম নেয় নানা রূপে নানা মহিমায় কখনো সুখ ও সুন্দরের আল্পনা আঁকে মনের অলিতে গলিতে আবার কখনও কষ্টের বিষাক্ত নীল সমুেদ্রর উত্তাল তরঙ্গ হয়ে ভেঙ্গে দেয় মনের দুকুল তবুও প্রেম শ্বাশত, আরাধ্য ও অনিবার্য। প্রেমের কোন অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নেই সে অনাদি অনন্ত; শুধু যুগে যু্েগ বদলায় প্রেমের প্রকাশ। অবাধ্য প্রেম না মানে সমাজ,ধর্ম না মানে নিন্দা তিরস্কার। প্রেম ভালবাসা কি? এ প্রশ্নের উত্তর একেক জনের কাছে একেক রকম। আর আমার কাছে প্রেম ভালবাসা হল জলের মত; যে পাত্রে রাখে সে পাত্রেরই রূপ ধারণ করে। এটা কখনো কঠিন কখনো তরল আর কখনো বায়ুবীয়। মানুষের মানসিক প্রয়োজনের গুরুত্বই ভালবাসা। হতে পারে মানুষের জন্য মানুষের কিংবা হউক অন্য কিছুর জন্য। তবে এর গুরুত্ব সব সময় সমান থাকেনা এবং তা স্থান কাল পাত্র বদল করে। এটা কারো কোন নিজস্ব চিরস্থায়ী সম্পত্তি নয়। যদিও আমরা ভালবাসা হারাবার বেদনায় আহত হই, বিধ্বস্ত হই।

রহিমা জরিনা দুই বোন. রহিমা বড় আর জরিনা ছোট তাই স্বাভাবিকভাবেই বিয়ে হয়ে গেল রহিমার আর জরিনা এ গ্রামেরই ছেলে রফিকের প্রেমে হাবু ডুুবু খাচ্ছে। রফিক সময় সুযোগেই জরিনার সাথে দেখা করে প্রেমের সেই চিরাচরিত ভাষা শুনিয়ে আবেগ প্রকাশ করে, জরিনা তোমাকে আমি খুব ভালবাসি, তোমাকে ছাড়া একদম ভাল লাগেনা। মনে চায় তোমার কাছে কাছে থাকি। কবে যে তুমি আমার হবা। তরুণী জরিনা প্রেমের সে মিষ্টি প্রলাপে মুদ্ধ হয় আপ্লুত হয় আর বলে, আমারও তোমারে না দেখলে একদম ভাল লােেগনা। মনডা সবসময় তোমার কাছে পইড়া থাকে। তোমার বাপরে কও আমার বাপের কাছে প্রস্তাব লইয়া যাইতে। রফিক জরিনার হাত ধরে বলে, পাঠামু আর কয়ডা দিন যাওক। জরিনা হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে, আর কয়দিন পর কেন? আসলে তুমি আমারে ভালবাস না। অন্যখানে বিয়া হইয়া গেলে কি করবা। রফিক চোখ বড় বড় করে বলে, কি বললা! অন্য জাগাত বিয়া দিব, আমি বাইচ্চা থাকতে তা অইবার দিব না। জরিনা মুখ বাঁকা করে বলে, বিয়া দিব নাকি ঘরের পালা বানাইয়া রাখব। আমি এহন যাই। রফিক পথ আগলে বলে, আরে শুন, একটা ব্যবস্থা অইব। লও নদীর ধারে বইয়া একটু গল্প করি।

ওদের এ মেলা মেশা ধীরে ধীরে অনেকের নজরে এলো। এ দুই জনের বাড়ীতেই নানান জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেল। রহিমা দুই ছেলে আর স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে আসল বাপের বাড়ী। স্বামী পুলিশে চাকরি করে তাই সব সময় শশুড় বাড়ী বেড়াতে আসা হয়না। জামাইরা যেমনই হউক শশুড় বাড়ীতে তাদের আলাদা একটা কদর আছে যতক্ষণ তার বিশেষ কোন দোষ পাওয়া না যায়। মা বাবা যথা সাধ্য চেষ্টা করে জামাইকে খুশি করার। খুব একটা বিত্তবান না রহিমার বাবা। কয়েক বিঘা জমি আছে চাষ বাস করে জীবিকা নির্বাহ করে।

রহিমা মেঝেতে মাদুর পেতে দুই ছেলে আর স্বামীকে খেতে দিয়ে জরিনাকে ডেকে বলল মাছ তরকারী নিয়ে আসতে। জরিনা তরকারীর বাটি নিয়ে এসে রেখে চলে যেতেই রহিমা বলল, শুন, ব এইখানে। রহিমার স্বামী বলল, শালী বস, আমাগ লগে খাও। জরিনা বলল, নাহ, আমি পরে খামু, আফনে খান। রহিমার স্বামী খেতে খেতে বলল, বও, তোমার লগে জরুরী কতা আছে। জরিনা পাশে বসে রহিমার স্বামীর পাতে তরকারী দিতে দিতে বলল, তাড়াতাড়ী কন, আমার কাম আছে। রহিমা একটু কড়া গলায় বলল, কি কাম তর, রফিকের লগে আড্ডা দেওয়নের কাম, নাহ? কি সম্পর্ক অর লগে তর? জরিনা কপাল কুচকে বলল, কে কইল তোমারে রফিকের লগে আড্ডা দেই।
-সবই জানি আমি, মাইনসে নানান কতা কয়।
-কওক, আমি কি কারো খাই না পরি।
-চুপ কর। আমাগ একটা মান ইজ্জত আছে। আর যদি কোন কতা শুনি ভাল অইবনা, কইলাম। রহিমার স্বামী রহিমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, তুমি চুপ কর। আমি কতা কই, শালী, এইবার সইত্য কতাডা কও। লুকাইয়া আর লাভ নাই, দেখি কি ব্যবস্থা করণ যায়। জরিনা চুপ করে রইল। রহিমা বলল, কতা ক, চুপ কইরা রইছ কেন? ফাজিল অইয়া গেছস, প্রেম কইরা বেড়ায় লজ্জা শরম নাই। রহিমার স্বামী বলল, তুমি থাম, এইবার কও, কি অইছে। জরিনা আস্তে আস্তে বলল, আমি অরে ভালবাসি। রহিমা বলল, এইসব করতাছ নাহ। জরিনা যেতে যেতে বলল, ভালবাসন কি খারাপ নাকি।

কিছুদিন পর দুই পরিবারের সম্মতিতেই রফিক আর জরিনার বিয়ে হয়ে গেল। দুজনের প্রত্যাশার পূর্ণতা পেল সহজেই। রফিক-জরিনার প্রেম আরও গাঢ় হল। শশুড় বাড়ীতে বেশ মানিয়ে গেল তাড়াতাড়ী। আনন্দে কেটে গেল কিছুদিন। রফিকের বাবা মারা যাওয়ার পর ভাইরা সব যার যার সংসার নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করল। নতুন সংসার যেন নতুন এক পৃথিবী হয়ে উঠল তাদের কাছে। রফিক সামান্য লেখা পড়া জানে তাই ভাল চাকরি করার মত যোগ্যতা তার নাই। যতটুকু জমি নিজের ভাগে পেয়েছে এইটুকু চাষ আবাদ করেই সংসার চালায় আর মাঝে মধ্যে টুকটাক ব্যবসা করে। ভালই চলছে ওদের ছোট সংসার। জরিনা ছোট সংসার গুছগাছ করে সাজিয়ে রাখে, রান্না বান্না করে রফিকের জন্য পথ চেয়ে বসে থাকে। রফিক যথাসাধ্য এটা সেটা কিনে নিয়ে আসে যখন যা পারে। জরিনার কাছে তাই অনেক দামী আর আনন্দের। ভালবাসা সিক্ত অন্তরে এ যেন অমল আনন্দ অনুভূতি যার মূল্য কোন কিছু দিয়েই পরিশোধ করা যায়না। জরিনাও সংসারের উন্নতির জন্য বাড়ীর ফাঁকা আঙ্গিনায় শাক সব্জি চাষ করে কিছু আয় করার চেষ্টা করে তাছাড়া নিজেদের তরকারীর চাহিদা মিটে যায় অনেকাংশে। সুখেই কাটতে লাগল রফিক জরিনার সংসার। এভাবে কেটে গেলো অকেদিন

ইতিমধ্যে জরিনার কোল জুড়ে এলো এক ফুটফুটে পুত্র সন্তান। বিয়ের ২ বছর পর জরিনা মা হল। সেই মা হওয়ার আনন্দ পৃথিবীকে করে তুলল আরও সুন্দর আর আর্কষণীয়। মেয়েরা মনে করে মা হওয়া বড় গৌরবের ব্যাপার আর জীবনের সার্থকতা। প্রথম সন্তার তাও আবার পুত্র সন্তান। মেয়ে সন্তান সব সময় সবার কাছে আরাধ্য নয় এ বাস্তবতাটা অনেকেই স্বীকার করবেন। মানব সমাজের অনেক কিছু বদলে গেছে কিন্তু নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি সেরকম বদলায়নি। জরিনা ছেলেকে কোলে নিয়ে আহ্লাদে গদ গদ হয়। আধো আধো ভাষায় এটা ওটা বলে ছেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রফিক ছেলেকে নিয়ে মেতে উঠে অবসরে। সে সন্তানকে ঘিরে তাদের কত স্বপ্ন। ওরা বেশী লেখা পড়া করতে পারেনি কিন্তু ছেলেকে অনেক লেখা পড়া শেখাবে। মানুষের মত মানুষ করবে। তাই এখন থেকেই ছেলের জন্য টাকা জমাতে শুরু করে দিয়েছে।

জরিনা দুপুরের রান্না শেষ করে রফিকের পথ চেয়ে বসে আছে কখন আসবে তারপর খেতে বসবে। দেড় বছরের ছেলে অলিকে কোলে নিয়ে ঘরের দুয়ারে এসে বসল্।ো অলি মায়ের হাত ছাড়িয়ে কোল থেকে নেমে ্উঠোনে ছড়ানো লাল মরিচের দিকে ছুটে গেল। লাল টুকটুকে মরিচ দেখে অলি আনন্দে হা হু করতে করতে দু হাত দিয়ে ছড়ানো মরিচ নাড়তে লাগল। জরিনা ছেলেকে নাম ধরে ডাকল কয়েকবার ,অলি ঘাড় ফিরিয়ে মাকে দেখে আবার নিজের কাজে মন দেয়। জরিনা জানে ছেলেকে ডেকে কোন লাভ নেই তাই নিজেই উঠে গেলো ছেলের কাছে। অলি লাল মরিচ দেখে খুশিতে মরিচ এদিক সেদিক ছুড়তে লাগল। জরিনা অলিকে জোর করে কোলে তুলতে তুলতে বলল পাজি ছেলে, এ কি করতাছস, কাকী দেখলে মাইর দিব। অলি ওহু- ওহু করতে করতে বলল, ধব্ব।
-নাহ, ধরণ লাগবনা, তোমার বাপ আইলে ভাত খামু। হঠাৎ খবর আসােল বড় বোন রহিমার স্বামী মারা গেছে। এ সংবাদে রহিমার বাবা-মা আর শুভাকাঙ্খীরা দুঃখ পেল। রহিমার কি এমন বয়স হয়েছে। দুটি ছেলে নিয়ে সে কেমন করে জীবন কাটাবে।

কিছু দিনের মধ্যেই রহিমা ছেলে দুটিকে নিয়ে বাপের বাড়ী চলে এলো। রহিমা স্বামীর কথা মনে করে যখন তখন কাঁদে। মা-বাবা আর অন্যরা শাস্তনা দেয় তাকে। জরিনা বোনকে জড়িয়ে ধরে বলে, বুবু কাইন্দনা, কপালে যা আছে তাই অইছে, দুলাভাইয়ের আয়ু যতদিন আছিল ততদিন বাইচ্চা আছিল। পোলা দুইডারে লইয়া তোমারদ বাছন লাগব। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। রহিমা জরিনাকে জড়িয়ে ধরে বলে, বইনরে, আমার কি অইব? আমার পোলারা কারে বাপ কইব। আল্লারে তুমি এইডা কি করলা। এহন আমাগ কি অইব।

এমনি করে চলে গেলো কিছুদিন। স্বামী হারানোর বেদনায় কিছুটা সময়ের আবরণ পড়েছে। স্বামীর সরকারী চাকুরী হওয়ায় কিছু টাকা পায় সে। ছেলেরা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। স্কুলে দিয়েছে তাদেরকে। রহিমাকে স্বামীর টাকা পয়সা তুলতে প্রায়ই শহরে যেতে হয় কিন্তু একা কি করে একজন মেয়ে মানুষ শহরে যেয়ে টাকা তুলবে সে এসবের কিইবা বোঝে। তাই ছোট বোন জরিনা রফিককে নিয়ে যাওয়ার পরামর্র্শ দিয়েছিল। সেই থেকেই রফিক রহিমাকে নিয়ে শহরে প্রায়ই যাতায়াত করে। রফিক গ্রামেরই পূর্বপরিচিত ছেলে হওয়ায় রহিমা তার সঙ্গে সহজেই মিশতো। ধীরে ধীরে বউয়ের বড় বোন রহিমা রফিকের খুব কাছের মানুষ হয়ে উঠল এবং রফিকও রহিমার একটু বেশী আপন জন হয়ে উঠতে লাগলো। দুজনের চোখ দুজনার চোখে অন্য রকম আবেশের ছায়া ফেলল। হাসি ঠাট্রায় আর আাবেগে হঠাৎ অন্য রকম পরিবির্তন এসে গেলো অজান্তেই। দুজনই দুজনার প্রতি প্রেমের টান অনুভব করল। জরিনার জন্য প্রেমের জায়গাটা ধীরে ধীরে দখল করে নিল একই মায়ের পেটের বড় বোন রহিমা।

স্বামী রফিক এসে ছেলেকে কোলে নিয়ে আদর করে বলে, আমার সোনার চান, কি কর আব্বু?, রফিক নরম গালে আলতো করে চিমটি কেটে বলল, কি কর আব্বু? অলি মা মা বলে মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে কাঁদতে লাগলো। রফিক বলল, আইও আব্বু আমার কোলে আইও। অলি বাবার কাছে যেতে চাইলো না। রফিক বলল, জরিনা, তুমি কোলে লও। আমারে পছন্দ করেনা, খালি কান্দে। জরিনা বলল, রান্দন লাগবনা, নাইলে খাইবা কি? তুমি একটু রাখ। ছেড়াডা যত বড় অইতেছে ততই
অবুঝ অইতেছে। যাও আব্বুর কাছে। অলি বলল, না। রফিক বলল, কেমনে রাখুম, খালি কান্দে। এরি মধ্যে রহিমা এসে বলল, কি করতাছ রফিক? জরিনা উঠতে উঠতে বলল, বুবু তুমি আইছ ভাল অইছে। বাবুরে একটু কোলে নেওতো। ওর কোলে যাইতে চায়না। রফিক একই কথা বলল। রহিমা অলিকে কোলে নিয়ে বলল, বাবা, কান্দ কেন? বাবা মালে? জরিনা চলে গেল নিজের কাজে। রফিক রহিমার আরও কাছে এসে বলল, কি খবর? আমারে দেখতে মন চায়? রহিমাও প্রেমাসক্ত দৃষ্টি মেলে বলল, বুঝনা ? আবার জিগাও কেন।
-তোমারে ছাড়া আমারও মনডা যেন কেমন করে। মনে চায় দইজনে কোনখানে পালাইয়া যাই।
-না করছে কে কিন্তুক কেমনে কি অইব।
-আরে ডরাও কেন, প্রেম ভালবাসায় ডরাইলে চলে। যা অইবার অইব। রফিক রহিমার হাত ধরে বলল, চল দুদিন কোনখান থাইক্কা ঘুইরা আসি। এরি মধ্যে জরিনা এসে বলল, বাবু ঘুমাইছে? আর একটু ধর, আতের কামডা সাইরা আই। রফিক তাড়াতাড়ী হাত সরিয়ে একটু সরে বসল। রহিমা বলল, যা, আমার আবার ঢাকা যাইতে অইব ওর বাপের অফিসে। রফিকরে লগে নিয়া যামু।
-কবে ফিরবা?
-কাম শেষ অইলেই আইয়া পড়মু।
-যাও।

রহিমা আর রফিকের প্রেম আরও প্রগাঢ় হল। অস্থাবর প্রেম স্থান বদল করে অন্য আরেক নারীর মধ্যে বীজ বপণ করল। যেমনি জরিনার জন্য তার অস্থিরতা ছিল তেমনি রহিমার জন্যও অস্থিরতা কিন্তু বিশ্ব^স্ত জরিনার ভেতর রফিকের জন্য আবেগ প্রেম এতটুকু কমেনি। ঘূর্ণাক্ষরেও ভাবেনি নিজের বড় বোন তার সাজানো সংসারে আগুন লাগিয়ে দেবে। কোন কোন নারী সংসারকে স্বর্গ মনে করে আর স্বামীকে দেবতা। আর অনেক স্বামীই সে বিশ্বাস আর আবেগের সাথে প্রতারণা করে। মেয়েরাও করে কিন্তু পুরুষের তুলনায় অনেক কম।

তিন মাস পর। জরিনা ছেলেকে গোসল করিয়ে দুয়ারে বসে গায়ে তেল মাখছিল এরি মধ্যে পাশের বাড়ীর মরিয়মের মা এসে পাশে বসতে বসতে বলল, কিরে জরিনা কি করতাছস?
-এইতো চাচী ছেলেডার গায়ে তেল মাখি। মরিয়ম জামাইর বাড়ী কেমুন আছে? জামাইডা কেমুন, অর খেয়াল রাখে ঠিক
মত? মরিয়মের মা জরিনার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে বলল, এহনতো রাখেই পরে কি অইব কে জানে।
-এমন কইরা কও কেন চাচী, দোয়া কর, মরিয়ম যেন ভালা থাকে।
-তুইও তোর জামাইর খেয়াল রাখিস।
-রাখিদ চাচী।
-নাহ, রাখছ না। রফিক কি করে কার লগে কই যায় সেই খেয়াল রাখছ না।
-পুরুষ মানুষ কত কামে যায় এইডা খোজ রাখব কেমনে। জরিনা এ কথার কোন গুরুত্ব না দিয়ে ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত রইল। মরিয়মের মা বলল, হুন, আমি তোর ভাল চাই, হের লাগি কইতাছি। কিছু মনে করিছ না। রফিক আর রহিমার মেলামেশাডা কেউ পছন্দ করেনা। জরিনা বিরক্ত হয়ে বলল, এইডা কি কইলেন চাচী, বুবুর কাজে রফিক যায় এইডা দোষের কি। মানুষ বড় বেশী কতা কয়। খাইয়া দাইয়া মাইনসের কাম নাইদ তাই আজে বাজে কতা কয়। ও আমার বড় বইন। ছিঃ ছিঃ!
-আমি নিজের চোখে দেখছি। আমি আজে বাজে কতা কইনারে জরিনা, হেইডা তুই ভাল কইরা জানস। ওগো মইধ্যে ভাই বোনের সম্পর্ক না অন্য কিছু। আমার কওয়নের দায়িত্ব আছিল, তাই কইছি। সাবধান হ। নাইলে পরে পস্তাবি। জরিনা আরও বিরক্ত হয়ে বলল, আফনে এহন জানতো চাচী, এমুন কতা হুনাও পাফ। আর এইসব কইবেন না। রফিক এমুন না। মরিয়মের মা যেতে যেতে বলল, কেমুন তা একদিন বুঝবি। আমার কি ঠেকা । জরিনাকে এর আগে আরও দু তিন জন বলেছে কোন পাত্তা না দিয়ে দুই কথা শুনিয়ে দিয়েছে সে তাদেরকে।

জরিনা ছেলেকে গোসল করিয়ে ঘরে নিয়ে শরীর মুছতে মুছতে বির বির করে বলল, মানুষের খাইয়া দাইয়া আর কাম নাই, খালি মাইনসের নামে বদনাম কয়। এই চাচীরে আমি বালা জানতাম। ছিঃ এইসব কি কয়। এইডা কি অয়। ছেলে মায়ের গলা জড়িযে বলল, বাবা ডাব। বাবা-----। রহিমা ছেলেকে শান্তনা দিয়ে বলল, বাবা আইতাছে, অহনই আইব। বাবা আইলে আমরা ভাত খামু ।

জরিনা রফিকের জন্য অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ীর আঙ্গিনা পেরিযে সামনের রাস্তায় এসে দাঁড়াল। এদিক সেদিক তাকিয়ে ভাবল, কি ব্যাপার, এত বেলা পর্যস্ত কই রইল। কোন সময় খাইব। সামনের ফসলের খোলা মাঠে দৃষ্টি মেলে বার বার তাকাতে লাগল কিন্তু দেখা গেলোনা রফিককে। ছেলেটা আদো ভাষায় বলল, বাট খামু, বাবা। জরিনা আঁচলে ছেলের মুখ মুছে বাড়ীর দিকে পা বাড়াতেই বাঁশ ঝাড়ের ওপারে কাদের যেন ফিস ফাস শুনতে পেল। একটু থেমে গিয়ে ঊঁকি দিয়ে দেখেই বিস্ময়ে কষ্টে কাঁপতে লাগলো জরিনা। মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। বড় বোন রহিমা আর প্রিয় স্বামী খুব কাছাকাছি বসে প্রেমালাপ করছে। রফিক রহিমার চিবুক ধরে বলল, কোন চিনÍা কইর না, আমি সব ব্যবস্থা করব। আমি রাজী থাকলে কে কি করব। রহিমা রফিকের কাধে মাথা রেখে বলল, যা করার তাড়াতাড়ি কর।আমি তোমারে ছাড়া থাকতে পারতাছিনা। রফিক এই একই কথা বলে শান্তনা দিতে লাগলো। জরিনা আর এক মূহুর্ত না দাঁড়িয়ে দ্রুত বাড়ীতে এসে কাঁদতে লাগলো। পৃথিবীর সকল কষ্ট যেন জরিনার সহজ সরল প্রাণকে বধ্বিস্ত করে দিল নিমিষে। আঁধারে ঢেকে দিল তার সাজানো আলোকিত পৃথিবী। পৃথিবীর সকল ঘৃণা যেন ভালবাসার মানুষটিকে একেবারে আড়াল করে দিল নিমিষে।

রফিক কিছু ক্ষণ পর এসে ছেলের নাম ধরে ডাকতে ডাকতে ঘরে ঢুকল। ছেলে ঘুমাচ্ছিল। জরিনা পেছন ফিরে শুয়ে আঁচলে মুখ ঢেকে দিয়ে চুপ করে শুয়ে নিরবে কাঁদতে লাগল আর প্রচন্ড ঘৃণায় ক্ষোভে কাঁপতে লাগল। রফিক কয়েক বার নাম ধরে ডেকে জরিনার পাশ ঘেঁষে বসল। রফিকের স্পর্শ জরিনার কাছে বিষের মত মনে হল। মুখ থেকে কথা সড়ছিলনা শুধু মন চাইছে চিৎকার করে কাঁদে তাও যেন পারছেনা। যে মানুষটিকে একটুখানি দেখার জন্য, একটু কাছে পাওয়ার জন্য, একটু স্পর্শ পাওয়ার জন্য ব্যকুল থাকত আজ তার প্রতি এত ঘৃণা, তার ছোঁয়া এত অসহ্য লাগছে যে জরিনার মরে যেতে ইচ্ছে করছে। রফিকের জন্য জরিনার নির্মল অন্তরের বিশালতায ভালোবাসা এর আগ পর্যন্ত একেবারেই অক্ষত আর অক্ষয় ছিল তাই সে এ অপ্রত্যাশিত কষ্টের ভার সইতে পারছেনা। লজ্জায় ঘৃণায় যেন চোখ তুলে তাকাতে পারছেনা। ভালবাসার অপর পিঠে ঘৃণা আর কষ্ট যে এত প্রবল তা পতি ভক্ত জরিনা কখনো ভাবেনি।

রফিক জরিনার গায়ে মৃদু ধাক্কা দিয়ে বলল, এই ঊঠ ভাত দেও.। ক্ষিদা লাগছে। রফিক কয়েক বার বলার পরও জরিনা কোন কথা না বলে চুপ করে রইল। রফিক সামান্য রেগে গিয়ে বলল, কি অইল কানে যায়না নাকি, কি অইছে? কথা কও না কে? মেজাজ কিন্তুক খারাপ অইয়া যাইব। রফিক অনেক কথা শুনাতে লাগলো। জরিনা বিছানা ছেড়ে উঠে বাহিরে চলে গেলো। রফিক এবার বুঝতে পারল কিছু একটা হয়েছে। এবার রফিক জরিনার পিছু নিয়ে পথ আগলে ধরে বলল, কি অইছে তোমার? জরিনা চোখ বড় বড় করে বলল, কি অইছে, হেইডাদ তুমি ভালো জান, আমারে জিগাও কেন? ছিঃ! ছিঃ!
এই আছিল তোমার মনে, লজ্জা করেনা তোমার, আমার লগে কতা কইতে। মন কইতেছে গলায় ফাসি দিয়া মরি। রফিকের ভেতরটা একটু মোচড় দিয়ে উঠল। মনে মনে ভাবল, জরিনা কি কিছু টের পাইল নাকি, দুর, পাইলে পাইল, ও আর কি করতে পারব। আমার মন চাইলে আমি এহন কি করব। জরিনা হাউ মাউ করে কাঁদতে লাগল। রফিক বলল, এই, কি অইছে কইবাতো। ছোড মানুষের লাহান চিক্কুর পারতাছ কা? ভাত দেও তাড়াতাড়ি। জরিনা চোখ বড় বড় করে বলল, পারুম না। মাইনসে আমারে এতদিন কত কতা কইছে আমি পাত্তা দেই নাই, আজ আমি নিজের চোখে দেখছি আর হুনছি।
-এই, কি দেকছ?
-কি দেকছি এইডা কইতে আমার লজ্জা লাগতাছে। বুবুর লগে তোমার কি সম্পর্ক? কও?
- এহন ভাত দেও। কোন সম্পর্ক নাই।
-তইলে কি কানে আমি কম হুনি, চোখে কম দেখি। মাইনসে ঠিকই কইছিল॥
-এ--ই ,এ---ই কি কইছিল? বাজে কতা রাইক্ষা ভাত দেও। যত্তসব। মাইনসে কয়, কি কয়। মাইনসের খাইয়া কাম নাই। বেশী কতা রাইক্ষা ভাত দেও। বাজে কতা নিয়া থাকে।
-আমি পারুম না। ভালো মানুষ সাজ। ছিঃ কি ঘেন্না! করছতো করছ তাও আবার আমারই বড় বোনের লগে। এইসব হুননের আগে আমার মরণ অইল না কেন? বেঈমান, মোনাফেক। অহন আমারে আর ভালো লাগেনা, নাহ? জরিনা দ্রুত পায়ে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত ছেলেকে টেনে তুলে কোলে করে আবার রফিকের কাছে এসে বলল, এই নেও, পোলার মাতায় আত দিয়া কও, বুবুর লগে তোমার কি সম্পর্ক? ছেলেটি জেগে কাঁদতে শুরু করল। রফিক বলল, এইসব কি করতাছ তুমি? পোলাডা কানতাছে। পাগলামী কইরনা. ঘরে আও, মাইনসে হুনব। মানুষ আগেই জানে, নতুন কইরা আর কি জানব। খালি আমি গুমাইয়া আছিলামু। আমি বিশ্বাস করতে চাই নাই। অলির মাতায় আত দিয়া কও কোনডা সইত্য. কও যা দেকছি সব মিছা। রফিক কোন কথাই বলল না শুধু নীচের দিকে তাকিয়ে রইল। জরিনা বলল, অ, বুঝছি। চেঁচিয়ে বলল, কেন করলা এমন। আমার কি অফরাধ?

জরিনা ছেলেকে নিয়ে সোজা বাপের বাড়ী এসে উঠল। বড় বোন রহিমা দেখে বলল, কিরে চোখে পানি কেন? কানতাছস নাকি? কি অইছেরে? জরিনা রহিমার দিকে তীক্ষè দৃষ্টি ফেলে বলল, কি অইছে তুমি জাননা। নিজের সংসার শেষ কইরা, এহেন আমার সংসার নষ্ট করতে উইঠ্যা পইরা লাগছ। এরি মধ্যে মা এসে বলল, কি অইছেরে?
-কি অইছে তোমার বড় মাইয়ারে জিগাও। রহিমা বলল, কি অইছে কবিত। এমুন করতাছস কেন? জরিনা বলল, কইতে আমার শরমা লাগতাছে মা। আমার বড় বইনই আমার সংসার ভাইঙ্গা দিতাছে। মা অবাক হয়ে বলল, কি কইতাছস?
-তোমার বড় মাইয়ারে জিগাও। এতক্ষণে রহিমা বুঝে গেছে কেননা জরিনা যা বলছে তা সত্য। তারপরও মনের ভয় ঝেরে ফেলে বলল, কি কছ এইসব? আমি আবার কি করলাম। জরিনা ছেলেকে কোল থেকে নামাতে নামাতে বলল, কি করছ জাননা, নাহ? ভাজা মাছ উল্টাইয়া খাইতে জাননা। হে? রফিকের লগে তোমার কি এত মাখামাখি?
-এ----ই যাতা কবিনা। জরিনা বলল, শাক দিয়া মাছ ঢাকতে চাও? মা বলল, থামতো, কি অইছে আমারে খুইল্লা ক ।
ল ঘরে যাই। ঘরে যাওয়ার পর জরিনা সবকথা মাকে খুলে বলার পর মা হতবাক হয়ে গেলো। তারপর শান্তনা দিয়ে বলল, এ বিষয়ে আমি অর লগে কথা কমু, তুই শান্ত হ মা। মা রহিমাকে ঘরে ডেকে নিয়ে সব জানতে চাইল। রহিমা কিছুই স্বীকার করতে চাইলনা। জরিনা বলল, বুবু, লুকাইছনা তর পায়ে পড়ি, আমার সংসার ভাঙ্গিছ না, তর আল্লাার দোহাই। মা বলল, ঠিক কইরা ক, রফিক কিন্তুক অস্বীকার করে নাই। পোলার মাতায় আত দিয়া কিন্তুক কইতে পারে নাই। ছিঃ ছিঃ, এমুন বেলাজ মাইয়ার জন্ম আমি কেমনে দিলাম। জরিনা সব নিজের চোখে এইসব দেখছে। রহিমা আর কোন কথা বললনা, শুধু বলল, আমি রফিকরে ভালবাসি হেও আমারে ভালবাসে। মা স্বজোরে রহিমার দুই গালে চড় কষিয়ে দিয়ে বলল, বেসরা, বেজাত,কমিন, ভালবাসছ, ছোট বইনের স্বামীরে, শরম করলনা তোর, গলায় কলসি বাইন্ধা গাঙ্গে ডুইব্বা মর। এমুন দুইডা সোনার চান পোলা তর। মাইনষেরে মুখ দেহামু কেমনে। আর যদি কোন দিন রফিকের লগে তরে কতা কইতে দেহি, তরে গলা টিপ্পা মাইরা ফালামু। আমি আগেও কিছুডা হুনছিলাম। বিশ্বাস করি নাই। এমুন জানলে জন্মের কালে নুন খাওয়াইয়া তরে মাইরা ফালাইতাম। এইসব জানার আগে আমার মরণ অইলনা কেন খোদা।

দুদিন বাপের বাড়ীতেই থাকল জরিনা। রফিক জরিনাকে বাড়ীতে নেয়ার জন্য এসেছিল কিন্তু জরিনা যায়নি। সবাই বুঝিয়ে আবার রফিকের বাড়ী পাঠাল। জরিনা রফিকের ঘরে এসেছে বটে কিন্তু রফিকের দিকে তাকাতেও যেন পারছেনা। কেমন যেন একটা ঘৃণা দূরে সরিয়ে দেয় তাকে। রফিককেও অনেক বুঝিয়েছে অনেকে কিন্তু রফিক যেন কোন মতেই রহিমার মায়া ছাড়াতে পারছেনা শুধু চেষ্টা করছে সবার কথায়। এ প্রেম অযাচিত আর অসাাজিক যাই হউক না কেন তাদের কাছে তা প্রেমই। মনোজ এ অনুভূতিকে অপরের কল্যাণের জন্য এড়িযে যেতে পারেনা অনেকেই। সমাজ ধর্মের সকল অনুশাসন উপেক্ষা করে চরিতার্থ করে নিজের মত করে। জরিনা নিজকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে রফিকের সাথে কিন্তু আগের মত সেই আবেগ অনুভূতি যেন মরে গেছে তার। এমনি করে কেটে গেল কিছুদিন। রফিক ইদানিং চুপচাপ থাকে। যারা একদিন বলে ছিল তারা এসে বলে, কিরে কইছিলামনা, আমাগ কতাদ বিশ্বাস করছ নাই, অহন সইত্য অইলদ। ছিঃ ছিঃ। জরিনা চুপ করে থাকে। আরও কতজনে কত কি শুনায় তাকে।

এক মাস পরে রফিক বাজারে যেয়ে আর ফেরেনি। জরিনা অনেক রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে রফিকে খোঁজতে বের হল। না জানি কোন বিপদ হল। যারা বাজারে গেছে তাদের বাড়ী যেয়ে খবর নিল রফিককে দেখেছে কিনা কেউ কিছুই বলতে পারলনা। কোথাও পাওয়া গেল না। এদিকে রহিমাও বাড়ী ফেরেনি। জরিনার কেন যেন মনে হল রফিক রহিমাকে নিয়ে কোথাও গেছে নাকি । অনেকেই এই একই কথা বলল। মা বলল, নাহ রহিমা এহন ওর লগে কতা কয়না।
অনেক খোঁজা খুঁজি করেও ওদের সন্ধান পাওয়া গেলনা। সবাই নিশ্চিত হল রফিক আর রহিমা বিয়ে করে অন্যত্র বাসা বেঁধেছে।

কিছুদিন পর রফিক রহিমাকে নিয়া বাড়ীতে ফিরল। জরিনা দেখেই রেগে যেয়ে অনেক কথা শুনাল। বুবু তুমি ওর লগে কেন, তোমার কি লজ্জা শরম নাই? কই ছিলা তোমরা এতদিন? বাইর অও আমার ঘর থাইক্কা। রফিককে বলল, বেহায়া কোনখানকার, আবার তুমি হেরে লগে কইরা বাড়ী ঢুকছ। ওরে যাইতে কও তাড়াতাড়ি। তোমার চিন্তায় আমরা হগলে মরি আর তিনি ফূর্তি কইরা বেড়ায়। রফিক গায়ের জামা খুলতে খুলতে বলল, ওরে আমি বিয়া করছি, রহিমাই এই ঘরে এহন থাইক্কা থাকব। জরিনার মাথায় হঠাৎ বজ্রপাত হল একি শুনছে সে। বিশ্বাস করতে পারছেনা । দাঁড়ানো থেকে বসে পড়ল সে।মুখ দিয়ে কোন কথা সরলনা। অন্ধকার দেখতে লাগল। নিমিষে তার ভালোবাসা আর মমতায সাজানো সুখের সংসার পর হয়ে গেল। তছনছ হয়ে গেল স্বপ্নের স্বামীর ঘর। বুকের ভেতর শুধু আর্তনাদ করছিল অসহায় প্রাণ। সমাজ ধর্ম অনুসারে স্বামী বোনকে বিয়ে করলে অন্য বোন এমনিতেই তালাক হয়ে যায়। কিছুই করার রইলনা জরিনার। অসহায়ের মত প্রিয় সাজানো সংসার ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হল সে ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃমোকারম হোসেন ভাল লাগল ভোট রেখে গেলাম
ইউশা হামিদ besh sunder ------..
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
অনেক ধন্যবাদ।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ বিমুগ্ধ চিত্তে পড়লাম-----।। নান্দনিক ।।
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার গল্প প্রাফ্র জন্য।
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
গোবিন্দ বীন ভাল লাগল,ভোট রেখে গেলাম ।
ভালো লাগেনি ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
হাসনা হেনা গল্প পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী অন্য রকম এক ভালোবাসার প্রমান দিয়েছেন। যেমন- যে পাত্রে রাখা হয় হয় সেই পাত্রেই আকার ধারন করে। খুব ভালো লাগলো। দোয়া রইলো। ভালো থাকুন। আমার নতুন পাতায় আমন্তরণ রইলো.....
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

০৫ এপ্রিল - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ২২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪