তখনো ঘনকালো মেঘে আকাশ ছেঁয়ে আছে।বাতাসের একটানা শোঁ শোঁ শব্দ শষ্য ক্ষেতে পাখি তাড়ানোর পলিথিনের ফিতার মত শব্দ করে কানের পর্দায় আঘাত করছে।ঘের থেকে পানি ছেড়ে দেওয়া জাল বসানো নালীটার পাশে থির থির করে কাঁপছিল করিম। করিমের ডাক শুনে দৌড়ে আসে আবু, বেশ উৎকন্ঠা নিয়ে জানতে চায়
-
গল্পস্রোতের টানে নাচে মরণ আঁধারকাজী জাহাঙ্গীর
-
গল্পআমার আপন আঁধারFahmida Bari Bipu
রক্তাক্ত লাশগুলো উঠোনেই পড়ে ছিল।
মা-বাবা-দাদু...বাড়ির কাজের লোকগুলো...কাউকে ছাড়েনি ওরা। যেন প্রতিহিংসার আগুনে কুপিয়ে শেষ করেছে, এই রক্তাক্ত জমিদার বাড়ির শেষ চিহ্নটুকুও। -
গল্পঅপ্রাপ্তিরওনক নূর
ধবধবে ধোয়া উঠা এক থালা গরম ভাত , সাথে আছে পোড়া বেগুন ভর্তা আর ছোট মাছের চচ্চড়ি। মালেক মিয়ার চোখটা আজ চকচক করছে, অনেক দিন এমন ধোয়া উঠা গরম ভাত খায়নি সে। নিজের অজান্তে চোখে অশ্রু চলে এলো তার খুশি দেখে। ভাতের থালাটা নিয়েই গোগ্রাসে গিলছিলো সে।
-
গল্পছারা বিবির শেষ রাত্রিধুতরাফুল .
ছারাবিবি দেশলাই খুজে পাচ্ছেন না । মাগরিবের আজান হয়ে গেছে বেশ কিছুক্ষন আগে। দোতলা বাড়ীর চারিদিকে বেশ কয়েকটা নারিকেলের গাছ। নারিকেল পাতার প্রান্তে সূর্যাস্তের শেষ আলো লেগে আছে সামান্য।
-
গল্পথাকে শুধু অন্ধকারএশরার লতিফ
অ্যাপ্রোন পরা একজন আমাদেরকে ইশারা করে ঘরে ঢুকতে বললো। রুনু আমার চেয়ে অনেক শক্ত। রুনু আগে আগে চলল, আমি পেছন পেছন। দরজার কাছে এসে আমার পা ভারী হয়ে এলো। বললাম,
‘রুনু আমি পারব না, তুই দ্যাখ্’। -
গল্পআঁধারি জীবনফেরদৌস আলম
কালো ফিতার ক্যাসিও ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে এক ঝটকা মেরে শোয়া থেকে উনি উঠে বসলন। আরে বাবা! আড়াইটা বাজে!
নিজে নিজেই তীব্র আফসোসের সুরে বললেন। তিনটায় প্রথম টিউশনি। দৌড়ে চলে গেলেন টিউবওয়েল পাড়ের দিকে। ‘আমার ভাগ্য নির্ঘাত ভাল’! -
গল্পআঁধারের আতঙ্কঅমিতাভ সাহা
মাঝরাতে খসখস শব্দে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। শীতের রাত। ভয়ানক নিস্তব্ধতা। ঠাণ্ডা যাতে না আসে সেজন্য দরজা-জানালা আগেই বন্ধ করা ছিল। ঘুটঘুটে অন্ধকারে কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। ভুল শুনেছি বোধ হয়। চোখ বুজে ঘুমনোর চেষ্টা করলাম। আবার খসখস শব্দ পরিস্কার শুনতে পেলাম। ভয়ানক আতঙ্ক এসে গ্রাস করল আমাকে।
-
গল্পবিষণ্ন আঁধারের অতিথিমোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
অনেকদিন ধরে শরীরটা বেশি ভালো নয়, বাড়ির চৌকাট ছাড়া আর কোথাও যাওয়া হয় না। এক রাতে ঘুমানোর সময় মা’কে বলি,
-
গল্পএকটি শীতের রাতমারুফ ইসলাম
বলা নেই কওয়া নেই রাত্রির এই দুই প্রহরে হঠাৎ আমার মেসে বিটলুর আবির্ভাব! কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাল লাল চোখে সমুদ্রের ঢেউ তুলে বিটলু বলল, মেয়েরা শরীর বিক্রি করতে পারে, ছেলেরা কেন পারে না? ছেলেদের শরীরের কি কোনো দাম নেই?
-
গল্পএক পলকের একটু দেখাস্বপন কুমার ঘোষ
পিছনের দিকে দূরে লক্ষ্য করল রাস্তায় পানি ছল ছল করছে। সামনে তাকিয়ে চোখ আটকে গেল। তার চিনতে কোন ভুল হবার কথা নয়। নিশ্চিত হলো লেভেল ক্রসিংয়ে সামনে বাইকের পিছনে বসা মেয়েটি অধরা ছাড়া কেউ নয়।
অক্টোবর ২০১৭ সংখ্যা
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।