কনা!
হুম।
কনা পেছনে ফিরতেই স্নেহ ভরা কন্ঠে আজিজ বলল, তোর টিপটা বেকে গেল। মোটা গ্লাসের ভেতরে থাকা আজিজের চোখে স্থির দৃষ্টি ফেলে বলল, অনেক দিন পর দিলাম তো।
এই বলেই মেয়েটি বেগে আয়না খোজা শুরু করল, আয়না নেই জেনেও বার বার খোজার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে আর এরই ফাকে কয়েকবার ছেলেটির মুখ পানে তাকাল।মনে মনে এই কমনাই করছিল যেন,প্রিয় মানুষটির হাতেই টিপটা ঠিক হয়।
একটু পর আজিজ নিজের,পরম যত্নে কনার টিপ স্বস্থানে বসাল,মেয়েটি কিছুই বলতে পারল না,শুধু অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রইল।
পারিবারিক অনুষ্টানে, কনা শাড়ি পড়েছে। আজিজ হয়ত কোন এক সময় বলেছিল,শাড়ি পড়া রমনীদের দেখতে খুব ভাল লাগে।সেই কথাটাকে পুজি করেই, কনার নীল শাড়ী পড়া।
ছেলেটির কর্মব্যাস্ততা কনা দূর থেকে বসে হৃদয়াঙ্গম করতে লাগল। এ নিয়েই মধুর কল্পনায় সে নিজেকে আচ্ছন্ন করে ফেলল।
হঠাত্ এক আত্মীয়ার ডাকে,স্বাভাবিক হয়ে পরে উপলব্ধি করল,আজিজ কে আর দেখা যাচ্ছে না।কিছু সময় মনে মনে খুজে না পেয়ে,নিজেকে আর স্থির রাখতে পারলনা কনা।নিজেই তাকে খোজার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়ল। সবদিকে খুজা শেষ।আজিজের দেখা মিলল না।মনে তার অজানা শঙ্খা উদয় হল।সেই মায়াময় চেহারায়,বিষন্নতার ছাপ এখন স্পষ্ট।
তবে আজ ও কি,মনের কথা গুলো আজিজকে জানাতে পারবেনা!!!
একথা ভাবতেই,টান টান আখি গুলোতে জলের আবরন স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে উঠছে।
ফোনেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন। সজল নয়নে চারদিক ঝাপসা হয়ে আসছে।
সামনে দু'কদম আগানোর মত মানসিক শক্তি,প্রায় শূন্যের কোটায়।
এভাবে কত সময় পার হয়ে অনুষ্টান শেষ পর্যায়ে তা টের ও পাওয়া গেল না।এখন ও আজিজের কোন দেখা নেই।
হঠাত্ আজিজের কণ্ঠ শোনে, মৃতপ্রায় চিত্তে যেন প্রানের সঞ্চার হল। একরাশ উত্সুক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে তার পথপানে।
তার চোখে চোখ পড়তেই যেন মনে হয়, শীতের শুষ্কতায়,পাতা ঝরে যাওয়া গাছে, বসন্তের আগমনে সবুজ পাতার সঞ্চার।
আজিজ,কাছে আসতেই তার উত্কন্ঠা বেড়ে যেতে লাগল। তবে, শত উত্কন্ঠা আর জিঘাংসাকে চাপিয়ে। বলল,
আমায় একটু পৌছে দিবি?
পৌছে!!!ওহহ! যেন ছোট্ট খোকি!!
পৌছে দিতে হবে আবার!!
কনার চেহারায় তখন অভিমানের অন্ত রইল না।
চল। বলে ছেলেটি সম্মত হল।
(হয়ত এটাই সুযোগ,কনার মনের কথাটা মনের মানুষের মনমন্দিরের প্রবেশ করানোর)।
হাটতে হাটতে--
আজিজ: একটা হেল্প করবি?
বল। সাহায্য করে হয়ত তার মন পাওয়াটা কঠিন হবে না। তাই ব্যাস্ত হয়ে পড়ল,কি সাহায্য তা জানতে
আজ,একজনকে খুব ভাল লাগল ,আমার হয়ে তাকে একটু বলে দিতে পারবি?
মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। সোডিয়াম বাতির প্রখর আলোর নিচেও তার সবকিছু অন্ধকার মনে হতে লাগল। সবকিছু ছাপিয়ে দীর্ঘশ্বাসকে আড়াল করে বলল: কোন মেয়েটা ? সিনথিয়া?
আচ্ছা, চিন্তা করিস না।
এই বলতেই চোখে যেন বন্যার জল আটকা পরে আছে।চোখের কোটরে আর আটকে রাখা গেলনা।ঝরনাধারা যেন বইয়ে পড়ছে,কনার।
০৬ জানুয়ারী - ২০১৪
গল্প/কবিতা:
৬ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী