সর্ব্নকন্যা লতা পাতা কলি

উপলব্ধি (এপ্রিল ২০১৬)

আতিক সিদ্দিকী
  • ৯৬
সোহরোওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে ঠাঁই দাড়িয়ে আছি, বাস ছাড়বার সময় হতে এখনও দশ মিনিট সময় লাগবে। আলহামরা কাউন্টার থেকে টিকিট নেয়া হয়েছে সিট নম্বর সি-ওয়ান। কাউন্টারের পাশেই দাড়িয়ে সিগারেট টানছি সময়টা কাটাতে হবে। অহেতুক টাইম পাচে আমার মোটেও ধর্য্য নেই বলতে পারেন। সিগারেটে তেমন অভ্যেস নেই। এই মাঝে মধ্যে আর কি। একটি সাদা জিপ গাড়ি এসে আমার দাড়িয়ে থাকা ফুট ওভারের পাশে এসে দাড়াল। বুঝতে এতোটুকু অসুবিধা হলোনা যে এটা সরকারি গাড়ি। সরল গড়ন শ্যামলা চোখে দামী বাদামি সান গ্লাস পড়া একটি মেয়ে, হাইট পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চির কম হবে না। বয়স আর কতোই হবে এই সাতাশ অথবা আটাশ। সাথে তিন চার জন সহায়তাকারি। বুঝলাম গ্লামারগার্ল ভদ্র মহিলা নিঃসন্দেহে কোন সরকারি অফিসের বড় কর্তা হবেন। সাথে আসা সহায়তাকারি লোকজন ওই অফিসের কর্মকতা কর্মচারি হবে এমনটাই মনে হলো। ম্যাডাম বার কতোক তাদের চলে যেতে বললেও সাথে আসা ভদ্র লোকেরা গাড়ি না ছাড়া পর্যন্ত কিচুতেই গেলেন না। মেয়েটি গাড়ি ছাড়বার সময় ওনাদের হাত নেড়ে বিদায় জানালো।
মেয়েটির টিকেট নম্বর সি টু। আমার পাশের সিট। ভদ্রতা দেখিয়ে সুপারভাইজারের অনুরোধ করার আগেই জানালার পাশে আমার সিটটাতে মেয়েটিকে বসতে দিলাম। মেয়েটি বিন¤্র শ্রদ্ধায় আমাকে আমার ভদ্রতার জন্য ধন্যবাদ জানালো। তার ধন্যবাদেও শালিনতা এবং আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করলো। দীর্ঘপথে কথা হলো অনেক। গন্তব্য আমার পাশের উপজেলা উল্লাপাড়া। পার্থক্য এই তাকে এক স্টপেজ আগে নামতে হবে। জানলাম মেয়েটি ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়নগঞ্জের জেলা প্রশাসক। সবে যোগদান করেছেন। নাম সালমা ইয়াসমীন কলি। বড় বোন সাবিহা ইয়াসমীন লতা পেশায় একজন চিকিৎসক আর মেজ বোন সাকিলা ইয়াসমীন পাতা আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী। মা বেচেঁ আছেন থাকেন উল্লাপাড়া উপজেলার উধুণিয়া ইউনিয়নের সুবৈদ্যমরিচ গ্রামে। প্রত্যন্ত গ্রাম সুবৈদ্যমরিচকে আলোকিত করেছে রতœগর্ভা যে মা তাকে স্যেলুট জানাবার ভাষা অনেক লেখকই হয়ত খুজে পাবে না। তেমনি অবস্থা দাড়িয়েছে আমারও। সুবৈদ্যমরিচ গ্রামের অসহায় মানুষের ঠিকানা এখন সাবিহা ইয়াসমীন লতা, সাকিলা ইয়াসমীন পাতা ও সালমা ইয়াসমীন কলি। এই গ্রামের সাধারন মানুষ বিশেষ করে অসহায় দরিদ্র মানুষ বিপদে আপদে কান্ডারি মানে এই তিন র্স্ণ কন্যাকে। গল্পটা কন্যা সন্তান প্রসবের দায়ে অভিযুক্ত এক নারীর নির্যাতনের করুন কাহিনীর সুখময় পরিনতির ইতিহাস কেবলি নয় এটি একটি নির্যাতিত নারীর সংগ্রামী জীবনের সাফল্য গল্প যা আপনাকে নারী কিম্বা পুরুষ হিসেবে নয় মানুষ হিসেবে সামাজিক মর্যাদা বাড়িয়ে দেবে।
সুবৈদ্যমরিচ গ্রামটি এতোটায় দূর্গম যে এক সময় সেখানে যেতে কেউ বিকেলে রওয়ানা হোতেন না। বর্ষায় যাতায়াত কিছুটা সুবিধা হয়। কারন এ সময় এই এলাকার লোকজন নৌকায় যাতায়াত করে থাকেন। রাত তো দুরের কথা সন্ধা নামলে নৌকার কল কল এবং ঝোঁপঝাড় থেকে ভেসে আসা ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দে রীতীমতো আতঙের সৃষ্টি হতো। এটি উল্লাপাড়া উপজেলার প্রান্তিক গ্রাম। যেতে হয় শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের তালগাছি হয়ে। যোগাযোগ ব্যাবস্থার এ সময়েও সেখানে যেতে হয় তালগাছি থেকে রিক্সা অথবা ভ্যানে লাহিড়ীমোহনপুর সেখান থেকে ৭ কিলোমিটার দুর সুবৈদ্যমরিচ গ্রাম। রেল পথে লাহিড়ীমোহন ইষ্টিশন হয়েও যাওয়া যায় সে গ্রামটিতে। তবে সেটা আরও অনেক কষ্টের। এ ছাড়া ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে চলায় এ পথে লোক চলাচল ওই গ্রামের জন্য তেমন একটা দেখা যায় না বললেই চলে। এ গ্রামের মেঠোপথ সোদামাটির গন্ধে বেড়ে উঠা স্বর্ণময়ী মায়ের কোল জুড়ে এই তিন স্বর্ণকন্যার পৃথিবীতে আগমন এতোটা সহজ ছিলো না। সহজ ছিল না মা ও তিন কন্যার আলোকিত জীবনের গল্পকবিতা। শশুরবাড়ীর লোকদের নির্মম নির্যাতন এবং মারপিট খেয়ে বার বার বাপের দুয়ারে ফিরে আসার গল্প কানিীর নির্মমতা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। স্বর্ণগর্ভা মা মোমেনার বাবার বাড়ির অবস্থা তেমন ভাল ছিলো না। মোমেনার বিয়ের পর একমাত্র ভাই সেফাত ক’বিঘা জমিতে একাকি বলে স্বাচ্ছন্দেই চলছিলো।
একদিন দুপুরে বাবা মা ভাইবোনদের নির্মম নির্যাতনে স্ত্রী মোমেনার গগণবিদারি চিৎকারে ছোট্র লতা পাতা এবং কলির আহাজারি সাদাসিদে স্বামী সালামের উপর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। সালাম রেগে বলে উঠে, তোমরা ওকে যা কিছু কর আমার মেয়েদের সন্মুখে করবে না। হাজার হোক মোমেনা ওদের মা। তোমরা দেখতে পাওনা আমার লতা পাতা কলি ওদের মায়ের নির্যাতনে কান্নায় কেমন করে কাঁদছে।
সালামের এ কথায় সালামের বাবা মা ভাইবোন স্ত্রী’র প্রতি এমন দরদে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা মোমেনাকে ছেড়ে এবার মারতে থাকে সালামকে। মোমেনা এবার আরও বেশি আর্তনাদ করতে থাকে এবং বলে তোমরা আমাকে মারছিলে মার আমার অবোধ স্বামীকে মেরো না। মোমেনা চিৎকার করে বার বার বলতে থাকে ওকে এতোটা মের না,ওযে মরে যাবে..... আমি তো পরের মেয়ে আমাকে মারছিলে আমাকেই মার। আমার সন্তানদের সন্মুখে ওদের বাবাকে মারবে না। সালাম তো আপনাদের সন্তান ওকে মারবেন না। মোমেনা দৌড়ে গিয়ে আদরের স্বামীকে জাপটে ধরে কাদঁতে থাকে। কাদঁতে থাকে লতা পাতা কলি। ক্রোধে বোধ জ্ঞান হারিয়ে সালামের স্বজনদের এমন ধারনা ছিলো না তাদেরই নির্যাতনে সালাম স্ত্রী প্রিয় সন্তানদের মোহ মমতায় এমন পরিনয় বরণ করতে পরে। স্ত্রী’র প্রতি এমন নির্যাতন সহ্য করতে না পারায় সালামকে মরতে হবে এমনটা কল্পনাও করতে পরেনি মোমেনা। মোমেনা জানে সালাম তাকে অন্তরদিয়ে ভালবাসে কিন্ত তার প্রতি এতোটা ভালবাসা সে কামনা করেনি যার জন্য সালামকে জীবন দিতে হলো। সালামকে হারিয়ে মোমেনা বার বার বলতে থাকে মারছে আমাকে মারুক তুমি কেন জবাব দিতে গেলে। সালামের মৃতদেহ জাপটে বুকফাটা আহাজাড়িতে মোমেনা বলে তুমি আমাকে সাথে নিয়ে যাও। সান্তনা দিয়ে অনেকেই মোমেনাকে ছাড়াতে গিয়ে ব্যর্থ হয় মোমেনা কিছুতেই সালামকে ছাড়ছে না। বলছে তোমরা যতোই বলো আমাকে সাথে না নিলে আমি কিছুতেই ওকে ছাড়বো না। সরল সহজ সালামের ঘরে বুদ্ধিমতি মোমেনার দাম্পত্য জীবন ছিলো অনেক সুখের।
ছোট ভাই সাত্তারের লাঠির আঘাতে সালাম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। অজ পাড়াগাঁ সুবৈদ্যমরিচ তো দুরের কথা আশেপশে দশ গ্রামে কোন ডাক্তার ছিলো না সে সময়। জলচৌকিতে চাঙাড়ি করে সালামকে সদরে চিকিৎসার জন্য নেয়া হচ্ছিল। পথেই সালামের মৃর্ত্যু হয়।
পর পর তিনটি কন্যা সন্তান প্রসবের অসহায়াত্ব এবং স্বামীর অস্বাভাবিক মৃর্ত্যু ঘটনা মোমেনাকে দিশেহারা করে ফেলে। কোথায় এতোটুকু ঠাঁয় মিলবে তার এবং তাদের ¯েœহের লতা পাতা কলি’র। মোমেনা এবং সালামদের বাড়ি ছিলো একই গ্রামে। সেদিন মাগরিবের নামাজ শেষে সালামকে দাফন করা হয় গ্রামের কবরস্থানে। মোমেনার ছোট ভাই সেফাত মোমেনাকে এবং তার তিন সন্তান লতা পাতা কলি’কে ওইদিনই বাড়িতে নিয়ে যায়। লতা পাতা কলি সেফাতকে বলে মামা বাবা আর আসবে না ? আমাদের কোথায় নিয়ে যাও ?
সেফাত তার বোনকে সাথে নিয়ে ব্যক্তিসুখকে তুচ্ছ করে মেধাবি তিন ভাগ্নিকে মানুষের মতো মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যেটাকে নজিরবিহীন বললেও এতোটুকু ভুল হবে না।
লতার বয়স ৮ বছর। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। পাতার বয়স ৬ বছর। সে পড়ে তৃতীয় শ্রেণিতে। আর কলি’র বয়স ৪ বছর । পড়ে প্রথম শ্রেণিতে। তিনজনই নিজ নিজ ক্লাসে প্রথমস্থান অধিকার করে আছে। তিনজনই পড়ে সুবৈদ্যমরিচ গ্রামের বেসরকারি রেজিষ্ট্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের একরাম মাষ্টার সালামকে বলতো কি সালাম এমন রতœ কোথায় পেয়েছো ?
সালাম হাসতে হাসতে বলতো আপনার বৌমা ওদেরকে আকাশ থেকে এনেছে। দোয়া করবেন স্যার। একরাম স্যার বলে বৌমা ঠিকই বলেছে। ওরা তিনজনই আসমানের চাঁদ। ওরা যে অন্ধকার ঠেলে দুনিয়াটাকে আলোকিত করবে।
স্যার চাঁদ যে একটা আর আমার যে মেয়ে তিনটা আগাগোড়া হুসে খাটো সুবোধের মতো বলে ফেলে সালাম।
এবার একরাম মাষ্টার উচ্চস্বরে হেসে বলে সালাম তোমার তিনকন্যা তাহলে আকাশের তিনটে তারা। তিনজনই সমান আলোতে জ্বল জ্বল করে।
একরাম স্যারের কথাই সত্য হলো। একদিন লতা পাতা কলি সুবৈদ্যমরিচ গ্রামকে আলোকিত করলো । তিন বোন মিলে সুবৈদ্যমরিচ গ্রামে প্রতিষ্টা করেছে মোমেনা সালাম মোমেরিয়াল হাসপাতাল। হাসপাতালটি বিশ্বমানের করা হয়েছে। দু’শ বিষেশজ্ঞ চিকিৎসক পাঁচ শতাধিক ডাক্তার এবং প্রায় আড়াই হাজার নার্স সেখানে কর্মরত রয়েছে। ট্রাষ্টি করে দেয়া হয়েছে বিষেশায়িত এই হাসপাতালটিকে। বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছেন অধ্যাপক ডাঃ সাবিহা ইয়াসমীন লতা। মেডিক্যাল কলেজ, নার্র্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটসহ চিকিৎসা সেবার প্রায় সকল ব্যাবস্থায় রয়েছে ্এখানে। সুবৈদ্যমরিচ এবং আশপাশের দশ গ্রামের বেশীরভাগ মানুষের ভাত কাপড়ের যোগান দিয়ে আসছে মোমেনা সালাম মেমোরিয়াল হাসপাতাল। প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী বর্হিবিভাগ অন্তঃবিভাগে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। একদিন যোগাযোগ এবং ডাক্তারের অভাবে তিন স্বর্ণকন্যার পিতার বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়েছিলো, আজ সেখানে দেশের গন্ডি ছেড়ে বিদেশ থেকেও হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসছে আলোকিত গ্রাম সুবৈদ্যমরিচ গ্রামে।
অপর স্বর্ণকন্যা সাকিলা ইয়াসমীন পাতা একজন আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী। নিজ পেশায় দেশে এবং দেশের বাইরেও বেশ খ্যতি অর্জন করেছেন। গড়ে তুলেছেন আইন সহায়তা কেন্দ্র। প্রতি বছর এই কেন্দ্রের মাধ্যমে অসহায় নারীদের আইনি সহায়তা এবং দুঃস্থ ছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়।
বিনা চিকিৎসায় পিতার নির্মম মৃত্যু স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি লতার। সে সময়ের ভয়াল সব ঘটনায় লতাকে আবেগ তাড়িত করে, পাতা কিছু কিছু মনে করতে পারলেও কলি তেমন কিছু মনে রাখতে পারেনি। বাবার স্মৃতি ও মায়ের সংগ্রামি জীবন এবং তাদের পিছনে মায়ের নিরলস শ্রমকে মুল্যায়ন করতে লতা পাতা কলি জীবনকে উৎসর্গ পর্যন্ত করতে প্রস্তুত। তিন বোন মিলে সেটায় করে যাচ্ছে। মা মোমেনা এখন বলতে চায় তোমরা দেখে যাও কন্যা সন্তান জন্ম দেয়া অপরাধ নয়, পাপ নয়। অথচ একদিন এই কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ার অপরাধে মোমেনার স্বামীকে জীবন দিতে হয়েছিলো আর মোমেনাকে হতে হয়েছিলো নির্মম নির্যাতনের স্বিকার। মোমেনার অনিশ্চিত পথ চলার করুন কাহিনী এতোটাই দুর্বিসহ ছিলো যে মোমেনা সেই জীবনের কথা আজ আর মনে করতে চান না। এখন কেবলি তার হাসি আনন্দের দিন। সে নারী বিদ্বেশি অন্ধ পুরুষ তান্ত্রিক সমাজকে জানিয়ে দিতে চায় সামাজিক প্রতিষ্ঠা লাভে লিঙ্গ কোন বাধা নয়। নারী পুরুষ নয় আমরা সবাই মানুষ এটাই প্রমান করেছে অজো পাড়াগাঁ তথা দুর্গম চলনবিলের সুবৈদ্যমরিচ গ্রামের মোমেনা। মোমেনাকে একদিন কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য অসহায় করুন পরিনতি বরণ করতে হয়েছিলো। সেই তিন কন্যা লতা পাতা কলি আজ ব্যাক্তি পরিবার সমাজকে ছাড়িয়ে জাতির কল্যানে দেশে যে অবদান রাখছে তা থেকে মোমেনা তার জীবনে ঘটে যাওয়া নিকট অতীতকে পাঠিয়েছে সুদুর অতীতে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রেজওয়ানা আলী তনিমা সুন্দর ভাবনার গল্প। নারীপুরুষ নির্বিশেষে সবাই নিজের যোগ্যতা নিয়ে বেঁচে থাকুক সসম্মানে।
মোহাঃ ফখরুল আলম ভাল লেগেছে। ভোট দিতে মন চায়। আমার কবিতা পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
নাস‌রিন নাহার চৌধুরী নারী বা পুরুষ নয়, জয় হোক মেধার। সুবর্ণ কন্যাদের গল্পে ভোট রইল।
ফেরদৌস আলম বিজয়ের গল্প, জীবন যুদ্ধে! অনেক ভালো একটি গল্প !
Helal Al-din অসাধারণ, বেশ ভালো লাগলো.
আতিক সিদ্দিকী পর পর তিনটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়া এক নারীর অত্যাচারিত জীবনের সাতকাহন এবং তার সাফল্য কথায় এই গল্পের উপজীব্য ,পরবার অনুরোধ রইলো.
রুহুল আমীন রাজু মা মোমেনা এখন বলতে চায় তোমরা দেখে যাও কন্যা সন্তান জন্ম দেয়া অপরাধ নয়, পাপ নয়। অথচ একদিন এই কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ার অপরাধে মোমেনার স্বামীকে জীবন দিতে হয়েছিলো আর মোমেনাকে হতে হয়েছিলো নির্মম নির্যাতনের স্বিকার। ..............চরম বাস্তব কথা লিখেছেন ....ভালো লাগলো.
গোবিন্দ বীন ভাল লাগল,ভোট রেখে গেলাম।আমার কবিতা পড়ার আমন্ত্রন রইল।

০৬ নভেম্বর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ১১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী