অন্ধকারে অসহায়

অসহায়ত্ব (আগষ্ট ২০১৪)

মহসিন মিজি
  • ১৩
চারপাশের মসজিদ থেকে ভেসে আসছে আজানের ধ্বনি। অন্ধকার ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছে। হালকা আঁধার কেটে কেটে কু-ঝিক্-ঝিক্ ধ্বনি তুলে এগিয়ে চলছে একটি ট্রেন। ট্রেনটির গন্তব্য চট্টগ্রাম। ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের ভিড়ে আছে তানিয়া নামের একটি ষোড়শী মেয়ে। তার গন্তব্য কোথায়?
তানিয়া বসেছিল জানালার পাশের সিটে। তার দৃষ্টি জানালার বাইরে। যদিও তখনো আঁধার পুরোপুরি কাটেনি। তার চোখের সামনে কোন দৃশ্য স্পষ্ট না হলেও কিছু দৃশ্য ফুটে উঠলো ঠিকই। সে দৃশ্য পেছনে ফেলে আসা জীবনের। যে জীবন সে ত্যাগ করে এসেছে সারা জীবনের জন্য। তানিয়া যখন ঘর ছেড়ে বের হয় তখন বাবা-মা আর বড় বোন তার ছোট্ট ছেলেটিকে বুকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিল। ঘড়ি জানান দিচ্ছিল চারটা বাজে। তানিয়া চিন্তা করলো আর দেরি করলে কেউ জেগে উঠতে পারে। তাছাড়া ট্রেনও মিস হতে পারে। তাই বেরিয়ে পড়লো। তবে বাড়ির বাইরে পা দিতেই মনটা কেমন করে উঠলো। সারা জীবনে আর হয়তো এ বাড়িতে ফেরা হবে না। দেখতে পাবে না জন্মদাতা বাবাকে, গর্ভধারিণী মাকে। তানিয়ার গাল বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।
ট্রেনে উঠার পর মনকে অনেকটা শক্ত করে নেয় তানিয়া। কারণ সামনে তার নতুন জীবন। যে জীবনকে নিয়ে রঙিন কতো স্বপ্ন বাসা বেঁধেছিল মনের ঘরে।
কঠিন সিদ্ধান্তটা নিতে তার কষ্ট হয়েছিল খুব। কিন্তু কী করা। সজিবকে যে ভালোবাসে তানিয়া। এদিকে তানিয়ার বাবা বিয়ে ঠিক করে ফেলেছেন তানিয়ার। সে অনেক চিন্তা করেছে। কিন্তু সমাধান বের করতে পারেনি। ফ্যামিলিকে ম্যানেজ করা তার জন্য দু:সাধ্য। কারণ তার বাবা অনেক রাগী। তিনি যেটা সিদ্ধান্ত নেন সেটাই হয়। তার মতের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না। তানিয়াও তাই কিছু বলতে পারেনি ভয়ে। তার আপু কিছুটা জানে তাদের সম্পর্কের কথা। তারও এক কথা, ‘বাবাকে রাজি করবি কিভাবে?’। কিন্তু সজিবকে যে কথা দিয়েছে সে, বিয়ে করলে একমাত্র তাকেই করবে। তানিয়া তাই মনের সাথে অনেক যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত ঘর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সে জানে না তার জীবনে কী অপেক্ষা করছে সামনে।
ট্রেনে কিছুই খায়নি তানিয়া। যানবাহনে অন্য মানুষের সামনে বসে কিছু খাওয়া তার পছন্দ না। তানিয়া ট্রেন থেকে নেমেই ফোন দেয় সজিবকে। ফোন রিসিভ হয় না। আবার ফোন দেয়। একই অবস্থা। সজিব কেন ফোন রিসিভ করছে না বুঝতে পারছে না তানিয়া।
টেনশনে ক্ষুধার যন্ত্রণা ভুলে গেল তানিয়া। সে স্টেশনের ফাঁকা একটা বেঞ্চে বসে পড়লো। কোন কারণে যদি সজিবকে খুঁজে না পায় তানিয়া? কী হবে তখন। সাত-পাঁচ ভাবতে থাকে তানিয়া। সজিবকে সে ভালোবাসে ভীষণ। তার সাথে পরিচয় বান্ধবী লায়লার মাধ্যমে। লায়লার সাথে প্রায়ই ফোনে কথা বলতো সজিব। একদিন লায়লাদের বাড়িতে বেড়াতে গেল তানিয়া। লায়লার রুমে বসে একটা উপন্যাস পড়ছিল তানিয়া। হঠাৎ লায়লার ফোন বেজে উঠলো। কিন্তু লায়লা তখন রুমে ছিলো না। সে রান্নাঘরে তার আম্মার সাথে কাজ করছিল। ফোন বাজছে তো বাজছেই। কয়েকবার বাজার পর ফোনটা রিসিভ করে তানিয়া। ওই প্রান্তের পুরুষ কণ্ঠটি তানিয়ার গলা পেয়ে পরিচয় জানতে চাইলে বললো, ‘আমি তানিয়ার বান্ধবী।’ পুরুষ কণ্ঠটি উচ্ছ্বসিত হয়ে বললো, ‘তাই। কি নাম আপনার?’ তানিয়া প্রথমে নাম বলতে চাইলো না। কিন্তু কণ্ঠটি তাকে যেন মোহাবিষ্ট করে ফেলেছে। সে বললো, ‘আমার নাম তানিয়া। আপনার নাম?’ এভাবেই প্রথম সজিবের সাথে তানিয়ার কথা এবং পরিচয়। সেদিনই তানিয়ার মোবাইল নাম্বারটিও নিয়ে নেয় সজিব। তারপর থেকেই তানিয়ার সাথে সজিব কথা বলতো ফোনে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। প্রেমের সম্পর্ক। সজিব শুরুতেই তানিয়াকে একটা শর্ত দিয়ে দেয়। সে যেন তাদের কথা লায়লাকে না জানায়। আর বলে, লায়লার সাথে তার কোন সম্পর্ক ছিলো না। লায়লার সাথে সে অভিনয় করেছে মাত্র। সহজ-সরল মোহাবিষ্ট মেয়ে তানিয়া সজিবের কথা বিশ্বাস করলো। তার শর্তও মেনে নিলো। এই সরল বিশ্বাসই হয়তো তার জীবনের বড় ভুল ছিলো।
তাদের প্রেমের বয়স ছয়-সাত মাস হবে। এর মধ্যে কয়েকবার দেখাও হয়েছে তাদের । চট্টগ্রাম থেকে সজিবই এসেছিলো। দেখা হলে সজিব প্রতিবারই তানিয়াকে অনেক স্বপ্নের কথা বলতো। তানিয়া মুগ্ধ হয়ে তা শুনতো। আর সজিবের প্রতি আরো আকৃষ্ট হতো। এক পর্যায়ে তার প্রেমে এতটাই মজে যায় যে, তার চারপাশের সবকিছুই তার কাছে মেকি মনে হতে থাকে।
তাইতো তার কথা সে ফেলতে পারেনি। সজিব বলেছিলো, ‘তুমি তোমার ফ্যামিলি চাও? নাকি আমাকে চাও? যদি আমাকে চাও, তবে চলে এসো আমার কাছে।’
তানিয়া ঘর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সজিবের কাছ থেকে তাদের ঠিকানা চাইলে সজিব বললো, ‘লাকসাম থেকে ট্রেনে উঠে সোজা চট্টগ্রাম। মাঝে মাঝে ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে থামবে, যাত্রী উঠা-নামা করবে। তুমি একেবারে চট্টগ্রাম লাস্ট স্টপেজে এসে নামবে। ব্যাস!’ তানিয়া বলে উঠে, ‘তারপর কোথায় যাবো?’ সজিবের জবাব, ‘তুমি ট্রেন থেকে নামলে বাকি কাজ আমার। তুমি শুধু চট্টগ্রাম আসো।’ তানিয়া সজিবের কথায় নির্ভরতা খুঁজে নেয়।
হঠাৎ মোবাইলের রিংটোনে ভাবনায় ছেদ পড়ে তানিয়ার। চমকে উঠে মোবাইল হাতে নেয় সে। সজিবের ফোন। কোন সময়ক্ষেপণ না করেই ফোন রিসিভ করে তানিয়া।
- হ্যালো।
- তানিয়া তুমি কোথায়?
- এতক্ষণ তুমি কোথায় ছিলে?
- পরে জানবে সব। এখন বলো তুমি কোথায়?
- আমি যাত্রী ছাউনিতে।
- আচ্ছা তুমি ১ মিনিট বসো, আমি আসতেছি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই তানিয়া দেখলো সজিব আসছে যাত্রী ছাউনির দিকে। তাকে দেখতে পেয়ে তানিয়ার বুক থেকে যেন একটা পাথর সরে গেল।
তানিয়া আর সজিব একটি হোটেলে বসে আছে। খাবারের অর্ডার দেয়া হয়েছে। তানিয়া ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো। এর মধ্যে টেবিলে খাবার চলে এসেছে। প্রচণ্ড ক্ষুধা আর ক্লান্তি নিয়ে তানিয়া খাবার খেতে শুরু করলো। গোগ্রাসে কিছুক্ষণ খাবার গিললো সে। তারপর মাথা তুলে দেখে সজিব তাকিয়ে আছে তার দিকে। সে আবার মাথা নিচু করে খেতে শুরু করলো। খেতে খেতেই বললো, ‘বলো, তুমি এতো দেরি করলে কেনো আসতে?’ ‘আসলে তোমার থাকার ব্যবস্থা করতে গিয়ে একটু ঝামেলা হয়ে গেছে, তাই একটু বেশি সময় লেগে গিয়েছিলো।’ সজিবের সরল জবাব। তানিয়া বলে উঠলো, ‘ঝামেলা হলো কী নিয়ে?’ এবার সাথে সাথে জবাব আসলো না সজিবের কাছ থেকে। মাথা নিচু করে আছে, যেন গুছিয়ে নিচ্ছে কী বলবে। একটু পরই মাথা তুললো, ‘আমাদের বিয়েটা তো এখনই হচ্ছে না। সব কিছু ঠিক হতে সময় লাগবে। তাই তোমার জন্য বাসা ভাড়া করতে গেলাম। কিন্তু তারা একা কোন মেয়েকে বাসা ভাড়া দিবে না। শেষমেষ স্বামী-স্ত্রী থাকার কথা বলে একটা বাসা ঠিক করলাম।’
তানিয়ার শুধু সজিবকে পেলে আর একটু থাকার জায়গা পেলে আর কিছু লাগবে না। কিন্তু তাই বলে বিয়ে ছাড়াই দু’জন একসাথে থাকবে? নাহ্। এটা সে মেনে নিতে পারছে না। ক্ষুদ্ধ কণ্ঠে সজিবকে বললো, ‘বিয়ে করতে না পারলে দু’জন একসাথে থাকবে কীভাবে?’ সজিব তার রাগ কমানোর জন্য বললো, ‘আরে বিয়ে তো হবেই। তবে হঠাৎ করে তো সম্ভব না। সব গুছিয়ে নিয়ে তারপর। আর এখন একসাথে থাকবো কেনো? তুমি থাকবে ওই বাসায়। আমি শুধু মাঝে মাঝে যাবো, যাতে বাড়িওয়ালা না বুঝতে পারে বিষয়টা।’ একথা শুনে তানিয়া চুপ করে কিছুক্ষণ ভাবলো। তার মনে কেনো যেন সন্দেহ হচ্ছে। সে যে হঠাৎ করে সবকিছু ছেড়ে একটা ছেলের জন্য চলে এসেছে. এটা কী তার ঠিক হয়েছে? নাহ্। কিছু ভাবতে পারছে না তানিয়া। তার মাথা কাজ করছে না এখন।

সজিব তানিয়াকে নিয়ে তানিয়ার জন্য ঠিক করা বাসায় আসলো। তানিয়া বাসায় ঢোকার পর আশ্চর্য হলো। খাট, বিছানা, আসবাব-পত্র সবকিছুই আছে। বাসাটা এক রুমের নয়, দুই রুমের। আরো কিছু জিনিস দেখে তার মনে খটকা লাগলো। তবু সে বাসাটা নিজের মতো করেই গুছিয়ে নিতে লাগলো। সজিব গেল কিছু বাজার সদাই আনতে।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে আরো আগেই। সজিব আসছে না দেখে বিছানায় গা এলিয়ে দিল তানিয়া। শরীর ক্লান্ত থাকায় ঘুমে জড়িয়ে এলো চোখজোড়া। তার দেহের উপর ভারি কিছুর চাপ অনুভব করতেই হঠাৎ জেগে উঠে তানিয়া। তার উপরে কোন পুরুষের অস্তিত্ব টের পেল সে। চোখ মেললো। কিন্তু লাইট অফ থাকায় কিছুই দেখলো না। বুঝতে পারলো তার পরনে সেলোয়ারটা নেই। তানিয়া চিৎকার করে উঠলো। লোকটার একটা হাত এসে মুখ চেপে ধরলো। এখন সে চিৎকারও করতে পারছে না। তানিয়া ছটপট করতে লাগলো অনবরত। কিন্তু নিজেকে রক্ষা করতে পারলো না। লোকটি যখন উঠে চলে গেল বাইরে। তখন তানিয়া উঠে লাইট অন করলো। দেখলো আরেকটি লোক এসে ঢুকেছে তার রুমে। ধীরে ধীরে তার দিকেই আসছে। সে চিৎকার করে সজিবকে ডাকতে লাগলো। লোকটি তাচ্ছিল্যের ভাব করে বললো, ‘তাকে ডেকে লাভ কী? কী লাগবে আমার কাছে বলো। এখন তো তুমি আমাদেরই।’ লোকটির কথা শুনে তানিয়া যেন আকাশ থেকে পড়লো। সে বললো, ‘কেনো, সজিব কোথায়? আপনি কে?’ লোকটি বললো, ‘মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সে আমাদের কাছে তোমাকে বিক্রি করে গেছে। সে আর আসবে না কখনো।’
‘মানে?’ আর্তচিৎকার দিয়ে তানিয়া ধপ করে বসে পড়ে। তার মাথা ঘুরছে মাথার উপরে থাকা ফ্যানের চাইতেও দ্রুত গতিতে। চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসে তার। এ কোন অন্ধকার তার জীবনকে ঘিরে ফেললো হঠাৎ। সে যে আলোর জীবন স্বপ্ন দেখেছিলো এতোদিন, তা এমন করেই অধরা হয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে যাবে? এরমধ্যেই লোকটি হামলে পড়ে তার উপর। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর অচেতন হয়ে পড়ে তানিয়া।
যখন তানিয়া চোখ খুলল তখন সকাল হয়ে গেছে। একটু নড়াচড়া করতেই টের পেল শরীরজুড়ে তীব্র ব্যথা। তার মনে এর চাইতেও বেশি যন্ত্রণা তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। না। শরীরের যন্ত্রণা সইতে পারলেও মনের যন্ত্রণা আর সইতে পারছে না। সে কত বড় ভুল যে করেছে জীবনে, চিন্তা করলেই তার মাথা ঘুরছে ভনভন করে।
বেঈমান প্রতারক আমার সহজ-সরল মনটা নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলতে পারলো? এভাবে আমার জীবনটাকে অসীম অন্ধকারে ছুড়ে ফেলে নিজের স্বার্থ হাসিল করে চলে যেতে পারলো কিভাবে? আর ভাবতে পারছেনা তানিয়া। হঠাৎ তার চোয়াল শক্ত হয়ে উঠলো। চোখ গেলো দরজার দিকে। এগিয়ে গেলো দরজায়। খুলতে গিয়ে দেখলো দরজা বাহির থেকে বন্ধ। খুঁজে দেখলো তার মোবাইলটাও নেই। তার মানে সে এখানে বন্দি। শুধু বন্দি হলে তাও মেনে নেয়া যেতো। তাকে প্রতিদিন তিলে তিলে খুবলে খাবে ওই বদমাশগুলো। এটা চিন্তা করতেই তার মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো। না, আর সে কারো খাদ্য হতে দিবে না তার শরীর। তানিয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল। হয় এখান থেকে পালাবে, না পারলে শেষ করে দিবে নিজেকে।
রাতে ওই লোকগুলো ফিরে আসলো। দরজার তালা খুলে দেখলো ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক ধাক্কাধাক্কি করেও যখন সাড়াশব্দ পেল না। তখন দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকলো। কিন্তু মেয়েটি কোথায়? খুঁজে পেল শেষে কিচেন রুমে। পড়ে আছে তার নিথর দেহ। ফেনা বেরুচ্ছে তার মুখ দিয়ে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আখতারুজ্জামান সোহাগ গল্পটা পড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হলো। শেষটা ভীষণ হৃদয় বিদারক। এ রকম অনেক সরল-মনা তানিয়ারা প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছে প্রতারণার, পরিণাম হচ্ছে আত্মহত্যা, অথবা অন্ধকারে বসবাস। দারুণ একটা বার্তা পেলাম গল্পে। শুভকামনা।
আখতারুজ্জামান সোহাগ ভাইয়া, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আপনি মন দিয়ে পুরো গল্প পড়েছেন এবং বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য করেছেন। এই অধন নিজেকে ধন্য মনে করছে আপনার মন্তব্য পেয়ে। আপনার জন্য শুভ কামনা নিরন্তর।
আফরান মোল্লা দারুন মহসিন ভাইয়া।খুব ভালো লাগল।অনেক শুভকামনা রইল।আমার পাতায় আমন্ত্রন রইল।
অনেক ধন্যবাদ আফরান মোল্লা ভাই।
সূনৃত সুজন ভালই লাগলো ...আমার লেখা পড়ার আমন্ত্রণ রইলো ...
শামীম খান একটি মেয়ের একপাক্ষিক প্রেম একজন ভয়ঙ্কর ব্যবসায়ীর সাথে । পরিনতি কষ্টদায়ক , তবে পড়তে পড়তে কষ্ট পেতে তৈরি হচ্ছিলাম । সুন্দর গল্প । খুব ভাল লেগেছে । শুভেচ্ছা আর ভোট রইল ।
শামীম খান, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ মনেোযোগ দিয়ে এই অপদার্থের লেখা পড়ার জন্য এবং সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
আপনার লেখার হাত কিন্তু দারুন । নিজের সম্পরকে যে শব্দ আপনি ব্যবহার করলেন তার কোন কারন দেখছি না । লেগে থাকলে মহৎ কিছু সম্ভব । শুভেচ্ছা , দোয়া ।
অপদেবতা মন খারাপ করা গল্প । আজকাল সবার মধ্যে একটা ভাব দেখা যায় যে, প্রেম করতেই হবে, না হলে, স্ট্যাটাস থাকে না।যাওক , আপনার জন্য শুভকামনা থাকল।
অপদেবতাকে ধন্যবাদ শুভকামনার জন্য। আর মন খারাপ করা দরকার নেই, আরেকজনের গল্প থেকে মন ভালো করার উপাদান পেয়ে যাবেন।
প্রজ্ঞা মৌসুমী পরিণতিটা সত্যি করুণ। বিলাসী গল্পে শরৎন্দ্র নর-নারীর মধ্যে পরস্পরের হৃদয় জয় করে বিয়ে করার কথা বলেছিলেন না... জয়ের গর্ব, পরাজয়ের ব্যথা, ভুল করিবার দুঃখ, ভুল না করিবার আত্মপ্রসাদ... জীবনেতো সেরকম ঘটে না। কখনো কখনো ভুলের সংশোধন করা যায় না, আবার প্রায়শ্চিত্তটা বড্ড বেশি কঠিন হয়। ভাল লাগলো মহসিন আপনার লেখা।

২২ অক্টোবর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪