হাসি ও প্রিয় শব্দমালা

ভালবাসি তোমায় (ফেব্রুয়ারী ২০১৪)

সাদিয়া সুলতানা
-কী রে চ্যাংড়া...জীবনে কয়খান ভালা কাম করছোস? আইজ এত ভালা হইতে মন চাইল? নিজেই থানায় আইসা পড়লি?
ছেলেটা গজ দেড়েক দূরে বসে বলে উল্লাপাড়া থানার অফিসার ইন চার্জ হামিদুল জুৎমত পা চালাতে যেয়েও পারে না। তাই তার মুখ চালায়।
-শালা ফটফট কথা কয়! দিমুনি ঠাণ্ড কইরা। ভালা মাইনষের পুত তাইলে দুই মাস কই হান্দাইছিলি? আইজ আমি হান্দাই?

প্রশ্ন করলেও দুই হাঁটুতে মুখ গুঁজে বসে থাকা মিল্লাতের অনুমতির ধার ধারে না ওসি হামিদুল। চেয়ার ছেড়ে উঠে গিয়ে টেবিলের ওপর রাখা স্টিলের স্কেল দিয়েই দুই ঘা লাগায় পিঠের উপর। মিল্লাত কাঁদে না। নড়েও না। শুধু একটা গোঙানির আওয়াজ হয়। হামিদুল খুব ভালো করেই জানে, আসামীর গায়ে হাত তোলা আইনত দণ্ডণীয়। আবার এইসব আইনের ধার ধারলে মামলা তদন্ত করাই মুশকিল তাও তার অজানা না। তবে সে নিজে ঘাঘু মাল। এইসব স্কেলের বারি কোন মাত্রায় পড়লে বাকি সব ঘাঘু মালের পেট থেকে কথাও বের হয় আবার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের সামনে নেওয়ার আগে দাগ মিলিয়েও যায় তা সে জানে। একুশ বছরের চাকরি জীবনে দাগী থেকে পাতি আসামী খাতির করার কায়দা-কানুন তার ভালই রপ্ত করা আছে। এ হচ্ছে সাপও মরবে আর লাঠিও ভাঙবে না প্রবাদের যথার্থ প্রয়োগ শিক্ষা। তবে একবার হিসেবে একটু ভুল হওয়ায় ওসি হামিদুলের প্রমোশনটা আটকে গেছে। আর তাই এখন তার অবস্থান আরও শক্ত। মানে ন্যাংটার নাই বাটপারের ভয় আর কি!

-পালিশ করার আগেই সব ক। নইলে সবচেয়ে খারাপ ডাণ্ডাওয়ালা এস.আই. এর হাতে ছাইড়া দিমু।
হামিদুল এইবারও উত্তরদাতার উত্তরের অপেক্ষা করে না। তার এক হাঁকেই এস.আই. হায়দার রুমে ঢোকে।
-স্যার...স্যার। ফরোয়ার্ডিং রেডি করছি স্যার। চালানও রেডি। রিমাণ্ড প্রেয়ার কী লিখমু স্যার?

এস.আই. হায়দার বরাবর গোছানো কাজের মানুষ। তাছাড়া হামিদুলের কাজের ধরণ ও গতি সবই তার জানা। আর এই আসামী যখন নিজেই থানায় এসেছে, একে সাইজ করা তো পলক ফেলার সময়ের ব্যাপার মাত্র। হায়দার অপেক্ষা করে। কিন্তু ওসি হামিদুল উত্তর দেয় না। এই প্রথমবার উত্তরের জন্য সে মিল্লাতের দিকে তাকায়। ছেলেটা এখনো হাঁটুতে মাথা গুঁজে। ঘন্টাখানেক আগে পাখি নিজেই খাঁচায় এসে ঢুকেছে। ব্যাটার মতলবটা কী বোঝা যাচ্ছে না। হামিদুল ভালো করে মিল্লাতকে লক্ষ করে। ছেলেটার গায়ে শীতের কাপড় নেই। পড়নে তেল চিটচিটে লুঙি আর ফুলহাতা কালো গেঞ্জি। গেঞ্জিতে ছোপ ছোপ সাদা ময়লা দাগ। হারামজাদা কাঁদছে না ঘুমাচ্ছে? হামিদুল খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে। মিল্লাত এখন মাথা তোলে। ছেলেটার বয়স বেশি না। বাইশ-তেইশ হবে। তবে চেহারা আর চোখে-মুখে ষোল-সতের'র নিস্পাপতা। কয়দিন না খেয়েও আছে বোধহয়। আরেকবার পলিশ করার আগে একটু ভাত খাইয়ে নিবে নাকি?
-ওই চ্যাংড়া ভাত খাবি?
ভাতের কথা শুনে মিল্লাতের পাঁশুটে চেহারা বর্ণময় হয়ে ওঠে। হামিদুলকে অবাক করে দিয়ে মিল্লাত উত্তর দেয়,
-খামু। সাথে এট্টু চা খামু। বড় শীত লাগে।
-ওরে সোনারে...। জামাই বাবুর জন্য কফি আন...।

মিল্লাত এবার থরথর করে কেঁপে ওঠে। শীতে নাকি ভয়ে বোঝা যায় না। সে হামিদুলের চোখের দিকে মুখ কাতর করে তাকায়। পেটের মধ্যে পাঁক দিচ্ছে। আর কিছুক্ষণ এইভাবে থাকলে নির্ঘাত মারা পড়বে। মিল্লাতের চোখ ভরে জল আসে। ঠিক এই মুহূর্তে তার চোখ বলছে ভাতের সাথে সন্ধি করতে যেন সব দুর্যোগ সে মাথা পেতে নিতে পারে। হামিদুল জানে এইসব চাহনি আসলে ভণ্ডামি। যা দেখে দেখে তার এখন চশমাসহ চার চোখ। হামিদুলের পাল্টা চোখের ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষাতেই যেন সব বুঝে যায় মিল্লাত। তারপর মাথা নামিয়ে দ্বিধাপূর্ণ কন্ঠে নির্লজ্জ চাহিদা জানায়,
-ভাতই খামু।

কন্সটেবল ফরিদ ওসি হামিদুলের নির্দেশে তড়িৎগতিতে বের হয়ে যায়। বেলা একটা। সময়টা ভালো না। থানায় ফোর্স কম। প্রায় সবাই হরতালের ডিউটিতে ফিল্ডে আছে। এইসব বিপদজনক আসামী যত তাড়াতাড়ি আদালতে চালান দেওয়া যায় ততই ভাল। ফরিদ দ্রুত `সবুরের আলিশান হোটেল' এ চলে যায়। থানার পাশেই সবুরের টিনশেডের আলিশান হোটেল। আলিশানই বটে। থানার স্টাফ-অফিসাররা সবাই সবুরের হোটেলের নিয়মিত কাস্টমার। হামিদুল স্যারের টাকা পয়সার বদনাম কম। পই পই করে সব হিসেব বুঝিয়ে দেয়। তাই সবুর নিশ্চিন্তে বাকিতেও খাবার সরবরাহ করে। তবে কথায় বলে না সূর্যের চেয়ে বালি গরম! কন্সটেবলদের ফাওবাজিতে মাঝে মাঝে সবুরকে বেকায়দায় পড়তে হয়। তবু এদের কদর করতে জানে সবুর। ফরিদকে আসতে দেখে সবুর ক্যাশবাক্সের সামনে থেকে দৌড়ে আসে।
-ও ফরিদ ভাই। মিল্লাত হারামজাদা বলে ধরা পড়ছে।
-তুমি চিনলা কেমনে?
ফরিদ ক্যাশবাক্সের পাশের টেবিলে রাখা সাজানো পান থেকে এক খিলি তুলে নেয়। এইসবের দাম নিয়ে সবুর কখনো ছ্যাচড়ামি করে না ফরিদ জানে। উল্টো তাদের এক খিলি পান দিতে পেরে সবুর ধন্য হয়ে যায়। গত বছর এক মামলায় বেকায়দা ফেঁসে যাওয়ার পর থেকে সবুরের এই উন্নতি। এখনো মাসে মাসে কোর্টে হাজিরা দেওয়া লাগে।

-আরে এই ছ্যাড়া তো আমাগোর গ্রামের। আর হাসি হইল ওর চাচাতো বইন। দুইটার সেই কি পিরিত! গ্রামে টিকাই মুশকিল! কইথোন কী হইল! হারামজাদা হাসিরে এসিড মাইরা সেই যে ভাগলো। ওর বাপে তো পোলার শোকে আতকা মইরা গেল। মায়েও যায় যায়। আর হাসির কপালটা ভালাই। এট্টুনির জইন্য মুখে লাগে নাই। হাসপাতালে নেওয়ার সময় তো আমিও আছিলাম। তোমরা যদি সাক্ষি বানাও হেই ডরে কই নাই।
-প্যাঁচাল পাইরো নাতো সবুর ভাই। ওসি স্যারের মেজাজ খুব খারাপ। এক প্লেট ভাত, আলু ছানা আর ডাউল দাও।

সবুরের উৎসাহে পানি দিয়ে ফরিদ যে গতিতে এসেছিল সেই গতিতেই থানায় ঢুকে যায়। মিল্লাতের সামনে ভাতের প্লেট রাখতেই চারপাশের সব চোখ রাঙানি সে ভুলে যায়। দ্রুত প্লেট তুলে নেয়। ভাতের ধোঁয়ায় কেমন অস্থির লাগে ওর। গত দুইমাসের পলাতক জীবনে হাতে গোনা কয়দিন গরম ভাত খেয়েছে সে। গত কয়দিন তো ভাতই জোটেনি। শীত আর ক্ষুধায় মৃত্যুর অনিবার্যতা তাকে এই অবধি টেনে এনেছে। বহুদিন পর এই গরম ভাত মিল্লাতের শরীর উষ্ণ করে তোলে। সেই যে মায়ের হাতে দু’গাল ভাত খেতে সাত সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। তারপর কী এক চণ্ডাল রাগে নিজাম কাকার ডিসপেন্সারি থেকে সিরিঞ্জ চুরি করে গোসাই এর শাড়ির কারখানায় গিয়েছিল। গোসাই বাবু চোখের আড়াল হতেই পলিথিনের প্যাকেট থেকে এক সিরিঞ্জ এসিড তুলে দে দৌড়। বড় বাড় বেড়েছিল যে হাসির! তাকে রেখে ঢাকা থেকে আসা নতুন কুটুম নিয়ে রঙ করা! প্লেট ভাতশূণ্য হওয়ার সাথে সাথে আদিম ক্রোধ মিল্লাতকে যেন আবার সক্রিয় করে তোলে। কিন্তু সেই অনুভূতির স্থায়ীত্ব বড় স্বল্প সময়ের। যেই সময়টুকুর মধ্যে সে সেই কাজটা করে ফেলেছিল, তার মতই। আবার মিল্লাতের বুকের ভেতর হুহু করে ওঠে।

-আমিই কামটা করছি। স্যার...আমারে জেল দ্যান। ফাঁসি দ্যান।
-আমি তো তোরে লটকানোর মালিক না, তাইলেতো এহনই লটকাইতাম। তোর বিচার করব ট্রাইবুন্যালের স্যারে। গতমাসেও তিনটা এসিডের মামলায় ছয়-সাতটারে যাবজ্জীবন দিছে।

মিল্লাত এইবার জোরে বিলাপ করে ওঠে। সেই বিলাপ শুনে ওসি হামিদুলের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তবু নিজেকে সামলায় সে। তবে ঠিক এই মুহূর্তেও এই কান্নায় কৃত্রিমতা নেই এটাও বুঝে যায় হামিদুল। আর মারধর করার দরকার নাই। এর পেছনে আর সময়ও নষ্ট করার দরকার নাই। সবার বিকালের ডিউটি বন্টন করতে হবে। আরও কিছু আসামী ধরা পড়েছে তাদেরও ব্যবস্থা করতে হবে। মিল্লাতের ক্রন্দণরত মুখের দিকে তাকিয়ে হামিদুল আর হায়দার দুইজনই অপেক্ষা করে।


পরিশিষ্ট

হাসিদের বাড়ির পেছনের বাঁশঝাঁড়ের আড়ালে বেশ বড় একটা জলপাই গাছ। গাছের গায়ে মিল্লাত মাস কয়েক আগেই চাকু দিয়ে ঘষে ঘষে মিলু+হাসি লিখেছে। মিল্লাতের পুরো নাম ফয়সাল মিল্লাত। হাসি আদর করে ডাকত মিলু। হাসি এখন সেই গাছটার সামনে দাঁড়িয়ে। আজ হাসিও একটা চাকু এনেছে। চাকুটার মাথায় মরচে ধরা। মায়ের কাঠের বাক্সে তোলা ছিল। হাসি জানে এতেই তার কাজ চলে যাবে। অষ্টাদশী হাসির দুই চোখে নোনা জল টলমল করছে। হাসি একবার গাছের গায়ে লেখার দিকে তাকায় আর একবার তার বাঁ হাতের দিকে তাকায়। গতকালই ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরেছে সে। ক্ষত পরিষ্কার করতে এই সপ্তাহে আবার সদরে যেতে হবে। কিন্তু হাসি জানে এই ক্ষত যতই পরিষ্কার করা হোক মনের ভেতরের ক্ষতের গভীরতা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে।
হাসি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে। বাঁশঝাড়ের আড়ালে হাসিকে বুনো ফুলের মত লাগছে। হাসি বাহারী রঙিন বুনো ফুলের ছাপের জামা পড়েছে। হাসির নিঁখুত মুখটুকু ছাড়া শরীরের বাকি অংশ নিপুণভাবে ঢেকে আছে সেই জামায়। শুধু জামার হাতটা তুললেই দেখা যাবে তার বাঁ কাঁধ থেকে কবজি পর্যন্ত গাছের বাকলের মত এবড়োখেবড়ো দাগ। ফুলহাতা জামার কারণে সেই দাগ তার চোখে পড়ে না তবু সেই হাতের দিকে তাকিয়েই ওর চোখের পানি বাস্প হয়ে উড়ে যায়। ডান হাতে শক্ত করে চাকুটা ধরে হাসি জলপাই গাছের গায়ে লেখা প্রিয় শব্দমালায় আঁচড় কাটতে থাকে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
তাপসকিরণ রায় সুন্দর পরিপাটি করে লেখা গল্পটি। পরিস্ফুট ভাবনায় লেখার পটুতা ধরা পড়ে। ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ দাদা
ভালো লাগেনি ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
আল জাবিরী গল্প বেশ ভাল লেগেছে--বর্ণনার সুন্দর ধারাবহতা চোখে পড়ল।
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
মোঃ মহিউদ্দীন সান্‌তু বরাবরের মতই বেশ সুন্দর গল্প, চমৎকার লেখনি আপনার, শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ ভাই...
ভালো লাগেনি ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
আশা খুবই সুন্দর লেখা। কোথাও বিন্দু মাত্র ঘাটতি মনে হয়না। অসাধারণ কিছু আপনার কাছে চাইতে তাই আর দ্বিধা করবো না। ভালো থাকবেন।
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ ভাই। প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা থাকবে।
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
মামুন ম. আজিজ কোথার জল কোথায় গড়ালো....সাদিয়া অসাধরণ লেখে তার আগে কয়েকটা গল্প এখানে ওখানে পড়েই টের পেয়েছি...এটাও কম যায়না....বেশ বুনেছো।
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ। পড়তে থাকুন....
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
ওয়াহিদ মামুন লাভলু গুরুত্বপূর্ণ চিত্র তুলে ধরেছেন। সংলাপ, সম্বোধন খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ, ভাই।
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
সকাল রয় আঞ্চলিক ভাষায় গল্পটাকে অন্যরকম আভা দিয়েছে। আবার পড়বো। আপনি ভোটিং বন্ধ করেছেন কেন? লেখিকা
ভালো লাগেনি ৩১ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ। একবার বিজয়ী হলে দুই সংখ্যার জন্য ভোটিং বন্ধ রাখার কথা। এই সংখ্যাতেও কেন বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষই জানেন। আমার আপনার মত নিমগ্ন পাঠক দরকার, যিনি শুধরে দেবেন....পড়বেন.....শুভকামনা।
ভালো লাগেনি ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

১৯ অক্টোবর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ২১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪