যত দুঃখ দেবে দাও, কিলো-গ্রাম হিসাবে সব সহ্য করব ভালোবেসে নিতে পারি তোমারও সবটুকু ‘রক্ত-মাংসে-গড়া’ দীর্ঘ সিরিজের এই কষ্ট। তবু শুধু ক্যালেন্ডারের খাপগুলোতে আমাকেই তলব কর। আজীবন না হোক ; নাহয় ভুল করেই একরত্তি ডাকো যেখানেই থাকি— যতদূরেই থাকি— ঝোলাঝুলি নিয়ে সময়মতো ঠিকই পৌঁছে যাবো। বুকের মধ্যে স্বরলিপি ছাপিয়ে আজানু ব্যাপক সন্ধ্যা ঘনালে— অস্থির চেতনায় মধ্যে একটানা গোঁয়ার ‘কান্নাপাওয়া বৃষ্টি’ নামলে— চেনা পথে আবারও পা হারাবার চিরকালের আবেগমাখা দিস্তে দিস্তে হুলুস্থুলু ইচ্ছাটুকু হলে— রাজকীয় প্রত্যাশায় বিছানো সূচিপত্রে একমুঠো শব্দ ফের টুপটাপ ঝরে পড়লে— শুধু এই আমাকেই তলব কর ; যেখানেই থাকি— যেভাবেই থাকি— সমস্ত বিচরণ ভুলে, অনন্ত চৈত্রের সাথে বাসি হৃদয়ে বহুদূর অব্দি দ্রুত ভেসে এসে পুনরায় কবুল করব।
কেন, তোমার হাসিখুশির রৌদ্রে চলকে ওঠা হৃদয়ের রাজধানীতে এত সারি সারি ঘুমের অজানিত প্রবাহী স্বপ্ন-হরণ ? কেন, তোমার স্বপ্নের ডিম পাড়া এই সুখের অলিন্দে এতসব অহেতুক ভারী ভাঙচুর পারিজাত রক্তক্ষরণ ? কাছে গিয়ে, প্রণয়-মার-খাওয়া বিবাগী নদী হয়ে আমি আবারও এলোমেলো ভালোবেসে একটা একটা করে সবকিছু জানতে চাইব। পারানি না নিয়েই তোমাকে ঠিকই, অনিবার্য পার করে দেবো।
এত এত ভালোবাসবার পরেও ; তবু কেন জানি না— তোমাকে ছেড়ে তবু অনায়াসেই দূরে সরে থাকতে হয়। মোটের উপর এর চেয়ে বড় কিছু হিতব্রতী কষ্ট হয় ? সিলেবাসে কোথাও এর চেয়ে বড় ! আছে নাকি কিছু নাকাল করা ভয়ের মতো ভয় ? কারো কাছে জানা আছে কি এর সঠিক দুঃখমোচী-স্পর্ধিত উত্তর ? এরপরেও তুমি অবলীলায় খুব বেশি আলো করে বসে থাকো অপরের ঘর। অথচ আমি আজও তোমার মতো ভুল আবেগে তোমাকে ভুলে ছককষে হতে পারি নি : মুখোমুখি ‘ঘোরতর-নিষ্ঠুর-নির্দয়’।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।