আমার শত কথা

উচ্ছ্বাস (জুন ২০১৪)

Nasima Khan
মনটা বিষন্নতায় ছেঁয়ে আছে, কিছুই ভালো লাগছে না, আয়নাতে মুখ দেখেই চমকে উঠেছি কপালের উপর একটা পাকা চুল ঝুলে রয়েছে, বয়সের খবর দিলো, অনেকে একে মৃত্যুর চিঠিও বলে, আমি অন্য রকম কিছু ভাবছি, সময়ের লাগাম টেনে ধরা যায় না ? সুকান্ত তো পেরেছিলেন মাত্র একুশ বছর জীবন নিয়েও , আমি কীভাবে পারবো ? আদৌ কি পারবো না ? না পারলেও দোষ নেই, কত সভ্যতা বিলীন হয়ে গেছে কালের বিবর্তনে , কত মহান মানবতা নিশ্চিহ্ণ হয়ে গেছে সময়ের স্রোতে কে রেখেছে তাদের মনে, আর একদিন হয়তো ডিজিটাল সভ্যতাও শেষ হয়ে যাবে ! কী হবে সেদিন, যাই হোক আমি দেখবো না, নিশ্চিত দেখবো না । এখন ২০১৪ সাল, পৃথিবীটা যদি বেঁচে থাকে ৩০১৪ সাল পর্যন্ত, উহ ! ততদিন যদি আমিও বেঁচে থাকতে পারতাম, কিছু না হোক বয়সী মানুষ হিসেবে গিনিচ বুকে নাম লেখাতে পারতাম !
আচ্ছা ততদিনে গিনিচ বুকের ওজন কত হবে ? পুরোনো পাতা গুলো ছিড়ে ফেলতে বলবো, বয়সী মানুষের এ কথা নিশ্চয় রাখবেন কর্তৃপক্ষ ।
আমি যখন খুব ছোট আমার গায়ের বৃদ্ধ করমোচা আলী, বয়সে একশত এক কুঁড়ি হবে, তিনি স্বাধ করলেন বিয়ে করবেন, লোকে কানা ঘুষা শুরু করলো, বুড়োর ভীমরতি হয়েছে, এর আগে তিনজন বউ খেয়েছে, এবার এই জমের বাড়ির হাড় কার ঘাড়ে পড়বে, সাতটি সন্তান বিদ্রোহ করবেন সে উপায় নাই, ছেলেরাও বাবার পদাংক অনুসরণ করেছেন, এক জোড়া করে তাদেরও হোয়ে গেছে ।
কি আর করা, রাখাল বলে এক অন্ধ ভিখারী ছিলো, বউটাও অন্ধ, তাদের একচক্ষুওয়ালা মেয়েটার বয়স চল্লিশের কোঠায়, বাবা মায়ের হাত ধরে ভিক্ষে করে খায়, সেই মেয়েটিকেই পাত্রী হিসাবে বেছে দিলো গ্রামবাসী,
করমোচা আলী তখনো ভালোই দেখেন, বললেন,-পাত্রী পছন্দ নয়, কানা মেয়ে স্বামীর সেবা করতে পারবে না।
অনেক বুঝিয়ে রাজী করানো হোলো, এক চোখে সে ভালোই দেখে সমস্যা নায় ।
বুড়ো উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত শশুর শাশুড়ীসহ নতুন বউকে বাড়ী এনে তুললো, গ্রামে দিলো ভোজ সভা, গ্রামের মানুষের আনন্দ ধরে না, যাক বুড়োর জোরে ওদের ভিখারী জীবনের অবসান হোলো ।
বুড়োর উল্লাস দেখে সকলেই মুচকী হাসলেন ,কিন্তু বিধাতা অন্যভাবে হেসেছিলেন, সকালে নতুন বৌ ঘর থেকে চিৎকার করে বের হোলো , বাবা গো, আমি বিধবা হয়েছি, ভালো মানুষ রাতভর কত না গল্প করলো সকালে উঠে দেখি উনি নাই ।
ডাক্তার এসে বললেন, খুব সম্ভব হার্ট এটাক ।
সব উল্লাসই কি বিরহে যবনিকা টানে ?
না, কিছু উল্লাস মনের মণি কোঠায় জল জল করে ।
এতো ভনিতা না করে বলেই ফেলি , আমার বয়স কুঁড়ি হবে, স্বপনেরও তাই, আমরা সহপাঠী । লোকে বলতো দু’টিতে যা মানাবে , কিন্তু আমরা দু’জন কখনও তা ভাবিনি, ও প্রেম করেছিলো জেবুর সঙ্গে, ভারী মিষ্টি চেহারা জেবুর, জেবুর বাবা জামা কাকা গ্রামের ডাক্তার ছিলো, কাটা ফাঁড়া ছাড়া প্রায় সব রকম রোগের ওষুধ দিতেন , আমি ছিলাম স্বপনের সব থেকে ভালো পিয়ন , চিঠিপত্র, খবরাখবর আনা নেওয়াতে আমার জুড়ি ছিলো না, আমি ছিলাম বাবার একমাত্র মেয়ে, অ্যাঁ খুশি তাই করতাম, কিছুই বলতো না, কিন্তু বাবা সন্দেহ করতে শুরু করলেন, আমার আর স্বপনের সাথে না জানি কি অবৈধ সম্পর্ক চলছে, রাতদিন দু’টিতে মিলে কি সব বলাবলি, লোক দেখলেই চুপ, বিষয়টা ভালো নয় ।
বাবা আমাকে প্রশ্ন করলেন,-স্বপনের সাথে অতো কী কথা তোমার ? আমি চাই না, তুমি ছেলেটার সাথে মিশো ।
বাবা, আমি শপথ করে বলছি ওকে আমি ভালোবাসি না ।
ভালো না বাসলেও অনেক সম্পর্ক রাখে আজকালকার ছেলে মেয়েরা, আমি চাই না তুমি , ওর সাথে মিশো ।
ঠিক আছে বাবা ।
আমি স্বপনকে ডেকে বলে দিলাম,- দেখ স্বপন, আমার বাবা চান না, আমি তোর সাথে মিশি, আজ থেকে, তোর আর আমার চলা সম্ভব না ।
স্বপন বললো,- কাকা যখন চান না , তখন ঠিক আছে, আমাদের বিয়েতে তুই থাকিস, এটাই শেষ আবদার ।
শেষ পর্যন্ত অন্য পাত্রে জেবুর বিয়ে হোয়ে গেলো, স্বপনের মত বেকার ছেলের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হবে না , জামাল কাকু জানিয়ে দিলেন, স্বপনের বাবাও চান না, তিনি তার ছেলেকে বিদেশ পাঠাবেন তার প্রস্তুতি চলছে । জেবু কান্না কাটি করেছিলো কিন্তু স্বপনের চোখে বেদনার লেশ মাত্র নেই দেখে চুপি চুপি ডেকে বললাম,-তুই কষ্ট পাসনি স্বপন ?
স্বপন অবাক হয়ে তাকিয়ে বললো,- ভেবেছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনে হয়েছে, এর চেয়ে সুখ আমার জীবনে দ্বিতীয়টি হবে না, কিন্তু লোকে মন্দ বলবে তাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারছি না।
কিন্তু কেনোরে বোকা ?
সে তুই বুঝবি না !
আমার কপাল কিঞ্চিত কুঞ্চিত হোয়ে আবার জায়গায় ফিরে আসলো , যাক গে, যা হবার তাই হয়েছে ।
কিছু লোক আছে আগে থেকে তারা নিজেদের হৃদয়ের খবর নিজে জানতে পারে না, সে যা ভাবেনি, তাই তার মনে বাসা বেঁধে আছে ,
স্বপনের বিদেশ যাওয়ার আগে সে বিয়ে করে যাবে, এ কথা লোকে বলা বলি করছে, বাবাও দুপুরে খাবার টেবিলে একই কথা বললো ।
আমি বললাম ,- কোথাকার মেয়ে ?
বাবা মুচকী হাসলেন,-যেন বিশাল রহস্য লুকালেন ।
আমি এবার সত্যিই জানতে আগ্রহী হয়ে উঠলাম, আবারও স্বপনকে ডেকে বললাম,-তোর বিয়ে কোথায় হচ্ছে, পাত্রী কি করে ?
স্বপন বললো,- কেমন পাত্রী হোলে তুই খুশি হোস ?
বিয়ে করবি তুই , তুই জানিস কেমন পাত্রী তুই চাস ।
স্বপন দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললো,- আচ্ছা পরে বলবো
বাবা রাতে আমাকে কোলের ভিতর নিয়ে বললেন, বাবারা অনেক কিছু বোঝে , যেদিন থেকে আমি তোকে স্বপনের সাথে মিশতে নিষেধ করেছি সেদিন থেকেই তোর মন খারাপ থাকে , তুই আগের মত হাসিস না, যা খুশি তাই করিস না, আমি তোর বুকের পাজর ভেঙ্গে দিয়েছিরে মা, তোর বুকের পাজর আমি জোড়া লাগিয়ে দেবো, খুশি হবি তো মা ?
আকাশের তারা টা ধরে এনে দিলেও এতো আনন্দ আমি পেতাম কিনা জানি না , আমি বিমুগ্ধ হোয়ে তাকিয়ে আছি, চোখের কোনে চিক চিক করছে উচ্ছ্বাসের পানি , আমার অচেনা সুখ আমার হাতের ভিতরই ছিলো, আমার খুঁজে মরা বেদনার উৎস আর কোথাও ছিলো না, এখানেই ছিলো, তবে আমি এতোদিন খুঁজে পাইনি কেন ? কেন সারাক্ষণ মন খারাপের কারণ খুঁজে মরেছি ।
বাবার কোলে শিশুর মতো মুখ লুকিয়ে অনেকক্ষণ কাঁদলাম, বাবা পরম স্নেহে পিঠে হাত বুলালেন ।
বিয়ের রাতে বাসর ঘরে স্বপন বললো,- তুই কি জানতিস, আমাকে তুই কতো ভালোবাসিস ?
না, এখনও বাসি না ।
তবেরে পাঁজি ,
স্বপনের কৃত্রিম মারের ভঙ্গিতে আমি ওকে সত্যি মারলাম, এতো বেশি কিল ঘুশি মারলাম, তারপর দু’জন কেঁদে কেটে একাকার, সারা রাত দু’জনে কেঁদেছিলাম, আনন্দও যে মানূষকে এতো কাঁদাতে পারে সেদিন তা ভালো করেই উপলব্ধি করেছিলাম ।
স্বপনের প্লেনটা উপরে মিলিয়েই যেতেই আমি পড়ে গেলাম , জ্ঞান ফিরলেই বলেছিলাম,-আমি ওকে খুব ভালোবাসি ।
দু’বছরে দু’শ এর বেশি চিঠি, আর মাসে একবার টেলিফোন, তারপরও হাপিয়ে উঠেছিলাম, তাই বললাম, না আর নয়, তুমি ফিরে এসো ।
স্বপনও যেন আমার এই ছোট্র ডাকের অপেক্ষায় ছিলো, ফিরে এলো ।
বাবাও খুশি হোলেন ,ম্যের মনমরা মুখ তিনি আর দেখতে পারছিলেন না, বাবার সমস্ত ব্যাবসা ওর হাতেই তুলে দিলো, আমদের কোল জুঁড়ে ফুটফূটে এক শিশু এলো, নাম রাখলাম, প্রত্যাশা ।
জেবু গ্রামে আসে, কিন্তু আমি যেন ওর চোখের বিষ, আমার সাথে কথায় বলে না, দেখা করতে গেলে কাজের ছলে উঠে যায়, আমি জানি , আমার এ কর্মে আমার কোন দোষ ছিলো না, হয়তো যে যন্ত্রণা বুকে ছিলো তাকে কখনো খুঁজেও পেতাম না , জেবু কি তা জানে, আমি তো জেবুর সঙ্গে কোন রকম প্রতাড়না করিনি ,রাতে স্বপন আসতেই এ খবর দিলাম,-জেবু বাবার বাড়ি এসেছে , তুমি ওর সঙ্গে দেখা করবে ।
কেনোরে পাগলি, তুই কি আমাকে সন্দেহো করিস, আমি ১০০% তোর, বিশ্বাস কর, আমি তোকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি ।
জেবুকেও ভালোবাসতে ।
তোর মাথায় কি ভুত ঢুকেছে ?
না।
তবে ?
তুমি জেবুর সাথে দেখা করো ।
আমার সময় কোথায়, বল ?
কাল অফিসে যাওয়ার দরকার নেই ।
তুই পাগলামী করিস না ? যা অতীত তাকে তুই সামনে এনে আমাদের দু’জনের মাঝে আবার কষ্টের বীজ বুনিস না, সোনা ?
তুমি দেখা করবেই ।
আমি পাশ ফিরে শুয়ে থাকলাম, আমার জীদের কোন মূল্য না দিয়ে স্বপন অফিসে চলে গেলো ।
কিন্তু সন্দেহোর সাথে আমার অন্তরে এক ধরনের জ্বালা খেলা করছিলো ।
আমি দুপুরে স্বপনের অফিসে যেয়ে হাজির হলাম, স্বপনের রুমের দরজাটা ভেজানো ছিলো, পিওনটা আমকে দেখে কাঁচুমাচু করছিলো, বললাম,-তোর সাহেব আছে ?
জ্বী, উনি ভিতরে ।
আর কে ?
এক মহিলা।
মহিলা কেন ?
উনি, মাঝে মাঝেই আসেন ।
আমি দরজা ঠেলে ভেতরে গেলাম, সহাস্যে জেবু কথা বলছে, স্বপনের চোখে মুখে এক ধরণের দ্যুতি ।
আমি সেখানে দ্বিতীয়বারের মত পড়ে গেলাম ।
জ্ঞান ফিরলে দেখলাম আমি ডাক্তারের ক্লিনিকে, পাশে জেবু ও স্বপন ।
কোন কথা না বলে , ঊঠে বসলাম, নামতে যাচ্ছি জেবু হা হা করে উঠলো,-উঠিস না , পড়ে যাবি ? কি হোয়েছিলো তোর ?
স্বপনের চোখে রাজ্যের ভয়, অপরাধীর মত বিনয়াবনত চোখ তার, আমি বললাম,- ঠিক হয়ে গেছি আমি বাড়ি যাবো ।
স্বপন সারা রাস্তায় একটাও কথা বললো না ,
আমি বাসায় ফিরে কাপড় ছেড়ে স্বপনকে ডাকলাম, খুব শান্ত কণ্ঠে বললাম,-আমাকে লুকানোর কিছুই ছিলো না ।
তুমি ভুল বুঝো না, প্লিজ ।
আমি রাতে বিছানা আলাদা করে ফেললাম ।
স্বপন আমার হাত ধরে অনেক অনুরোধ করলো , কিছুই আমার কানে যাচ্ছিলো না, কেবল বুকটা ছিড়ে যাচ্ছিলো , দাউ দাউ করে আগুনের মত কি সব জ্বলছিলো ।
খুব ভোরে আমার ছোট্র সোনা নিতুলকে নিয়ে রওনা দিলাম অজানা উদ্দ্যেশ্য ।
ঢাকার বাসে চড়ে বসলাম । রেখে গেলাম আমার বাবার স্নেহ, স্বামীর আদর আর আমার সংসার ।
ঢাকাতে এস পুরনো বান্ধবী কাকলীর বাসায় উঠলাম, সব খুলে বললাম ওকে, ওর বাসায় ওর মেয়েকে দেখবার জন্য ওর শাশুড়ী রয়েছে, তিনি আমাকে সাদরেই গ্রহন করলেন, কাকলী বললো ,চিন্তা করিস না, আমাদের অফিসে একাউন্টসে লোক লাগবে,তুই কালই জয়েন করবি ।
আমাদের বাসায় থাকা খাওয়া আর তোর সন্তানের জন্য জায়গার অভাব হবে না, স্বপনের বেঈমানী আমাকেও আঘাত করেছে ।
জয়েন করেছি দশদিনও হয় নি, কাকলি কার মারফত জেনেছে, স্বপন বিষ পান করে খুলনা সদর হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় ।
চাকুরী ফেলে ছুটে এলাম বাড়িতে, হাসপাতালে যেয়ে দেখি স্বপনের অবস্থা আশংকাজনক ওয়াশ করা হয়েছে, তারপরো চোখ খোলেনি ।
সকলে আমাকেই দোষ দিতে লাগলো কেন এমন করে আমি স্বপনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছি ।
আমার খাওয়া ঘুম হারাম হোলো, নামাজের পাটিতে বসেই আছি, স্বপনের সুস্থ হোতে মাসেরও বেশি সময় লেগে গেলো। বাসায় যাবার আগে আমার হাত দু”টি ধরে বললো,-আমাকে এভাবে একা ফেলে তুমি কখনও চলে যেও না, মানুষ যা দেখে তার সবটা ঠিক না , তুমি ছাড়া এ জীবন আমার অর্থহীন ।
আমার তখন মনের ভেতর অনুশোচনার দাবানল জ্বলছে, কিছুই বলতে পারলাম না ।
এরপর চলে গিয়েছে বাইশটা বছর, কখনো খোঁজ রাখিনি স্বপন সত্যি ভালোবাসত কিনা জেবু কে, কিংবা আজও অবসরে তাকে ভাবে কিনা,
স্বপনের কোলে সারাক্ষণ খেলা করে আমাদের নাতি নিশি ।
আমি তাই দেখি আর ভাবি,- জীবনে অনেক বছর বেঁচে থাকাটা খুব জরুরী , কিছুই তো করতে পারলাম না, নাতি নাতনি নিয়ে হাসি খুশি জীবন যাপনের জন্য এখনো তো অনেক বাকি, ততদিন কি বেঁচে থাকবো ?
আকাশ ফুঁড়ে চাঁদ উঠেছে, মধ্য রাতে ফিস ফিস করে ডাকলো স্বপন ।
কি হোলো তোমার ?
চাঁদ দেখবে অনু ?
এতো রাতে ?
হা, উঠো ।
দু’জনে ছাদে উঠলাম, বসলাম চেয়ারে, মুখোমুখি ।
স্বপন আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে বললাম ,-কি দেখছো তুমি ?
চাঁদ দেখছি ?
আকাশে তাকাও ।
তোমার চোখেই আমার আকাশ , অনু ।
মিথ্যে কথা, তবে জেবু ?
ও ছিলো, চাঁদের কলংক ।
ছিঃ
না, অনু বিশ্বাস করো, জেবু মাঝখানে না থাকলে কখনও বুঝতেই পারতাম না, তুমি কত মূল্যবান আমার কাছে, কতটা ভালোবাসি তোমাকে, আকাশে মেঘ হয়, বৃষ্টি হয়, তারপর ফর্সা আকাশে জল জল করে নক্ষত্র, তুমি আমার বুকের আকাশের নক্ষত্র ।
আমার মনে হোলো এই প্রথম আমি স্বপনকে পেলাম , ওর পুরোটায় পেলাম, খোলা আকাশের নীচে স্বপনের বুকে মাথা রেখে আবারও নতুন করে পাওয়ার আনন্দে কেঁদে ফেললাম ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
দীপঙ্কর বেরা Shikshoniyo golpo bhalo lagtei hobe bhalo thakben
ক্যায়স N/A UNION ALL SELECT NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL# চমত্কার কথামালায় সাজানো শিক্ষণীয় একটি গল্প উপহার দিয়েছেন আপু... অনেক অনেক ভালোলাগা এবং শুভেচ্ছা জানবেন...
সকাল রয় যদি বলি সুন্দর কথাকল্প লিখেছেন তাহলে কম বলা হয়। সুন্দর বর্ণ বিন্যাসও করেছেন। যেখানে আকুলতা ছুয়েঁ যায়। ভালোবাসা বোধ হয় এমনি। সুন্দর গল্পকথার জন্য অনেক শুভকামনা। আবার পড়তে চাই এমন টাচি লেখা।
সকাল , অনেক ধন্যবাদ
ওয়াহিদ মামুন লাভলু অর্থবহ ও চমৎকার শিক্ষণীয় গল্প। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
এফ, আই , জুয়েল # গভীর ভাবনার অনেক সুন্দর একটি গল্প ।। বেশ পরিচ্ছন্ন ।।
ধন্যবাদ, শুভ কামনা

০৬ জুন - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ১৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী