বছর দশেকের ছেলে রাতুল।ক্লাস ফাইভে পড়ে।সব সময় বাবার কড়া শাসনের মধ্যে থাকতে হয়।বাবা বলেছেন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেতে হবে,নইলে আর পড়াশুনা করতে হবে না।কি আর করা,রাতুল রাত জেগে পড়াশুনা শুরু করল।যেভাবেই হোক বৃত্তি পেতেই হবে।বছর শেষে পরীক্ষা দিল।পরীক্ষার কয়েক মাস পর রেজাল্টও হলো।যাক বাবা,এবারের মতো বাঁচা গেল।রাতুল ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে।আর হয়তো বাবা তেমন শাসন করবে না।ঠিক তেমনটাই হলো।বাবা আগের মতো আর শাসন করছে না। কিন্তু যখনই ক্লাস এইটে উঠল,তখন থেকেই আগের মতো কড়া শাসন। এইটেও যে বৃত্তি পেতে হবে।নইলে যে আর মানসম্মান থাকবে না।রাতুল এবার আগের তুলনায় বহুগুণ বেশি পড়াশুনা করলো।বিনিময়ে ভালো একটা রেজাল্ট করলো আর বৃত্তি পেল।এখন ক্লাস নাইনে ভর্তি হবে। কিন্তু কোন গ্রুপে ভর্তি হবে তা নিয়েই বাধঁলো ফ্যাকড়া।রাতুলের ইচ্ছা কর্মাস পড়বে।কিন্তু বাবা বলছে "তোকে ডাক্তার হতে হবে"।তাই বিজ্ঞান নিয়ে পড়।শেষ পর্যন্ত ডাক্তার হবার সপ্ন নিয়েই জীবনের যাত্রা শুরু করলো রাতুল।বিজ্ঞানের সাবজেক্ট গুলো খুব কঠিন।তাই রাতুলের পড়ার মাত্রা বেড়ে গেল অত্যাধিক।সারাক্ষন পড়াশুনা নিয়েই ব্যাস্ত থাকতে হচ্ছে তাকে।প্রায় দু বছর রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করার মতো কঠোর পরিশ্রম করে এস এস সি তে একটা গোল্ডেন প্লাস পেয়েছে রাতুল।এ দু বছরে সে কত বার যে অসুস্থ্য হয়েছে তার কোনো হিসাব কেউ রাখেনি।তবু পড়াশুনা থামিয়ে রাখেনি কখনো।সামনে ইন্টার আরও বেশি পড়াশুনা করতে হবে। ইন্টারে ভালো রেজাল্ট না হলে যে মেডিক্যালে ভর্তি হতে পারবে না,আর মেডিক্যালে ভর্তি না হতে পারলে যেমন জাত যাবে তেমন ডাক্তার হওয়ার সপ্নও মাটি হয়ে যাবে।তাই রাতুল আর বসে থাকতে পারলো না।আবার পড়াশুনায় মনোযোগ দিল।ইন্টারে ভালো রেজাল্ট করে রাতুল মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা দিল।কিছু দিন পর রেজাল্ট হলো রাতুল ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছে।রাতুলের ডাক্তার হবার সপ্ন এবার পূরণ হতে যাচ্ছে।রাতুলের এ সাফল্যের জন্য রাতুলের চেয়ে ওর বাবাই বেশি খুশি হয়েছে।এখন রাতুল চার বছরের মেডাক্যাল কোর্স করবে। আর এখানে রাতুলকে একজন দক্ষ ডাক্তার হবার জন্য সবকিছু শিখিয়ে দেওয়া হবে।চার বছরের কোর্স শেষে রাতুল এম.বি.বি.এস ডাক্তার হলো।আজকের পর থেকে সে মানুষের চিকিত্সা করবে।রাতুল বাবার কাছে দোয়া চাইতে গেল।রাতুলের বাবা চোখ ভরা জল নিয়ে বলতে লাগল-তোর যখন পাঁচ বছর বয়স,তখন তোর মা সুচিকিত্সার অভাবে মারা গিয়েছে।তাই আমি দোয়া করি তুই সফলভাবে মানুষের চিকিত্সা কর।একথাগুলো রাতুলকে আরও দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।মানুষের সুচিকিত্সা করতে সেও বদ্ধপরিকর।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক
সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠার গল্প...ভালো লাগলো...চেষ্টা অব্যহত থাকুক....
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।