কয়েক টুকরো শৈশব।।

শৈশব (সেপ্টেম্বর ২০১৩)

মোজাম্মেল কবির
  • ১০
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং রকেট বিজ্ঞানী এ পি জে আব্দুল কালাম স্কুল জীবনে মুদির দোকানে বসে পিঁয়াজ রশুন বিড়ি বিক্রি করতেন। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম শৈশবে চায়ের দোকানে কাজ করতেন। নক্ষত্রদের এমন শৈশবের গল্প দৃষ্টান্ত হিসাবে আমাদের মনে বেশ দাগ কাটে, প্রেরণা যোগায়। কিন্তু আমার মতো একজন অত্যন্ত নগণ্য মানুষের জীবনের এমন শৈশবের গল্প আসলে একজন মুদি দোকানী কিংবা চায়ের দোকানের কর্মচারীর গল্প। কেননা আমি সেখান থেকে আমার অবস্থান পরিবর্তন করতে পারিনি। সেখানেই পড়ে আছি। দুঃখ আর দুঃখের সাগরে এক টুকরো সুখ যে কতোটা আনন্দের, কতোটা উপভোগ্য তা পুরোটা পড়ার সময় এই লেখার পাঠকের নেই আর কতৃপক্ষ ততটুকু জায়গাও বরাদ্দ রাখেননি। সেই চিন্তা মাথায় রেখে আমার শৈশবের কয়েক টুকরো গল্প বলছি।
লাল রেডিও।
লালু কাকা আব্বার বয়োজ্যেষ্ঠ হলেও কাকা ডাকতাম। কারণ ছয় ভায়ের মধ্যে আব্বাই ছিলেন সবার ছোট। জ্যাঠাকে কাকা ডাকার এই সুযোগটা না দিলে আমি কাউকে কাকা ডাকতে পারতাম না। লালু কাকা ধমক দিলে ছোটরা অনেকেই কাপড় নষ্ট করে ফেলতো। কাপড় নষ্ট হওয়ার ভয়ে আমার সম বয়সী চাচাতো ভায়েরা নেংটা থাকতো। আমিও। নেংটা ঘোরাফেরা করতে দেখলে কাকা অলম্ভুত বলে ধমক দিতো। সাথে সাথে দৌড়ে একটা হাফপ্যান্ট পড়ে আসতাম। সেদিন আমাদেরকে নেংটা দেখেও কাকা ধমক দিলেন না। সবার চোখে মুখে আতংকের ছাপ! আব্বা লালু কাকা আর তাদের সম বয়সী চার পাঁচ জন কান পেতে রেডিওতে খবর শুনছেন। কেউ কথা বলছেন না। আমাদের বাড়িতে তিন কোনা আকারের একটা লাল রেডিও ছিলো। সেদিন রেডিওতে কি খবর শুনছিলেন আমাদের ছোটদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিলো না। সমবয়সী চাচাতো জেঠাতো ভাই মনির, টুটুল, ইব্রহিম আমরা কাঁদা আর বালি নিয়ে খেলায় মেতে গেলাম। সেদিন তারা শুনছিলেন বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার খবরটি।
ভাত কিংবা রুটি।
আমাদের ছিলো অভাব অনটনের পরিবার। দেশে খাদ্যের খুব অভাব। বাজারে সস্তায় রেশনের মোটা চাল বিক্রি হতো। আব্বা তের চোদ্দ টাকায় পাঁচ সের করে চাল কিনে আনতেন। সারা দেশে তখন অভাব। অনেক স্বচ্ছল পরিবারেও এই মোটা চাল খেতে দেখেছি। সেই চালে ভাত রান্না করলে দুর্গন্ধে বাড়িতে টিকা মুশকিল হতো। এই ভাত গলা দিয়ে কিভাবে নামাই! গরম ভাত সামনে নিয়ে মায়ের ধমক খেয়ে অনেকক্ষণ বসে কান্না কাটি করতে হতো। ভাত ঠাণ্ডা হলে দুর্গন্ধ কিছুটা কমতো। তখন খুব কষ্ট করে খেতে চেষ্টা করতাম। এই ভাত ঠাণ্ডা হলে গন্ধ কমে যেতো ঠিকই কিন্তু ততক্ষণে প্রায় চালের মতো শক্ত হয়ে যেতো। ভাত চিবুলে রাবারের মতো লাগতো। তখন টিনের থালার প্রচলন ছিলো। একটা ভাত হাত থেকে টিনের থালায় পড়ে গেলে টেনিস বলের মতো লাফ দিয়ে এক দেড় হাত দূরে ছিটকে পড়তো।
বাসার সামনে বড় রাস্তায় একটা দোকানে ন্যায্য মুল্যে পাউরুটি বিক্রি হতো। কাক ডাকা ভোর থেকে নারী পুরুষ বৃদ্ধ কিশোর যুবকরা লাইনে দাড়িয়ে থাকতো। যাদের শরীরে শক্তি বেশী তারা নারী আর বৃদ্ধদের ঠেলে পিছনে ফেলে সামনে দাড়িয়ে যেতো। দোকানে যেই পাউরুটি পাঁচসিকায় বিক্রি হতো সেই রুটি এই ন্যায্য মুল্যের দোকানে অর্ধেক দামে বিক্রি হতো। যুবক আর শক্তিশালী পুরুষরা লাইনের প্রথম দিকে থাকতো। অর্ধেক মানুষের কাছে রুটি বিক্রি করতে না করতেই রুটি শেষ হয়ে যেতো। লাইনের শেষ দিকে থাকা নারী আর বৃদ্ধরা ব্যর্থ মনে ফিরে যেতো। নারীদের কেউ কেউ উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতো। তখন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাদেরকে তাড়াতে হতো। প্রতি দিনের এই হাঙ্গামা আমারা ছোটরা দূরে দাড়িয়ে দেখে মজা পেতাম। যুবকরা সেই রুটি নিয়ে চৌরঙ্গী মোড় আর আশপাশের দোকানে এক টাকায় বিক্রি করে শত ভাগ লাভ করতো। দুর্বলরা অনাহারে থাকতো।
মাছ শিকার
আমাদের পারিবারিক পুকুরে বড় বড় রুই কাতল মাছ থাকলেও আব্বার নেশা ছিলো শিং মাগুর মাছে। সপ্তাহে দুই এক দিন আব্বা আমাকে নিয়ে শহরের বাইরে মাইল দুয়েক হেটে গুইল্যার বিলে বরশী দিয়ে মাছ ধরতে যেতেন। শিং মাগুর মাছ ধরতে কেঁচো লাগে। মা কেঁচো দিয়ে ধরা মাছ খেতো না এমন কি নিজ হাতে সেই মাছ কাটতে কিংবা রান্না করতে চাইতো না। ছোট ভাইদেরকে রবিন্সন বার্লি খাওয়ানো হতো। বাড়িতে বার্লির অনেকগুলো খালি কৌটা জমে থাকতো। আব্বা একটা মুচকি হাসি দিয়ে আমার হাতে একটা কৌটা আর একটা কাঠি দিয়ে ঈশরা দিতেন। মা যেনো দেখতে না পায়। আমি কলা গাছের গোঁড়া থেকে কেঁচো কৌটার মধ্যে ভরে নিতাম। বিলের কয়েকটি কচুরি পানা সরিয়ে আব্বা বরশী ফেলতেন। আমি আব্বার মাথার উপর ছাতা ধরে দাড়িয়ে থাকতাম। পাতা কাঠি নড়তে থাকলেই আমার বুকের মধ্যে লাফালাফি আর কম্পন সৃষ্টি হতো। ফিরে আসতাম দশ বারোটা শিং মাগুর নিয়ে। আব্বা বলতো তোমার মা জিজ্ঞাসা করলে বলবে পিপড়ার ডিম দিয়ে ধরা হয়েছে। কিন্তু মা জানতো এই মাছ কেঁচো দিয়ে ধরা। মা এই মাছ খেতো না।

রকেট হুজুর
চৈত্র মাসের শেষ দিন ভুঁইয়া বাড়ির মাঠে মেলা বসতো। মেলা এখনো বসে। খৈ, ডালের খাজা, চিনির হাতি ঘোড়া, নানা রঙের খেলনার বাহারি দোকান সাজিয়ে বসতো এক দিনের জন্য। সেখানে কোন পূজার আয়োজন করা হতোনা তার পরও কেন এই মেলাকে চরক পূজা বলা হয় তা জানিনা। ইতিহাস ঘাঁটলে কিছু একটা পাওয়া যেতে পারে। আমরা ছোটরা একটি বছর অপেক্ষা করতাম এই মেলার জন্য। কয়েক মাস ধরে নিজেরা মাটি দিয়ে নানা রকম জীবজন্তু, হাড়ি পাতিল বানিয়ে রঙ করে রাখতাম। বাড়ির পিছনে বাঁশ ঝাড় ছিলো, হাজার হাজার বাঁশ। বাঁশ দিয়ে তীর ধনুক বানিয়ে রঙ করে রাখতাম। মেলায় তা বিক্রি করতাম। সমস্যা ছিলো আমাদের মক্তবের হুজুর। আমরা যেই মক্তবে সকালে আরবি পড়তাম সেই মক্তবের হুজুরকে পাড়ার বড়োরা ডাকতো রকেট মুন্সী। এই হুজুর পনর বিশ মিনিটে তারাবীর নামাজ শেষ করে ফেলতেন। রকেট গতিতে নামাজ পড়াতেন বলে তাকে রকেট মুন্সী ডাকা হতো। এই রকেট হুজুরের বৈশাখের প্রথম দিনে প্রথম কাজ ছিলো মক্তবে সবাই পৌঁছালে জিজ্ঞাসা করতেন –কাল তোরা কে কে চরক পূজায় গিয়েছিলি দাড়া। বাবু আর ফাহিম এই দুই ভাই ছাড়া সবাইকে দাড়াতে হতো। রকেট হুজুর রকেট গতিতে পাজুন (বাঁশের চিকন লাঠি) দিয়ে সবগুলিকে পাছায় পিটিয়ে শান্ত হতেন। একেকটা আঘাতে ঘোড়ার মতো লাফিয়ে উঠতো সব পাপী! সাথে সাথে আঘাতের স্থানে রক্ত জমে যেতো। একমাত্র এই উপলক্ষেই রকেট হুজুর আমাকে পিটানোর সুযোগ পেতেন। আমরা বসতাম মক্তবের বারান্দায়। ভিতরে বসতো মেয়েরা। আমাদেরকে পিটিয়ে হুজুর ভিতরে অ্যাকশনে যেতেন। ভিতর থেকে বেতের আঘাতের শব্দ কানে আসলে আমাদের ছেলেদের ব্যথা অনেকটা লাগব হতো। রকেট হুজুরের এমন পিটনা খেয়ে আবার অপেক্ষা করতাম আগামী বছরের মেলার জন্য।


আকুয়া প্রাইমারী স্কুল
আমি ক্লাসে সবচাইতে ছোট। ক্লাস ওয়ানে পড়ি। ক্লাসের বড়োরা আর উপরের ক্লাসের বড় ভাইরা এসে আমাকে চার দিকে ঘিরে ধরতো, গান গাইতে হবে। একটা... দুইটা... তিনটা এভাবে দশ বারোটা গান গাওয়ার পর শুরু করি –তুমি আরেক বার আসিয়া যাও মোরে কান্দাইয়া... তখন হৈ চৈ লেগে যেতো, এইটা একবার গেয়েছিস! নতুন গান শোনা। দশ বারোটা গান মাত্র মুখস্ত। নতুন গান কোথায় পাবো। কেউ ছাড়তে চাইতো না। মাঝে মাঝে আমাকে বসে বসে কাঁদতে হতো। গান গাইতে বাধ্য করার মতো কষ্ট আর নাই। ক্লাস শুরুর ঘণ্টা বাজলে মুক্তি পেতাম। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে স্কুলের আঙিনার আশেপাশে লুকিয়ে থাকতে হতো। ঘণ্টা বাজলে দৌড়ে ক্লাসে যেতাম। স্কুলের পাশেই এক লোক হাতি পালতো। লোকটির নাম ধনা। কখনো হাতী দেখতে যেতাম। হাতীর চাইতে হাতীর মালিককে দেখে বেশী ভালো লাগতো। তার চেহারায় রাজা জমিদারের মতো আভিজাত্য ছিলো।
এক দুই বছরের মধ্যে অনেক গুলো গান মুখস্ত হয়ে গেলো। তখন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গাইতে আমারও মজা লাগতো। স্কুলে সৃজনী পরীক্ষার সময় হাতে তৈরি হরেক রকম খেলনা পুতুল বানিয়ে আনতো ছেলে মেয়েরা। এর মধ্যে বানাতে সব চাইতে সহজ বলে ছনের ঝাড়ু আসতো বেশী। স্যার আপারা রিক্সা ভরে ছনের ঝাড়ু বাসায় নিয়ে যেতেন। একবার সৃজনী পরীক্ষার দিন আমার গানের আসর এতটাই জমজমাট হলো যে ছাত্র ছাত্রীরা খুশী হয়ে আমাকে সৃজনী পরীক্ষার জন্য আনা ঝাড়ু উপহার দিতে লাগলো। সেদিন গোটা বিশেক ঝাড়ু মাথায় নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেছিলাম।
আজকের দিনের মতো স্কুলে মোটা তাজা নাদুস নুদুস ছাত্র খুঁজে পাওয়া যেতোনা সহজে। দেশে অভাব। কোন পরিবারে দুই বেলা এক বেলা করে খাবার জুটতো দিনে। পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত ছিলো নব্বই ভাগ। তখন বিদেশ থেকে কিছু কিছু খাদ্য সাহায্য আসতো বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য। আমাদের স্কুলে ছাতু আর গুড়ো দুধ দেয়া হতো মাঝে মাঝে। ছাত্ররা গুড়ো দুধকে বলতো বিলাতী দুধ। বিলেতী সাহায্য বলে হয়তো বিলাতী দুধ নাম দেয়া হয়েছিলো। সেই বিলাতী দুধের স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে।
মলাই স্যার
আমি আর মনির মলাই স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ি। ক্লাস ফোর। দুই দিন পর ইংরেজী পরীক্ষা। আমাদের দুজনেরই প্রস্তুতি খুব খারাপ। সন্ধ্যার পর স্যার ইচ্ছা মতো পিটিয়েছেন। দুজনের মাকে ডেকে খাবার দিতে বললেন। রাত বারোটা পর্যন্ত পড়াবেন বলে স্যার আমাদেরকে মেসে নিয়ে যাবেন। রাতে সেখানেই থাকতে হবে। ফজরের নামাজ পড়ে আবার শুরু করবেন। স্যার আমাদের বাসার কাছেই মেসে থাকেন। স্যারের রুমমেট বাড়ি গেছেন। পাশে একটি বিছানা খালি। আমরা দুজন অনেক রাত পর্যন্ত পড়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। খুব ভোরে বুঝতে পাড়লাম ঘুমের ঘোরে বিছানা ধরে কেউ টানাটানি করছে। ঘুম ভাংলো আমার। জেগে দেখি আমার গায়ে লেপ নেই বিছানা ভেজা ভেজা লাগছে। মনির তোষক ধরে টানছে। স্যার রুমে নেই। মসজিদে গেছেন নামাজ পড়তে। মনির বিছানায় প্রস্রাব করে এটা স্যার ভুলে গেছিলেন। মনে থাকলে এই ঝুঁকি নিতেন না। আমি বিছানা থেকে নামলাম। মনির তোষক আর বিছানার চাঁদর মাথায় তুলে নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছে। আমিও ভয় পেয়ে তার পিছনে পিছনে যাচ্ছি। কারণ সে আমাকেও কিছুটা ভিজিয়ে ফেলেছে। স্যার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে ফিরে আমাকে সন্ধেহ করতে পারেন।
আমাদের একটা পুকুর ছিলো তখন। পুকুরে ঘাট ছিলো। আমরা সেখানে গোসল করতাম। মনিরের হাফপ্যান্ট পুরোটা ভেজা। মাথায় তোষক আর চাঁদর নিয়ে পুকুরে নামে। প্রথমেই কোমর পানিতে নেমে হাফ প্যান্টে লেগে থাকা প্রস্রাবের চিহ্ন মুছে ফেললো। এবার শুরু হলো পরের পর্ব। পুকুর ঘাটে বসে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে তোষক আর চাঁদর কাঁচতে লাগলো। তোষক ধুতে দেখে আমি দূরে দাড়িয়ে হাসতে থাকলাম। এখন মনে হয় সেই অপকর্মটি আমি করলে আমিও হয়তো তাই করতাম। মলাই স্যার বেত নিয়ে ছুটে আসে কিছুক্ষণের মধ্যেই। পুকুর ঘাটে মনিরকে দাড় করিয়ে সেদিন হাফপ্যান্ট খুলে পিটায়। আরেকবার প্রস্রাব করতে করতে মনির পুকুরে লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওসমান সজীব গল্পের শৈশবটি ৮/১০ মনুষের শৈশবের মত খুব চেনা স্মৃতির পাতায় চোখ বুলানো দুর্দান্ত গল্প
ভালো লাগেনি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
মোঃ আরিফুর রহমান শুভ কামনা রইল
ভালো লাগেনি ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
মিলন বনিক শৈশবের ধারাবাহিক বর্নণাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম আর মুগ্ধ হলাম...মনে হচ্ছে নিজেই সেই দিনগুলোতে ফিরে গেলাম....খুব ভালো হয়েচে...
ভালো লাগেনি ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
আপনার চমৎকার মন্তব্যে আমিও মুগ্ধ হলাম...
ভালো লাগেনি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
মোঃ সাইফুল্লাহ খুবই সুন্দর। আমার মা গলব্লাডারে ক্যান্সারে আক্রান্ত। আল্লাহর কাছে আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন ও আমার মায়ের শাররিক অসুস্থতার বিষটি মানবিক দিক দিয়ে বিচার করে যে যতটুকু পারেন আর্থিক সাহায্য করবেন । সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : মোঃ সায়ফুল্লাহ ,সঞ্চয়ী হিসাব নং -১০১৭৪০৪, সোনালী ব্যাংক,মাগুরা শাখা মাগুরা। যোগাযোগের ঠিকানা :০১৯১১-৬৬০৫২২।
ভালো লাগেনি ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
আপনার মায়ের আরোগ্য কামনা করছি। চেষ্টা থাকবে কিছু করার। ভালো থাকুন।
ভালো লাগেনি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
Jontitu সুন্দর বর্ণনা। গল্প ভালো লাগলো।
ভালো লাগেনি ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগেনি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
সূর্য এই যা! যা বলার সুমন আগেই তো বলে দিয়েছে। ভালো লেগেছে টুকরো টুকরো স্মৃতির পাতায় শৈশব।
ভালো লাগেনি ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
আপনার ভালো লাগা ধন্য করলো আমায়... ভালো থাকুন।
ভালো লাগেনি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
দীপঙ্কর বেরা Bhalo laglo
ভালো লাগেনি ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
সুমন শৈশব এমনই, আর সে সময়টায় সবার শৈশবেই কষ্ট ছিল। ফিলিপাইনের লাল হলুদ গন্ধওয়ালা চাল তখন কিছু ঘুষখোড় অথবা ধান্ধাবাজ ছাড়া সবাইকেই খেতে হয়েছে। ভুগলাম কিছুটা নষ্টাল জিয়ায়। লেখার স্টাইল ভাল, কেমন পরিচিত পরিচিত আর আপন মনে হয়।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
আপনার মন্তব্য লেখাটিকে সার্থক করলো... শৈশব নিয়ে লেখা এতোটা স্বল্প পরিসরে লিখে শেষ করা যায়না। তবুও এতোটুকুতে ভালো লাগাতে পেড়েছি জেনে ধন্য হলাম। ভালো থাকুন আপনি।
ভালো লাগেনি ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
এশরার লতিফ ছোট বেলার টুকরো টুকরো ঘটনার বর্ণনায় যেন সেই সময়টাই উঠে এলো. খুব ভালো লাগলো.
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
সেই সময়কে সহজ ভাবে তুলে ধরতে পেড়ে ভালো লাগছে। আমার কাছে কঠিন মনে হয় নিজের কথা তুলে ধরা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগেনি ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ খুবই ভাল হয়েছে। আপনার লেখায় গতি ও সাবলীলতা আছে। লেখা থামাবেন না , চালিয়ে যান। শুভ কামনা রইলো।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
প্রথম মন্তব্যে এতোটা ভালো লাগা রেখে গেলেন মাহমুদ ভাই... ভালো থাকুন।
ভালো লাগেনি ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

২৫ মে - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৪৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী