ত্রিভুজ সংসার

আমার আমি (অক্টোবর ২০১৬)

মোজাম্মেল কবির
  • ৪২

এইমাত্র সে বের হয়ে গেলো বাসা থেকে। আমি তার হাতে বাজারের তালিকা তুলে দিতেই কপালে ভাঁজ ফেলে পকেট থেকে কলমটা বের করে ছাটখাট করতে লাগলো। -পাউডার দুধ হলে আর হরলিক্স কি জন্য? গায়ে মাখা সাবান এক ধরণের হলেই পরিবারের সবার চলবে...
আমি উত্তর দিতে সাহস পেলাম না। আজকাল উত্তর দিতে ভয় পাই। অকথ্য গালমন্দ শিখেছে খুব আজকাল। শুধু বলেছিলাম -ছেলেটার পরীক্ষা সামনে... ওর একটু বাড়তি পুষ্টি দরকার।
-এই ছেলের পড়াশোনার খরচের যোগান দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। কুত্তার বাচ্চা সারাদিন গান বাজনা আর মেয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বেড়াবে আর তার রসদ যোগাতে হবে আমাকে? এই বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো। ছেলেটার পরীক্ষার ফরম ফিলাপের আর মাত্র দুই দিন বাকী।
আমার মতো একজন গৃহিণীর হাতে ঘরের চাবি ছাড়া কিসের মালিকানা আর থাকে? কি নেই ঘরে দামী আসবাবপত্র ফ্রিজ টিভি এই বাড়িটা... সবই তো তার। আমি শুধু দেখভাল করার মানুষ। কিছু গহনাঘাটি যে নেই তেমন না। হাতের বালা দুটি আমার মায়ের দেয়া। এখানে হাত দিতে আমার বুক কাঁপে।
আয়নার সামনে বসে নিজেকে আরেকবার ভালো করে দেখে নেই। আটত্রিশ বছরের একজন মা আমি। আঠারোর সেই টান টান মুখের লাবণ্য ঝড়ে গেছে কবেই। ছোট কালে মা খালাদের এমন চেহারা দেখেছি আমি। সেই বয়সে কি তারা প্রেমে পড়তো? তাদের স্বামীরা কি সন্ধেহ করতো স্ত্রীকে? আমার দোষ আমার মুখে সব সময় হাসি লেগে থাকে। কাপড়ের দোকানী থেকে শুরু করে বাসার দারোয়ান সবার সাথে হেসে কথা বলি। কাকে নিয়ে সন্ধেহ করে সে? আমার বরের বিশ্বাস আমি কারো বিছানায় অন্য কারো সাথে শুতে উন্মুখ। বিয়ের বিশ বছর ধরে তার এই ধারণা। এভাবেই চলছে দিন মাস বছর। আসলে জীবন যেভাবে চায় আমি সেভাবে চলি না। জীবন যেভাবে চলে আমি সেভাবে চাই না। এ এক জটিল অংক এই হিসাব মিলে না। এইভাবে ক্রমে ক্রমে বাঁচার সুযোগ কমে যাচ্ছে।
একটা সত্যি কথা বলি? প্রতিটি মানুষের নিজস্ব একটা জগত থাকে। নিজের একটা পৃথিবী থাকে। থাকে নিজের পছন্দ অপছন্দ ভালোলাগা মন্দলাগা। সেই পৃথিবীতে বিচরণের অধিকার শুধু তার একার। এখানে কারো প্রবেশাধিকার নেই। না স্বামী না সন্তানের... যেমন আছে আমার স্বামীর তেমন আছে আমার সন্তানের। আমি তো তাদের সেই নির্জন পৃথিবীতে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করিনি! যেদিন তার মুখ থেকে অ্যালকোহলের গন্ধে সারা ঘর ভরে যায় সেদিনও তো তার মাথায় হাত ভুলিয়ে দেই! শান্তিতে ঘুমাতে দেই!
মানুষ তার সব কথা বলার মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পায় না। সব বলা যায় না। সব কথা বলা হয়ে গেলে কি আর থাকলো বাকী? তুমিও আমার থাকো, কথাও জমা থাকুক মনে। যার পর আর জানার কিছু থাকে না। যার পর আর বলার কিছু থাকে না। মানুষ নিঃস্ব হয় সেদিন যেদিন সব বলা হয়ে যায়। তারপর আর মানুষ বাঁচেনা। আমার পৃথিবী শুধু আমার একার। যেমন আমার দুঃখ গুলো শুধু আমার, আর কারো না।
ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম আমরা। সুখের আশায়। সুখ যে মাঝে মাঝে আসে না তা নয়। সুখের আসা যাওয়ার মধ্যেই বসবাস করছি আমরা। অপেক্ষায় থাকি -অপেক্ষায় কাটে দিন কাটে প্রহর। মন্দের বদলে ভালোর। অন্ধকারের বদলে আলোর। তোমার অপেক্ষায় আমি আমার অপেক্ষায় তুমি... আমাদের অপেক্ষায় মৃত্যু। তারপর মহাশূন্যে ভবঘুরে হবো আমরা অপেক্ষা মুক্ত জীবনে। সেখানে বুঝি সন্ধেহ বলতে কিছু নেই। সেখানে শুধু প্রেম অথবা বিরহ। মাঝামাঝি কিছু নেই। আমি প্রেমটার অপেক্ষায় আছি।


এই রঞ্জু বলতো চাঁদের বয়স কতো? আমি প্রশ্নটা শুনে হা করে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থাকলাম। আমার মনে হচ্ছিলো এই প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি কম করে হলেও দশ মিনিট সময় নিচ্ছি। এরপর আত্মবিশ্বাসের সাথে বললাম -আমার বাবার বয়স যতো! আশিক আর সাইফ প্রথমে আমার সাথে একমত হয়ে সম্মতি দিলো। হ্যা সূচক মাথা নাড়লো। এর পাঁচ কি ছয় সেকেন্ড পর একজন আরেক জনের দিকে তাকিয়ে হো হো করে হাসতে লাগলো। হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের গায়ে আছড়ে পড়ছে। আমি বোকার মতো তাকিয়ে থাকলাম শুধু। আমার তখন মনে হলো আমি ভুল উত্তর দিয়েছি। আরও নিশ্চিত হলাম যখন অর্ধেক হাসি থামিয়ে আশিক বলল -শালার পুত তোর দাদার আমলে কি এই চাঁদ ছিলো না? এই চাঁদের জন্ম কি তোর দাদীর পেটে? আরও জোরে হাসতে লাগলো দুজন। সাইফ আমার দিকে তাকিয়ে বললো -শালা তুই একটা জিনিয়াস...! কি অদ্ভুত ব্যপার নিজের বোকা উত্তরটি তখন মনে হচ্ছিলো খুব দামী উত্তর। নিজের প্রতি গর্ববোধ হচ্ছিলো। আমার হাসিও যোগ হলো ওদের হাসির সাথে। তিন জনের একসাথে হাসি মনে হচ্ছিলো চাঁদ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি আষাঢ়ে পূর্ণিমার চাঁদ। মাঝে মাঝে মেঘের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে আবার বের হয়ে চাঁদটা আমাদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে আমাদের কথা শুনে।
খোলা মাঠের মাঝখানে তিন জন একসাথে তাকিয়ে আছে চাঁদের দিকে। চাঁদটা দৌড়ে যাচ্ছে তার যেন জরুরী কাজ আছে। অফিস টাইম। লেট হলে চাকরী যাবে। আবার মেঘের আড়ালে চলে গেলো চাঁদটা। আচ্ছা, চাঁদের কি বউ পোলাপান নাই? সংসার নাই? এর মধ্যে আশিক আরেকটা স্টিক ধরিয়েছে। তিনটা টান দিয়ে হাত বদল হয়। এই সময়টা সবাই নীরব থাকে। আমার আর টানতে ইচ্ছে করছে না। আমার ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু মনে ভয় এখন ঘরে ফেরা অসম্ভব। রাত আটটার মধ্যেই ঘরে ফিরতে হয়। এখন বাজে সারে আট। আমার আব্বুর প্রতি হঠাৎ প্রচণ্ড রাগ হলো। কেউ আমার বয়স জানতে চাইলে সে দুই বছর কমিয়ে বলে সতেরো। বয়স কমিয়ে কি লাভ? আম্মুটাও চায় আমার পছন্দ তার পছন্দের মতো হোক। বাবা জগজিত সিং এর গজল শুনে আর আম্মু লতা মুঙ্গেশকর এর গান শুনে। তারা চায় আমিও তাদের পছন্দের গান শুনি। এটা কোন কথা হলো? আমার যেন নিজের কোন পছন্দ থাকতে পারে না! যত্তসব!
সাইফ আমার মাথায় টোকা দিয়ে হাতটা বাড়িয়ে দেয়। আমি হাতে নিয়ে তিন তিনটা টান দেই বীরের মতো। যেন তাদের চাইতে উত্তম টান হয়েছে। ঘন সাদা ধুঁয়া আমার ফুসফুসের অলিগলি হয়ে ছড়িয়ে যায় শিরা উপশিরায়। মাথায় হঠাৎ ঝাকুনি লাগে। আজই আমার প্রথম দিন। এর মধ্যেই আমার দক্ষতায় মুগ্ধ বন্ধুরা। আশিক একে একে এর গুন গাইতে শুরু করলো -এর ঔষধি গুণ জানিস? আমেরিকায় ডাক্তাররা রুগীকে চিকিৎসার জন্য মারিজুয়ানা প্রেস্ক্রাইব করে। সাইফ এর মধ্যে যোগ দেয় -আরে এর খারাপ দিক থাকলে কি মার্লবোরো এর মতো বিশ্বের সেরা সেরা টোব্যাকো কোম্পানি গুলো এর সিগারেট বাজারজাত করছে?
হঠাৎ মনে হলো খোলা মাঠে আমি একা। আমার পাশে কেউ নেই। আমার নিজেকে খুব অপরাধী লাগছে। আমি নেশা করছি? ছি... আমি এতো জঘন্য! আমাকে আম্মু এতো ভালোবাসে বাবা আমার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে! আর আমি কিনা... ছি...! আমার নিয়ন্ত্রণ আমার হাতে ছেড়ে দিয়েছো প্রভু। পৃথিবীতে সুযোগ পেলে আমি যা ইচ্ছে করতে পারি। আমার হাতে স্বেচ্ছাচারী সর্বনাশা চাবি তুলে দিয়ে হিসাবের খাতা খুলে নিলে প্রভু! আমার অপরাধ গুলো প্রথমে ক্ষমা করো তুমি... তারপর তুমি... তারপর তুমিও... তারপর তোমরা সবাই।
আমার পিঠে একটা ধাক্কা লাগে। ডান দিকে তাকিয়ে দেখি আশিক আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আবার আমি ওদের মাঝে ফিরে এলাম। অন্ধকারে মাঠের মাঝখান দিয়ে একজন লোক আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে আমার বুক কেঁপে উঠে। আমি মুখটা আশিকের কানের কাছে নিয়ে ফিসফিস করে বলি -এই দেখেছিস পুলিশ আসছে! আমার কথায় আশিক সাইফ দুজনেই হেসে গড়াগড়ি খায়। -আরে ব্যাটা পুলিশ কি লুঙ্গী পড়ে? আমিও ওদের সাথে হাসি। আবার নীরব হয়ে যাই। আমার আম্মুর মুখটা ভেসে উঠে চোখে। অন্ধকারে আমার চোখের জল ওরা দেখতে পায় না। আম্মু আমার পরীক্ষার ফরম ফিলাপের টাকা যোগার করতে তার মায়ের দেয়া হাতের বালা জোড়া বিক্রি করে দিয়েছে।


আমি একজন স্বামী। আমি একজন বাবা। সব শেষে আমি একজন আমি। আমি আমার ভিতরে একটা মন ধারণ করি। সেই মনে আছে জটিলতা আছে অবিশ্বাস। সন্ধেহ। আমার সন্ধেহ গুলো যেমন অমূলক তেমনই সত্যি। কারণ আমার অপরাধের কোন প্রমাণ থাকে না বললেই চলে। গেলো বছর ব্যাবসার কাজে থাইল্যান্ডে পাথায়া বীচ হোটেলে দুই রাতে দুই নারীর স্বাদ নিয়েছি তা কি কেউ জানে? তার কোন প্রমাণ আছে আমি ছাড়া? নেই। আমারও মনে হয় সবাই বুঝি তার অপরাধের প্রমাণ লুকিয়ে রাখে, স্ত্রী... পুত্র... ভাই... বন্ধু... সবাই।
আয়নার সামনে দাড়িয়ে যে মুখটি ভেসে উঠে তা আমার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মুখ। নিজের মুখ। আমার মতো সাধারণ একজন মানুষের দৃষ্টির সীমাবদ্ধতা এই। নিজেকে নিজের বাইরে পৌছাতে অক্ষম। কারণ আমার দৃষ্টিসীমা আমিতে সীমাবদ্ধ । আমি আমাকেই শুধু ভালবাসি। আমি শুধু আমারই জন্য। আমি শুধু নিজের আত্মতৃপ্তিতে ব্যাস্ত সারাক্ষণ। স্ত্রী সন্তান তারাও যেন আমার আত্মতৃপ্তির উপকরণ।
যখন কারো সাথে কথা বলি তখন নিজের অজান্তেই আমার শব্দটি এসে যায় বার বার। আমার বাড়ি... আমার স্ত্রি...আমার পুত্র... নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে অন্যের দোষ আর সমালোচনায় অবিরাম সচল আমার মুখ । মনের মধ্যে গোপনে খুব তীব্র বেগে ছুটে চলে আমিত্বের প্রচার। বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর না হলেও ওরা তা ঠিক খেয়াল করে। আমার আমিত্ব মাঝে মাঝে এতটাই নির্লজ্জ বেগে ছুটে যে, সে বিব্রত হয়। বিনয়ী স্ত্রী আমার নির্বুদ্ধিতায় হতবাক হয়। আমার কথায় অনাগ্রহে অন্যমনস্ক হয়। বে-খেয়ালি আমি শুধু আমার কথাই বলে যাই। আমিকে ভালোবেসে এতোটাই অন্ধ মাঝে মাঝে আমি ছাড়া আমার দুই চোখে কিছুই ভাসে না। আমার চাইতে ভালো মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাইনা। অথচ চোখ বন্ধ করলে আমার অনেক অপকর্মের স্বাক্ষী আমি নিজেই! তাই আমার চোখ বন্ধ করতে অনেক ভয়। তাই হয়তো আমার মনে এতো অবিশ্বাস। কারণ আমি আমার আমিকে গোপন করতে চাই। কিন্তু আমি বার বার প্রকাশিত হই নিজের কাছে। নিজের সামনে মাথা নীচু হয়ে নির্বাক দাড়িয়ে থাকি।
আয়নায় নিজের মুখ দেখে বিভ্রান্ত হই বার বার। শুধু নিজের ভালো দিক গুলো ভাসে আয়নায়, মন্দ গুলো ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকে আয়নার আড়ালে। পরিবার বন্ধু আত্মীয় পরিজন প্রতিবেশী সহকর্মী তাদের মাঝে যতোটুকু খুঁজে পাওয়া যায় নিজেকে ততোটুকুই শুনেছি সত্যি। বাকী সব মিথ্যে ছলনা বিভ্রান্তি। আমি কি আর শুনি এই কথা? মাঝে মাঝে অবশ্য নিজেকে খুজতে চেষ্টা করি আপন মানুষের মাঝে...বার বার চেষ্টা করি বার বার ব্যর্থ হই... তাই আমার ঘরে ভালোবাসা আসা যাওয়ার মধ্যে থাকে। আমি যে সাধারণ। মহামানব হলে ভিন্ন কথা ছিলো।
রাত বাড়ছে ক্রমশ। রাত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছে তার হাত দুটি চেপে ধরে বলি -বউ তোকে আমি অনেক ভালোবাসি। অনেক। তুই আমার ভালো বউ আমি তোর মন্দ স্বামী। আমি আজীবন যতো কষ্ট দিয়েছি সব ভুলে আমার বুকে আয়। বউ আমার ঘুমিয়ে আছে। গভির ঘুমে ওর মুখটা দেখতে শিশুর মতো লাগে। সেই বিশ বছর আগের কোমল তুলতুলে নতুন বউ। আমি বিছানায় বসে তার ঘুমন্ত মুখে আদরের পরশ বুলিয়ে দেই। ক্রমেই যেন আমার ভিতরে জমে থাকা ধুলো ঝরে পড়ছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কাজী জাহাঙ্গীর আসলেই আত্মাকে শুদ্ধ করার জন্য যে আত্মশুদ্ধি সেটা আমাদের বর্তমান সময়ের জন্য অবশ্য করনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আত্মসমালোচনা করার মানসিকতাকে আমরা যেন ঝেটিয়ে বিদায় করে দিয়ে নিজেদের ঢোল নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি, বেশ ভাল লিখেছেন ভাই। অনেক শুভকামনা ভোট আর আমার গল্পে আমন্ত্রন ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Fahmida Bari Bipu ভালো লেগেছে মোজাম্মেল ভাই। বিশেষ করে এই লাইনগুলো, 'প্রতিটি মানুষের নিজস্ব একটা জগত থাকে। নিজের একটা পৃথিবী থাকে। থাকে নিজের পছন্দ অপছন্দ ভালোলাগা মন্দলাগা। সেই পৃথিবীতে বিচরণের অধিকার শুধু তার একার। এখানে কারো প্রবেশাধিকার নেই।' যেন আমাদের প্রত্যেকের মনের কথা। ভোট রইল। আপনি মনে হয় দিনে দিনে আধ্যাত্মিক লাইনে চলে যাচ্ছেন। হা হা। আপনার গল্পের মূলভাবের সাথে সালমা সিদ্দিকার গল্পের মূলভাবের যোগসূত্র খুঁজে পেলাম। গক এর কাছে মেইল করে গল্পের নামটা ঠিক করে নিতে পারেন। নামকরণে ভুল ভালো লাগছে না। আর হ্যাঁ, আমি কিন্তু এই সংখ্যায় নেই। আগামী সংখ্যাতেও না থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবু আপনাদের লেখা দেখে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলাম। শুভকামনা রইল।
আপা আপনার অনুপস্থিতি মেনে নেয়া যায় না। খুব দ্রুত নিয়মিত হবেন আশাকরি। আমার নিজেরও মনে হচ্ছে দিনে দিনে আধ্যাত্মিক লাইনে মানে ভাবের জগতে হারিয়ে যাচ্ছি। আমার বউ এর ভয় আমি নাকি বাউল হয়ে পথে পথে ঘুরবো... হা... হা... হা...। সালমা সিদ্দিকা শুরু থেকেই দারুণ লিখে। এখনো পড়া হয়নি তার লেখা। পড়বো। ইমেইল করে শিরোনাম ঠিক করে নিয়েছি। অনেক ভালো থাকুন আপা।
Salma Siddika আমাদের মনের জগৎ রহস্যময়। সে তার গতিতেই চলে। খুব ভালো লাগলো। অনেকদিন পর গল্প কবিতায় গল্প গুলো পড়ছি। মিথ্যা বলবো না, এই সংখ্যায় নিজের গল্প আছে বলেই হয়তো আজকে অন্য গল্প গুলো পড়া হচ্ছে। মানুষ মাত্রই কিছুটা স্বার্থপর। তবে আপনার গল্প সব সময় ভালো হয়, এটাও ভালো হয়েছে।
মাঝ খানে আপনার অনুপস্থিতিতে একটা শূন্যতা ছিলো অন্তত গল্পের ক্ষেত্রে। এবার নিয়মিত হবেন আশাকরি। আর সময় নিয়ে আপনার লেখা পড়তে হবে খুব মনোযোগ দিয়ে।
নাঈম পড়ে খুব ভালো লাগলো, "একটা সত্যি কথা বলি? প্রতিটি মানুষের নিজস্ব একটা জগত থাকে। নিজের একটা পৃথিবী থাকে। থাকে নিজের পছন্দ অপছন্দ ভালোলাগা মন্দলাগা। সেই পৃথিবীতে বিচরণের অধিকার শুধু তার একার। এখানে কারো প্রবেশাধিকার নেই। " অংশটা বেশ সুন্দর, সানন্দে ভোট দিলাম, আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল..
অনেক অনেক ধন্যবাদ। সময় করে আপনার লেখা অবশ্যই পড়বো।
নাস‌রিন নাহার চৌধুরী শিরোনামের 'ত্রিভোজ'টি সম্ভবত অসাবধানতাবশত হয়েছে। শুভেচ্ছা রইল।
ইমেইল করে সংশোধন করে নিয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ এবং সঞ্চালককে কৃতজ্ঞতা।
নাস‌রিন নাহার চৌধুরী পারিবারিক সম্পর্কগুলো ভালো থাকুক, বিশ্বস্ত থাকুক একে অপরের কাছে, নিজেদের কাছে। ভোট রইল গল্পে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন।

২৫ মে - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৪৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪