কুফাতত্ত্বঃ একটি আধুনিক উপপাদ্য

রম্য রচনা (জুলাই ২০১৪)

কে এম রাকিব
  • ১৫
সাধারণ নির্বচনঃ কোন কিছু কুফা দিয়ে শুরু হলে কুফা দিয়েই শেষ হয়।

বিশেষ নির্বচনঃ মনেকরি আমি জনাব ক এবং একদিন আমার অর্থাৎ কুফা দিয়ে বইমেলাযাত্রা শুরু হয়েছিল। প্রমাণ করতে হবে যে, কুফা দিয়ে শুরু হওয়াতে আমার অর্থাৎ ক-এর যাত্রা কুফা দিয়েই শেষ হয়েছে।

অঙ্কনের বিবরণঃ জনাব ক একুশের বইমেলায়, একুশ তারিখের আগের যেকোন এক কুফা বিকেলে, যাওয়ার উদ্যোগ নেন। সেক্ষেত্রে রিকশাযাত্রা, বাসযাত্রা ও বইমেলার দৃশ্যপট আকি।

প্রমাণ(ক-এর জবানিতে)ঃ

একুশের বইমেলা প্রানের মেলা( অন্তত আমার কাছে), কেউ কেউ অবশ্য বলবে সামলাও বাংলা একাডেমীর মাতব্বরির ঠ্যালা! বইমেলায় যাব। টাকা পয়সা নেয়ার পর ভাবি, আচ্ছা একটা প্ল্যাকার্ড নিয়ে গেলে কেমন হয়? বই বা বইমেলা বিষয়ক কোন কোটেশন বা কিছু। বলা তো যায় না টিভি সাংবাদিকেরা ধরে বসলো ক্যামেরা আর মুখের সামনে মাইক্রোফোন। হয়ে গেলাম হিট। ফেসবুকে বয়ে গেল লাইকের বন্যা। আরও কত কি! কল্পনার লোভ ছুটল রকেটের মত! তাই পেঙ্গুয়িন ডিকশনারী অফ কোটেশন বের করি। টপিক ‘বুক’ ধরে শুরু করব। অক্ষর বি তে আগেই চোখে পড়ে ‘বেঙ্গলি’। বাঙালি জাতির কথা দেখে খুব কৌতুহলী হই। দেখি না কি বলে আমাদের সম্পর্কে।
শুরুর দিকে যা দেখি তাতে মনটাই খারাপ হয়ে যায়ঃ
‘If a Bengali is a man , what is a devil?’ তৃতীয় বন্ধনীতে লেখা ভারতীয় প্রবাদ। ১৯৮৩ তে প্রকাশিত এই ডিকশনারীর সম্পাদিকা রোজালিন্ড ফার্গসনের ১৪গোষ্ঠী উদ্ধার করে ডিকশনারী বন্ধ করি।হু! আমার জাতিকে গালমন্দ!

মন খারাপ বহাল রেখে রেডি হয়ে বের হই। বাসা থেকে বের হয়ে যেই না রিকশায় উঠি- রিকশা তখনও চলতে শুরু করেনি- তারে বসা কাউয়া কাজ সারে। হাটুর একটু উপরে, উরুতে দেখি অর্ধতরল চুনসদৃশ বস্তু। আমার মুখ থেকে বের হয়ে পড়ে এহ!
পেছনে তাকিয়ে রিকশাচালক মামার বক্তব্য, ‘কাউয়া হাগিছে?’
অগত্যা বাসায় ফিরি। রুমমেট মুখ দেখে বলে, কি?
বলি, কাউয়া হাগিছে।
সে যথেষ্ট বিরক্ত হয়। কাউয়া , হাগা এসব শব্দে হয়ত। এদেশের মানুষ কবে যে ভাষার ক্ষেত্রে উদার হবে! অবশ্য এসব তাকে বলি না। তবে কাউয়া বিষয়ে নবলব্ধ জ্ঞান জাহির করার মওকা পেয়ে যাইঃ ‘জানো? বাংলা একাডেমির ‘বাংলাদেশের পাখি’ বইয়ে বলা হয়েছে কাউয়া হল বিশেষ এক ছোট প্রজাতির কাক। তার মানে, সকল কাউয়াই কাক, কিন্তু সকল কাক কাউয়া নয়!’
হইছে! হইছে! এবার প্যান্ট বদলাও।– সে বলে।

আবার যখন রিকশায় উঠি দেখলাম চালক মামা একটা সিগারেট ধরিয়েছেন।বিড়ি সিগারেটের ধোয়া আবার একদমই সহ্য করতে পারি না।আমি ‘পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা’ করার মত ধূমপায়ীকে নয় ধূমপানকে ঘৃণা করি। কিন্ত গবেষনা বলছে, আমার কাছে থাকা কেউ ধূমপান করলেও, ৩০% ধূমপান আমার অটোমেটিক হয়ে যাবে!ফুসফুস হয়ে যাবে কয়লা। ক্যান্সার। অকাল মৃত্য। ওদিকে গুরুদেব বলে গেছেন, মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভূবনে।মনে মনে লালন করেছি লালনের কথা, আহা এমন মানব জনম আর কি হবে? কিন্তু কিছু বলতে পারি না। রিকশাচালকদের জীবন তো জানি। কি-ই বা শখ আহ্লাদ তাদের মেটে। বিড়ি সিগারেট আর চা-ই তো। এমনিতে বলা যেত মামা আগে সিগারেট শেষ করেন তারপর চালান। কিন্তু ‘কাউয়া কান্ড’ দেরি করিয়ে দিয়েছে বলে মনে খচখচানি নিয়ে চুপচাপ বসে থাকি।

এইভাবে বাস স্ট্যান্ডে পৌছাই। এবার যুদ্ধ হবে শুরু। বাসে ওঠার যুদ্ধ। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনি। হঠাত চোখে পড়ে আমাদের বাড়িওয়ালাকে। আরে! বলে রাখা ভাল কঞ্জুসিপনায় তাকে পেছনে ফেলবে এমন লোক দেখা যায় না। নিজের গাড়ি থাকতেও তিনি সেই গাড়িতে চড়েন না খরচ বাচাতে। কাছে গিয়ে বলি, আংকেল কেমন আছেন? তিনি লজ্জায় কুকড়ে পড়েন। আমি মজা পাই।অন্যকেউ ফাপড়ে পড়েছে এর চেয়ে আনন্দের কি আছে? শেষপর্যন্ত ধ্বস্তাধ্বস্তি করে বাসে উঠতে পারি। বাসে গাদাগাদি ভীড়। দাঁড়িয়ে আশেপাশে বসা লোকজনের নড়াচড়া, গতিবিধি লক্ষ্য করি আর ভাবি কে কে নামতে পারে সামনের স্টপেজগুলোতে। এগুলো নখদর্পনে না থাকলে সিটে বসার আশা দুরাশা। এমন সময় টের পাই ঝগড়া হচ্ছে।
এটা তো মহিলা সিট আপনি উঠেন, বসতে দ্যান।– চিকন কন্ঠের এক মোটা আপু বলেন।
সিটে বসা লোকটি বলল, ল্যাহা আছে যে মহিলা সিট? উঠতাম ক্যান?
আপু কিছুটা থতমত খেয়ে বললেন- ‘ওই যে লেখা আছে মহিলা শিশু ও প্রতিবন্ধীদের দের জন্য ৯ টি আসন সংরক্ষিত।
বসা লোকটি একটুও না ঘাবড়ে বলে, মহিলা, শিশু আর প্রতিবন্ধীদের মোট নয়টা সিট। তার মানে শিশুদের ৩, মহিলাদের তিন, আর প্রতিবন্ধীদের ৩ টা। দেখেন, আমি ছাড়া বাকী আটটা সিটে বসছে ৮ জন মহিলা, ৫ জন বেশি। আপনে কি শিশু না প্রতিবন্ধী?
বাস কেপে ওঠে যাত্রীদের হাসিতে। এই ‘অকাট্য’ যুক্তির সামনে কি বলবে খুজে না পেয়ে আপুটা আর কিছু না বলে চুপ করে থাকে। ঝগড়া কিন্তু ওখানেই শেষ হয় না বরং ওখান থেকেই শুরু হয়।
একজন বলে, দেখলেন কেমন খাচচোর! এমন ভীড়ের মধ্যে মেয়েরা দাড়াইতে পারে? তবুও ঘ্যাটকা মাইরা বইসা আছে।
এবার বসা লোকটি দাঁড়িয়ে পড়েন তড়িতগতিতে, ওই মিয়া, খাচচোরের কি করছি? আপনের লগে খাচচোরামির কি করছি? মুখ সামলায়া কথা কন কইলাম। নাইলে কিন্তু ভাল হবে না।
প্রথম ব্যক্তিও হারার পাত্র না।
কি করবেন ? দেখি কি করেন!
কন আর্যাকবার কন! দেখি্! সুন্দরী(‘সুন্দরী’ শব্দটি উচচারনমাত্রই যাত্রীরা মুখ ঘুরিয়ে সেই আপুটির দিকে তাকাই আমিও। বেচারি আকর্ষনীয় হলেও আহামরি কিছু না, কিন্তু বিব্রত হওয়াতে তখন দেখতে ভালই লাগে!) দেইখা এখন আলগা এটিকেট বাইরায়্যা গেছে, প্রগতি উতলায়া উঠছে না? বাসায় যায়া আপনেই হয়ত বউরে পিটাইবেন।– খুব ক্রুদ্ধ হয়ে বলে লোকটি।

তাদের ঝগড়া আওয়াজ এতই বেশি যে ‘ককপিট’ থেকে ড্রাইভার নেমে আসেন। তাতে আবার আরো আওয়াজ ওঠে ,হই হই করে উঠে যাত্রীরা। তাদের বক্তব্যঃ তুমি গাড়ী চালাবার কাজ গাড়ি চালাও। ড্রাইভার জনমতের চাপে আবার ককপিটে ফিরে গিয়ে গাড়ি স্টার্ট দেন। ওদিকে ঝগড়া আরো উচচগ্রামে চলে। ঝগড়াকারীরা পারস্পারিক সর্বনাম চেঞ্জ করে ‘তুই’ পর্যায়ে চলে আসেন। ডিকশনারীর বাইরের শব্দগুলো বেশ দক্ষতার সাথে ব্যবহার করেন।

উত্তেজনার কাল বড় দ্রুত কেটে যায়। কখন যে শাহবাগে এসে গেছি টেরও পাইনা। যদিও ঝগড়ার শেষ অংশটা দেখার সাধ ছিল। কিন্তু মধ্যবিত্তের জীবন তো সেই চিরন্তন সাধ আর সাধ্যের দ্বন্দ্ব!

নেমে যাই বইমেলায় উদ্দেশে। টিএসসি থেকে বিশাল লাইন। ঘন্টা দুই দাঁড়িয়ে আশেপাশের দৃশ্যাবলি দেখি। বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য, শিশুদের খেলনা, অসংখ্য যুগল যারা যেকোনো উপলক্ষকেই ভ্যালেনটাইনস ডে বানিয়ে ফেলে তাদের আনাগোনা। পুলিশের বাশির আওয়াজ। অবশেষ ঢুকে পড়ি বইমেলার মধ্যে। টাকা পয়সা যা ছিল শেষ হয়ে গেল একঘন্টায়। ইচ্ছে হয় বই চুরি করি, বই চুরিতে পাপের কিছু নাই। বরং আশেপাশের সুন্দরীদের দিকে যে চোরাগোপ্তা দৃষ্টি নিক্ষেপ করি তাতে পাপ থাকতে পারে। কিন্তু আমি ভীত লোক, সাহসে কুলালো না।যখন বন্ধুকে নিয়ে ঘুরছি আর মনের মধ্যে ‘চুরি করব কি করব না’ ভাবনা পেন্ডুলামের মত দুলছে তখন অবাক হয়ে লক্ষ্য করি দাদুগোছের এক লোক, বয়স ৬০ প্লাস হবে নিশ্চিত আমরা যে স্টলেই যাই না কেন সেখানে গিয়ে হাজির হচ্ছেন। কাছে গিয়ে বলি, আংকেল কিছু বলবেন?
আংকেল বলছ কেন?
তাহলে চাচা বলব?
মনে হল ক্ষেপে গেলেন কিছুটা।
আরে আমাকে কি তোমার বুড়া মনে হয়?
না, তা হবে কেন? আপনি তো ইয়াং এখনো! কিন্তু কি সম্বোধন করব বুঝতে পারিনাই।
আচ্ছা, সমস্যা নেই।কিন্তু আমি একটা বই হারিয়ে ফেলেছি। কোন স্টলে ভুল করে রেখে গেছি মনে করতে পারছি না( স্মৃতিভ্রংশ, বার্ধ্যকের লক্ষণ!)
সারাক্ষণ তো অকাজে আর কুচিন্তায় নষ্ট করি। ভাবি, ভাল কিছু করা যাক।
কি বই?
একুশে বইমেলার বই।
মানে আপনার হারানো বইয়ের নামটা কি?
তা তো মনে নেই!
বুঝুন।এই লোক কিনা বলে, আমাকে কি তোমার বুড়া মনে হয়?(!!)
আমাদের সঙ্গী আরেকজন বাড়ে। একেকটা স্টলে যাই আর বলি, এই স্টলে কি?
তিনি বলেন, না এটায় না অন্য কোথাও।
এসব কতক্ষণ আর করা যায়। একটা স্টলে তাকে রেখে চম্পট দিই আমরা। যার বই সেই খুজে বের করুক।

অনেকক্ষণ হাটার কারনে পা ব্যথা হয়ে যায়। কাছেই দেখি একটা স্টলের সামনে চেয়ারে ২জন লোক বসে। স্টলটাতে ভীড়ও নেই তেমন। শকুনের দৃষ্টিতে তাকিয়ে এগিয়ে যাই। বই হাতে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি কখন তারা উঠে যাবেন আর আমরা বসে পড়ব! তো বই দেখছি দেখছি, হঠাত বন্ধু একটা বই দেখিয়ে উত্তেজিত হয়ে বলল, ইনি আমার স্যার ছিলেন।
বন্ধুটির দিকে কৌতূহলের দৃষ্টিতে তাকাতেই ‘আরামে দাঁড়ানো ভঙ্গিতে’ দাঁড়িয়ে বয়ান শুরু করল,
‘আসলে বুচ্ছ, আমাদের কলেজে দুইজন মিজান ছিলেন। একজন ছিলেন হুজুর হুজুর, আমরা ডাকতাম জঙ্গি মিজান, আরেকজনের নাম দিয়েছিলাম চটি মিজান। ইনিই সেই চটি মিজান’ – খুবই আয়েসী ভঙ্গিতে কথাগুলো বলে। আর আমি হাতে বই নিয়ে লেখক পরিচিতি দেখে নিচ্ছিলাম, এমন সময় বন্ধুটি দেয় ছুট। আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে এক হাতে বই নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। একটু পরে ফোন করে জানা্য স্টলের ভেতরে লেখক বসে আমাদের কথা শুনছিল, তাকে দেখেই তাই দৌড়! মেলা প্রাঙ্গনে আর থাকা হয় না।

মেলা থেকে বের হয়ে বাসে উঠব। এমন সময় সেই দাদুগোছের লোকের সাথে আবার দেখা! বলেন, কোথায় গিয়েছিলে বলো তো। সারা প্রাঙ্গন খুজেও তোমাদের পাইনি।
বলি, আমার বন্ধুটার খুব টয়লেট চেপেছিল। ওকে নিয়ে গেলাম। পরে আপনাকে আর খুজে পাইনি।
রেডিমেড মিথ্যা বলা ইদানিং রপ্ত করেছি। সব মুশকিল আসান করে দেয়া যায়।এক্ষেত্রে কিন্তু মুশকিল আসান হয় না। বলেন, কোথায় যাবে?
মিরপুর ১০, আপনি?
আরে আমিও তো মিরপুর ১০এ যাব। চলো একসাথে যাই।
বাসে বসে তার সাথে অনেক কথা হ্য। প্রথমে যতটা তাতে বিরক্তিকর মনে হয়েছিল সেটা কমে আসে। ব্যাংকে জব করতেন। এখন অবসরপ্রাপ্ত।নাতি নাতনি আছে জানলাম। নাতনির বয়স কিন্তু আমি জিজ্ঞাসা করিনা! তিনিও আমার খোজ খবর নেন কে কে আছেন এইসব।
এক পর্যায়ে বললেন, এখন শুধু অপেক্ষা। আর কিছু না।
মৃত্যুর?
হুম!
মুখটা দুঃখী দুঃখী করে বলি( অভিনয়টা ভাল পারিনা তবে চেষ্টা নিই সর্বোচচ!), কিন্তু আপনার বয়স তো বেশি না! এসব না ভাবাই ভালো।

তোমাকে কে বলল যে আমার মৃত্যুর কথা ভাবছি?
তাহলে?
আমার কীর্তিমান বন্ধুদের মৃত্যুর কথা। মরে গেলে দুই একটা স্মৃতিকথামূলক বই লিখতে পারতাম!

জানলা দিয়ে উকি দিয়ে দেখলাম জ্যাম-বিশাল জ্যাম। নিজের মাথাও কিছুটা জ্যাম মনেহয়।
বাস থেকে নেমে আবার রিকশা নেয়া। কারন তখন আবার বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি নামা মানে রিকশাচালকের ডিমান্ড বেড়ে যাওয়া। অর্থনীতির সহজ চাহিদা-যোগান বিধি।বৃষ্টির কারনে এক্ষত্রে চাহিদা বাড়ে যোগান কমে। ফলাফল, দাম মানে ভাড়া বাড়ে হু হু করে ।যখন অনেক তাফালিং করেও কোন রিকশা পাওয়া যায় না তখন কাকভেজা নয়, পুরোপুরি ভিজে যাই মুষলধারার বৃষ্টিতে। হাটতে হাটতে বাসায় ফিরি।

ফিরে আবিষ্কার করি। বের হওয়ার সময় চাবি নিতে ভুলে গিয়েছিলাম। রুমমেট চলে গিয়েছে দরজায় তালা ঝুলিয়ে, -সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেশকে আপ্তবাক্য ধরে।

অতএব, আমার অর্থাৎ জনাব ক-এর যাত্রা কুফা দিয়ে শুরু হয়েছিল বলে কুফা দিয়েই শেষ হয়।
[প্রমাণিত]
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শামীম খান অসাধারন । পুরোটাই রম্য । ভাল থাকবেন ।
ধন্যবাদ জানবেন। শুভকামনা রইল অনেক।
তাপস চট্টোপাধ্যায় লেখাটি খুব ভালো লাগলো.
আপনার ভাললাগা প্রেরণা দেয়। শুভকামনা।
সকাল রয় খানিকটা যাপিত রস বেশ ভালো লাগলো। অনেক শুভকামনা
আপনার ভাল লাগা অনুপ্রেরনা দেয়। শুভকামনা রইল সকাল রয়।
সুমন আহমেদ হা হা হা! অবশেষে সুন্দর মতোই প্রমাণ করতে পেরেছেন উপপাদ্যটি। আগেও বলেছি আপনার রসবোধ ভালো। রম্য বলতে বলতে তার ভেতর দিয়ে কিছু সত্য যা সহজাত তা সচেতনভাবেই তুলে ধরেন। এটা আপনার ইতিবাচক দিক। বাঙালি প্রসঙ্গ, বাসের ঘটনা থেকে শুরু করে কাকের আচরণ, রিক্সাচলকের অভিব্যক্তি, বয়স্ক লোক এসবের রম্য প্রকাশের ভেতর দিয়ে মানুষের চারিত্রিক কিছু বিষয় (মনোজগতের বিষয়টি) সচেতনভাবে তুলে ধরেছেন যা বলে দেয় আপনি শুধু রম্য বলছেন না তার ভেতরে কিছু মানবিক ত্রুটিকে তুলে এনেছেন। অতএব, কুফাতত্ত্ব প্রমাণিত। ভালো থাকবেন , সুন্দর থাকবেন। শুভ কামনা সুপ্রিয় রাকিব।
মনোযোগীপাঠ আর মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন। নিরন্তর শুভকামনা রইল প্রিয় সুমন আহমেদ।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি হুম,,,,রাকিব ভাইয়ের কুফাতত্ব,,,,ভীষণ ভালো লাগলো ,,,, খুব মজা পেয়েছি,,,,,,,
শুভেচ্ছা রইল আনিসুর রহমান। আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
আখতারুজ্জামান সোহাগ শুভকামনা রইল রাকিব ভাই। লেখার কথা কী আর বলব!
ধন্যবাদ জানবেন সোহাগ ভাই। তবু লেখার কথা কিছু বলতেন, এই ব্লগে নতুন তো কাউকে চিনি না। ভাল থাকুন নিরন্তর।
লেখা খুবই ভালো হয়েছে। আমিও এখানে প্রায় আপনার মতোই। আমিও এ পর্যন্ত একটা পোস্ট-ই দিয়েছি। যাক, ব্যাপার না। নতুনরাই পুরোনো হবে এক সময়।
ধন্যবাদ সোহাগ ভাই । আবার এসে মন্তব্য করার জন্য। তা ঠিক নতুনরাই পুরোন হবে এক সময়।
প্রজ্ঞা মৌসুমী এবার বইমেলায় দাঁড়িয়ে কোন প্রকাশনা থেকে আমাদের সংকলন বের হয়েছে মনে করতে পারিনি। এতবার শুনেছি, সবাইকে কলম ফুলিয়ে জানিয়েছি তাও; প্রত্যেকটা স্টল ঘুরেও পারলাম না মনে আনতে। বার্ধক্য নাকি বিবাহ- স্মৃতি নাশিণী ইহা লইয়া আমি কিঞ্চিত সন্দিহান। রেডিমেড মিথ্যাটা বলাটা শিল্প আর বিশ্বাসযোগ্য মিথ্যেইতো লেখকের গুণ। ভরা বসন্তে মুষলধারে বৃষ্টি হয় কিনা জানা নেই তবে বেশ রোমান্টিক ভাব এসেছিল। কিন্তু কাক থেকে ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি এবং ঝুলতে থাকা আপ্তবাক্য-ই সাধারণ নির্বচন প্রমাণিত করলো। আপনার লেখনী ভালো লেগেছে। শুভ কামনা
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । ভরা বসন্ত হলেও এবারের একুশের বইমেলার সময় কিন্তু বৃষ্টি হয়েছিল! আমি নিজে দেখেছি। তবু বাস্তবে বৃষ্টি নাও হত তবু পাঠক ধরে নিতে পারবে, বৃষ্টি হওয়ার কারন কুফা! এভাবেও কুফাতত্ত্ব প্রমাণিত হল আরেকবার! শুভকামনা রইল।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু হা হা হা। দারুন হাস্য-রসাত্মক লেখা উপহার দিয়েছেন। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
ধন্যবাদ।শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা রইল।

১৪ এপ্রিল - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী