ঈদের জামাত

ঈদ (আগষ্ট ২০১৩)

মোঃ সাইদুল হাসান(সাদ্দাম)
  • 0
  • 0
  • ৩৮
“আহ তিরিশটা দিন ভালা মতই কাডায়ছি। আইজ তো শেষ রোজা কাইল ঈদ। আহ! নেয়ামতের দিন গুলা তাড়াতাড়ি চইল্লা গেল”।
উত্তর পাড়ার রহিম মিয়া কথাগুলো বলতে বলতে বাড়ী যাচ্ছিল। উত্তর পাড়ার নূরানি মাদ্রাসার সামনে দোকান গুলোর সামনে এসে বসলো রহিম মিয়া। তার কথাগুলো শুনে কালা ফারুক বলে ওঠে, কি অইছে রহিম ভাই?
আরে ভাই কইছ না।
কি কইতাম না?
বাজার থাইক্যা আওনের সময় দেখলাম পধ্যিন্না বাইর মনাপের পোলা যিপনে কেমনে যে সিকেট ধরাইয়া টানতাছিল! যেন দুনিয়াত নাই পোলায়। যের জালেম দৈত্যের মত পোলা হারাম জাদায় রোজা থাহেনা। আল্লার গজব পড়তো না কা এই গেরামো? নামাজ নাই রোজা নাই। গেরাম থাইক্যা সব মনে অয় আল্লায় সব ওডাইয়া লইয়া যাইতাছে।
পোলারা রোজা নোয়াজ না করলে আমনের সমস্যা কি?
আমার সমস্যা আর কি? এতো বড় পোলা রোজা থাহে না। পোলায় কবরে যাইতো না? তুমি যে উল্ডা কথা কও মিয়া। মুসলমান ইসাবে আমরা তো তারে কইতাম পারি যেন রোজা নোয়াজ করে।
ফারুক কিছু বলে না। চুপ করে বসে থাকে দোকানের মাচার উপর।
দোকানে কিছুক্ষণ বসে থেকে দোকান থেকে ক’টা পেয়াজো আলুর চপ আর পাঁচ টাকার মুড়ি কিনে বাড়ী চলে যায় রহিম মিয়া।
ইফতার করে উত্তর পাড়ার অনেকেই মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যায়। আজ তিরিশ রোজা শেষ হল। পাড়ার অনেকেই মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে গেল। সাহসও তার ব্যতিক্রম করলো না। নামাজ শেষ করে সকলে বাড়ীর দিকে রওনা হল। কেউ আকাশের পশ্চিম দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো, আকাশে নতুন চাঁদ দেখে। গ্রামের চারপাশে শুধু আনন্দের হই হুল্লো। কাল ঈদ! সাহস পশ্চিমাকাশে একবার চাঁদ দেখে বাড়ীতে চলে আসলো। বাড়ীতে গিয়ে দেখে তার বড় ভাই নয়ন তার ভাবি সুমি ভাতিজা রিংকু ঢাকা থেকে এসেছে। বাড়ীর ওঠোনে বসে সকলে চুপ করে আছে। সাহস দেখে তেমন একটা খুশি হয় না। বার বার তার মায়ের কথা মনে পড়ছে। গত বছর এই দিনে সাহস তার মায়ের কাছ থেকে দুই শ টাকা নিয়ে তুলপাই বাজার থেকে এক জোরা চামড়ার জুতা কিনেছিল। এবার কিছু কিনতে পারেনি। তাদের পরিবারের মধ্যে কেউই এবার ঈদ উপলক্ষে কিছুই কিনে নি। সকলের মনে আপন হারার বেদনা বিরাজ করছে। সাহসকে দেখে তার বড় ভাই নয়ন তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলে। কাঁদতে কাঁদতে বলে ওঠে, কেমন আছিস ভাই। সাহসও বড় ভাইয়ের সাথে কাঁদতে থাকে।
কান্না কাটি করে কি লাভ? তোগরে না কইছি কানতি না। নামাজ পইড়া দোয়া করতি তোগো মায়ের লাইগ্যা। কান্দছ কা বেডারা? বলতে লাগলো সাহসের বাবা। পরে নিজেই কান্না মুখি হয়ে গেল।
বাবাকে দেখে নয়ন বলে ওঠে, কেমন আছেন?
ভালা আছি তোরা কেমন আছত?
আমরা ভালই আছি। ঢাকা থাইক্যা কত ক্ষণে রওনা অইছিলি?
রওনা হয়েছিলাম অনেক আগেই। পথে অনেক দেরি অইছে বাবা। জাম ছিল পথে।
আইচ্ছা ঘরে যা।
পরে নয়নের বাবা বাড়ীর পাশের দোকানদারে চলে গেল। নয়নরা সবে ঘরে চলে গেল। ঢাকা থেকে এসেছে ওরা কখন খেয়েছে এখন প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাতের কাছে। ঘরে ডুকলেই সাগরের বউ ভাত ভারে নয়ন ও তার ছেলে রিংকু মিলে ভাত খায় বউ রিংকুর মা সহ। রিংকু খুব ছোট। ক’ দিন আগে কি হয়েছে ছোটদের মনে থাকে না। বোধ হয় সে তাড়নেই খাবারা খেতে খেতে বলে ওঠে সাগরের বউকে, চাচি দাদি কই?
সাগরের বউ ঝিমু বলে ওঠে, ঐ। কিরে কস রিংকু? তোর দাদি না ক’ দিন আগে মারা গেছেন।
আর আইতো না? মইরা গেলে মানুষ ঘরে আইতে পারে না? কথা কইতে পারে না চাচি?
না রে। না।
রিংকুর কথা গুলো অন্য ঘর থেকে সাহস শুনতে পায়। মায়ের কথা মনে পরে যায় তার ভাতিজার বিলাপ তার কানে আসে। পরে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে সাহস।
কান্নার শব্দ শুনে কে মুখে ভাত দিতে পারে? নয়ন ভাতের থালা থুয়ে বাহিরে চলে গেল। হাত গামছায় মুছে। রিংকু মনে হয় ভুল করে দাদির কথা বলে পেলেছে। তাই এরূপ দৃশ্য। দাদিকে তার বেশি মনে পরেছে তাই তো দাদির তালাশ সে করেছে। কিন্তু দাদিতো আর নাই। দাদির কথা বলেই কাঁদিয়ে দিল সে তার চাচাকে এখন নিজেও লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে। সাহস তা লক্ষ্য করেছে। পরে রিংকুর কাছে এসে সাহস রিংকুকে জড়িয়ে ধরে বলে কাঁদতে কাঁদতে, ভাতিজা তোর দাদি আর আইতো না। মানুষ মারা গেলে আর ঘরে ফিরে না রে।
রিংকুও চাচাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে। কাঁদ কাঁদ করে সাহসদের ঈদের আগের রাত কাটলো। অন্যান্য ঈদের দিনের আগে রাতে ঘরে বসে সাহসার হাতে মেহেদী দিতো। বাড়ীর আশেপাশে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডায় মেতে ওঠতো। কারও মনে শান্তি নাই ওদের মাঝে।
কান্নাকাটির মধ্য দিয়ে ওদের রাতটা গেল।
সকাল হলে সাহস গোসল করে পেলে। সকাল আট ঘটিকায় জামায়াত শুরু হবে। আগের রাত বলে দিয়েছির গ্রামের প্রতিটি মসজিদের মোয়াজ্জেমরা। তাই সে গোসল করে সহদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়েল দিকে হাটতে লাগলো। সেখানে প্রতিবছরেই ঈদের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এবারও হবে। কিন্তু সাহস সামান্য পথ হাটতে উত্তর পাড়ার সাজু সজুর সাথে ছিল­াছিলি­ করে বলতে লাগলো, আমরা আর পাডারি গো বাড়ীর সামনে ঈদের নোয়াজ পড়ুম না।
হ সাজু ভাই ঠিকই কইছেন আমাগো পাড়ায় জাগার অভাব আছে নাকি আমরা কিল্লাই হেইতাগো পাড়াত যাইয়া ঈদের নোয়াজ পড়ুম? না আর না। এবার আমাগো পাড়ায় ঈদের জামাত করুম। আমাগো পাড়ায় দুইডা মসজিদ একটা মাদ্রাসা। আমাগো পাড়ায় ইমাম সাব আছে আমরা কিল্লাই হেই পাড়ায় যামু। আমরা ডেয়ুর দিমু কিয়ারে। দেলু দুলু কিছু তাই কিছু অইলে খালি পাড়ার তুলুনা দেয়, আংগো পাড়াত তো তোগো আওন লাগবো, আংগো পাড়া ছাড়া তোরা চলতি পাড়বি নি?
হ। ঠিক কইছত সজু। হেইতা গো পাড়া ছাড়া আমরা চলতাম পাড়ি নি দেহি।
কি দেখবি সজু? কি অইছে? কোন হইন্নির পোতের কথা কছরে তোরা?
কথাগুলো বলতে বলতে গ্রামের খনকার মিয়া সজুর কাছে আসে। তার একটা পোলা বিদেশ থাকে কিছু টাকা পয়সা ব্যাংকে জমা আছে তাই মানুষকে সদা হইন্নির পোলা বলতে শুনে পাড়ার সবে। তাই গ্রামের অনেকে খনকারকে ধনি মিয়া বলে ডাকে।
আমরা আর পাডারি বাইর স্কুল মাডে ঈদের জামাত করতাম না ধনি ভাই। বলে ওঠে সজু।
ক্যান হেই পাড়ার কোন হইন্নির পোতেরা কিছু কইছে নাই আংগো পাড়ার কাওরে?
এহন না কইলে কি অইছে কিছুতে কিছু অইলেই হুনেনা দেলু দুলাল কইয়া ওডে, আংগো পাড়ায় যাইয়া লইছ দেহামু। হেইতাগো পাড়ায় তো আমরা শুধু ঈদের জামাত করতে যাই।
বলে ওঠে সাজু মিয়া খনকারকে উদ্দেশ্য করে।
হ । ঠিক তো হালার পোলারা সীমার বড়াই করে। তাগো সীমাত না গেলে আমাগো কিচ্ছু অইতো না। আমাগো মাদ্রাসার সামনে এবার ঈদের জামাত করুম। হ সজু হাছাই কইছত। দেলু হইন্নির পুত আর দুলাল হইন্নির পোলারা কিছু না পাড়লে খালি সীমার বড়াই করে। তাগো মাডে আমরা জামাত করতাম না। আমরা আইজ মাদ্রাসার মাডে ঈদের জামাত করুম।
কথার ফাঁকে সরুজ মিয়া বলে ওঠে খুঁছা মেওে, খনকার ভাই আমনে কইলে অইবো নাই এই পাড়ার সবাই না কইলে অইবো? হগলে যদি জামাত হে পাড়া পড়ে আমনে আর আমি এই পাড়ায় কার পিছে জামাত করুম?
কথা তো মিছা কওনা সরুজ মিয়া। আগে ঈমান সাবরে কওনের দরকার।
সজু ভাই ও সজু ভাই। খারিয়া থাকবেন নামাজ পড়তে যাইতেন না। আমি তো মোসলা নিয়া আইছি আইয়েন দুনোজনে এক লগে যাই। কথা গুলো বলতে বলতে কালা ফারুক কথার সাথে তাল মিলায়।
না না আমি হেই পাড়ায় নামাজ পড়তাম না। তুই পাড়লে পড় গিয়া।
কা কি অইছে ও?
আমাগো পাড়ায় জাগা নাই? আমাগো বাইড় সামনে আনাম বড় একটা মাদ্রাসা হারা ইউনিয়নে পাইবি নি এরুম একটা মাদ্রাসা।
ত কি অইলো কন?
আমাগো মাদ্রাসা থাকতে আমারা কিয়ারে হেই পাড়া যামু ঈদের জামাত করতাম বুঝা?
কিছু তে কিছু অইলে হেই পাড়ার হগলে মিল্লা পাড়ার বড়াই করে।
হ সজু ভাই ঠিক কথা কইছে সালাগো পাড়াত ঈদের জামাত করতাম যাইতাম না। আমাগো পাড়াত আমরা জামাত করুম। ভালা কইরা করুম। দরকার অইলে আইজ্জার জামাতটা আমরা দেরি কইরা করুম। এহন বাজার তাই মিষ্টি আনুম জামাতের পর আমরা হগলেরে মিষ্টি দিমু। কি কন সজু ভাই?
ঠিক তো সুন্দর কথা কইছে ফারুকে বলে ওঠে খনকার মিয়া সাথে তাল মিলায় সজু,
লগে একটা মাইক আনিস
সরুজ মিয়া সজু মিয়ার কানের কাছে মুখ নিয়া বলে ওঠে ফিসফিস করে, আগে ঈমান সাবরে রাজি করতে অইবো তিনি যদি জামাত না করেন তইলে তো বিরাট সমস্যা। আমরা বেইজ্জতি অমু ভাই। ঈমান সাব কলিম তো ফারুকের চাচাতে ভাই। ফারুকেরে আগে কলিমের কাছে পাডান হেইতে আগে ঈমান সাবরে কইয়া আইওক। আগে ঈমান সাবরে রাজি কইরা আইওক।
ঈমান সাব রাজি না অইয়া কই যাইবো? আমাগো পাড়া থুইয়া হেইতে কি হে পাড়া যাইবো বেডা তুই চুপ কর।
তার পরও কওনের দরকার আছে না মিয়া।
পরে সজু মিয়া ফারুকে বলে ওঠে, ফারুক তুই আগে কলিমে গো বাইত যা হেইতারে আগে কইয়া আয় আইজ আমরা মাদ্রাসার সামনে ঈদের জামাত করুম।
আইচ্ছা আমনেরা এহানে থাহেন যারা যারা এহান দিয়া হেই পাড়াত ঈদের নামাজ পড়তে যাইবো হগলেরে মানা করবেন।
কাইগো রে মান করতে অইবো না মিয়া একটা পোলারে মসজিদে পাডাই দেন মাইক দিয়া হগলেরে জানাইয়া দিবো। হে পাড়ার হগলেও হুনবো। বলে ওঠে সরুজ মিয়া।
ফারুক বলে ওঠে, হ ঠিক কইছেন মাদ্রাসা ওয়ালা বাড়ীর শহীদ উল্যার পোলার গলা ভালা পোলারে ডাক দেন। মসজিদে পাডান যেন হগলেরে মাইকে কইয়া দেয় আইজ মাদ্রাসার সামনে ঈদের জামাত অইবো। আমি যাই।
এরি মাঝে সাহস সজু মিয়াদের ঘেষে পাটোয়ারী বাড়ীর দিকে যাচ্ছিল ঈদের নামাজ পড়তে।
কইরে যাছ? বলে ওঠে সজু মিয়া
ইয়ে মানে নামাজ পড়তে যাচ্ছি।
এবারের নামাজ মাদ্রাসার সামনে অইবো।
বলেন কি মামু
হ। এহন মসজিদের মাইক দিয়া কইয়া দিয়া আয় আইজ ঈদের জামাত অইবো মাদ্রাসার সামনে।
আইচ্ছা যাচ্ছি মামু।
যা।
মসজিদের মাইক দিয়া যখন সাহস ঈদের জামাত মাদ্রাসার সামনে হবে বলতে ছিল। উত্তর পাড়ার অনেকে বিস্মিত হতে লাগলো। অনেকে বলতে লাগলো হারা বছর পাডারি বাড়ীর সামনে ঈদের জামাত অইতো আইজ আবার নতুন কোন ঢং? কে এ ঢং বাড় করছে?
সাহস কোন কথায় কান না দিয়ে সোজা বাড়ীর দিকে হাটতে লাগলো আসার পথে মসজিদের পাশের বাড়ীর আলমাছ মিয়া সাহসকে ডাক দেয়, ভাতিজা হুন হুন,
কি কাকা আপনেও ঈদের জামাত নিয়া কিছু কইবেন মনে হয়?
ইয়া। হারা জনম হেই পাড়ায় জামাত কইরা আইছি এইবার আবার কি অইলো রে কাকু?
কি আর হবে কাকা আমি মাইকে বলছি মাদ্রাসার সামনে ঈদের জামাত হবে এখন আপনার যদি ইচ্ছা হয় এই পাড়ায় নামাজ পড়বেন তাহলে যাইবেন আর যদি হেই পাড়া নামাজ পড়তে ইচ্ছা হয় তাহলে হেই পাড়া যাবেন এখানে ধরা বাধা কোন অবকাশ নাই কাকা চিন্তা কইরেন না।
না আমি হেইডা কইতাছি না রে কাকু।
তো কি কইতাছেন কন?
আমরা যে হেই পাড়া ছাইড়া আংগো পাড়াত জামাত করুম আংগো পাড়ার হগলে রাজি অইছেনি?
আমি না বললাম, আপনি যদি পড়তে না চান তাহলে যাবেন না।
আংগো পাড়া ছাইড়া কি আমরা হেই পাড়া যামু বেডা?
এইতো লাইনে আইছেন তো লন যাই জামাতে শরিক হই।
তুই যা আমি আইতাছি।
পরে সাহস চলে গেল মাদ্রাসার সামনে। গিয়ে দেখে পাড়ার একটা মানুষও পাটোয়ারী বাড়ীর সামানে ঈদের জামাত করতে যায়নি।
না যাওয়ার কারন তো উত্তর পাড়ার সকলের জানা।
কিন্তু পাটোয়ারী বাড়ীর অনেকে এখনও জানে না কি জন্য এবারের জামাত দুই ভাগে হল। নিজেদের মাঝে কোন গরমিল হল কিনা তা যাচাই করতে লাগলো। কেন এবার এই পাড়ায় মানুষ খুব কম হয়েছে।
জামাতে শরিক হওয়া অনেকেই মত প্রকাশ করছে, শুধু মাত্র দেলু দুলালের কারনে আমাদের এই বড় জামাতটা ভাঙলো।
জামাতে অপস্থিত থাকা পাটোয়ারী বাড়ীর হকা বলে ওঠে ওঠে, বেডারা ঠিক করছে এইবার দেল-দুলাল কিছু থাই কিছু অইলে খালি পাড়ার বড়াই দেহায়। এললিগ্যা এইবার বেডারা উত্তর পাড়া জামাত করছে।
আসফোসের মাঝে থেকে দক্ষিন পাড়ার মানুষগুলো ঈদের দিনটা অতিবাহিত করলো। আর উত্তর পাড়ার লোক আনন্দে ঊৎলে ওঠেছে জনে জনে ঈদের জামাত শেষ করে কোলাকোলির মাঝে। খনকার মিয়া সজু মিয়ার সাথে কোলাকোলি করা সময় বলে ওঠেছিল, সজু ভাই এইবারের কোলাকোলিডা আমার কাছে খুব আরাম লাগদাছে আল­ায় আংগোরে মনে হয় কবুল করছে। কারন আমরা আমাগো পাড়াত এইবার ঈদের জামাত করছি। কি কন মনির ভাই?
হ। হ। ঠিক কইছেন আইয়েন আমি আর আমনে কোলাকোলি করি।
হাসির মাঝে সারাটা দিন পাড়লো উত্তর পাড়ার মানুষ। আর তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে এইভাবে পাড় করতে চায়। উত্তর পাড়াতে। সকলে কাম্য এই। সে জন্য ঈমাম সাহেবকে অনেকে অনুরোধও করেছিল যেন এই পাড়ার ঈদের জামাত আজীবন এই পাড়ায় হয় সে জন্য দোয়া করতে ঈমাম সাহেব দোয়া করেছিলও।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

২১ জানুয়ারী - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪